মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
১. একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪২ টি
হাদীস নং: ২১
আন্তর্জাতিক নং: ২২৬৭৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২১) উবাদা বিন আস-সামিত (রা) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি এই মর্মে সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই, তার কোন শরীক বা অংশীদার নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল; আর ঈসা (আ) আল্লাহর বান্দা, রাসূল ও কালিমাহ যা তিনি মরিয়ম (আ)-এর কাছে প্ররণ করেছিলেন এবং তিনি (ঈসা আ) আল্লাহরই রূহ (বা পুণ্যাত্মা পুরুষ) এবং জান্নাত সত্য, নরক সত্য, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা তাকে তার আমল অনুসারে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।(অন্য বর্ণনায়) আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে আটটি তোরণের যেটি তার পছন্দ, সেই তোরণের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(21) عن عبادة بن الصامت رضي الله عنه عن رسول الله صلي الله عليه وآله وسلم
قال من شهد أن لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله وان عيسى عبد الله ورسوله وكلمته (1) القاها الي مريم وروح (2) منه وان الجنه حق والنار حق ادخله الله تبارك وتعالى الجنة على ما كان من عمل (3) وفي رواية ادخلة الله تبارك وتعالى الجنه من ابوابها الثمانية من ايها شاء دخل
قال من شهد أن لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله وان عيسى عبد الله ورسوله وكلمته (1) القاها الي مريم وروح (2) منه وان الجنه حق والنار حق ادخله الله تبارك وتعالى الجنة على ما كان من عمل (3) وفي رواية ادخلة الله تبارك وتعالى الجنه من ابوابها الثمانية من ايها شاء دخل
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭১১
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২২) উপরোক্ত বর্ণনাকারী থেকে আরও বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে এই মর্মে সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল, তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেওয়া হবে (অন্য বর্ণনায়) আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। (মুসলিম ও তিরমিযী)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(22) وعنه ايضا سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول من شهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله حرم على النار (وفي روايه) حرم الله تبارك وتعالى عليه النار
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৮৩
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৩) ইউসুফ ইবন্ আব্দুল্লাহ ইবন্ সালাম থেকে, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে পথ চলছিলাম, এমন সময় রাসূল (ﷺ) একদল লোককে বলতে শুনলেন- সর্বোত্তম আমল কোনটি, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)? রাসূল! উত্তরে বললেনঃ আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের প্রতি ঈমান এবং জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ (অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা); এবং হজ্ব পালন করা।অতঃপর (নিকটস্থ) উপত্যকায় এই মর্মে একটি আহ্বান শোনা গেল যে, আমি সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল।অতঃপর রাসূল (ﷺ) বললেন, এবং আমিও সাহ্ম্য দিচ্ছি এবং আরও সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, এতদসংক্রান্ত বিষয়ে শির্ক থেকে বিমুক্ত আত্মার অধিকারী ভিন্ন অন্য কেউ সাহ্ম্য দেয় না।আব্দুল্লাহ [(অর্থাৎ ইমাম আহমদের পুত্র (রা)] বলেনঃ এ হাদীসটি আমি (সরাসরি পিতার মধ্যস্থতা ব্যতিরেকে) হারূনের কাছ থেকে শুনেছি। (আহমদ ও তিবরানী, আহমদের রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(23) وعن يوسف بن عبد الله بن سلام عن ابيه (رضي الله عنهما) قال بينما نحن نسير مع رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ سمع القوم هم يقولون أي
الأعمال أفضل يا رسول الله فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم ايمان بالله ورسوله وجهاد في سبيل الله وحج مبرور ثم سمع نداء في الوادي يقول اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم وانا اشهد واشهد ان لا يشهد يها احد الا برئ من الشرك قال عبد الله (1) وسمعته انا من هرون (2)
الأعمال أفضل يا رسول الله فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم ايمان بالله ورسوله وجهاد في سبيل الله وحج مبرور ثم سمع نداء في الوادي يقول اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم وانا اشهد واشهد ان لا يشهد يها احد الا برئ من الشرك قال عبد الله (1) وسمعته انا من هرون (2)
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৯৪
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৪) আবূ আইয়ুব আল-আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি; যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক না করা আবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(আহমদ আব্দুর রহমান আল বান্না বলেন, এ হাদীসটি আমি অন্য কোথাও পাইনি, তবে বুখারী ও মুসলিম ইবন্ মাসউদ থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(24) وعن ابي ايوب الانصاري رضي الله عنح قال سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول من مات لا يشرك بالله شيئا دخل الجنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫৪৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৫) মুয়ায ইবন্ জাবাল (রা) থেকেও অনুরূপ (উপযুক্ত হাদীসের ন্যায়) একটি হাদীস বর্ণিত আছে।(আহমদ; বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(25) وعن معاذ ين جبل رضى الله عنه وعن النبي صلي الله عليه وسلم مثله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৮৩৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৬) সুহাইল ইবন্ আল-বায়দা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম; আর আমি ছিলাম সওয়ারীর পৃষ্ঠে রাসূল (ﷺ) পেছনে উপবিষ্ট।এমতাবস্থায় রাসূল (ﷺ) আমাকে লহ্ম্য করে ‘হে সুহাইল ইবন্ আল-বায়দা’ বলে উচ্চস্বরে দুই বার কিংবা তিনবার ডাক দিলেন।প্রতিবারই সুহাইল তাঁর ডাকে সাড়া দেন।(যাহোক) এতে করে রাসূল (ﷺ)-এর কণ্ঠস্বর শোনা গেল এবং সফরসঙ্গীগণ বুঝতে পারলেন যে, রাসূল (ﷺ) তাঁদের সবাইকে আহ্বান করেছেন।সুতরাং যাঁরা তাঁর অগ্রবর্তী ছিলেন, তাঁরা থেমে গেলেন, আর যারা তাঁর পশ্চাতানুসারী ছিলেন, তাঁরা এসে মিলিত হলেন।সবাই একত্রিত হবার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি এই মর্মে সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেন এবং তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেন।(অন্য বর্ণনায়) আল্লাহ তাআলা এই সাহ্ম্যের বিনিময়ে সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে তাকে মুক্ত করে দেন। (তিবরানী, মুসলিম ও তিরমিযীতে এর সাহ্ম্য আছে।)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(26) وعن سعيد ين الصلت عن سهيل ين البيضاء رضي الله عنه
قال بينما نحن في سفر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا رديفه (1) فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم يا سهيل بن البيضاء ورفع صوته مرتين أو ثلاثا كل ذلك يجيبه سهيل فسمع صوت رسول الله صلي الله عليه وسلم فظنوا انه يريدهم فجبس من كان بين يديه ولحقه من كان خلفه حتي اذا اجتمعوا قال رسول الله صلي الله عليه وسلم إنه من شهد أن لا إله إلا الله (2) حرمه الله علي النار وأوجب له الجنة (وفي رواية) أوجب الله عز وجل له بها الجنة واعتقه بها من النار
قال بينما نحن في سفر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا رديفه (1) فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم يا سهيل بن البيضاء ورفع صوته مرتين أو ثلاثا كل ذلك يجيبه سهيل فسمع صوت رسول الله صلي الله عليه وسلم فظنوا انه يريدهم فجبس من كان بين يديه ولحقه من كان خلفه حتي اذا اجتمعوا قال رسول الله صلي الله عليه وسلم إنه من شهد أن لا إله إلا الله (2) حرمه الله علي النار وأوجب له الجنة (وفي رواية) أوجب الله عز وجل له بها الجنة واعتقه بها من النار
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫৯৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৭) আবূ মুসা আল-আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূল (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হই; আমার সাথে আমার সম্প্রদায়ের কিছুসংখ্যক লোকও ছিলেন।রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে (উদ্দেশ্য করে) বললেন, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং যারা তোমাদের পশ্চাতে রয়েছে (অর্থাৎ যারা এখানে উপস্থিত নেই), তাদেরকে এই মর্মে সুসংবাদ প্রদান করবে, যে কেউ সত্য জ্ঞান করে (সর্বান্তকরণে) এই সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।অতঃপর আমরা রাসূল (ﷺ)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হলাম, আর লোকজনকে এই সুসংবাদ প্রদান করতে থাকলাম।এমতাবস্থায় আমরা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর মুখোমুখি হলাম।তিনি (এতদশ্রবণে) আমাদেরকে নিয়ে রাসূল (ﷺ)-এর কাছে ফিরে গেলেন।হযরত ওমর (রা) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ), (এইরূপ সুসংবাদ প্রদান করলে) লোকজন এর উপর ভরসা করবে (অন্য কোন আমল করবে না); তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নীরবতা অবলম্বন করলেন (কোন মন্তব্য করেননি)।[তিবরানী, বুখারী ও মুসলিমে হযরত আনাস থেকে অনুরূপ বর্ণনা বিদ্যমান।]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(27) وعن أبي موشي الأشعري رضي الله عنه قال أتيت النبي صلي الله عليه وسلم ومعي نفر من قومي فقال ابشروا وبشروا من وراءكم أنه من شهد أن لا إله إلا الله صادقاً بها دخل الجنة فخرجنا من عند النبي صلي الله عليه وسلم نبشر الناس فاستقبلنا عمر بن الخطاب (رضي الله عنه) فرجع بنا إلي رسول الله صلي الله عليه وسلم فقال عمر يا رسول الله إذاً يتكل الناس فسكت رسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৬০
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৮) জাবির ইবন্ আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যাঁরা হযরাত মুয়ায (রা)-এর মৃত্যকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন, আমি ছিলাম তাঁদের অন্যতম।হযরাত মুয়ায (রা) বলছিলেন আমার সম্মুখ থেকে জুব্বার পর্দাটি সরিয়ে দাও।আমি তোমাদেরকে এমন একটি হাদীস শোনাব যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শ্রবণ করেছিলাম, যা শোনার পর তোমরা এর উপর ভরসা করবে (অন্য কোন আমল করবে না)-এই ভয়ে এতদিন কলিনি।আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি- যে ব্যক্তি অন্তরের একাগ্রতা সহকারে অথবা তার আন্তরিক বিশ্বাস সহকারে এই সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।
আর একবার বলেনঃ সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং অগ্নি তাকে স্পর্শ করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
আর একবার বলেনঃ সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং অগ্নি তাকে স্পর্শ করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(28) وعن جابر بن عبدالله رضى الله عنهما قال أنا ممن شهد معاذاً حين حضرته الوفاة يقول اكشفوا عنى سجف (1) القبة أحدثكم حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يمنعنى ان أحدثكموه إلا أن تتكلوا، سمعته يقول من شهد أن لا اله الا الله مخلصاً من قلبه أو يقينا من قلبه لم يدخل النار وقال مرة دخل الجنة ولم تمسه النار.
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২১০২
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(২৯) মুআয বিন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; আমাকে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতের চাবি হচ্ছে এ সাহ্ম্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই। [আহমদ ও আল-বাযযার]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(29) وعن معاذ بن جبل رضى الله عنه قال قال لى رسول الله صلى الله عليه وسلم مفاتيح الجنة شهادة ان لا اله الا الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২১৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩০) রিফাআহ আল-জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সাথে (কোন সফরের উদ্দেশ্যে) অগ্রসর হচ্ছিলাম।যখন আমরা আল-কাদীদ’ (অথবা বলেন-কুদাইদ) নামক সারোবরে উপস্থিত হলাম, তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে তাদের পরিবার পরিজনের কাছে যাওয়ার অনুমতি চাইতে শুরু করলো; আর তিনি অনুমতি প্রদান করতে থাকেন।অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বাক্য পাঠ করার পর বলেনঃ ঐ সব লোকদের অবস্থা কী যাদের কাছে সৃহ্মের দুইটি অংশের মধ্যে সেই অংসটি বেশী অপছন্দনীয় যে অংশটির নীচে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) অবস্থান করছেন।(বর্ণনাকারী বলেন) অতঃপর আমরা দলের সবাইকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখতে পেলাম।এমন সময় একজন (ইনি হযরাত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) বলে ওঠেনঃ এরপর যে ব্যক্তি আপনার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করবে, সে নিঃসন্দেহে নির্বোধ।তারপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং বলেনঃ এবার আমি আল্লাহর দরবারে সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, কোন বান্দা যদি তার অন্তরে সত্য জ্ঞান করে এই মর্মে সাহ্ম্য প্রদান করে মৃত্যুবরণ করে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য বা ইলাহ নেই এবং আমি (মাহাম্মদ) আল্লাহর রাসূল, অতঃপর জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সেই বান্দা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং আমার প্রভু আমাকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন যে, তিনি আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজারকে বিনা হিসেবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।আর আমি আশা করি সেই সব (সৌভাগ্যশালী) জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবেন না যতহ্মণ পর্যন্ত না তোমরা এবং তোমাদের মাতা-পিতা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণের মধ্য থেকে সৎ লোকেরা জান্নাতে আবাস লাভ করবে।
(একই বর্ণনাকারী থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেনঃ আমরা মক্কা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বের হলাম।তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করতে লাগল, অতঃপর তিনি হাদীসখানি বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, এমতাবস্থায় হযরাত আবূ বকর (রা) বলে ওঠেন, এরপর যে ব্যক্তি অনুমতি চাইবে, সে আমার মতে নিরেট বোকা।অতঃপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি পাঠ করার পর বললেনঃ আমি আল্লাহর সম্মুখে সাহ্ম্য দিচ্ছি, রাসূল (ﷺ) যখন শপথ করতেন, তখন বলতেন যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ যে কোন বান্দা যদি আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে এবং জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীস উল্লেখ করেন।
(একই বর্ণনাকারী থেকে তৃতীয় আরেক সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমভিব্যহারে অগ্রসর হলাম এবং যখন আল-কাদীদে’ পৌঁছালাম, অথবা বললেন, আরাফাতে পৌঁছালাম, অতঃপর হাদীসের অংশ উল্লেখ করেন।
(তাবারানী ও ইবন্ হাব্বান।এছাড়া বগ্ভী, আল বারূদী ও ইবন্ কানে উল্লেখ করেছেন।আহমদ ও ইবন্ মাজাহ্ হাদীসটির অংশবিশেষ সংকলন করেছেন।এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃত।)]
(একই বর্ণনাকারী থেকে দ্বিতীয় সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেনঃ আমরা মক্কা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বের হলাম।তখন লোকজন রাসূল (ﷺ)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করতে লাগল, অতঃপর তিনি হাদীসখানি বর্ণনা করেন।তিনি বলেন, এমতাবস্থায় হযরাত আবূ বকর (রা) বলে ওঠেন, এরপর যে ব্যক্তি অনুমতি চাইবে, সে আমার মতে নিরেট বোকা।অতঃপর রাসূল (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি পাঠ করার পর বললেনঃ আমি আল্লাহর সম্মুখে সাহ্ম্য দিচ্ছি, রাসূল (ﷺ) যখন শপথ করতেন, তখন বলতেন যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ যে কোন বান্দা যদি আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে এবং জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীস উল্লেখ করেন।
(একই বর্ণনাকারী থেকে তৃতীয় আরেক সূত্রে বর্ণিত), তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমভিব্যহারে অগ্রসর হলাম এবং যখন আল-কাদীদে’ পৌঁছালাম, অথবা বললেন, আরাফাতে পৌঁছালাম, অতঃপর হাদীসের অংশ উল্লেখ করেন।
(তাবারানী ও ইবন্ হাব্বান।এছাড়া বগ্ভী, আল বারূদী ও ইবন্ কানে উল্লেখ করেছেন।আহমদ ও ইবন্ মাজাহ্ হাদীসটির অংশবিশেষ সংকলন করেছেন।এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃত।)]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(30) وعن رفاعة الجهنى رضى الله عنه قال أقبلنا مع رسول الله
-[نعيم الموحدين ووعيد المشركين 51]-
صلى الله عليه وسلم حتى إذا كنا بالكديد (1) أو قال بقديد فجعل رجال يسأذنون الى اهليهم فيأذن لهم فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله وأثنى عليه ثم قال ما بال رجال يكون شق الشجرة التى تلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبغض اليهم من الشق الاخر فلم نر عند ذلك من القوم إلا باكيا فقال رجل (2) إن الذى يستأنك بعد هذا لسفيه (3) فحمد الله وقال حينئذ أشهد عند الله لا يموت عبد يشهد أن لا اله الا الله وأنى رسول الله صدقا من قلبه ثم يسدد (4) إلا سلك فى الجنة قال وقد وعدنى ربى أن يدخل من امتى سبعين الفا لا حساب عليهم ولا عذاب وإنى لأرجو أن لا يدخلوها حتى تبوؤا (5) انتم ومن صلح من آبائكم وأزواجكم وذرياتكم مساكن فى الجنة
(وعنه من طريق ثان) (6) قال صدرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من مكة فجعل الناس يستأذنونه فذكر الحديث قال وقال ابو بكر (رضى الله عنه) إن الذى يستأذنك بعد هذا لسفيه فى نفسى ثم إن النبى صلى الله عليه وسلم حمد الله وقال خيرا ثم قال أشهد عند الله وكان إذا حلف قال والذى نفس محمد بيده ما من عبد يؤمن بالله واليوم الاخر ثم يسدد الا سلك فى الجنة فذكر الحديث
(وعنه من طريق ثالث) (1) قال اقبلنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كنا بالكديد او قال بعرفة فذكر الحديث
-[نعيم الموحدين ووعيد المشركين 51]-
صلى الله عليه وسلم حتى إذا كنا بالكديد (1) أو قال بقديد فجعل رجال يسأذنون الى اهليهم فيأذن لهم فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله وأثنى عليه ثم قال ما بال رجال يكون شق الشجرة التى تلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبغض اليهم من الشق الاخر فلم نر عند ذلك من القوم إلا باكيا فقال رجل (2) إن الذى يستأنك بعد هذا لسفيه (3) فحمد الله وقال حينئذ أشهد عند الله لا يموت عبد يشهد أن لا اله الا الله وأنى رسول الله صدقا من قلبه ثم يسدد (4) إلا سلك فى الجنة قال وقد وعدنى ربى أن يدخل من امتى سبعين الفا لا حساب عليهم ولا عذاب وإنى لأرجو أن لا يدخلوها حتى تبوؤا (5) انتم ومن صلح من آبائكم وأزواجكم وذرياتكم مساكن فى الجنة
(وعنه من طريق ثان) (6) قال صدرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من مكة فجعل الناس يستأذنونه فذكر الحديث قال وقال ابو بكر (رضى الله عنه) إن الذى يستأذنك بعد هذا لسفيه فى نفسى ثم إن النبى صلى الله عليه وسلم حمد الله وقال خيرا ثم قال أشهد عند الله وكان إذا حلف قال والذى نفس محمد بيده ما من عبد يؤمن بالله واليوم الاخر ثم يسدد الا سلك فى الجنة فذكر الحديث
(وعنه من طريق ثالث) (1) قال اقبلنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كنا بالكديد او قال بعرفة فذكر الحديث
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩১) উছমান ইবন্ আফ্ফান (রা) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (রা) বর্ণনা করেন রাসূল বলেনঃ যে কেউ মৃত্যুবরণ করে এমতাবস্থায় যে, সে জানে (মনে প্রাণে বিশ্বাস করে) যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।[মুসলিম, আবূ দাউদ, আবু ইয়ালা, শাফেয়ী ও তায়ালিসী হাদীসটি আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(31) وعن عثمان بن عفان رضى الله عن النبى صلى الله عليه وسلم قال من مات يعلم أن لا اله الا الله دخل الجنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩২) একই বর্ণনাকারী থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি এমন একটি ‘কালিমাহ’ বা বাক্য অবগত আছি, যা আন্তরিক বিশ্বাস সহকারে কোন বান্দা উচ্চারণ করলে সে জাহান্নামের জন্য হারাম (নিষিদ্ধ) হয়ে যায়।(এতদশ্রবণে) হযরাত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেন, সেই বাক্যটি কী, তা আমি তোমাকে বলে দিচ্ছি।সেটি হচ্ছে ‘কালিমাতুল ইখলাস’ বা পুত-পবিত্র করণের বাক্য, যদ্বারা আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে ও তাঁর সাহাবীগণকে বিভূষিত (সম্মানিত ও শক্তিশালী) করেছেন; সেটি হচ্ছে ‘কালিমাতুত্ তাকওয়া’ বা অন্তরের পরিশুদ্ধতা আল্লাহ ভীরুতা অর্জনের বাক্য, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) পিতৃব্য আবূ তালিবকে তার মৃত্যুর সময় যা পাঠ করানোর জন্য বারংবার পীড়াপীড়ি করেন- তাহল সাহ্ম্য প্রদান করা এই মর্মে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই। [আহমদ আব্দুর রহমান আলবান্না বলেন, এ হাদীসটি এ গ্রন্থ ছাড়া আমি অন্য কোথাও পাইনি, তবে সহীহ গ্রন্থে এর সপহ্মে সমর্থন মিলে।]
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(32) وعنه ايضا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إنى لأعلم كلمة قالها عبد حقا من قلبه إلا حرم على النار فقال عمر بن الخطاب رضى الله عنه أنا احدثك ما هى، هى كلمة الاخلاص التى اعز الله تبارك وتعالى بها محمد صلى الله عليه وسلم واصحابه وهى كلمة التقوى التى ألاص (2) عليها نبى الله عمه ابا طالب عند الموت شهادة أن لا إله إلا الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৬৬
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৩) আবূল আসওয়াদ আদ্দুয়ালী থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ যর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, (একদা) আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করলাম, তাঁর গায়ে জড়ানো ছিল সাদা কাপড়, আর তিনি ছিলেন নিদ্রিত, (আমি প্রস্থান করলাম এবং কিছুহ্মণ পর) পুনরায় তাঁর কাছে আগমন করলাম তার সাথে কথা বলতে (কিন্তু) তখনও তিনি নিদ্রিত ছিলেন।(এবারও প্রস্থান করার কিছুহ্মণ পর) পুনরায় তাঁর কাছে ফিরে আসলাম, এবার তিনি জাগ্রত হয়েছেন।আমি তাঁর সন্নিকটে উপবিষ্ট হলাম।তিনি ইরশাদ করলেন।যদি কোন ব্যক্তি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বা আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই’ একথা ঘোষণা করে এবং এর উপর (অর্থাৎ এই বিশ্বাসে স্থিত অবস্থায়) মৃত্যুবরণ করে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।আমি বললাম, সে যদি ব্যভিচার করে চুরি করে তাহলেও কি? তিনি বলেনঃ যদিও সে ব্যভিচার করে চুরি করে তাহলেও (আবার) বললাম, সে যদি ব্যভিচার করে চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদিও সে ব্যভিচার করে চুরি করে তাহলেও।তিনবার এইরূপ বললেন এবং চতুর্থবার বলেনঃ
“যদিও আবূ যর-এর নাসিকা মৃত্তিকা মলিন হয়।অতঃপর আবূ যর (রা) তাঁর পরিধেয় (ইয়ার) টেনে ধরে সেখান থেকে বের হচ্ছিলেন আর বলছিলেন-
“যদিও আবূ যর এর নাসিকা মৃত্তিকায় মলিন হয়।”
(বুখারী মুসলিম ইবন্ হাব্বান বাইহাকী, নাসাঈ ও তিরমিযী।তিনি হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেন।)
“যদিও আবূ যর-এর নাসিকা মৃত্তিকা মলিন হয়।অতঃপর আবূ যর (রা) তাঁর পরিধেয় (ইয়ার) টেনে ধরে সেখান থেকে বের হচ্ছিলেন আর বলছিলেন-
“যদিও আবূ যর এর নাসিকা মৃত্তিকায় মলিন হয়।”
(বুখারী মুসলিম ইবন্ হাব্বান বাইহাকী, নাসাঈ ও তিরমিযী।তিনি হাদীসটি সহীহ বলে মন্তব্য করেন।)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(33) وعن أبي الأسود الدئلى عن ابى ذر رضى الله عنه قال اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وعليه ثوب أبيض فإذا هو نائم ثم أتيته أحدثه فإذا هو نائم ثم أتيته وقد استيقظ فجلست اليه فقال ما من عبد قال لا اله الا الله ثم مات على ذلك إلا دخل الحنة قلت وان زنى وان سرق قال وان زنى وان سرق قلت وان زنى وان سرق قال وان زنى وان سرق ثلاثاثم قال فى الرابعة على رغم (1) انف ابى ذر قال فخرج ابو ذر يجر إزاره وهو يقول وإن رغم أنف ابى ذر
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৭০
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৪) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম ‘শাফায়াত’ (সুপারিশ)-এর বিষয়ে আপনার প্রভু আপনাকে কী জবাব দিয়েছেন (অর্থাৎ কোন পর্যন্ত শাফায়াতের হ্মমতা আপনি প্রাপ্ত হয়েছেন)? উত্তরে তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদের আত্মা যে মহান সত্তার কবজায়, তাঁর শপথ, আমার ধারণা ছিল তুমিই হবে আমার উম্মতের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে এ বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবে।কারণ ‘ইলম’ (যে কোন ধরনের জ্ঞাতব্য বিষয়) সম্পর্কে তোমার গভীর আগ্রহ আমি লহ্ম্য করে এসেছি।(এবার শোন) মুহাম্মাদের আত্মা যে মহান সত্তার কব্জায়, তাঁর শপথ, জান্নাতের দরজার ভিড় করে (একসাথে বহুলোক) প্রবেশ করার চাইতে আমার নিকট অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার শাফায়াত লাভের পরিধির বিস্তৃতি।আমার শাফায়াত লাভ করবে সে ব্যক্তি যে সাহ্ম্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই আর তা হবে আন্তরিক সততার সাথে; এমন যে তার অন্তর তার মুখের ভাষাকে এবং ভাষা অন্তরকে সত্যয়ন করবে। (বুুুখারী ও হাকিম)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(34) وعن ابى هريرة رضى الله عنه قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم ماذا رد اليك ربك فى الشفاعة فقال والذى نفس محمد بيده لقد ظننت انك اول من يسألنى عن ذلك من امتى لما رأيت من حرصك على العلم والذى نفس محمد بيده ما يهمنى من انقصافهم (2) على ابواب الجنة أهم عندى من تمام شفاعتى، وشفاعتى لمن شهد أن لا اله الا الله مخلصا يصدق قلبه لسانه ولسانه قلبه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৪৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৫) আবূ আমরাহ আল-আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন; “আমি সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল।” এ দ’টি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনকারী কোন বান্দা কিয়ামত দিবসে আল্লাহর সাথে সাহ্মাৎ করবে এমতাবস্থায় যে, জাহান্নামকে তার কাছে থেকে অন্তরায় করে রাখা হবে। (মুসলিম, তিবরানী।)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(35) وعن أبي عمرة الانصارى رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قل اشهد ان لا اله الا الله وانى رسول الله لا يلقى الله عبد مؤمن بهما الا حجبت عنه النار يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৫২
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৬) আবূ ওয়ায়িল থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরাত ইবন্ মাসউদ (রা) বলেছেন, দু’টি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়, একটি আমি শ্রবণ করেছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এবং অপরটি আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত, যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো এমতাবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে শরীক বা অংশীদার করত, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।আর আমি বলি (যা আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত) যে কেউ মৃত্যুবরণ করলো এমতাবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে কোন সমকহ্ম সাব্যস্ত করেনি এবং তাঁর সাথে শরীকও করেনি, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(36) وعن ابى وائل قال قال ابن مسعود (رضى الله عنه) خصلتان يعنى احدهما سمعتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم والاخرى من نفسى، من مات وهو يجعل لله ندا دخل النار وانا اقول من مات وهو لا يجعل لله ندا ولا يشرك به شيئا دخل الجنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৮৬
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৭) আবূ নু‘য়াইম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা মদীনার বাসিন্দা জনৈক ব্যক্তি অথবা জনৈক বৃদ্ধ আগমন করেন এবং মাসরূকের আতিথ্য গ্রহণ করেন।তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রা)-কে বলতে শুনেছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে কেউ আল্লাহর সাথে সাহ্মাৎ করবে এমতাবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করেনি, তাহলে তার আন্যান্য গোনাহ কোন হ্মতি (অনিষ্ট) করবে না।অপরদিকে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক্ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, তার অন্য কোন নেক কাজ কোন উপকারে আসবে না। (আহমদ, তিবরানী)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(38) وعن ابى نعيم قال جاء رجل او شيخ من اهل المدينة فنزل على مسروق فقال سمعت عبدالله بن عمرو (بن العاص رضى الله عنهما) يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لقى الله لا شيرك به شيئا لم تضره خطيئة ومن مات وهو يشرك به لم تنفعه معه حسنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১১
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৮) জাবির বিন আব্দিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করে বলেনঃ দু’টি বিষয় হচ্ছে অপরিহার্য (এক) যে ব্যক্তি আল্লাহ জাল্লা শানুহুর সাথে সাহ্মাৎ করল এমতাবস্থায় যে, সে তাঁর সাথে শরীক করেনি।সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(দুই) আর যে আল্লাহর সাথে সাহ্মাৎ করবে এমতাবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে নরকে প্রবেশ করবে (জাহান্নামে)। (মুসলিম)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(38) وعن جابر بن عبد الله رضى الله عنهما عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الموجبتان من لقى الله عز وجل لا يشرك به شيئا دخل الجنة ومن لقى الله عز وجل وهو يشرك به دخل النار
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬০৬
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৩৯) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) হযরাত মুআয (রা)-কে বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাহ্মাৎ করবে এমতাবস্থায় যে, সে আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই এই সাহ্ম্য প্রদান করে (অন্য বর্ণনায় তাঁর সাথে শরীক সাব্যস্ত করে না), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মুআয বলেন, ওগো আল্লাহর নবী, আমি কি লোকজনকে এই সুসংবাদ প্রদান করবো না? রাসূল (ﷺ) বলেনঃ আমি শঙ্কিত যে, লোকজন এর উপর ভরসা করবে। (অন্য কোন আমল করবে না।) অথবা তিনি যেমন বলেছেন। (বুখারী)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(39) وعن انس بن مالك رضى الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لمعاذ من لقى الله يشهد ان لا اله الا الله (وفى رواية لا يشرك به) دخل الجنة قال يا نبى الله افلا ابشر الناس قال لا انى اخاف ان يتكاوا عليها او كما قال
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৮৪
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
পরিচ্ছেদঃ (৪) পরিচ্ছেদঃ একত্ববাদী মু’মিনগণের প্রাপ্য নিয়ামতরাজি ও পুরষ্কার এবং মুশরিকদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ তিরষ্কার ও শাস্তি প্রসঙ্গে
(৪০) সালিম ইবন আমুল, জাআদ থেকে বর্ণিত, তিনি সালমা ইবন নুআইম (রা) থেকে বর্ণনা করেন (তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর অন্যতম সাহাবী) তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাহ্মাৎ করল এমতাবস্থায় যে, তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে যদিও সে ব্যভিচার করে এবং যদিও সে চুরি করে। (তাবারানী)
كتاب التوحيد
(4) باب فيما جاء في نعيم الموحدين وثوابهم ووعيد المشركين وعقابهم
(40) وسالم بن ابى الجعد عن سلمة بن نعيم رضى الله عنه قال وكان من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال رسول الله من لقى الله لايشرك به شيئا دخل الجنة وان زنى وإن سرق
তাহকীক: