আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ২৬০০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০০। আবুত-তাহির ও হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অবহিত করা হল যে, তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি অবশ্য সারা রাত (ইবাদতে) দাঁড়িয়ে থাকব এবং সারা দিন রোযা পালন করব, যতদিন জীবিত থাকি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি একথা বলেছ? আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমিই একথা বলেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তা করতে সক্ষম হবে না। অতএব তুমি রোযা পালন কর ও ছেড়ে দাও এবং ঘুমাও আবার জেগে ইবাদত কর। তুমি প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন কর। কারণ প্রতিটি নেকীর বিনিময়ে তার দশগুণ সাওয়াব রয়েছে। আর এটা পূর্ণ বছর রোযা পালন করার সমতূল্য।

আমি বললাম, আমার এর চেয়েও অধিক পরিমাণ করার সামর্থ্য আছে। তিনি বললেন, তাহলে একদিন রোযা পালন করে দুইদিন ছেড়ে দাও। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এর চেয়েও অধিক করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি একদিন রোযা পালন কর, একদিন ছেড়ে দাও। আর এটাই হচ্ছে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা এবং তা সর্বোত্তম রোযা। আমি বললাম আমি আরও অধিক করতে সক্ষম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এর চেয়ে উত্তম কিছু নেই।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথামত প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করার নিয়ম গ্রহণ করতাম তবে তা আমার জন্য পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের তুলনায় অধিক পছন্দনীয় হতো।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ، يُحَدِّثُ عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَقُولُ لأَقُومَنَّ اللَّيْلَ وَلأَصُومَنَّ النَّهَارَ مَا عِشْتُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آنْتَ الَّذِي تَقُولُ ذَلِكَ " . فَقُلْتُ لَهُ قَدْ قُلْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَنَمْ وَقُمْ وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنَّ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَذَلِكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ " . قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ " . قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا وَذَلِكَ صِيَامُ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - وَهُوَ أَعْدَلُ الصِّيَامِ " . قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو رضى الله عنهما لأَنْ أَكُونَ قَبِلْتُ الثَّلاَثَةَ الأَيَّامَ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَهْلِي وَمَالِي .
হাদীস নং: ২৬০১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-২
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ রুমী (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া (রাহঃ) বলেন, আমি ও আব্দল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ রওয়ানা হয়ে আবু সালামার নিকট গেলাম। আমরা তাঁর কাছে একজন লোক পাঠালাম। তিনি বের হয়ে আমাদের নিকট এলেন। তাঁর বাড়ির সামনেই ছিল মসজিদ এবং আমরা সেখানেই তার অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা ইচ্ছা করলে আমার বাড়িতেও যেতে পার। আর চাইলে এখানেও বসতে পার। আমরা বললাম, না বরং আমরা এখানেই বসি এবং আপনি আমাদের (হাদীস) বর্ণনা করুন।

তিনি বললেন আমার কাছে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুূল আস (রাযিঃ) বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন আমি সারা বছর রোযা পালন করতাম এবং সারা রাত কুরআন পাঠ করতাম। একথা হয় নবী (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করা হয়েছে অথবা তিনি বলেছেনঃ (অধস্তন রাবীর সন্দেহ) আমাকে ডেকে পাঠান হয়েছে। আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে বললেন আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, তুমি সারা বছর রোযা পালন কর এবং সারা রাত্র কুরআন পাঠ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি এরদ্বারা কল্যাণ লাভেরই প্রত্যাশী। তিনি বললেন তাহলে প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

আমি বললাম হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও অধিক সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার রয়েছে, তোমার সাক্ষাত প্রার্থীর তোমার উপর অধিকার রয়েছে। এবং তোমার দেহেরও তোমার উপর অধিকার রয়েছে। অতএব আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা পালন কর। কারণ তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বাধিক ইবাদতকারী। আমি বললাম হে আল্লাহর নবী! দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা কি? তিনি বললেনঃ তিনি একদিন রোযা পালন করতেন একদিন ছেড়ে দিতেন।

তিনি আরও বললেন তুমি প্রতি মাসে একবার (পূর্ণ) কুরআন তিলওয়াত খতম কর। আমি বললাম হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও অধিক পড়তে সক্ষম। তিনি বললেনঃ তাহলে প্রতি বিশ দিনে একবার কুরআন খতম কর। আমি বললাম হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও অধিক পড়তে সক্ষম। তিনি বললেন তাহলে দশদিনে একবার কুরআন খতম কর। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও বেশী পড়তে সক্ষম। তিনি বললেনঃ তাহলে সপ্তাহে একবার খতম কর এর অধিক নয়। কারণ তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার আছে। তোমার দেহেরও অধিকার আছে।

আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন আমি নিজের উপর কঠোরতা করেছি ফলে আমি কঠোরতায় নিক্ষিপ্ত হয়েছি। নবী (ﷺ) আমাকে আরও বললেনঃ তুমি জান না হয়ত তুমি দীর্ঘজীবি হবে। অতএব নবী (ﷺ) আমাকে যা বলেছেন আমি তা গ্রহণ করলাম। আমি যখন বার্ধক্যে উপনীত হলাম তখন আকাঙ্ক্ষা করলামঃ আহা, আমি যদি নবী (ﷺ) এর দেয়া অবকাশ গ্রহণ করতাম।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الرُّومِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، - وَهُوَ ابْنُ عَمَّارٍ - حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ انْطَلَقْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَتَّى نَأْتِيَ أَبَا سَلَمَةَ فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهِ رَسُولاً فَخَرَجَ عَلَيْنَا وَإِذَا عِنْدَ بَابِ دَارِهِ مَسْجِدٌ - قَالَ - فَكُنَّا فِي الْمَسْجِدِ حَتَّى خَرَجَ إِلَيْنَا . فَقَالَ إِنْ تَشَاءُوا أَنْ تَدْخُلُوا وَإِنْ تَشَاءُوا أَنْ تَقْعُدُوا هَا هُنَا . - قَالَ - فَقُلْنَا لاَ بَلْ نَقْعُدُ هَا هُنَا فَحَدِّثْنَا . قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - رضى الله عنهما - قَالَ كُنْتُ أَصُومُ الدَّهْرَ وَأَقْرَأُ الْقُرْآنَ كُلَّ لَيْلَةٍ - قَالَ - فَإِمَّا ذُكِرْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَإِمَّا أَرْسَلَ إِلَىَّ فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ لِي " أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ الدَّهْرَ وَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ كُلَّ لَيْلَةٍ " . قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَلَمْ أُرِدْ بِذَلِكَ إِلاَّ الْخَيْرَ . قَالَ " فَإِنَّ بِحَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ " . قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " فَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا - قَالَ - فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّهُ كَانَ أَعْبَدَ النَّاسِ " . قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَمَا صَوْمُ دَاوُدَ قَالَ " كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا " . قَالَ " وَاقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ " . قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ عِشْرِينَ " . قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ عَشْرٍ " . قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي كُلِّ سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ . فَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا " . قَالَ فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ عَلَىَّ . قَالَ وَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكَ لاَ تَدْرِي لَعَلَّكَ يَطُولُ بِكَ عُمْرٌ " . قَالَ فَصِرْتُ إِلَى الَّذِي قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا كَبِرْتُ وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ قَبِلْتُ رُخْصَةَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং: ২৬০২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৩
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০২। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর (রাহঃ) থেকে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে এই সূত্রে ″প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন কর″ কথার পর আরও আছে কেননা তোমার জন্য প্রতিটি ভাল কাজের পরিবর্তে তার দশগুণ প্রতিদনি রয়েছে। অতএব তা এক বছর রোযা পালনের সমানই হল। এই হাদীসে আরও উল্লেখ আছে, ″আমি (আব্দুল্লাহ) বললাম, আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা কিরূপ ছিল? তিনি বললেন, অর্ধ বছর (রোযা পালন করা)″ এই সূত্রে কুরআন তিলওয়াত সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নাই এবং নবী (ﷺ) এর একথাও উল্লেখ নাই ″তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও অধিকার রয়েছে।″ বরং এতে উল্লেখ আছে “তোমার উপর তোমার সন্তানেরও অধিকার রয়েছে।”
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِيهِ بَعْدَ قَوْلِهِ " مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ " " فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا فَذَلِكَ الدَّهْرُ كُلُّهُ " . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ قُلْتُ وَمَا صَوْمُ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ قَالَ " نِصْفُ الدَّهْرِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ شَيْئًا وَلَمْ يَقُلْ " وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا " . وَلَكِنْ قَالَ " وَإِنَّ لِوَلَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا " .
হাদীস নং: ২৬০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৪
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৩। কাসিম ইবনে যাকারিয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেন তুমি প্রতি মাসে একবার কুরআন খতম কর। আমি বললাম, আমার এর অধিক সামর্থ্য আছে। তিনি বললেন প্রতি বিশ দিনে একবার কুরআন খতম কর। আমি বললাম, আমার এর অধিক সামর্থ্য আছে। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে একবার কুরআন খতম কর, এর অধিক নয়।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى بَنِي زُهْرَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ - وَأَحْسِبُنِي قَدْ سَمِعْتُهُ أَنَا مِنْ أَبِي سَلَمَةَ، - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ " . قَالَ قُلْتُ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي عِشْرِينَ لَيْلَةً " . قَالَ قُلْتُ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً . قَالَ " فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ " .
হাদীস নং: ২৬০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৫
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৪। আহমদ ইবনে ইউসূফ আযদী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না যে সারা রাত জেগে ইবাদত করত পরে তা পরিত্যাগ করে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قِرَاءَةً قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنِ ابْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ اللَّهِ لاَ تَكُنْ بِمِثْلِ فُلاَنٍ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ " .
হাদীস নং: ২৬০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৬
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৫। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কাছে এ কথা পৌছল যে আমি একাধারে রোযা পালন করে যাচ্ছি এবং রাতে নামায আদায় করে চলছি। অতএব তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন অথবা (রাবীর সন্দেহ) আমি তাঁর সাথে সাক্ষাত করলাম। তিনি বললেন আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, তুমি রোযা পালন করে যাচ্ছ এবং তা ছাড়ছ না এবং রাতব্যাপি নামায আদায় করে চলেছ? তুমি (এরূপ) করো না। কেননা তোমার চোখের একটি প্রাপ্য রয়েছে, তোমার দেহের প্রাপ্য রয়েছে এবং তোমার স্ত্রীর প্রাপ্য রয়েছে। অতএব রোযা পালন কর এবং ছেড়ে দাও, নামায আদায় কর আবার ঘুমাতে যাও।

প্রতি দশ দিনে একদিন রোযা পালন কর এতে তুমি নয় দিন রোযা পালনের সাওয়াব পাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি নিজেকে এর চেয়ে বেশী সামর্থ্যবান মনে করি। তিনি বললেন তাহলে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর মত রোযা পালন কর। আমি বললামঃ দাউদ (আলাইহিস সালাম) কিভাবে রোযা পালন করতেন?

তিনি বললেন তিনি একদিন রোযা পালন করতেন, একদিন ছেড়ে দিতেন এবং (যুদ্ধক্ষেত্র থেকে) পলায়ন করতেন না যখন (শক্র বাহিনীর) সম্মুখীন হতেন। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! কে আমার জন্য এ সবের জামিন হবে? অধঃস্তন রারী আতা (রাহঃ) বলেনঃ একাধারে রোযার কথা কীভাবে উল্লেখ করেছেন, তা আমি জানি না।

নবী (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি সর্বদা রোযা পালন করে সে মূলত রোযা পালন করেনি। যে সর্বদা রোযা পালন করল সে মূলত রোযা পালন করেনি যে সর্বদা রোযা পালন করল সে মূলত রোযা পালন করেনি।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَزْعُمُ أَنَّ أَبَا الْعَبَّاسِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ بَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَصُومُ أَسْرُدُ وَأُصَلِّي اللَّيْلَ فَإِمَّا أَرْسَلَ إِلَىَّ وَإِمَّا لَقِيتُهُ فَقَالَ " أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ وَلاَ تُفْطِرُ وَتُصَلِّي اللَّيْلَ فَلاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ لِعَيْنِكَ حَظًّا وَلِنَفْسِكَ حَظًّا وَلأَهْلِكَ حَظًّا . فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَصَلِّ وَنَمْ وَصُمْ مِنْ كُلِّ عَشْرَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا وَلَكَ أَجْرُ تِسْعَةٍ " . قَالَ إِنِّي أَجِدُنِي أَقْوَى مِنْ ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ " فَصُمْ صِيَامَ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " . قَالَ وَكَيْفَ كَانَ دَاوُدُ يَصُومُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ " كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى " . قَالَ مَنْ لِي بِهَذِهِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ عَطَاءٌ فَلاَ أَدْرِي كَيْفَ ذَكَرَ صِيَامَ الأَبَدِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ " .
হাদীস নং: ২৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৭
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৬। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে এই সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি বলেছেনঃ আবু আব্বাস শায়র (রাহঃ) তাকে অবহিত করেছেন। ইমাম মুসলিম বলেন, তিনি হলেন আবু আব্বাস আস-সায়েব ইবনে ফাররুখ। তিনি মক্কার অধিবাসী এবং বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ إِنَّ أَبَا الْعَبَّاسِ الشَّاعِرَ أَخْبَرَهُ . قَالَ مُسْلِمٌ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّائِبُ بْنُ فَرُّوخَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ ثِقَةٌ عَدْلٌ .
হাদীস নং: ২৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৮
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৭। উবাইাদুল্লাহ ইবনে মূআয (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর! তুমি তো একাধারে রোযা পালন করে যাচ্ছ। সারা রাত ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাক। তুমি এরূপ করলে-তাতে তোমার-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে। যে ব্যক্তি সর্বদা রোযা পালন করল, সে মূলত রোযা পালন করল না। মাসে তিন দিন রোযা পালন কর। পূর্ণ মাস রোযা পালনের সমতুল্য।

আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর ন্যায় রোযা পালন কর। তিনি একদিন রোযা পালন করতেন এবং একদিন ছেড়ে দিতেন এবং পলায়ন করতেন না যখন তিনি শক্রর সম্মুর্খীন হতেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبٍ، سَمِعَ أَبَا الْعَبَّاسِ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو إِنَّكَ لَتَصُومُ الدَّهْرَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ وَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ هَجَمَتْ لَهُ الْعَيْنُ وَنَهِكَتْ لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنَ الشَّهْرِ صَوْمُ الشَّهْرِ كُلِّهِ " . قُلْتُ فَإِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى " .
হাদীস নং: ২৬০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-৯
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৮। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হাবীব ইবনে আবু সাবিত (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এতে আরও আছে, ″এবং তুমি শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে পড়বে।″
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " وَنَفِهَتِ النَّفْسُ " .
হাদীস নং: ২৬০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১০
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬০৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, আমাকে তোমার সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যে, তুমি সারারাত দাঁড়িয়ে নামায আদায়া কর এবং দিনের বেলা রোযা রাখ? আমি বললাম, আমি অবশ্য করি। তিনি বলেন, তুমি এরূপ করতে গেলে অনিদ্রার কারণে তোমার চোখ কোটরাগত হবে এবং তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে। তোমার চোখের হক রয়েছে, তোমার দেহের হক রয়েছে এবং তোমার পরিবার-পরিজনের হক রয়েছে। অতএব তুমি রাতে ইবাদতও করবে এবং নিদ্রাও যাবে। রোযাও পালন করবে, আবার তা বাদও দেবে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ " . قُلْتُ إِنِّي أَفْعَلُ ذَلِكَ . قَالَ " فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ هَجَمَتْ عَيْنَاكَ وَنَفِهَتْ نَفْسُكَ لِعَيْنِكَ حَقٌّ وَلِنَفْسِكَ حَقٌّ وَلأَهْلِكَ حَقٌّ قُمْ وَنَمْ وَصُمْ وَأَفْطِرْ " .
হাদীস নং: ২৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১১
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬১০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় রোযা হচ্ছে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা এবং তাঁর নিকট পছন্দনীয় নামায হচ্ছে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর নামায। তিনি অর্ধরাত ঘুমাতেন। অতঃপর এক-তৃতীয়াংশ রাত ইবাদতে থাকতেন। অতঃপর এক-ষষ্ঠাংশ রাত ঘুমাতেন। তিনি একদিন রোযা পালন করতেন এবং একদিন বাদ দিতেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَحَبَّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ وَأَحَبَّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ صَلاَةُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَكَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا " .
হাদীস নং: ২৬১১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১২
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬১১। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় রোযা হচ্ছে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা। তিনি বছরের অর্ধেককাল রোযা পালন করতেন। মহান আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় নামায হচ্ছে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর নামায। তিনি অর্ধ রাত ঘুমাতেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়াতেন, অতঃপর শেষ রাতে ঘুমিয়ে যেতেন। অর্ধরাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর এক-তৃতীয়াংশ রাত ইবাদত করতেন।

রাবী ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেন, আমি আমর ইবনে দীনারকে বললাম, আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) কি একথা বলতেন যে, তিনি অর্ধরাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর এক-তৃতীয়াংশ রাত ইবাদতে থাকতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو، بْنُ دِينَارٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، - رضى الله عنهما - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ كَانَ يَصُومُ نِصْفَ الدَّهْرِ وَأَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ صَلاَةُ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - كَانَ يَرْقُدُ شَطْرَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْقُدُ آخِرَهُ يَقُومُ ثُلُثَ اللَّيْلِ بَعْدَ شَطْرِهِ " . قَالَ قُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَعَمْرُو بْنُ أَوْسٍ كَانَ يَقُولُ يَقُومُ ثُلُثَ اللَّيْلِ بَعْدَ شَطْرِهِ قَالَ نَعَمْ .
হাদীস নং: ২৬১২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১৩
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬১২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আবুল মালীহ (রাহঃ) অবহিত করেছেনঃ তিনি বলেছেন, আমি তোমার পিতার সাথে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাদের নিকট বললেন, যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আমার রোযা সম্পর্কে উল্লেখ করা হলে তিনি আমার কাছে এলেন। আমি তাঁর জন্য একটি চামড়ার তাকিয়া পেতে দিলাম। যাতে খেজুরগাছের আঁশ ভর্তি ছিল। তিনি মাটির উপর বসে গেলেন এবং তাকিয়াটি তাঁর ও আমার মাঝে পড়ে থাকল।

তিনি আমাকে বললেন প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করা কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর অধিক রোযা পালন করতে সক্ষম)! তিনি বললেন, তাহলে পাঁচদিন। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর চেয়ে বেশী সামর্থ্য রাখি)! তিনি বললেন, তাহলে সাত দিন? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি।) তিনি বললেন, তাহলে নয় দিন! আমি বললাম। ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)। তিনি বললেন, তাহলে এগার দিন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (আমি এর অধিক সামর্থ্য রাখি)।

নবী (ﷺ) বললেন, দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযার উপর কোন রোযা নেই। তিনি বছরের অর্ধেক অর্থাৎ একদিন যদি রোযা পালন করতেন, আরেক দিন বাদ দিতেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الْمَلِيحِ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِيكَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذُكِرَ لَهُ صَوْمِي فَدَخَلَ عَلَىَّ فَأَلْقَيْتُ لَهُ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ فَجَلَسَ عَلَى الأَرْضِ وَصَارَتِ الْوِسَادَةُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَقَالَ لِي " أَمَا يَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " خَمْسًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " سَبْعًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " تِسْعًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " أَحَدَ عَشَرَ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَوْمَ فَوْقَ صَوْمِ دَاوُدَ شَطْرُ الدَّهْرِ صِيَامُ يَوْمٍ وَإِفْطَارُ يَوْمٍ " .
হাদীস নং: ২৬১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১৪
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬১৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেন, তুমি একদিন রোযা পালন করলে পরের দিনের সাওয়াব পাবে। তিনি বলেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি দুই দিন রোযা পালন কর। তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোর সাওয়াব পাবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক রোযা রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি তিন দিন রোযা পালন কর তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোরও সাওয়াব পাবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি চার দিন রোযা পালন কর, তাহলে অবশিষ্ট দিনগুলোরও সাওয়াব লাভ করবে। তিনি বললেন, আমি আরও অধিক রাখতে সক্ষম। তিনি বললেন, তুমি দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা পালন কর যা আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম রোযা। তিনি একদিন রোযা পালন করতেন এবং পরের দিন বাদ দিতেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ فَيَّاضٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عِيَاضٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو - رضى الله عنهما - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " صُمْ يَوْمًا وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ " . قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " صُمْ يَوْمَيْنِ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ " . قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ " . قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " صُمْ أَرْبَعَةَ أَيَّامٍ وَلَكَ أَجْرُ مَا بَقِيَ " . قَالَ إِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " صُمْ أَفْضَلَ الصِّيَامِ عِنْدَ اللَّهِ صَوْمَ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا " .
হাদীস নং: ২৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৯-১৫
৩২. যে ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে অথবা কারো হক নষ্ট করার আশঙ্কা থাকে অথবা উভয় ঈদ ও তাকবীরে তাশরীকের দিনগুলোতে রোযা ছাড়ে না, এরূপ ব্যক্তির পক্ষে সারা বছর রোযা পালন করা নিষেধ এবং একদিন রোযা পালন করা ও একদিন রোযা পালন না করার ফযীলত
২৬১৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর! আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি দিনের বেলা রোযা পালন কর, এবং রাতের বেলা নামাযে থাক। তুমি এরূপ করো না। কারণ তোমার উপর তোমার দেহের একটি অংশ (হক) রয়েছে তোমার উপর তোমার চোখের অংশ-রয়েছে এবং তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অংশ রয়েছে। তুমি রোযাও পালন কর এবং বাদও দাও। প্রতি মাসে তিন দিন করে রোযা পালন কর এবং এটাই হল সারা বছরের রোযা। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার আরও শক্তি আছে। তিনি বললেন, তাহলে দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা এর মত রোযা পালন কর। একটি রোযা পালন কর এবং একদিন বাদ দাও। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলতেন হায়! আমি যদি সহজটার উপর আমল করতাম!
بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الدَّهْرِ لِمَنْ تَضَرَّرَ بِهِ أَوْ فَوَّتَ بِهِ حَقًّا أَوْ لَمْ يُفْطِرْ الْعِيدَيْنِ وَالتَّشْرِيقَ وَبَيَانِ تَفْضِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، - حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو بَلَغَنِي أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَلاَ تَفْعَلْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَظًّا وَلِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَظًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَظًّا صُمْ وَأَفْطِرْ صُمْ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَذَلِكَ صَوْمُ الدَّهْرِ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ بِي قُوَّةً . قَالَ " فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا " . فَكَانَ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي أَخَذْتُ بِالرُّخْصَةِ .