মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

৪. ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৮১ টি

হাদীস নং: ৪১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৮০০
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৬) পরিচ্ছেদঃ ইলম শিক্ষার পর তা গোপন করা, কিংবা তদানুসারে আমল না করা অথবা গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে ইলম হাসিল করার পরিণতি প্রসঙ্গে
(৪১) উসামা বিন যায়েদ (রা) থেকে বর্ণিত, তাঁকে একদা বলা হলো, আপনি কি এই ব্যক্তির নিকট প্রবেশ করবেন না? (অন্য বর্ণনায় আপনি কি উসমানের সাথে কথা বলবেন না)? যায়েদ (রা) বললেন, তোমরা কি দেখ না, যখনই আমি তাঁর সাথে কথা বলি, তাঁর সবই তোমাদেরকে খুলে বলি। আল্লাহর শপথ! আমি তাঁর সাথে কথা বলেছি সন্তর্পণে, যাতে আমার দ্বারা এমন কোন বিষয়ের সূচনা না হয়, যার আমিই হই প্রথম সূচনাকারী এবং কাউকে এও বলতে চাই না যে, সে আমার আমীর হোক কারণ তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি। (অন্য বর্ণনায় আছে, আমি কাউকে বলি না যে, আপনি মানুষের মধ্যে উত্তম, যদিও তিনি আমার আমীর হোন না কেন)। (আর আমি এই নীতি অবলম্বন করে। চলেছি)। রাসূল (ﷺ)-এর কাছ থেকে এই হাদীসটি শোনার পর থেকে; রাসূল (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিবসে বিশেষ ধরনের লোককে ধরে অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসবে এবং আগুনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকবে গদর্ভ যেমন চাকির চতুষ্পার্শ্বে ঘুরতে থাকে। এ অবস্থা দেখে নরকবাসীরা একত্রিত হয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবে, কি হে, তুমি না সেই ব্যক্তি, যে আমাদের সৎকর্মের আদেশ এবং অসৎ কর্মের নিষেধ প্রদান করতে? সে বলবে, হ্যাঁ, তোমরা ঠিকই বলছ; আমি তোমাদের সৎকর্মের আদেশ করতাম, কিন্তু নিজে তা করতাম না এবং অসৎ কর্ম করতে নিষেধ করতাম, কিন্তু নিজেই তা করতাম।

টীকাঃ হাদীসের উপরের অংশটুকু হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফতের শেষ দিককার কথা। তখন অনেকে কানাঘুষা করছিল যে, উসমান (রা) তাঁর আত্মীয়গণের মধ্য থেকে কাউকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করছেন। তিনি যেন তা না করেন সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
كتاب العلم
(6) باب في وعيد من تعلم علما فكتمه أو لم يعمل به او تعلم لغير الله
(41) عن شقيق عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رضى الله عنهما قَالَ قَيل لَهُ أَلَا تَدْخُلُ عَلَى هَذَا الرَّجُلِ (1) (وفى رواية ألا تكلم عثمان) قَالَ فَقَالَ أَلَا تَرَوْنَ أَنِّي لَا أُكَلِّمُهُ إِلَّا أُسْمِعُكُمْ (2) , وَاللَّهِ لَقَدْ كَلَّمْتُهُ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَهُ مَا دُونَ (3) أَنْ أَفْتَحَ أَمْرًا لَا أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ أَنَا أَوَّلَ مَنْ فَتَحَهُ وَلَا أَقُولُ لِرَجُلٍ أَنْ يَكُونَ عَلَيَّ أَمِيرًا إِنَّهُ خَيْرُ النَّاسِ بَعْدَ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ فَتَنْدَلِقُ (4) أَقْتَابُ بَطْنِهِ فَيَدُورُ بِهَا فِي النَّارِ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِالرَّحَى قَالَ فَيَجْتَمِعُ أَهْلُ النَّارِ إِلَيْهِ فَيَقُولُونَ يَا فُلَانُ أَمَا كُنْتَ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَانَا عَنْ الْمُنْكَرِ؟ قَالَ فَيَقُولُ بَلَى , قَدْ كُنْتُ آمُرُ بِالْمَعْرُوفِ وَلَا آتِيهِ وَأَنْهَى عَنْ الْمُنْكَرِ وَآتِيهِ
-[فضل تبليغ الحديث عن الرسول صلى الله عليه وسلم]-
হাদীস নং: ৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৫৭
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৬) পরিচ্ছেদঃ ইলম শিক্ষার পর তা গোপন করা, কিংবা তদানুসারে আমল না করা অথবা গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে ইলম হাসিল করার পরিণতি প্রসঙ্গে
(৪২) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় এমন ইলম শিক্ষা করলো, কিন্তু সে তা শিক্ষা করেছে দুনিয়ার উপকরণ প্রাপ্তির লক্ষ্যে, সে কিয়ামতের দিনে জান্নাতের সুগন্ধি লাভ করবে না (জান্নাতে প্রবেশ তো দূরের কথা)।
كتاب العلم
(6) باب في وعيد من تعلم علما فكتمه أو لم يعمل به او تعلم لغير الله
(42) وعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللَّهِ لَا يَتَعَلَّمُهُ إِلَّا لِيُصِيبَ بِهِ عَرَضًا مِنْ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ (1) يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَعْنِي رِيحَهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৯০
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৭) পরিচ্ছেদঃ রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের প্রচার-প্রসার ও তা যথাযথভাবে বর্ণনার ফযীলত প্রসঙ্গে
(৪৩) আব্দুর রহমান বিন ইব্বান বিন উসমান তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, যায়েদ বিন ছাবিত (রা) (একদা) প্রায় মধ্যাহ্নের সময় মারওয়ানের দরবার থেকে বের হন। তখন আমরা বলাবলি করলাম, এই সময়ে তিনি এসেছিলেন (নিশ্চয়) ইল্‌ম বিষয়ে কোন প্রশ্নের সমাধান করতে। তাই আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম (অর্থাৎ এই অসময়ে তাঁর আগমনের হেতু জানতে চাইলাম)। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমার কাছে কিছু বিষয় প্রশ্ন করেছেন যা আমি রাসূল (ﷺ)-এর কাছ থেকে শুনেছি। আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা ঐ ব্যক্তির মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করুন, যিনি আমার কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করেছেন এবং তা অন্যের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেছেন। কারণ (এটা সত্য বটে) অনেক ফিকহ বহনকারী নিজে ফকীহ হয় না এবং অনেক ফিকহ বহনকারীর চেয়ে যার কাছে পৌঁছানো হয় সে অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে। (তাই হাদীস শোনার পর তা যথাযথভাবে অন্যের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে শ্রোতার অবশ্য কর্তব্য)। তিনটি বিষয়ে মু'মিনের অন্তর কখনও খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা করে না। (এক) আল্লাহর তরে (ওয়াস্তে) তার কর্মের একনিষ্ঠতা, (দুই) পদস্থ ব্যক্তিবর্গের জন্য তার সদুপোদেশ, এবং (তিন) সর্বক্ষণ জামা'আতের সাথে থাকা। কারণ তাঁদের দাওয়াত অনুসারীদের ঘেরাও করে রাখে। (অর্থাৎ সত্যনিষ্ঠ এ ধরনের দা'ঈগণের অসংখ্য শ্রোতা ও ভক্ত অনুসারীর দল উল্লেখিত তিনটি বিষয় থেকে তাদেরকে বিচ্যুতির কবল থেকে রক্ষা করে থাকে। তিনি আরও বলেন, যিনি সর্বদা আখিরাতের চিন্তায় মগ্ন থাকেন, আল্লাহ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন এবং তাঁর অন্তরে অমুখাপেক্ষীতা প্রদান করেন, আর দুনিয়া তাঁর সম্মুখে মলিন ও নিরানন্দ হয়ে দেখা দেয়। আর যে ব্যক্তির নিয়্যত হয় দুনিয়া প্রাপ্তি, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তি জীবিকার উপকরণ বিস্তৃত করে দেন (বটে), কিন্তু তার দুই চোখের সম্মুখে সর্বদা দারিদ্র বিরাজ করতে থাকে। বস্তুত দুনিয়ার প্রাপ্তি যা তার ভাগে লিপিবদ্ধ আছে, তার বাইরে সে কিছু লাভ করতে পারে না। এছাড়া তিনি (মারওয়ান) আমাকে ‘সালাতুল উস্তা' বা মধ্যবর্তী সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন, সেই সালাত হচ্ছে জোহরের সালাত।
كتاب العلم
(7) باب فى فضل تبليغ الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم نذر كما سمع
(43) عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ رضى الله عنه خَرَجَ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ نَحْوًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَقُلْنَا مَا بَعَثَ إِلَيْهِ السَّاعَةَ إِلَّا لِشَيْءٍ سَأَلَهُ عَنْهُ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ أَجَلْ سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ نَضَّرَ اللَّهُ (2) امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ غَيْرَهُ فَإِنَّهُ رُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلَاثُ خِصَالٍ لَا يَغِلُّ (3) عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ أَبَدًا
-[فضل تبليغ الحديث عن النبى صلى الله عليه وسلم]-
إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ وُلَاةِ الْأَمْرِ وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ وَقَالَ مَنْ كَانَ هَمُّهُ الْآخِرَةَ جَمَعَ اللَّهُ شَمْلَهُ وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ (1) وَمَنْ كَانَتْ نِيَّتُهُ الدُّنْيَا فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ ضَيْعَتَهُ وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنْ الدُّنْيَا إِلَّا مَا كُتِبَ لَهُ وَسَأَلَنَا عَنْ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَهِيَ الظُّهْرُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭৩৮
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৭) পরিচ্ছেদঃ রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের প্রচার-প্রসার ও তা যথাযথভাবে বর্ণনার ফযীলত প্রসঙ্গে
(৪৪) জুবাইর বিন মুত'য়িম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) রাসূল (ﷺ) মিনায় অবস্থিত আল-খাইফ মসজিদে দাঁড়িয়ে বলেন, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকিত করুন, যিনি আমার কথা শ্রবণ করে তা যত্নসহকারে সংরক্ষণ করে এবং যিনি তা শোনেন নি, তাঁর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। কারণ, অনেক ফিকহ (ইলমে দীন) বহনকারীর মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা থাকে না; আবার অনেক ফিকহবহনকারীর চেয়ে যার কাছে তা পৌঁছানো হয় তিনি অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকেন। তিনটি বিষয়ে মু'মিনের অন্তর বিশ্বাসঘাতকতা করে না। (এক) ইখলাসুল আমল বা কর্মে ন্যায়নিষ্ঠতা (আল্লাহর তরে), (দুই) পদস্থ ব্যক্তির প্রতি উপদেশ ও (তিন) সর্বাবস্থায় জামা'আতকে ধারণ করা । কেননা, দাওয়াতে অবস্থান করে তাঁদের পেছনে (যা তাদেরকে সারাক্ষণ সতর্ক রাখে)।
كتاب العلم
(7) باب فى فضل تبليغ الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم نذر كما سمع
(44) عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ رضى الله عنه قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَيْفِ (2) مِنْ مِنًى فَقَالَ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا ثُمَّ أَدَّاهَا إِلَى مَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَا فِقْهَ لَهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلَاثٌ لَا يَغِلُّ عَلَيْهِمْ قَلْبُ الْمُؤْمِنِ إِخْلَاصُ الْعَمَلِ وَالنَّصِيحَةُ لِوَلِيِّ الْأَمْرِ وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تَكُونُ مِنْ وَرَائِهِ
-[الاحتراز في رواية الحديث وتجويد الفاظه]-
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৭
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৭) পরিচ্ছেদঃ রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের প্রচার-প্রসার ও তা যথাযথভাবে বর্ণনার ফযীলত প্রসঙ্গে
(৪৫) ইবন্ মাস'উদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকিত করুন, যিনি আমার কাছ থেকে কোন হাদীস শ্রবণ করে তা যত্নসহকারে সংরক্ষণ করে এবং তা অন্যের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। কারণ, অনেক শ্রোতার চেয়ে যার কাছে পৌঁছানো হয় সে (ঐ হাদীসের) অধিক যত্নশীল (সংরক্ষক) হয়ে থাকেন।)
كتاب العلم
(7) باب فى فضل تبليغ الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم نذر كما سمع
(45) عن ابْنِ مَسْعُودٍ رضى الله عنه قال سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَحْفَظُ لَهُ مِنْ سَامِعٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৪৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৭) পরিচ্ছেদঃ রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের প্রচার-প্রসার ও তা যথাযথভাবে বর্ণনার ফযীলত প্রসঙ্গে
(৪৬) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমারা (আমার কাছ থেকে দিনের ইলম) শ্রবণ করে থাক; (পরে তা) তোমাদের কাছ থেকে (অন্য শ্রোতা কর্তৃক) শোনা হয়ে থাকে, (এবং তারও পরে) তোমাদের কাছ থেকে যারা শ্রবণ করেছিল, তাদের কাছ থেকেও শোনা হয় (অন্যেরা শোনে)। (এইভাবেই ইলমে হাদীসের চর্চার ধারা অব্যাহত থাকে। সুতরাং, যা বর্ণনা করবে, সেই ব্যাপারে কঠোর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।)
كتاب العلم
(7) باب فى فضل تبليغ الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم نذر كما سمع
(46) عن ابن عباس رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تسمعون ويسمع منكم ويسمع ممن يسمع منكم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩০৪
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৪৭) ইবন্ আবী লায়লা হযরত যায়েদ ইবন্ আরকাম (রা) থেকে এভাবে বর্ণনা করেন, আমরা যখন যায়েদ ইবন্ আরকামের কাছে গমন করতাম, তখন আমরা তাঁকে বলতাম, আমাদেরকে রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা করে শোনান। উত্তরে তিনি বলতেন, আমরা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি এবং ভুলে গিয়েছি। আর রাসূল (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করা বড় কঠিন কাজ । (অর্থাৎ এ বয়সে আমার পক্ষে হুবহু কোন হাদীস বর্ণনা করা নিরাপদ নয়। সুতরাং ভুল কিংবা সন্দেজনক বর্ণনার চেয়ে বর্ণনা না করাই উত্তম মনে করেছেন।)
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(47) عن عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رضى الله عنه قَالَ كُنَّا إِذَا جِئْنَاهُ قُلْنَا حَدِّثْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّا قَدْ كَبُرْنَا وَنَسِينَا وَالْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَدِيدٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮৯৩
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৪৮) মুতাররিফ (ইবন্ আব্দিল্লাহ) বলেন, আমাকে ইমরান ইবন হুসাইন (রা) বলেছেন, হে মুতাররিফ, আল্লাহর শপথ! আমি মনে করি আমি ইচ্ছা করলে পরপর দুইদিন অব্যাহতভাবে নবী করীম (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা করতে পারবো এবং তাতে কোন হাদীসকে পুনঃ পুনঃ (দ্বিতীয়বার) বলতে হবে না। কিন্তু তাতে আমার ভয় হয় এবং অপছন্দও করি যা আমি দেখে থাকি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর কিছুসংখ্যক সাহাবীকে দেখেছি এমন যে, রাসূলের সান্নিধ্যে এসেছেন আমিও এসেছি, আমিও শুনেছি যেমন তাঁরাও শুনেছেন। কিন্তু তাঁরা কিছু হাদীস বর্ণনা করেন, প্রকৃতপক্ষে হাদীসগুলো ঐরূপ নয়। আমি এও জানি যে, তাঁরা কল্যাণ থেকে বিচ্যুত নন। তাই আমি আশঙ্কা করি, হাদীস বর্ণনা করতে গেলে তাঁদের ন্যায় আমিও সন্দেহ ও ভ্রান্তিতে পতিত হতে পারি ।
তিনি কোন কোন সময় বলতেন, আমি যদি তোমাদের কাছে এইভাবে হাদীস বর্ণনা করি যে, আমি রাসূল (ﷺ)-কে এইরূপ.... এইরূপ বলতে শুনেছি; তাহলে আমার মনে হয় সত্যই বলা হবে। আবার কোন কোন সময় তিনি দৃঢ়চিত্তে বলতেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে এইরূপ এইরূপ বলতে শুনেছি .... ।
আবূ আব্দির রহমান বলেন, আমি নসর বিন আলী থেকে, তিনি বিশ্ব বিন আল-মুফাদ্দাল থেকে, তিনি আবূ হারুন আল-গানভী থেকে, তিনি হানী আল-আওয়ার থেকে, তিনি মুতাররিফ থেকে, তিনি 'ইমরান ইবন হুসাইন থেকে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে এই হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতএব, আমি আমার পিতার কাছে বর্ণনা করি, তিনি এটিকে 'হাসান' (ভাল) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং তিনি বললেন, এতে একজন ব্যক্তি (বর্ণনাকারী) অতিরিক্ত এসেছে।
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(48) حدثنا عبدالله حدثنى ابى ثنا اسماعيل ثنا أبو هرون الغنوي (1)
-[الاحتراز في رواية الحديث وتجويد الفاظه]-
عَنْ مُطَرِّفٍ (بن عبد الله) قَالَ قَال لِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ رضى الله عنه أَيْ مُطَرِّفُ وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَرَى أَنِّي لَوْ شِئْتُ حَدَّثْتُ عَنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ لَا أُعِيدُ حَدِيثًا ثُمَّ لَقَدْ زَادَنِي بُطْئًا عَنْ ذَلِكَ وَكَرَاهِيَةً لَهُ أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ مِنْ بَعْضِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِدْتُ كَمَا شَهِدُوا وَسَمِعْتُ كَمَا سَمِعُوا يُحَدِّثُونَ أَحَادِيثَ مَا هِيَ كَمَا يَقُولُونَ وَلَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُمْ لَا يَأْلُونَ عَنْ الْخَيْرِ فَأَخَافُ أَنْ يُشَبَّهَ لِي كَمَا شُبِّهَ لَهُمْ فَكَانَ أَحْيَانًا يَقُولُ لَوْ حَدَّثْتُكُمْ أَنِّي سَمِعْتُ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذَا وَكَذَا رَأَيْتُ أَنِّي قَدْ صَدَقْتُ وَأَحْيَانًا يَعْزِمُ فَيَقُولُ سَمِعْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ (1) حَدَّثَنِي نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ ثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ عَنْ أَبِي هَرُونَ الْغَنَوِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي هَانِئٌ الْأَعْوَرُ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ عِمْرَانَ هُوَ ابْنُ حُصَيْنٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ (2) فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبِي رَحِمَهُ اللَّهُ فَاسْتَحْسَنَهُ وَقَالَ زَادَ فِيهِ رَجُلًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৬৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৪৯) মুহাম্মাদ ইবন্ সীরীন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আনাস বিন মালিক (রা) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করতেন, তখন তা বর্ণনা শেষে বলতেন, أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আমি যেরূপ বললাম অথবা আল্লাহর রাসূল যে রকম বলেছেন।)
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(49) وعن ابن عون عن محمد (يعنى ابن سيرين) قال كان أنس بن
-[الاحتراز في رواية الحديث وتجويد الفاظه]-
مَالِكٍ رضي الله عنه إِذَا حَدَّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا فَفَرَغَ مِنْهُ قَالَ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩৪৯
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৫০) সুলাইমান আল্ ইয়াশকুরী থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, সন্দেহজনক বিষয়ে অনুসন্ধান (করা আবশ্যক।) জনৈক লোক তাকে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, তখন তিনি বলেন, তা আমার জানা মতে (সঠিক)।
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(50) عن سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضى الله عنه أَنَّهُ قَالَ فِي الْوَهْمِ (1) يُتَوَخَّى قَالَ لَهُ رَجُلٌ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِيمَا أَعْلَمُ.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৬৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৫১) উরওয়াহ থেকে বর্ণিত' তিনি আয়িশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তুমি বিস্মিত হবে না যে, আবূ হুরায়রা (একদা) আমার প্রকোষ্ঠের পার্শ্বে এসে বসে রাসূল (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করে তা আমাকে শোনাচ্ছেন। তবে ঐ সময় আমি তাসবীহ পাঠ করছিলাম, (নফল সালাত আদায় করছিলাম)। (বর্ণনা শেষে) তিনি আমার তাসবীহ শেষ হওয়ার পূর্বেই চলে গেলেন। যদি আমি (তাসবীহ শেষ করে) তাকে পেতাম, তাহলে আমি তার উপর রদ করে দিতাম (তাকে একটি শিক্ষা দিতাম)। নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) হাদীস বর্ণনার সময় তোমাদের ন্যায় দ্রুত করতেন না। (বরং শ্রোতার সুবিধার্থে ধীরে সুস্থে বুঝিয়ে বলতেন। কোন কোন বর্ণনায় জানা যায় যে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দুই-তিনবার করে উচ্চারণ করতেন যাতে কারো অসুবিধা না হয়।)
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(51) وعن عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ أَلَا يُعْجِبُكَ أَبُو هُرَيْرَةَ جَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِ حُجْرَتِي يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْمِعُنِي ذَلِكَ وَكُنْتُ أُسَبِّحُ (2) فَقَامَ قَبْلَ أَنْ أَقْضِيَ سُبْحَتِي وَلَوْ أَدْرَكْتُهُ
-[معرفة أهل الحديث صحيحه وضعيفه]-
لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ كَسَرْدِكُمْ (2)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৪৯৩
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৮) পরিচ্ছেদঃ হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা এবং হাদীসের শব্দাবলী যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে উচ্চারিত হয়েছে সেভাবে সঠিক উচ্চারণ ও বর্ণনা করা প্রসঙ্গে
(৫২) বারা ইবন্ আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সব হাদীস আমরা (সরাসরি) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শ্রবণ করি নি (অর্থাৎ সরাসরি শোনার সুযোগ পাইনি)। আমাদের সঙ্গী-সাথীগণ তাঁর (রাসূলের) কাছ থেকে বর্ণনা করে থাকেন। উট চরানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা (অনেক সময় সরাসরি হাদীস শ্রবণ করা থেকে) বঞ্চিত হই।
كتاب العلم
(8) باب فيما جاء فى الاحتراز فى رواية الحديث وتجويده الفاظه
كما صدر من النبى صلى الله عليه وسلم
(52) عَنِ الْبَرَاءِ بن عازب رضى الله عنه قَالَ مَا كُلُّ الْحَدِيثِ سَمِعْنَاهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُحَدِّثُنَا أَصْحَابُنَا عَنْهُ كَانَتْ تَشْغَلُنَا عَنْهُ رَعِيَّةُ الْإِبِلِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬০৫৮
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৯) পরিচ্ছেদঃ হাদীসবেত্তাগণের হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতার সম্বন্ধে জানা এবং নির্ভরযোগ্য পরিপূর্ণভাবে ধারণ করা প্রসঙ্গে
(৫৩) আব্দুল মালিক বিন সা'ঈদ বিন সুওয়াইদ থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ হুমাইদ (রা) ও আবূ আসীদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমরা আমার হাদীস শ্রবণ কর তখন তোমাদের অন্তর তা চিনতে পারে এবং তোমাদের কেশ ও ত্বক তাতে বিনম্র হয়ে ওঠে এবং তোমরা অনুভব করতে পার যে, তা তোমাদের নিকটবর্তী। তাহলে তোমরা মনে করবে যে, আমি সেই হাদীস বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত।
আর যখন তোমরা আমার বরাতে এমন হাদীস শ্রবণ কর, যা তোমাদের অন্তর বর্জন করে এবং তোমাদের কেশ ও ত্বক তা ঘৃণা করে আর তোমরা বুঝতে পার তা তোমাদের বোধগম্য থেকে বহুদূরে, তাহলে বুঝতে হবে আমি সেই কথিত হাদীস থেকে তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী দূরে।

টীকাঃ যারা সত্যিকার মুমিন তাঁরা রাসূল (ﷺ)-এর সঠিক হাদীস সহজেই চিনতে পারেন। তাঁদের হৃদয়-মন, ত্বক ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশুদ্ধ ও জাল হাদীস বাছাই করতে সাহায্য করে ।
كتاب العلم
(9) باب فى معرفة أهل الحديث بصحيحه وضعيفه وحمل ما ثبت منه على أكمل وجوهه
(53) عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ وَعَنْ أَبِي أُسَيْدٍ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ (3) الْحَدِيثَ عَنِّي تَعْرِفُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَلِينُ لَهُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْكُمْ قَرِيبٌ فَأَنَا أَوْلَاكُمْ بِهِ وَإِذَا
-[معرفة أهل الحديث بصحيحه وضعيفه]-
سَمِعْتُمْ الْحَدِيثَ عَنِّي تُنْكِرُهُ قُلُوبُكُمْ وَتَنْفِرُ أَشْعَارُكُمْ وَأَبْشَارُكُمْ وَتَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْكُمْ بَعِيدٌ فَأَنَا أَبْعَدُكُمْ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৫ - ১
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (৯) পরিচ্ছেদঃ হাদীসবেত্তাগণের হাদীসের বিশুদ্ধতা ও দুর্বলতার সম্বন্ধে জানা এবং নির্ভরযোগ্য পরিপূর্ণভাবে ধারণ করা প্রসঙ্গে
(৫৪) আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস শোনানো হয় (অন্য বর্ণনায় আছে যখন আমি তোমাদের কোন হাদীস বর্ণনা করি), তখন তোমরা তাঁকেই হাদীস মনে করবে যা সবচেয়ে বেশী হিদায়াতদানকারী, সবচেয়ে উপযোগী এবং সবচেয়ে বেশী তাওয়া সম্পন্ন।
(একই বর্ণনাকারী থেকে অন্য সূত্রে এই হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, তবে সেখানে বলা হয়েছে— তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বক্তব্যকে মনে করবে সবচেয়ে উপযোগী, সবচেয়ে তাকওয়া সম্পন্ন ও সবচেয়ে বেশী হিদায়াত প্রদানকারী।
كتاب العلم
(9) باب فى معرفة أهل الحديث بصحيحه وضعيفه وحمل ما ثبت منه على أكمل وجوهه
(54) عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ إِذَا حُدِّثْتُمْ (وفى روايه إذا حدثتكم) عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا فَظُنُّوا بِهِ الَّذِي هُوَ أَهْدَى (1) وَالَّذِي هُوَ أَهْيَا وَالَّذِي هُوَ أَتْقَى
(وعنه من طريق اخر) (2) بنحوه وفيه فظنوا برسول الله صلى الله عليه وسلم
-[النهي عن كتابة الحديث والرخصة فى ذلك]-
أهناه وأتقاه وأهداه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৮৫
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১০) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ ((ﷺ))-এর হাদীস লেখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৫৫) আবূ সা'ঈদ খুদরী(রা) থেকে বর্ণিত, তিনি (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আমার নিকট থেকে কুরআন ছাড়া অন্য কিছু লিখবে না। যদি কেউ কুরআন ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকো, তাহলে সে যেন তা মুছে ফেলে।*

*হাদীস লিপিবদ্ধ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ও অনুমতি উভয় প্রকার নির্দেশনা হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। মুহাদ্দিসগণ বলেছেন যে, প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী অনুমতি দ্বারা রহিত হয়েছে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, হাদীস লেখার নিষেধাজ্ঞা দ্বারা একই কাগজ বা পত্রে কুরআনের পাশাপাশি হাদীস লিখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এতে কুরআনের সাথে হাদীস মিশে যাওয়ার ভয় ছিল।
كتاب العلم
(10) باب فى النهى عن كتابة الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم والرخصة فى ذلك
(55) عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخدرى رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَكْتُبُوا عَنِّي شَيْئًا سِوَى الْقُرْآنِ وَمَنْ كَتَبَ شَيْئًا سِوَى الْقُرْآنِ فَلْيَمْحُهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৯২
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১০) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ ((ﷺ))-এর হাদীস লেখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৫৬) তাঁর থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা বসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা শুনে ছিলাম, তা লিখছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি আমাদের নিকট আগমন করলেন এবং বললেন, তোমরা এসব কি লিখছ? আমরা বললাম, আপনার নিকট থেকে যা কিছু আমরা শ্রবণ করেছি তা লিখছি। তিনি বলেন, আল্লাহর গ্রন্থের (কুরআনের) পাশাপাশি আরেকটি গ্রন্থ? তোমরা শুধুমাত্র বিশুদ্ধরূপে আল্লাহর গ্রন্থই লিখবে। আল্লাহর গ্রন্থের পাশাপাশি আরেকটি গ্রন্থ? তোমরা শুধুমাত্র বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর গ্রন্থই লিখবে এবং একমাত্র আল্লাহর গ্রন্থই লিখবে। তিনি বলেন, তখন আমরা যা কিছু লিখেছিলাম তা সবই একস্থানে জমা করে তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলি । আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি আপনার কথাগুলি অন্যদের কাছে বর্ণনা করতে পারব? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা আমার কথা বর্ণনা করবে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলবে সে জাহান্নামকে তার আবাসস্থল হিসাবে গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি বনু ইসরাঈল (ইহুদীদের) থেকে (তাদের মধ্যে প্রচলিত কাহিনী বা তাদের ধর্মগ্রন্থের কথা) বর্ণনা করতে পারি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমরা বনু ইসরাঈল থেকে বর্ণনা করতে পার। তোমরা তাদের থেকে যা কিছু বর্ণনা কর না কেন, তাদের মধ্যে তার চেয়েও আশ্চর্য ঘটনাদি সংঘটিত হয়েছিল।
كتاب العلم
(10) باب فى النهى عن كتابة الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم والرخصة فى ذلك
(56) وعنه ايضا قال كُنَّا قُعُودًا نَكْتُبُ مَا نَسْمَعُ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ مَا هَذَا تَكْتُبُونَ؟ فَقُلْنَا مَا نَسْمَعُ مِنْكَ فَقَالَ أَكِتَابٌ مَعَ كِتَابِ اللَّهِ أَمْحِضُوا (1) كِتَابَ اللَّهِ أَكِتَابٌ مع كِتَابِ اللَّهِ أَمْحِضُوا كِتَابَ اللَّهِ وْ خَلِّصُوهُ قَالَ فَجَمَعْنَا مَا كَتَبْنَا فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ ثُمَّ أَحْرَقْنَاهُ بِالنَّارِ قُلْنَا أَيْ رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَحَدَّثُ عَنْكَ قَالَ نَعَمْ تَحَدَّثُوا عَنِّي وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ (2)
-[الرخصة فى كتابة الحديث]-
مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ قَالَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَحَدَّثُ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ نَعَمْ تَحَدَّثُوا (1) عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ فَإِنَّكُمْ لَا تَحَدَّثُون عَنْهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا وَقَدْ كَانَ فِيهِمْ أَعْجَبَ مِنْهُ (2)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫৭৯
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ (১০) পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ ((ﷺ))-এর হাদীস লেখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে
(৫৭) আব্দুল মুত্তালিব ইবন্ আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যায়িদ ইবন্ সাবিত (রা) মু'আবিয়া (রা)-এর নিকট আগমন করেন এবং তাঁকে একটি হাদীস বলেন। তখন মু'আবিয়া (রা) এক ব্যক্তিকে উক্ত হাদীসটি লিখে রাখতে নির্দেশ দেন। তখন যায়িদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাদীস লিখে রাখতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। তখন তিনি (মু'আবিয়া (রা)) উক্ত হাদীসটি মুছে ফেলেন।
كتاب العلم
(10) باب فى النهى عن كتابة الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم والرخصة فى ذلك
(57) وعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ دَخَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رضى الله عنه عَلَى مُعَاوِيَةَ رضى الله عنه فَحَدَّثَهُ حَدِيثًا فَأَمَرَ إِنْسَانًا أَنْ يَكْتُبَ فَقَالَ زَيْدٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ نَكْتُبَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ فَمَحَاهُ
فصل فى الرخصة فى كتابة الحديث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১০
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি বিষয়ক অনুচ্ছেদ
(৫৮) আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর ইবনুল 'আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা কিছু শুনতাম তা সবই লিখে রাখতাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল তা মুখস্থ করা। তখন কুরাইশ বংশের লোকেরা আমাকে এভাবে লিখতে নিষেধ করেন এবং বলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা শুনছ সবই লিখছ, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন মানুষ। তিনি ক্রোধান্বিত অবস্থায় ও সন্তুষ্টির অবস্থায় কথা বলেন। তখন আমি লেখা বন্ধ করে দিলাম এবং বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বলেন, তুমি (আমার নিকট থেকে যা কিছু শুন তা) লিখতে থাক । যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ! আমার মুখ থেকে যা কিছু বের হয়, তা সবই সত্য।
كتاب العلم
فصل فى الرخصة فى كتابة الحديث
(58) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو (يعنى ابن العاص رضى الله عنهما) قَالَ كُنْتُ أَكْتُبُ كُلَّ شَيْءٍ أَسْمَعُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيدُ حِفْظَهُ فَنَهَتْنِي قُرَيْشٌ فَقَالُوا إِنَّكَ تَكْتُبُ كُلَّ شَيْءٍ تَسْمَعُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَسُولُ اللَّهِ
-[الرخصة فى كتابة الحديث]-
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَرٌ يَتَكَلَّمُ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَا فَأَمْسَكْتُ عَنْ الْكِتَابِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اكْتُبْ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا خَرَجَ مِنِّي إِلَّا حَقٌّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯২৩১ - ১
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি বিষয়ক অনুচ্ছেদ
(৫৯) ইবন্ হাকীম বলেন, আমরা আবূ হুরায়রা (রা)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীস বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর (অর্থাৎ ইবনুল 'আস) (রা) ছাড়া আর কেউ আমার চেয়ে বেশী জ্ঞাত ছিলেন না । (তিনি আমার চেয়ে হাদীস বেশী জানতেন) কারণ তিনি তা হাত দিয়ে লিখতেন এবং হৃদয় দিয়ে মুখস্থ করতেন। আর আমি হৃদয় দিয়ে মুখস্থ করতাম তবে লিখতাম না। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন তখন রাসূল (ﷺ) অনুমতি প্রদান করেন।
(অন্য এক বর্ণনায় আবূ হুরায়রা (রা) বলেন) আব্দুল্লাহ ইবন্ আমর (রা) ছাড়া আর কেউই আমার চেয়ে বেশী হাদীস জানতেন না; কারণ তিনি হাদীস লিখতেন আর আমি লিখতাম না।
كتاب العلم
فصل فى الرخصة فى كتابة الحديث
(59) وعَنْ مُجَاهِدٍ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه قَالَا سَمِعْنَاهُ يَقُولُ
مَا كَانَ أَحَدٌ أَعْلَمَ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنِّي إِلَّا مَا كَانَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو (يعنى بن العاص رضى الله عنهما) فَإِنَّهُ كَانَ يَكْتُبُ بِيَدِهِ وَيَعِيهِ بِقَلْبِهِ وَكُنْتُ أَعِيهِ بِقَلْبِي وَلَا أَكْتُبُ بِيَدِي وَاسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكِتَابِ عَنْهُ فَأَذِنَ لَهُ
(وعنه من طريق أخر) (1) قال ليس احد اكثر حديثا عن رسول الله صلى الله عليه وسلم منى الا عبدالله بن عمرو فإنه كان يكتب وكنت لا أكتب
-[النهي عن الحديث عن أهل الكتاب]-
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪১৬৬
ইলমের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ হাদীস লিপিবদ্ধ করার অনুমতি বিষয়ক অনুচ্ছেদ
(৬০) যা (ইমাম আহমদ ইবন্ হাম্বালের পুত্র) আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবন্‌ মু'ঈন বলেন, আব্দুর রাযযাক আমাকে বলেন, তুমি আমার নিকট থেকে অন্তত একটি হাদীস লিখিত পাণ্ডুলিপি ছাড়া গ্রহণ কর। আমি বললাম, কখনোই না, আমি (লিখিত পাণ্ডুলিপির প্রমাণ ছাড়া মৌখিক বর্ণনার ওপর নির্ভর করে) একটি অক্ষরও গ্রহণ করতে রাযী নই।*

* তাবেয়ীগণের যুগ থেকে মুহাদ্দিসগণ হাদীস শিক্ষার সাথে সাথে তা লিখে রাখতেন। হাদীস শিক্ষাদানের সময় তাঁরা সাধারণত পাণ্ডুলিপি দেখে হাদীস পড়ে শেখাতেন। কখনো বা মুখস্থ পড়ে হাদীস শেখাতেন তবে পাণ্ডুলিপি নিজের হিফাজতে রাখতেন যেন প্রয়োজনের সময় তা দেখে নেয়া যায়। এই যুগে ও পরবর্তী যুগে মুহাদ্দিসগণ হাদীস শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে সমন্বয়কে অত্যন্ত জরুরী মনে করতেন, প্রথমত হাদীসটি উস্তাদের মুখ থেকে শাব্দিকভাবে শোনা বা তাকে মুখে পড়ে শোনানো, দ্বিতীয়ত পঠিত হাদীসটি নিজ হাতে লিখে নেয়া, তৃতীয়ত উস্তাদের পাণ্ডুলিপির সাথে নিজের লেখা পাণ্ডুলিপি মিলিয়ে সংশোধন করে নেয়া। কোনো মুহাদ্দিস স্বকর্ণে শ্রবণ ব্যতীত শুধু পাণ্ডুলিপি দেখে হাদীস শেখালে বা পাণ্ডুলিপি ছাড়া শুধু মুখস্থ হাদীস শেখালে তা গ্রহণ করতে তাঁরা আপত্তি করতেন। এই জন্যই ইমাম আব্দুর রাযযাক সান'আনীর মত সুপ্রসিদ্ধ ও বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনাকারী মুহাদ্দিসের নিকট থেকেও ইমাম ইয়াহ্ইয়া ইবন্‌ মুঈন লিখিত ও সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপির সমন্বয় ব্যতিরেকে একটি হাদীস গ্রহণ করতেও রাযী হন নি।
كتاب العلم
فصل فى الرخصة فى كتابة الحديث
(60) ز وعن عبد الله قال قال يحيي بن معين (1) قال لى عبدالرازق (2) اكتب عنى ولو حديثا واحدا من غير كتاب فقلت لا ولا حرفا
tahqiq

তাহকীক: