আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৭৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ও কুতায়বা ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (মক্কা) বিজয়ের বছর রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রোযারত অবস্থায় সফরে বের হলেন। অতঃপর কাদীদ নামক স্থানে পৌছাবার পর তিনি রোযা ভেংগে ফেললেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ পর্যায়ক্রমে তার সর্বাপেক্ষা নতুন নির্দেশ অনুসরণ করতেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ وَكَانَ صَحَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৭৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা আমরুন নাকিদ ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহয়া বলেন, সুফিয়ান (রাহঃ) বলেছেন যে, আমি জানি না এ কার কথা অর্থাৎ ″তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শেষোক্ত কথাটি গ্রহণ করতেন।″
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . قَالَ يَحْيَى قَالَ سُفْيَانُ لاَ أَدْرِي مِنْ قَوْلِ مَنْ هُوَ يَعْنِي وَكَانَ يُؤْخَذُ بِالآخِرِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-৩
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৭৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... যুহরি (রাহঃ) থেকে এ সনদের সাথে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রাহঃ) বলেন, (সফরে) রোযা পালন না করা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সর্বশেষ কাজ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শেষোক্ত কাজকেই গ্রহণ করা হতো। তিনি বলেন, রমযানের তের দিন অতিবাহিত হবার পর ভোরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা প্রবেশ করেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَانَ الْفِطْرُ آخِرَ الأَمْرَيْنِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالآخِرِ فَالآخِرِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَصَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ لِثَلاَثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-৪
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৭৮। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে এ সনদে লাঈসের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, সাহাবাগণ তাঁর প্রত্যেক নবীনতম বিষয়ের অনুসরণ করতেন। এবং তারা একে রহিতকারী ও চূড়ান্ত বলে মনে করতেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانُوا يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ وَيَرَوْنَهُ النَّاسِخَ الْمُحْكَمَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-৫
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৭৯। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় রমযান মাসে রোযারত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফরে বের হলেন। যখন তিনি উসফান নামক স্থানে পৌছলেন তখন তিনি পানি ভর্তি একটি পাত্র আনার জন্য বললেন এবং লোকদেরকে দেখাবার জন্য দিনেই তা পান করে রোযা ভেঙ্গে ফেললেন এবং এ অবস্থায় তিনি মক্কা প্রবেশ করলেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন যেহেতু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সফরে কখনো) রোযা পালন করেছেন আবার কখনো ইফতার করেছেন তাই কেউ ইচ্ছা করলে রোযা পালন করতে পারে আবার কেউ ইচ্ছা করলে রোযা পালন ছেড়েও দিতে পারে।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন যেহেতু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সফরে কখনো) রোযা পালন করেছেন আবার কখনো ইফতার করেছেন তাই কেউ ইচ্ছা করলে রোযা পালন করতে পারে আবার কেউ ইচ্ছা করলে রোযা পালন ছেড়েও দিতে পারে।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَشَرِبَهُ نَهَارًا لِيَرَاهُ النَّاسُ ثُمَّ أَفْطَرَ حَتَّى دَخَلَ مَكَّةَ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - فَصَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৩-৬
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮০। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি রোযা পালন করে তার প্রতি দোষারোপ করো না এবং তার প্রতিও না যে রোযা ছেড়ে দেয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফরের অবস্থায (কখনো) রোযা পালন করেছেন (আবার কখনও) রোযা ছেড়ে দিয়েছেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - قَالَ لاَ تَعِبْ عَلَى مَنْ صَامَ وَلاَ عَلَى مَنْ أَفْطَرَ قَدْ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ وَأَفْطَرَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৪-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের বছর রমযান মাসে রোযারত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর যখন তিনি কুরাউল গামীম নামক স্থানে পৌছলেন তখন লোকেরাও রোযারত ছিল। এরপর তিনি একটি পানির পাত্র চাইলেন। এমনকি লোকেরা তার দিকে তাকাতে লাগল। এরপর তিনি পানি পান করলেন। তখন তাঁকে বলা হল কতিপয় লোক রোযারত রয়েছে। তিনি বললেন তারা অবাধ্য, তারা অবাধ্য।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَجِيدِ - حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيمِ فَصَامَ النَّاسُ ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ فَرَفَعَهُ حَتَّى نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ ثُمَّ شَرِبَ فَقِيلَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِنَّ بَعْضَ النَّاسِ قَدْ صَامَ فَقَالَ " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৪-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... জাফর (রাহঃ) থেকে এ সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, অতঃপর তাঁকে বলা হল মানুষের জন্য রোযা পালন করা কষ্টাতীত হয়ে পড়েছে। আপনি কি করছেন তারা সেদিকে তাকিয়ে আছে। একথা শুনে তিনি আসরের পর এক পাত্র পানি চাইলেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ جَعْفَرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ . فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৫-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক সফরে ছিলেন। এসময় তিনি এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন লোকেরা তার কাছে জটলা করে আছে এবং তাকে ছায়া করে আছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তার কি হয়েছে? তারা বললেন লোকটি রোযা পালনকারী। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সফরে তোমাদের রোযা পালন করা কোন নেকীর কাজ নয়।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ جَعْفَرٍ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَرَأَى رَجُلاً قَدِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَقَدْ ظُلِّلَ عَلَيْهِ فَقَالَ " مَا لَهُ " . قَالُوا رَجُلٌ صَائِمٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ أَنْ تَصُومُوا فِي السَّفَرِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৫-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন। এরপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৫-৩
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৫। আহমেদ ইবনে উসমান নাওফেলী (রাহঃ) ......... শুবা (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শু’বা [রহ ] বলেন, এ সনদে ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীরের মাধ্যমে অতিরিক্ত এ কথাও আমার নিকট পৌছেছে যে, তিনি বলেছেন আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যে সুবিধা দিয়েছেন তা গ্রহণ করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য। অতঃপর আমি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি এটা স্মরণ রাখতে পারেননি।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ وَكَانَ يَبْلُغُنِي عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّهُ كَانَ يَزِيدُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَفِي هَذَا الإِسْنَادِ أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِرُخْصَةِ اللَّهِ الَّذِي رَخَّصَ لَكُمْ " . قَالَ فَلَمَّا سَأَلْتُهُ لَمْ يَحْفَظْهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৬-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৬। হাদ্দাব ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযানের ষোল দিন অতিবাহিত করার পর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ সময় আমাদের কেউ রোযা পলন করছিলেন, আবার কেউ তা ছেড়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এতে রোযা পালনকারী রোযা ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি এবং রোযা ভংকারীও রোযা পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِسِتَّ عَشْرَةَ مَضَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৬-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৭। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দমী, মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... কাতাদা (রাহঃ) থেকে এ সনদে হাম্মামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তায়মী, উমর ইবনে আমির ও হিশামের বর্ণনায় ″রমযানের আঠার দিন অতিবাহিত হয়েছে″ কথাটি বর্ণিত আছে। সাঈদের বর্ণনায় বার রমযান এবং শু’বার বর্ণনায় সতের অথবা উনিশ রমযানের কথা উল্লেখ রয়েছে।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ يَعْنِي ابْنَ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ هَمَّامٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ التَّيْمِيِّ وَعُمَرَ بْنِ عَامِرٍ وَهِشَامٍ لِثَمَانَ عَشْرَةَ خَلَتْ وَفِي حَدِيثِ سَعِيدٍ فِي ثِنْتَىْ عَشْرَةَ . وَشُعْبَةَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ أَوْ تِسْعَ عَشْرَةَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৪৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৬-৩
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৮। নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রমযান মাসে সফর করতাম কিন্তু রোযা পালনকারীকে তার রোযার কারণে দোষারোপ করা হতো না এবং রোযা ভঙ্গকারীকেও তার রোযা ভঙ্গের কারণে দোষারোপ করা হতো না।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا نُسَافِرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمَا يُعَابُ عَلَى الصَّائِمِ صَوْمُهُ وَلاَ عَلَى الْمُفْطِرِ إِفْطَارُهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৪৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৬-৪
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৮৯। আমরুন নাকিদ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ষুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতাম। এ সময় আমাদের কেউ রোযা পালন করেছেন আবার কেউ রোযা ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু রোযা পালনকারী রোযা ভঙ্গকারীকে খারাপ মনে করতেন না এরং রোযা ভঙ্গকারীও রোযা পালনকারীকে খারাপ মনে করতেন না। তারা মনে করতেন, যার সামর্থ্য আছে সে-ই রোযা পালন করছে, এটাই তার জন্য উত্তম। আর যে দূর্বল সে রোযা ছেড়ে দিয়েছে, এটাও তার জন্য উত্তম।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ فَلاَ يَجِدُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ يَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فَصَامَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ وَيَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ ضَعْفًا فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৪৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৭
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯০। সাঈদ ইবনে আমর আশ’আসী, সাহল ইবনে উসমান সুওয়ায়দ ইবনে সাঈদ ও হুসাইন ইবনে হুরায়স (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ও জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন,আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফর করেছিলাম এমতাবস্থায় রোযা পালনকারী রোযা পালন করেছেন এবং রোযা যারা ছাড়তে চেয়েছেন তারা ছেড়ে দিয়েছেন কিন্তু এতে কেউ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করেননি।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَحُسَيْنُ، بْنُ حُرَيْثٍ كُلُّهُمْ عَنْ مَرْوَانَ، - قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، - عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهم - قَالاَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَصُومُ الصَّائِمُ وَيُفْطِرُ الْمُفْطِرُ فَلاَ يَعِيبُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ .
হাদীস নং: ২৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৮-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... হুমায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রমযান মাসে সফরকালে রোযা এর বিধান কি? এ সম্বন্ধে আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি বললেন রমযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর সাথে সফর করেছি। এ সময় রোযা পালনকারী ব্যক্তি রোযা ভঙ্গকারী ব্যক্তির কোন নিন্দা করেনি এবং রোযা ভঙ্গকাকারী ব্যক্তিও রোযা পালনকারীর কোন নিন্দা করেনি।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ - رضى الله عنه - عَنْ صَوْمِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৮-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... হুমায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি সফরের উদ্দেশ্যে বের হলাম এবং রোযা পালন করলাম। লোকেরা আমাকে বলল তুমি পুনরায় রোযা পালন কর। তখন আমি বললাম আনাস (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ সফরকালে রোযা পালনকারী রোযা ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি। অনুরূপভাবে রোযা ভঙ্গকারীও রোযা পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি। অতঃপর আমি ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) এর সাথে সাক্ষাত করলাম। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে আমাকে অনুরূপ হাদীস শোনালেন।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْتُ فَصُمْتُ فَقَالُوا لِي أَعِدْ . قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ أَنَسًا أَخْبَرَنِي أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يُسَافِرُونَ فَلاَ يَعِيبُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ . فَلَقِيتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৯-১
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ) এর সাথে আমরা সফরে ছিলাম। আমাদের কেউ রোযা পালন করেছেন আবার কেউ ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর প্রচণ্ড গরমের সময় আমরা এক প্রান্তরে অবতরণ করলাম। চাদরবিশিষ্ট লোকেরা আমাদের মধ্যে সর্বাধিক ছায়া লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের কেউ কেউ হাতদ্বারা সূর্যের কিরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করছিলেন। অবশেষে রোযা পালনকারীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ল এবং রোযা ত্যাগকারীরা সুস্থ থাকল। এরপর তারা তাবু খাটালেন এবং উটকে পানি পান করালেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আজ রোযা পরিত্যাগকারী সাওয়াব অর্জন করে নিল।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَنَسٍ، - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ - قَالَ - فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فِي يَوْمٍ حَارٍّ أَكْثَرُنَا ظِلاًّ صَاحِبُ الْكِسَاءِ وَمِنَّا مَنْ يَتَّقِي الشَّمْسَ بِيَدِهِ - قَالَ - فَسَقَطَ الصُّوَّامُ وَقَامَ الْمُفْطِرُونَ فَضَرَبُوا الأَبْنِيَةَ وَسَقَوُا الرِّكَابَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَهَبَ الْمُفْطِرُونَ الْيَوْمَ بِالأَجْرِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৯-২
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯৪। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক সফরে ছিলেন। তখন কেউ কেউ রোযা পালন করলেন আবার কেউ কেউ রোযা ছেড়ে দিলেন। এরপর যারা রোযা ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা শক্তিমত্তার সাথে কাজ করলেন এবং রোযা পালনকারী ব্যক্তিগণ কাজে দুর্বল হয়ে পড়লেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আজ রোযা পরিত্যাগকারীরা নেকী অর্জন করে নিল।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَنَسٍ، - رضى الله عنه - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَصَامَ بَعْضٌ وَأَفْطَرَ بَعْضٌ فَتَحَزَّمَ الْمُفْطِرُونَ وَعَمِلُوا وَضَعُفَ الصُّوَّامُ عَنْ بَعْضِ الْعَمَلِ - قَالَ - فَقَالَ فِي ذَلِكَ " ذَهَبَ الْمُفْطِرُونَ الْيَوْمَ بِالأَجْرِ " .

তাহকীক: