মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

৪. ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৮১ টি

হাদীস নং: ৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৩১
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১১) পরিচ্ছেদঃ ইহুদী-নাসারাদের কথাবার্তা বর্ণনা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তার অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৬১) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আহলে কিতাব (অর্থাৎ ইহুদী ও নাসারাদেরকে) কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছে, কাজেই তারা তোমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারবে না। (তাদেরকে প্রশ্ন করার ফলাফল হবে), হয় তোমরা তাদের বলা মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করবে অথবা তাদের বলা সত্যকে মিথ্যা বলে মনে করবে। যদি মুসা (আ)-ও তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকতেন তাহলে তাঁর জন্যও আমার অনুসরণ করা অত্যাবশ্যকীয় হতো।
كتاب العلم
(11) باب فى النهى عن التحديث عن اهل الكتاب والرخصة فى ذلك
(61) عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسْأَلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ عَنْ شَيْءٍ (3) فَإِنَّهُمْ لَنْ يَهْدُوكُمْ وَقَدْ ضَلُّوا فَإِنَّكُمْ إِمَّا أَنْ تُصَدِّقُوا بِبَاطِلٍ أَوْ تُكَذِّبُوا بِحَقٍّ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ مُوسَى حَيًّا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ
-[النهي عن التحديث عن اهل الكتاب]-
مَا حَلَّ لَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي (1)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১৫৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১১) পরিচ্ছেদঃ ইহুদী-নাসারাদের কথাবার্তা বর্ণনা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তার অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৬২) তাঁর (জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা)) থেকে আরো বর্ণিত, উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট একটি গ্রন্থ নিয়ে আসেন। গ্রন্থটি তিনি আহলে কিতাব (ইহুদী) সম্প্রদায়ের কারো নিকট থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি গ্রন্থটি পড়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে শোনাতে থাকেন। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাগান্বিত হন। তিনি বলেন, হে খাত্তাবের পুত্র, তোমরা কি তোমাদের (দীনের) বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও সন্দেহে ভুগছ? যাঁর হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ করে বলছি, আমি শ্বেত-শুভ্র সুস্পষ্ট ও পবিত্র দীন নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি। (এতে এমন কোনো বিষয় নেই যা কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।) তোমরা যদি তাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসা করো তাহলে তারা হয়ত তোমাদেরকে সঠিক কথা বলবে আর তোমরা তাকে মিথ্যা বলে মনে করবে। অথবা তারা হয়ত তোমাদেরকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করবে আর তোমরা তাকে সত্য বলে মনে করবে। যাঁর হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ, যদি মুসা (আ) জীবিত থাকতেন তাহলে তাঁর জন্যও আমার অনুসরণ ছাড়া গত্যন্তর থাকতো না।
كتاب العلم
(11) باب فى النهى عن التحديث عن اهل الكتاب والرخصة فى ذلك
(62) وعنه ايضا ان عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رضى الله عنه أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ أَصَابَهُ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكُتُبِ فَقَرَأَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَغَضِبَ فَقَالَ أَمُتَهَوِّكُونَ (2) فِيهَا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا (3) بَيْضَاءَ نَقِيَّةً لَا تَسْأَلُوهُمْ عَنْ شَيْءٍ فَيُخْبِرُوكُمْ بِحَقٍّ فَتُكَذِّبُوا بِهِ أَوْ بِبَاطِلٍ فَتُصَدِّقُوا بِهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ مُوسَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ حَيًّا مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৮৬৪
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১১) পরিচ্ছেদঃ ইহুদী-নাসারাদের কথাবার্তা বর্ণনা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তার অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৬৩) শা'বী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন্ সাবিত (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি কুরাইযা গোত্রের এক ইহুদী ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমার জন্য তাওরাত থেকে কিছু মূলনীতি লিখে দিয়েছেন। আমি কি তা আপনাকে পড়ে শোনাব? এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মোবারক (ক্রোধ ও বিরক্তির অভিব্যক্তিতে) পরিবর্তিত হয়ে যায়। আব্দুল্লাহ বলেন, তখন আমি তাঁকে (উমরকে) বললামঃ আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মোবারকের পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না? তখন উমর (রা) বলেন, আমরা আল্লাহকে প্রভু হিসাবে, ইসলামকে দীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে রাসূল হিসাবে গ্রহণ করে পরিতৃপ্ত ও আনন্দিত। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, এ কথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিরক্তি ও ক্রোধ দূরীভূত হয়। অতঃপর তিনি বলেন, যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ, যদি মুসা (আ) তোমাদের মধ্যে জীবিত থাকতেন আর তোমরা আমাকে ছেড়ে তাঁর অনুসরণ করতে তাহলে তোমরা বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট হতে। জাতিগণের মধ্য থেকে তোমরা আমার ভাগে পড়েছ, আর নবীগণের মধ্য থেকে আমি তোমাদের ভাগে।
كتاب العلم
(11) باب فى النهى عن التحديث عن اهل الكتاب والرخصة فى ذلك
(63) عن الشعبي عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ جَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي مَرَرْتُ بِأَخٍ لِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ فَكَتَبَ لِي جَوَامِعَ مِنْ التَّوْرَاةِ أَلَا أَعْرِضُهَا عَلَيْكَ قَالَ فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَقُلْتُ لَهُ أَلَا تَرَى مَا بِوَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عُمَرُ رَضِينَا
-[الرخصة وفي الحديث]-
بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولًا قَالَ فَسُرِّيَ (1) عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَصْبَحَ فِيكُمْ مُوسَى ثُمَّ اتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي لَضَلَلْتُمْ إِنَّكُمْ حَظِّي مِنْ الْأُمَمِ وَأَنَا حَظُّكُمْ مِنْ النَّبِيِّينَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২২৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১১) পরিচ্ছেদঃ ইহুদী-নাসারাদের কথাবার্তা বর্ণনা করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তার অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৬৪) আবূ নামলাহ আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় এক ইহুদী তাঁর নিকট আগমন করে এবং বলে, হে মুহাম্মাদ, এই মৃতদেহ কি (কবরের মধ্যে ফিরিশতাদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহই ভাল জানেন ।। ঐ ইহুদী ব্যক্তি বলে, আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, সে কথা বলবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আহলে কিতাবগণ (ইহুদী-খ্রিষ্টানগণ) তোমাদেরকে কিছু বললে তাকে সত্য বলে মনে করবে না বা মিথ্যা বলেও মনে করবে না। বরং বলবে, আমরা আল্লাহর ওপর, তাঁর গ্রন্থসমূহের ওপর এবং তাঁর রাসূলগণের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। যদি তাদের কথা সত্য হয় তাহলে তোমরা তা অবিশ্বাস করলে না। আর যদি তা মিথ্যা হয় তাহলে তোমরা তা সত্য বলে মনে করলে না।
كتاب العلم
(11) باب فى النهى عن التحديث عن اهل الكتاب والرخصة فى ذلك
(64) عن ابى نَمْلَةَ الْأَنْصَارِيَّ رضى الله عنه أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَتَكَلَّمُ هَذِهِ الْجَنَازَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ أَعْلَمُ قَالَ الْيَهُودِيُّ أَنَا أَشْهَدُ أَنَّهَا تَتَكَلَّمُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَدَّثَكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَلَا تُصَدِّقُوهُمْ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ وَقُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ فَإِنْ كَانَ حَقًّا لَمْ تُكَذِّبُوهُمْ وَإِنْ كَانَ بَاطِلًا لَمْ تُصَدِّقُوهُمْ
فصل فى الرخصة فى الحديث عن اهل الكتاب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদঃ আহলে কিতাবের (ইহুদী-খ্রিষ্টানদের) কথা বর্ণনার অনুমতির বিষয়ক
(৬৫) আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি; তোমরা অন্তত একটি আয়াত হলেও আমার পক্ষ থেকে প্রচার কর। তাছাড়া তোমরা বনু ইসরাঈল থেকে বর্ণনা করবে, এতে অসুবিধা নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার নামে মিথ্যা বলে, সে যেন জাহান্নামকে নিজের ঠিকানা হিসেবে গ্রহণ করে।
كتاب العلم
فصل فى الرخصة فى الحديث عن اهل الكتاب
(65) عن عبدالله بن عمرو بن العاص رضى الله عنهما قال سمعت
-[في تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم]-
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৯২
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদঃ আহলে কিতাবের (ইহুদী-খ্রিষ্টানদের) কথা বর্ণনার অনুমতির বিষয়ক
(৬৬) আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি বনু ইসরাঈলদের (ইহুদীদের) থেকে (তাদের মধ্যে প্রচলিত কাহিনী বা তাদের ধর্মগ্রন্থের কথা) বর্ণনা করতে পারি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা বনু ইসরাইলদের থেকে বর্ণনা করতে পার। তোমরা তাদের থেকে যা কিছু বর্ণনা কর না কেন তাদের মধ্যে তার চেয়েও আশ্চর্য ঘটনাদি সংঘটিত হয়েছিল। [পূর্বোক্ত ৫৬ নং হাদীসটি দেখুন।]
كتاب العلم
فصل فى الرخصة فى الحديث عن اهل الكتاب
(66) عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه قَالَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَحَدَّثُ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ نَعَمْ تَحَدَّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ فَإِنَّكُمْ لَا تَحَدَّثُوا عَنْهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا وَقَدْ كَانَ فِيهِمْ أَعْجَبَ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৯৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৬৭) আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে মিথ্যাবাদী ভণ্ড-প্রতারকগণের আবির্ভাব হবে, যারা তোমাদেরকে নব-উদ্ভাবিত এমন সব কথা শোনাবে যা কখনো তোমরা বা তোমাদের পিতা, পিতামহগণ শোনে নি। অতএব, সাবধান! এ সকল মানুষদের থেকে তোমরা আত্মরক্ষা করবে এবং দূরে থাকবে, যেন তারা তোমাদেরকে ফিতনার মধ্যে নিপতিত করতে না পারে ।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(67) عن أبى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سيكون
-[في تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم]-
فِي أُمَّتِي دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ (1) يُحَدِّثُونَكُمْ بِبِدَعٍ مِنْ الْحَدِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لَا يَفْتِنُونَكُمْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০২২৪
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৬৮) সারাহ ইবনু জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কোনো হাদীস বর্ণনা করবে যা তার কাছে মিথ্যা বলে মনে হবে, সেই ব্যক্তি একজন মিথ্যাবাদী। [অপর বর্ণনায় আছে, সে দু' মিথ্যুকের একজন।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(68) عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ
عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ رَوَى عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ (2) (وفى رواية الْكَذَّابِينَ) (3)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১৮৪
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৬৯) মুগীরা ইবন্ শু'বা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনিও রাসূল (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(69) وعن المغيرة بن شعبة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم مثله
-[179 فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم]-
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭০) ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, খবরদার! তোমরা আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকবে। তবে যে হাদীস আমার বলে নিশ্চিত হবে সে হাদীস বর্ণনা করতে পার। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলে সে যেন জাহান্নামকে তার আবাসস্থল হিসাবে গ্রহণ করে।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(70) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اتَّقُوا (1) الْحَدِيثَ عَنِّي إِلَّا مَا عَلِمْتُمْ قَالَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَى الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২২৫৩৮
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭১) আবূ কাতাদাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এই মিম্বরের উপরে বসে বলতে শুনেছি, হে মানুষেরা, সাবধান! তোমরা আমার থেকে বেশী হাদীস বলা থেকে বিরত থাকবে। যদি কেউ আমার নামে কিছু বলে তাহলে সে যেন কেবল সত্য কথা বলে। আর আমি যা বলি নি এমন কথা যদি কেউ আমার নামে বলে, তাহলে সে যেন জাহান্নামকে নিজের ঠিকানা হিসেবে গ্রহণ করে।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(71) عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَدِيثِ عَنِّي (2) مَنْ قَالَ عَلَيَّ فَلَا يَقُولَنَّ إِلَّا حَقًّا أَوْ صِدْقًا فَمَنْ قَالَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১১৪২৪
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭২) আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আমার নিকট থেকে হাদীস বর্ণনা করবে, তবে আমার নামে মিথ্যা বলবে না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলবে সে জাহান্নামকে তার আবাসস্থল হিসাবে গ্রহণ করবে। আর তোমরা বনু ইসরাঈলের নিকট থেকে কথাবার্তা বর্ণনা করতে পার, এতে অসুবিধা নেই।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(72) عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حدثوا عنى ولا تكذبوا على ومن كذب على متعمدا فقد تبوأ مقعده من النار وحدثوا عن بنى اسرائيل ولا حرج
-[تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم]-
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৪৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭৩) ইয়াহ্ইয়া ইবন্ মাইমূন হাদরামী থেকে বর্ণিত । আবূ মুসা আল-গাফিকী শুনেন যে, উকবাহ ইবন্ আমির আল-জুহানী (রা) মিম্বরের উপরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করছেন । তখন আবূ মুসা বলেন, তোমাদের এই সাথী হয় হাদীস মুখস্থকারী অথবা ধ্বংসগ্রস্ত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে সর্বশেষ যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দায়িত্ব প্রদান করেন তাতে তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহর গ্রন্থ আঁকড়ে ধরে থাকবে। অচিরেই তোমরা এমন মানুষদের নিকট গমন করবে, যারা আমার নিকট থেকে হাদীস বলতে ভালবাসবে । আর যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা বলবে যা আম বলি নি, সে যেন জাহান্নামকে তার আবাসস্থল হিসেবে গ্রহণ করে। তবে যদি কেউ আমার কোনো কথা মুখস্থ করে তাহলে সে তা বর্ণনা করতে পারে।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(73) عن يحيى بن ميمون الحضرمي أن أبا موسى الغافقي (1) رضي الله عنه سمع عقبة بن عامر الجهني رضي الله عنه يحدث على المنبر عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أحاديث فقال أبو موسى إن صاحبكم هذا لحافظ أو هالك (2) إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان آخر ما عهد إلينا أن قال عليكم بكتاب الله وسترجعون إلى قوم يحبون الحديث عني (3) فمن قال علي ما لم أقل فليتبوأ مقعده من النار ومن حفظ عني شيئاً فليحدثه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৬৩৯
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭৪) মুহাম্মাদ ইবন কা'ব ইবন্ মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (মজলিসে বসে) 'রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অমুক কথা বলেছেন', 'রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তমুক কথা বলেছেন’ ইত্যাদি বলছিলাম, এমতাবস্থায় সাহাবী আবূ কাতাদা (রা) আমাদের নিকট আগমন করেন । তিনি (আমাদের এরূপ হাদীস শুনে) বলেন, বিকৃত হয়ে যাক এ সব চেহারা! তোমরা কি জান তোমরা কি বলছ? আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা বলে যা আমি বলি নি সে যেন জাহান্নামকে তার অবস্থান হিসেবে গ্রহণ করে ।
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(74) عن محمد ابن كعب بن مالك قال خرج علينا أبو قتادة رضي الله عنه ونحن نقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كذا وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم كذا فقال شاهت الوجوه (4) أتدرون ما تقولون سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من قال علي ما لم أقل فليتبوأ مقعده من النار
-[رفع العلم]-
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪২
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১২) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলার ভয়াবহতা
(৭৫) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলবে তার জন্য জাহান্নামের একটা বাড়ি বানানো হবে।”
كتاب العلم
(12) باب فى تغليظ الكذب على رسول الله صلى الله عليه وآله
وسلم
(75) عن ابن عمر رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الذي يكذب علي يبنى له بيت في النار.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১১ - ১
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১৩) পরিচ্ছেদঃ ইলম উঠে যাওয়া বিষয়ে আগত হাদীস প্রসঙ্গে
(৭৬) আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ মানুষের নিকট থেকে ইলম (জ্ঞান) ছিনিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইল্‌ম তুলে নিবেন না। তবে তিনি আলিমগণের মৃত্যুর মাধ্যমে ইলম উঠিয়ে নিবেন। অবশেষে যখন কোনো আলিম অবশিষ্ট থাকবেন না তখন মানুষ মূর্খ লোকদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে। অতঃপর এ সকল মূর্খ নেতাদেরকে প্রশ্ন করা হবে এবং তারা জ্ঞান ছাড়াই ফাতওয়া বা সমাধান প্রদান করবে। এভাবে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে।
(অপর এক বর্ণনায় তাঁর থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ মানুষকে ইলম (জ্ঞান) দান করার পর সে ইলম (জ্ঞান) তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিবেন না। তবে তিনি আলিমগণকে নিয়ে যাবেন। যখনই কোনো আলিম চলে যাবেন, তখন তিনি তাঁর ইলম সাথে নিয়ে যাবেন। অবশেষে সমাজে জ্ঞানহীন মানুষেরা অবশিষ্ট থাকবে। তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে এবং তাদের নিকট ফাতওয়া বা সমাধান চাইবে। তারা ইলম বা জ্ঞান ছাড়া ফাতওয়া প্রদান করবে। এভাবে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে।
كتاب العلم
(13) باب فيما جاء في رفع العلم
(76) عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن الله لا يقبض العلم انتزاعا (1) ينتزعه من الناس وبكن يقبض العلم بقبض العلماء حتى إذا لم يترك عالما اتخذ الناس ورؤساء جهالاً فسئلوا فأفتوا بغير علم فضلوا وأضلوا
(وعنه من طريق آخر) (2) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله لا ينزع العلم من الناس بعد أن يعطيهم إياه ولكن يذهب بالعلماء وكلما ذهب عالم ذهب بما معه من العلم حتى يبقى من لا يعلم فيتخذ الناس رؤساء جهالاً فيستفتوا فيفتوا بغير علم فيضلوا ويضلوا (3)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫২৭
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১৩) পরিচ্ছেদঃ ইলম উঠে যাওয়া বিষয়ে আগত হাদীস প্রসঙ্গে
(৭৭) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের আলামতসমূহের মধ্যে অন্যতম আলামত হল, ইলম উঠে যাবে, অজ্ঞতা প্রসার লাভ করবে, মদ পান করা হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।
كتاب العلم
(13) باب فيما جاء في رفع العلم
(77) عن أنس ابن مالك رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من
-[رفع العلم]-
أشراط الساعة (1) أن يرفع العلم ويثبت الجهل وتشرب الخمر ويظهر الزنا.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৪৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১৩) পরিচ্ছেদঃ ইলম উঠে যাওয়া বিষয়ে আগত হাদীস প্রসঙ্গে
(৭৮) কাবূস থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর বাবার সূত্রে ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ইবন্ আব্বাস (রা) বলেন, মু'মিন সর্বশেষ যে কষ্টের মুকাবিলা করবে তা মৃত্যু। আল্লাহর বাণীঃ “যেদিন আকাশ হবে গলিত ধাতুর মত” (৭০ নং সূরা, মা'আরিজ-এর ৮ নং আয়াত)-এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, তেলের পাত্রের নীচে যে তলানি জমে তার মত । তিনি বলেনঃ কুরআন কারীমে (آناء الليل) বা 'রাত্রিকালে' (আল-ইমরানঃ ১১৩, তাহাঃ ১৩০, যুমারঃ ৯) বলতে রাত্রের মধ্যভাগকে বুঝানো হয়েছে। তিনি আরো বলেনঃ তোমরা কি জান, ইলম বা জ্ঞানের প্রস্থান কি? তিনি বলেন, পৃথিবী থেকে জ্ঞানীগণ বা আলিমগণের প্রস্থানই হল জ্ঞানের প্রস্থান ।
كتاب العلم
(13) باب فيما جاء في رفع العلم
(78) وعن قابوس عن أبيه عن ابن عباس رضي الله عنهما قال آخر شدة يلقاها المؤمن الموت، وفي قوله (يوم تكون السماء كالمهل) (2) قال كدردي الزيت وفي قوله (آناء الليل) قال جوف الليل وقال هل تدرون ما ذهاب العلم قال هو ذهاب العلماء من الأرض
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪৭৩
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১৩) পরিচ্ছেদঃ ইলম উঠে যাওয়া বিষয়ে আগত হাদীস প্রসঙ্গে
(৭৯) যিয়াদ ইবন্ লাবীদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কোনো এক বিষয় উল্লেখ করে বলেনঃ তা ইলম চলে যাওয়ার সময়ে ঘটবে। তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো কুরআন পাঠ করছি, আমরা আমাদের সন্তানদেরকেও কুরআন শিক্ষাদান করছি। এরপর আমাদের সন্তানগণ তাদের সন্তানদেরকে তা শিক্ষা দেবে। এভাবেই এই ধারা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। (এরপরেও কিভাবে জ্ঞান চলে যাবে?) তিনি বলেন, হে লাবীদের মায়ের ছেলে, পোড়া কপাল তোমার, আমি তো তোমাকে মদীনার অন্যতম বিজ্ঞ পণ্ডিত বলে মনে করতাম। এ সকল ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা কি তাওরাত ও ইঞ্জিল পাঠ করছে না? কিন্তু এগুলোর মধ্যে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা রয়েছে তা থেকে তারা উপকৃত হচ্ছে না। [(অর্থাৎ ইলম বা জ্ঞান চলে যাওয়া বলতে জ্ঞান অনুসারে কর্ম ও জ্ঞানের বাস্তবায়ন চলে যাওয়া বুঝানো হচ্ছে।)]
كتاب العلم
(13) باب فيما جاء في رفع العلم
(79) وعن زياد بن لبيد رضي الله عنه قال ذكر النبي صلى الله عليه وسلم شيئا فقال وذاك عند أوان ذهاب العلم قال قلنا يا رسول الله وكيف يذهب العلم ونحن نقرأ القرآن ونقرئه أبنائنا ويقرئه أبناؤنا أبناءهم إلى يوم القيامة قال تكلتك (3) أمك يا ابن أم لبيد، إن كنت لأراك من أفقه رجل بالمدينة
-[رفع العلم]-
أوليس هذه اليهود والنصارى يقرؤون التوراة والإنجيل لا ينتفعون مما فيهما بشيء.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৯৯০
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১৩) পরিচ্ছেদঃ ইলম উঠে যাওয়া বিষয়ে আগত হাদীস প্রসঙ্গে
(৮০) ওলীদ ইবন্ আব্দুর রহমান আল-জুরাশী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুবাইর ইবন নুফাইর আমাদেরকে বলেন, আউফ ইবন্ মালিক আল-আশজায়ী (রা) থেকে বর্ণনা করেন। একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসে ছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করেন। অতঃপর বলেন, এ হলো ইলম উঠে যাওয়ার সময়। তখন আনসারগণের মধ্য থেকে যিয়াদ ইবন্ লাবীদ নামক এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মধ্যে আল্লাহর গ্রন্থ বিদ্যমান। আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রীগণকে তা শিক্ষা দিয়েছি। (তা সত্ত্বেও কি ইলম উঠে যাবে?) তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি তোমাকে মদীনার অন্যতম বিজ্ঞ পণ্ডিত বলে ভাবতাম। এরপর তিনি তাওরাত ও ইঞ্জিল দুই গ্রন্থের অনুসারীদের পথভ্রষ্টতার কথা উল্লেখ করেন, অথচ তাদের কাছে আল্লাহর গ্রন্থ বিদ্যমান।
এরপর হাদীসের বর্ণনাকারী জুবাইর ইবন নুফাইর শাদ্দাদ ইবন্ আউস (রা) নামক অন্য একজন সাহাবীর সাথে (ঈদের) সালাতের মাঠে মিলিত হন। তিনি তাকে আউফ ইবন্ মালিক বর্ণিত হাদীসটি শোনান। তখন তিনি বলেন, আউফ ঠিকই বলেছেন । এরপর তিনি বলেন, তুমি কি জান জ্ঞানের তিরোধান কি? তিনি বলেনঃ আমি বললাম, আমি জানি না । তিনি বলেন, জ্ঞানীগণের তিরোধানই জ্ঞানের তিরোধান। এরপর তিনি বলেন, তুমি কি জান সর্বপ্রথম কোন ইলম (জ্ঞান) উঠে যাবে তিনি (জুবাইর) বলেন, আমি বললাম, আমি জানি না। তিনি বলেন, (আল্লাহর ভয়ে) বিহ্বলতা। ফলে, তুমি কোনো (আল্লাহর ভয়ে) ভীতি-বিহ্বল মানুষ দেখতে পাবে না।
كتاب العلم
(13) باب فيما جاء في رفع العلم
(80) وعن الوليد بن عبد الرحمن الجرشي قال حدثنا جبير بن نفير عن عوف بن مالك (الأشجعي رضي الله عنه) أنه قال بينما نحن جلوس عند رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم نظر إلى السماء ثم قال هذا أوان العلم أن يرفع فقال له رجل من الأنصار يقال له زياد بن لبيد أيرفع العلم يا رسول الله وفينا كتاب الله وقد علمناه أبناءنا ونساءنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن كنت لأظنك من أفقه أهل المدينة ثم ذكر ضلالة أهل الكتابين وعندهما ما عندهما من كتاب الله عز وجل فلثي جبير بن نفير شداد بن أوس (رضي الله عنه) بالمصلى فحدثه هذا الحديث عن عوف فقال صدق عوف ثم قال وهل تدري ما رفع العلم قال قلت لا أدري قال ذهاب أوعيته، قال وهل تدري أي العلم أول أن يرفع قال قلت لا أدري قال الخشوع حتى لا تكاد ترى خاشعاً
tahqiq

তাহকীক: