আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ২৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-১
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৬৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছি। তিনি বললেন কিসে তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বলল আমি রমযানে রোযারত অবস্থায় আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন তোমার কি গোলাম আযাদ করার মত সামর্থ্য রয়েছে? সে বলল না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি ক্রমাগত দুই মাস রোযা পালন করতে পারবে? সে বলল, না। পূনরায় নবী (ﷺ) বললেন, তুমি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে কি? সে বলল, না। তারপর সে বসে গেল।

এরপর নবী (ﷺ)এর নিকট এক টুকরি খেজুর আনা হল। তিনি লোকটিকে বললেন এগুলো সাদ্‌কা করে দাও। তখন সে বলল, আমার চেয়েও অভাবী লোককে সাদ্‌কা করে দিব? (মদীনার) দুটি কংকরময় ভূমির মধ্যস্থিত স্থানে আমার পরিবারের চেয়ে অভাবী পরিবার আর একটিও নেই। এ কথা শুনে নবী (ﷺ) হেসে দিলেন। এমনকি তাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ল। তখন তিনি বললেন, তাহলে যাও, এগুলো তোমার পরিবারকে খেতে দাও।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَمَا أَهْلَكَكَ " . قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ . قَالَ " هَلْ تَجِدُ مَا تُعْتِقُ رَقَبَةً " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَهَلْ تَجِدُ مَا تُطْعِمُ سِتِّينَ مِسْكِينًا " . قَالَ لاَ - قَالَ - ثُمَّ جَلَسَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ . فَقَالَ " تَصَدَّقْ بِهَذَا " . قَالَ أَفْقَرَ مِنَّا فَمَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنَّا . فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ثُمَّ قَالَ " اذْهَبْ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ " .
হাদীস নং: ২৪৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-২
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৬৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম যুহুরী (রাহঃ) এর সূত্রে ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যেبِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ এরপরوَهُوَ الزِّنْبِيلُ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে এবং এতে নবী (ﷺ) এর হাসির কথা উল্লেখ নেই।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ رِوَايَةِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ - وَهُوَ الزِّنْبِيلُ - وَلَمْ يَذْكُرْ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ .
হাদীস নং: ২৪৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-৩
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৬৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, মুহাম্মাদ ইবনে রূমহ ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রমযান মাসে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট প্রশ্ন করল। তখন তিনি বললেন, তোমার কোন দাস আছে কি? সে বলল, না। তিনি আবার বললেন, তুমি দুই মাস রোযা পালন করতে পারবে কি? সে বলল না। তখন তিনি বললেন তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - أَنَّ رَجُلاً، وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ فَاسْتَفْتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " هَلْ تَجِدُ رَقَبَةً " . قَالَ لاَ . قَالَ " وَهَلْ تَسْتَطِيعُ صِيَامَ شَهْرَيْنِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا " .
হাদীস নং: ২৪৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-৪
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৬৯। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে এ সনদে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি রমযানের রোযা ভেঙ্গে ফেলার কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এর কাফফারা হিসেবে একটি গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি ইবনে উয়াইনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ رَجُلاً، أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُكَفِّرَ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
হাদীস নং: ২৪৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-৫
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৭০। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন এক ব্যক্তি রমযানোর রোযা ভেংগে ফেলার কারণে নবী (ﷺ) তাকে নির্দেশ দিলেন, হয় তো সে একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা দুই মাস রোযা পালন করবে অথবা ষাটজন মিসকীনকে খানা খাওয়াবে।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ رَجُلاً أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ أَنْ يُعْتِقَ رَقَبَةً أَوْ يَصُومَ شَهْرَيْنِ أَوْ يُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا .
হাদীস নং: ২৪৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১১১১-৬
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৭১। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে এ সনদে ইবনে উয়াইনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
হাদীস নং: ২৪৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১১১২-১
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৭২। মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ইবনে মুহাজির (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, আমি জ্বলে গিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কেন? সে বলল, রমযানের দিনে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন তাহলে সাদ্‌কা দাও, সাদ্‌কা দাও। সে বলল আমার নিকট কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বসার জন্য নির্দেশ দিলেন। এমতাবস্থায় দুই টুকরি ভর্তি খাদ্য আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এগুলো সাদ্‌কা করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ احْتَرَقْتُ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِمَ " . قَالَ وَطِئْتُ امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ نَهَارًا . قَالَ " تَصَدَّقْ تَصَدَّقْ " . قَالَ مَا عِنْدِي شَىْءٌ . فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِسَ فَجَاءَهُ عَرَقَانِ فِيهِمَا طَعَامٌ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَصَدَّقَ بِهِ .
হাদীস নং: ২৪৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১১২-২
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৭৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী হাদীসটি বর্ণনা করলেন। তবে এ হাদীসের প্রথমেتَصَدَّقْ تَصَدَّقْ শব্দ দুটো উল্লেখ নেই এবং এতে দিনের কথাটিও উল্লেখ নেই।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - تَقُولُ أَتَى رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَلَيْسَ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ " تَصَدَّقْ تَصَدَّقْ " . وَلاَ قَوْلُهُ نَهَارًا .
হাদীস নং: ২৪৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১১২-৩
১৪. রমযানে দিনে রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা কঠোর হারাম; কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তবে তার উপর বড় ধরনের কাফফারা ওয়াজিব; চাই সে বিত্তশালী হোক বা বিত্তহীন; তবে বিত্তহীন ব্যক্তির পক্ষে যখন সম্ভব হয়, তখন এ কাফফারা আদায় করতে হবে
২৪৭৪। আবুত-তাহির (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমযান মাসে মসজিদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি তো জ্বলে গিয়েছি, আমি তো জ্বলে গিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কি ব্যাপার, কি হয়েছে তার? সে বলল আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেন, তাহলে সাদ্‌কা কর। সে বলল, আল্লাহর শপথ! হে আল্লাহর নবী! আমার কিছুই নেই এবং এ ব্যাপারে আমি সক্ষম নই। তিনি বললেন, বস। সে বসল।

লোকটি বসা থাকতেই এক ব্যক্তি গাধা হাঁকিয়ে আসল। এর উপর ছিল খাদ্য। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ঐ অগ্নিদগ্ধ লোকটি কোথায় যে কিছুক্ষণ আগে এসেছিল? লোকটি দাঁড়াল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এগুলো সাদ্‌কা করে দাও। সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের ছাড়া অন্য লোকদেরকে সাদ্‌কা করে দিব? আল্লাহর শপথ আমরা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত, আমাদের কিছুই নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে এগুলো তোমরা খেয়ে ফেল।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الْجِمَاعِ فِي نَهَارِ رَمَضَانَ عَلَى الصَّائِمِ وَوُجُوبِ الْكَفَّارَةِ الْكُبْرَى فِيهِ وبيانها وأنها تجب على الموسر والمعسر وتثبت في ذمة المعسر حتى يستطيع
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ أَتَى رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ احْتَرَقْتُ احْتَرَقْتُ . فَسَأَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا شَأْنُهُ " . فَقَالَ أَصَبْتُ أَهْلِي . قَالَ " تَصَدَّقْ " . فَقَالَ وَاللَّهِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا لِي شَىْءٌ وَمَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ . قَالَ " اجْلِسْ " . فَجَلَسَ فَبَيْنَا هُوَ عَلَى ذَلِكَ أَقْبَلَ رَجُلٌ يَسُوقُ حِمَارًا عَلَيْهِ طَعَامٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ آنِفًا " . فَقَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَصَدَّقْ بِهَذَا " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغَيْرَنَا فَوَاللَّهِ إِنَّا لَجِيَاعٌ مَا لَنَا شَىْءٌ . قَالَ " فَكُلُوهُ " .