মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬১ টি
হাদীস নং: ২১
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্বপ্ন দেখার সর্বোৎকৃষ্ট সময় এবং ইচ্ছাকৃত মিথ্যা স্বপ্ন বলার প্রতি কঠোরবাণী।
২১। তারই সূত্রে অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা স্বপ্ন ব্যক্ত করে, কিয়ামতের দিন তাকে যবের মধ্যে গিরা লাগানোর জন্য বাধ্য করা হবে।
(তিরমিযী, হাকিম। হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী আবদুল আ'লা ইবন আমির দুর্বল।)
(তিরমিযী, হাকিম। হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী আবদুল আ'লা ইবন আমির দুর্বল।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب أحسن أوقات الرؤيا ووعيد من كذب في الرؤيا متعمدًا
وعنه في أخرى (5) يرفعها قال من كذب في حلمه كلف عقد شعيرة يوم القيامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : স্বপ্ন দেখার সর্বোৎকৃষ্ট সময় এবং ইচ্ছাকৃত মিথ্যা স্বপ্ন বলার প্রতি কঠোরবাণী।
২২। তারই সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা স্বপ্ন ব্যক্ত করবে, সে যেন জাহান্নামে স্বীয় বাসস্থান তৈরী করে নেয়।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদ বর্ণনাকারী আবদুল আ'লা ইবন আমির সা'লাবী দুর্বল।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদ বর্ণনাকারী আবদুল আ'লা ইবন আমির সা'লাবী দুর্বল।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب أحسن أوقات الرؤيا ووعيد من كذب في الرؤيا متعمدًا
وعنه أيضًا (6) عن النبي صلى الله عليه وسلم من كذب في الرؤيا متعمدًا فليتبوا (7) مقعد من النار
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৩। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি একটি স্বপ্ন দেখল। তারপর সে নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন একটি একটি মেঘখণ্ড হতে মধু এবং ঘি ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে। আর লোকেরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছে। কেউ অধিক পরিমাণে নিচ্ছে, কেউ অল্প পরিমাণে আর কেউ মাঝামাঝি পরিমাণে নিয়ে যাচ্ছে। আর আকাশ পর্যন্ত সংযুক্ত একটি রশি দেখলাম। বর্ণনাকারী ইয়াযীদ (র) এক সময় বলেছেন, আকাশ হতে ঝুলন্ত একটি রশি দেখলাম। আপনি এসে তাতে ধরলেন এবং উপরে উঠতে চাইলে আল্লাহ আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। তারপর এক লোক ধরল এবং সেও উপরে উঠতে চাইলে আল্লাহ তাকে উপরে নিয়ে নিলেন। এরপর আরো একজন লোক আসল এবং তাতে ধরে সেও উপরে উঠতে চাইলে আল্লাহ তাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। এরপর আরো এক লোক এসে তাতে ধরলে, তাকে নিয়ে রশি ছিঁড়ে গেল। পরে তার জন্য জুড়ে দেওয়া হল। এরপর সে উপরে উঠতে চাইলে আল্লাহ তাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) আবূ বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ স্বপ্নটির ব্যাখ্যা করব। তাঁকে অনুমতি দেওয়া হল। তিনি বললেন মেঘখণ্ডটি হল ইসলাম। আর ঘি ও মধু হল কুরআনের মধুরতা। কেউ এটা অধিক পরিমাণে, কেউ অল্প পরিমাণে আর কেউ মাঝামাঝি পরিমাণে এটা আহরণ করছে। আর রশি হল (সৎ পথ) যার ওপর আপনি রয়েছে। এর দ্বারা আপনি উপরে উঠে যাবেন। আল্লাহ আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিবেন। আপনার পরে এক লোক আসবে। সে আপনার মত ও পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। সে এর দ্বারা উপরে উঠে যাবে। আল্লাহও তাকে উপরে উঠিয়ে নিবেন। এরপরে আরেক লোক আসবে, আপনারা যে পথে ছিলেন, সে তাতে আঁকড়ে ধরবে। এর দ্বারা সে উপরে উঠে যাবে। আল্লাহ তাকে উপরে উঠিয়ে নিবেন। এরপর আরো এক লোক আসবে। সে এটা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এরপর তার জন্য সেটি জুড়ে দেওয়া হলে সেও উপরে উঠে যাবে। আল্লাহ তাকে উপরে উঠিয়ে নিবেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি সঠিক বলেছি? অবশ্যই আপনি আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি শপথ কর না।
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن ابن عباس (8) قال رأى رجل رؤيا فجاء للنبي صلى الله عليه وسلم فقال إني رأيت كأن ظله (1) تنطف عسلًا وسمعنا وكأن الناس يأخذون منها (2) فبين مستكثر وبين مستقل (3) وبين ذلك، وكأن سببًا (4) متصل إلى السماء وقال يزيد (5) مرة وكأن سببًا دلي من السماء فجئت فأخذت به فعلوت (6) فعلاك الله، ثم جاء رجل من بعدكن فأخذ به فقطع به ثم وصل له فعلا فأعلاه الله، قال أبو بكر أئذن لي يا رسول الله فأعبرها له فأذن له، فقال أما الظلة فالإسلام، وأما العسل والسمن فحلاوة القرآن فبين مستكثر وبين مستقل وبين ذلك، وأما السبب فما أنت عليه تعلو فيعليك الله، ثم يكون من بعدك رجل على منهاجك فيعلو ويعليه الله ثم يكون من بعدكما (8) قال أقسمت يا رسول الله لتخبرين فقال لا نقسم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৪। ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন আমার হাতে মোটা রেশমের একটি বস্ত্রখণ্ড রয়েছে। আমি জান্নাতের যে কোন স্থানের দিকে ইঙ্গিত করতাম, সেখানেই এটা আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যেত। হাফসা (রা) নবী (ﷺ)-এর নিকট ঘটনাটি ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, নিশ্চয় তোমার ভাই সৎ মানুষ অথবা বললেন, নিশ্চয় আবদুল্লাহ সৎ মানুষ।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن ابن عمر رضي الله تعالى عنهما (10) قال رأيت في المنام كأن يبدي قطعة استبرق (1) ولا أشير بها إلى مكان من الجنة إلا طارت بي إليه (2) فقصتها حفصة على النبي صلى الله عليه وسلم فقال إن أخاك رجل صالح أو أن عبد الله رجل صالح
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৫। সালিম (র) সূত্রে ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জীবদ্দশায় স্বপ্ন দেখলে, সে তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ব্যক্ত করত। ইবন উমর (রা) বলেন, আমি আশা করতাম যে, আমি একটি স্বপ্ন দেখে তা নবী (ﷺ)-এর নিকট ব্যক্ত করি। বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় আমি অবিবাহিত নওজোয়ান ছিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে মসজিদে নিদ্রা যেতাম। বর্ণনাকারী বলেন, একদা আমি নিদ্রাকালে দেখলাম, যেন দুই ফেরেশতা আমাকে পাকড়াও করলেন এবং তারা আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে গেলেন। তখন দেখলাম যে, সেটা ইট পাথর দ্বারা বেষ্টিত, কূপের বেষ্টনীর ন্যায়। এবং আরো দেখলাম যে, তার দু'টি স্তম্ভ রয়েছে, কূপের স্তম্ভের ন্যায়। তার ভিতর এমন কিছু লোক রয়েছে, যাদেরকে আমি চিনি। তখন আমি أعُوذُ بِاللهِ مِنَ النَّارِ (আমি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম হতে আশ্রয় চাই।) বলতে শুরু করলাম। এরপর সে দুই ফেরেশতার সঙ্গে আরো এক ফেরেশতা মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, তোমার কোন ভয় নেই। ইবন উমর (রা) বলেন, এরপর আমি এই স্বপ্ন হাফসা (রা)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। তারপর হাফসা (রা) এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি বললেন, আবদুল্লাহ খুব ভাল লোক! যদি সে রাতে সালাত আদায় করত! বর্ণনাকারী সালিম (র) বলেন, এরপর হতে আবদুল্লাহ (রা) রাতে খুব অল্প পরিমাণে নিদ্রা যেতেন।
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن سالم عن ابن عمر (4) قال كان الرجل في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا رأى رؤيا قصها على النبي صلى الله عليه وسلم قال فتمنيت أن أرى رؤيا فأقصها على النبي صلى الله عليه وسلم قال وكنت غلامًا شابًا عزبًا (5) فكنت أنام في المسجد على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فرأيت في ناس قد عرفتهم فجعلت أقول أعوذ بالله من النار أعوذ بالله من النار، فلقيهما ملك آخر فقال لي أن تراع (8) فقصصتها على حفصة فقصتها حفصة عل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال نعم الرجل عبد الله لو كان يصلي من الليل، قال سالم: فكان عبد الله لا ينام من الليل إلا قليلًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৬। আবদুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন 'আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঘুমন্ত ব্যক্তি যেরূপ স্বপ্ন দেখে থাকে সেরূপ আমিও দেখলাম, যেন আমার এক আঙ্গুলে ঘি এবং অপর আঙ্গুলে মধু আছে আর আমি আঙ্গুল দুটোকে চাটছিলাম। ভোর হলে আমি এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ব্যক্ত করলাম। তিনি বললেন, তুমি তাওরাত এবং কুরআন উভয় কিতাব অধ্যয়ন করবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি উভয় কিতাব অধ্যয়ন করতেন।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদে বর্ণনাকারী ইবন লাহি'আ দুর্বল।)
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদে বর্ণনাকারী ইবন লাহি'আ দুর্বল।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن عبد الله بن عمرو بن العاصي ، أنه قال : رأيت فيما يرى النائم لكأن في إحدى إصبعي سمنا ، وفي الأخرى عسلا ، فأنا ألعقهما ، فلما أصبحت ذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ فقال : تقرأ الكتابين : التوراة والفرقان ، فكان يقرؤهما.
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৭। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি স্বপ্নযোগে দেখলেন, তিনি সূরা সোয়াদ লিখছেন। যখন তিনি সাজদার আয়াত পর্যন্ত পৌছলেন, তখন দেখলেন যে, দোয়াত, কলম এবং তার সামনে উপস্থিত সবকিছু সাজদায় লুটিয়ে পড়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এটা নবী (ﷺ) -এর নিকট ব্যক্ত করলেন। সে সময় হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এখানে এসে সাজদা আদায় করতেন।
(হাদীসটি 'সাজদা তিলাওয়াত' অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে।)
(হাদীসটি 'সাজদা তিলাওয়াত' অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن أبي سعيد الخدري (10) أنه رأى رؤيا أنه يكتي ص فلما بلغ إلى سجدتها قال رأى الدواة والقلم وكل شيء بحضرته انقلب ساجدًا، قال فقصها على النبي صلى الله عليه وسلم فلم يزل يسجد بها بعد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৮। ইবন শিহাব (র) সূত্রে উমারা ইবন খুযায়মা ইবন সাবিত আনসারী (র) থেকে বর্ণিত। খুযায়মা (রা) হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যার সাক্ষ্যকে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্যরূপে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইবন শিহাব (র) বলেন, আমাকে উমারা ইবন খুযায়মা (র) সংবাদ দিয়েছেন। তিনি তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর চাচা রাসূল এর সাহাবী ছিলেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) খুযায়া ইবন সাবিত (রা) স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কপালে সাজদা করছেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে এটা বর্ণনা করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চিৎ হয়ে শুইলেন। এরপর তিনি তার কপালে সিজদা করলেন।
দ্বিতীয় সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে উমারা ইবন খুযায়মা (র) সংবাদ দিয়েছেন, খুযায়মা (রা) স্বপ্নযোগে দেখলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কপালে সাজদা করছেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে এটা বর্ণনা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চিৎ হয়ে শুইলেন। তারপর তাঁকে বললেন, তুমি স্বপ্ন বাস্তবায়ন কর। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কপালে সিজদা করলেন।
(প্রথম সূত্রে হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ (র) স্বীয় শায়খ 'আমির ইবন সালিহ যুবায়রী (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এবং আবূ হাতিম (র) তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তবে অনেকে তাকে দুর্বল বলেছেন। এ ছাড়া বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
দ্বিতীয় সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে উমারা ইবন খুযায়মা (র) সংবাদ দিয়েছেন, খুযায়মা (রা) স্বপ্নযোগে দেখলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কপালে সাজদা করছেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে এটা বর্ণনা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চিৎ হয়ে শুইলেন। তারপর তাঁকে বললেন, তুমি স্বপ্ন বাস্তবায়ন কর। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কপালে সিজদা করলেন।
(প্রথম সূত্রে হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ (র) স্বীয় শায়খ 'আমির ইবন সালিহ যুবায়রী (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এবং আবূ হাতিম (র) তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তবে অনেকে তাকে দুর্বল বলেছেন। এ ছাড়া বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن ابن شهاب (11) عن عمارة بن خزيمة بن ثابت الأنصاري، وخزيمة الذي جعل رسول الله صلى الله عليه وسلم شهادته شهادة رجلين قال ابن شهاب فأخبرني عمارة بن خزيمة عن عمه وكان من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم (12) أن خزيمة بن ثابت رأى في النوم أنه يسجد على جبهة رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، فاضطجع له رسول الله صلى الله عليه وسلم فسجد على جبهته (وعنه من طريق ثان) (13) أخبرني عمارة ابن خزيمة أن خزيمة (1) أي في المنام أنه يسجد على جبهة رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فأتى خزيمة رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره، قال فاضطجع رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال له صدق رؤياك فسجد على جبهة رسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
২৯। উমারা ইবন খুযায়মা ইবন সাবিত (র) থেকে বর্ণিত যে, তার পিতা বলেছেন, আমি স্বপ্নযোগে দেখেছি যে, আমি নবী (ﷺ)-এর কপালে সিজদা করছি। এরপর আমি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অবহিত করলে তিনি বললেন, (স্বপ্নযোগে) এক আত্মা অপর আত্মার সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর নবী (ﷺ) স্বীয় মাথা এভাবে অবনত করলেন। তখন তিনি স্বীয় কপাল নবী (ﷺ)-এর কপালের ওপর রাখলেন।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ ও তবারানী বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ ও তবারানী বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن عمارة بن خزيمة بن ثابت ، أن أباه ، قال : رأيت في المنام كأني أسجد على جبهة النبي صلى الله عليه وسلم ، فأخبرت بذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فقال : إن الروح لتلقى الروح وأقنع النبي صلى الله عليه وسلم رأسه هكذا ، فوضع جبهته على جبهة النبي صلى الله عليه وسلم.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
৩০। উমারা ইবন উসামা ইবন সাহল ইবন হুনায়ফ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি খুযায়মা ইবন সাবিত আনসারী (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি নবী (ﷺ)-কে চুমু দিচ্ছেন। এরপর তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে তাকে এ বিষয়ে অবহিত করলেন। তখন নবী (ﷺ) তাকে কাছে টেনে নিলেন। তিনি তাঁর কপালে চুমু দিলেন।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদে বর্ণনাকারী উমারা ইবন উসমান থেকে আবূ জা'ফর খাতমী ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেন নি। এ ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। )
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদে বর্ণনাকারী উমারা ইবন উসমান থেকে আবূ জা'ফর খাতমী ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেন নি। এ ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। )
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن عمارة بن عثمان بن سهل بن حنيف ، يحدث عن خزيمة بن ثابت : أنه رأى في منامه أنه يقبل النبي صلى الله عليه وسلم ، فأتى النبي صلى الله عليه وسلم ، فأخبره بذلك ، فناوله النبي صلى الله عليه وسلم فقبل جبهته.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: স্বপ্নের ব্যাখ্যা
৩১। হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) 'ভাল স্বপ্ন' পসন্দ করতেন। অনেক সময় তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে? কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে তিনি তাকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতেন। স্বপ্নে দূষণীয় কিছু না থাকলে তিনি তা শুনে স্বপ্নদ্রষ্টার নিকট আনন্দ প্রকাশ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর এক মহিলা এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছি। সেখানে একটি বিকট শব্দ শুনলাম, যার কারণে জান্নাত পর্যন্ত কেঁপে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম যে, অমুকের ছেলে অমুক, অমুকের ছেলে অমুককে এখানে আনা হয়েছে। তাদের হিসাব করে দেখলাম যে, তারা মোট বারজন পুরুষ। (বর্ণনাকারী বলেন,) রাসুলুল্লাহ এ সময়ে একটি সেনাদল পাঠিয়ে ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বলেন, তাদেরকে উপস্থিত করা হল। তাদের পরনে ময়লাযুক্ত কাপড় ছিল এবং তাদের শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। বলা হল, তোমরা (ফেরেশতাগণ) তাদেরকে বায়দাখ অথবা বললেন, বায়দাহ নহরে নিয়ে যাও। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদেরকে তাতে প্রবেশ করানো হল। তারপর তারা সেখান হতে এমনভাবে বের হয়ে এল যে, তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় ছিল। তারপর তাদের নিকট স্বর্ণনির্মিত কয়েকটি চেয়ার আনা হল। তারা তাতে বসল। এরপর তাদের নিকট একটি পাত্র অথবা এ ধরনের কোন শব্দ বললেন- আনা হল। তাতে কাঁচা খেজুর ছিল। তারা এগুলো খেল। যখনই তারা এগুলো উল্টাত তখন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী ফল আহার করত এবং আমিও তাদের সঙ্গে আহার করলাম।
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর সেই প্রেরিত সেনাদল হতে সংবাদবাহক এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আমাদের এমন এমন ঘটনা ঘটেছে এবং অমুক অমুক নিহত হয়েছে। তিনি এভাবে বারজনের নাম বললেন; স্ত্রীলোকটি যাদের নাম বলেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, স্ত্রীলোকটিকে আমার নিকট নিয়ে উপস্থিত কর। এরপর (সে উপস্থিত হলে) তিনি বললেন, তুমি তোমার স্বপ্ন এই লোকের সামনে বর্ণনা কর। তখন সে বর্ণনা করল। বর্ণনাকারী বলেন, সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যেরূপ শুনিয়েছিল, সেরূপই বর্ণনা করল।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর সেই প্রেরিত সেনাদল হতে সংবাদবাহক এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আমাদের এমন এমন ঘটনা ঘটেছে এবং অমুক অমুক নিহত হয়েছে। তিনি এভাবে বারজনের নাম বললেন; স্ত্রীলোকটি যাদের নাম বলেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, স্ত্রীলোকটিকে আমার নিকট নিয়ে উপস্থিত কর। এরপর (সে উপস্থিত হলে) তিনি বললেন, তুমি তোমার স্বপ্ন এই লোকের সামনে বর্ণনা কর। তখন সে বর্ণনা করল। বর্ণনাকারী বলেন, সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যেরূপ শুনিয়েছিল, সেরূপই বর্ণনা করল।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب ما جاء في تأويل الرؤيا
عن أنس بن مالك (5) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم تعجبه الرؤيا الحسنة فربما قال هل رأى أحد منكم رؤيا؟ فإذا رأى الرجل رؤيا سأل عنه، فإن كان ليس به بأس كان أعجب لرؤياه إليه، قال فجاءت امرأة فقالت يا رسو الله رأيت كأني دخلت الجنة فسمعت بها وجبة (6) أرتجت لها الجنة فنظرت فإذا قد جيء بفلان بن فلان حتى عدّت اثنى عشر رجلًا، وقد بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم سرية قبل ذلك، قالت فجيء بهم عليهم ثياب طلس (7) تشخب أوداجهم، قال فقيل اذهبوا بهم إلى نهر السدخ أو قال إلى نهر البيدج، قال فغمسوا فيه فخرجوا منه وجوهم كالقمر ليلة البدر، ثم أتو بكراسي من ذهب فقعدوا عليها وأتىَ بصحفة (1) أو كلمة نحوها فيها بسرة (2) فأكلوا منها يقلبونها لشق الا أكلوا من فاكهة ما أرَادوا واكلت معهم، قال فجاء البشير من تلك السَّرِيّة فقال يا رسول الله كان من أمرنا كذا وكذا واصيب فلان وفلان حتى عدّ الاثنى عشر الذين عدتهم المرأة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم علىّ بالمرأة، قال قصى على هذا رؤياك فقصصت، قال هو كما قالت لرسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ঘুমের সময় শয়তানের তামাশা সম্বন্ধে কাউকে সংবাদ দিবে না।
৩২। জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর নিকটে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! গতরাত দেখলাম, যেরূপ ঘুমন্ত ব্যক্তি দেখে থাকে (অর্থাৎ স্বপ্ন) যেন আমার ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছে। ফলে আমার মাথা পৃথক হয়ে নীচে পড়ে যায়। এরপর আমি সেটাকে ধরে স্বস্থানে স্থাপন করলাম। (ইহা শুনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন শয়তানে তোমাদের কাউকে নিয়ে তামাশা করে, তবে সে যেন তা মানুষের নিকট বর্ণনা না করে।
(মুসলিম, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
(মুসলিম, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
كتاب تعبير الرؤيا
باب لا يخبز بتلعُّب الشيطان به في المنام
عن جابر بن عبد الله (3) قال أتى النبىَّ صلى الله عليه وسلم رجل فقال يا رسول الله رأيت البارحة فيما يرى النائم كأن عنقى ضربت فسقط رأسى فاتبعته فأخذته فأعدته مكانه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا لعب الشيطان بأحدكم (4) فلا يحدثن به الناس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ঘুমের সময় শয়তানের তামাশা সম্বন্ধে কাউকে সংবাদ দিবে না।
৩৩। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরে দেখলাম যে, এটা (মাটিতে পড়ে) গড়াগড়ি করছে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাঁসলেন। তারপর বললেন, শয়তান রাতের বেলা তোমাদের কারো নিকট এসে তাকে ভীতিকর বস্তু দেখায়। তারপর সে (স্বপ্নদ্রষ্টা) আবার ভোরবেলা মানুষের নিকট সংবাদ দেয়। (এরূপ করা উচিত নয়।)
(ইবন মাজাহ। বুসীরী (র) বলেছেন, এর সনদ সহীহ এবং ইহার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(ইবন মাজাহ। বুসীরী (র) বলেছেন, এর সনদ সহীহ এবং ইহার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب لا يخبز بتلعُّب الشيطان به في المنام
عن أبى هريرة (5) قال جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال انى رأيت رأسى ضرب فرأيته يتهدهده (6) فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال يطرق أحدكم الشيطان فيتهول له ثم يغدو يخبر الناس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ঘুমের সময় শয়তানের তামাশা সম্বন্ধে কাউকে সংবাদ দিবে না।
৩৪। আবু ইসরাঈল জুশামী (র) সূত্রে তার শায়খ আবূ জা'দা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ)-এর নিকট এক ব্যক্তির স্বপ্ন বর্ণনা করা হলে, তিনি তাকে ডেকে পাঠান। তারপর সে এসে তার ঘটনা বর্ণনা করতে লাগল। লোকটি বিশাল আকারের মেদবিশিষ্ট ছিল। সে সময় তিনি স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা তার পেটের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, যদি এটা এই স্থান ব্যতীত অন্য স্থানে হত, তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হত।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। হায়ছামী (র) বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায়নি। হায়ছামী (র) বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب لا يخبز بتلعُّب الشيطان به في المنام
عن أبى اسرائيل الجشمى (8) عن شيخ لهم يقال له أبو جعدة أن النبي صلى الله عليه وسلم رأى لرجل رؤيا، قال فبعث إليه فجاء فجعل يقصها عليه وكان الرجل عظيم البطن فجعل يقول بإصبعه في بطنه لو كان هذا في غير هذا لكان خيرا لك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ঘুমের সময় শয়তানের তামাশা সম্বন্ধে কাউকে সংবাদ দিবে না।
৩৫। আবু ইসরাঈল (র)-এর আযাদকৃত দাস জা'দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে দেখেছি যে, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট একটি স্বপ্ন বর্ণনা করল এবং তার স্থূলতা ও মেদ বাহুল্যের বিষয়টি ব্যক্ত করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, যদি এটা এই স্থান ব্যতীত অন্য স্থানে হত, তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হত।
দ্বিতীয় সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট শুনেছি, তিনি ভারি মেদবিশিষ্ট একলোককে দেখলেন। নবী (ﷺ) স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা তার পেটের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, যদি এটা এই স্থান ব্যতীত অন্য স্থানে হত, তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হত।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
দ্বিতীয় সূত্রে তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট শুনেছি, তিনি ভারি মেদবিশিষ্ট একলোককে দেখলেন। নবী (ﷺ) স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা তার পেটের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, যদি এটা এই স্থান ব্যতীত অন্য স্থানে হত, তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হত।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب لا يخبز بتلعُّب الشيطان به في المنام
عن جعدة مولى ابى اسرائيل (10) قال رأست رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجل يقص عليه رؤيا وذكر سمنه وعظمه (1) فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كان هذا في غير هذا لكان خيرا لك (وعنه من طريق ثان) (2) قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم ورأى رجلا سمينا فجعل النبي صلى الله عليه وسلم يومئ إلى بطنه بيده ويقول لو كان هذا في غير هذا المكان لكان خيرا لك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী (ﷺ)-এর স্বপ্ন।
৩৬। উবায়দুল্লাহ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্বপ্ন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যা তিনি বর্ণনা করেছেন। ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, একদা আমি ঘুমন্ত থাকাকালে দেখলাম যে, আমার দু'হাতে স্বর্ণের দু'টি কংকন রাখা হয়েছে। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম (কেননা, স্বর্ণ ব্যবহার করা পুরুষের জন্য হারাম) এবং এগুলোকে ঘৃণা করলাম। তখন আমাকে নির্দেশ দেওয়া হলে আমি এ দু'টোকে ফুঁৎকার দিলাম। এরপর এগুলো উড়ে গেল। আমি এ এই দু'টির ব্যাখ্যা করলাম যে, দু'জন মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার বের হবে। বর্ণনাকারী উবায়দুল্লাহ (র) বলেন, তাদের একজন হল, আনাসী, যাকে ইয়ামানে ফাযরূয হত্যা করেছেন। আর অপরজন হল মুসায়লামা।
(বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
(বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
كتاب تعبير الرؤيا
باب رُؤى النبي صلى الله عليه وسلم
عن عبيد الله (3) قال سألت عبد الله بن عباس رضي الله عنهما عن رؤيا رسول الله صلى الله عليه وسلم التي ذكر: فقال ابن عباس ذكر لي رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بينما أنا نائم رأيت أنه وضع في يَديّ سِواران من ذهب ففظِعتهما (4) فكرهتهما وأذن لي فنفختهما فطارا فأوّلتهما كذابين يخرجان، قال عبيد الله أحدهما العلمي (5) الذي قلته فيروز باليمن والآخر مسيلمة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী (ﷺ)-এর স্বপ্ন।
৩৭। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদা আমি ঘুমন্ত ছিলাম। সে সময় দেখলাম যে, পৃথিবীর সকল ধন-ভাণ্ডার আমাকে দান করা হয়েছে। এরপর আমার দু'হাতে দু'টি সোনার কংকন রাখা হল। তখন এগুলো আমার নিকট ভারী মনে হল এবং এগুলো আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল। এরপর আমার নিকট ওহী অবতীর্ণ হল যে, আপনি দু'টোকে ফুঁৎকার দিন। এরপর আমি ফুঁৎকার দিলে। এগুলো দূর হয়ে গেল। তারপর আমি এ দু'টোর ব্যাখ্যা করলাম যে, তারা হল দু'জন মিথ্যা নবী (ﷺ)। যাদের মাঝে আমি রয়েছি। একজন হল, সান'আ অধিবাসী আর অপরজন হল ইয়ামামার অধিবাসী।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও অন্যান্য)
كتاب تعبير الرؤيا
باب رُؤى النبي صلى الله عليه وسلم
عن أبي هريرة (7) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بينما أنا نائم أوتيت بخزائن الأرض (8) فوضع في يديّ سواران من ذهب فكبُرا عليّ، وأهمّاني فأوحى إليّ أن انفخهما (9) فنفختهما فذهبا فأولتهما الكذابَين اللذين أنا بينهما صاحب صنعاء (10) وصاحب اليمامة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী (ﷺ)-এর স্বপ্ন।
৩৮। আবূ সা'ঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب رُؤى النبي صلى الله عليه وسلم
عن أبي سعيد الخدري (11) عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী (ﷺ)-এর স্বপ্ন।
৩৯। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যেরূপ দেখে সেরূপ নবী (ﷺ) দেখলেন যে, তাঁর নিকট দু'জন ফেরেশতা আসলেন। তাদের একজন তাঁর পদদ্বয়ের নিকট বসলেন আর অপরজন তাঁর মাথার নিকট বসলেন। যিনি পায়ের নিকট বসলেন তিনি মাথার নিকট উপবিষ্টজনকে বললেন, এই নবী (ﷺ) এবং তাঁর উম্মতের একটি উদাহরণ বর্ণনা করুন। সে ফেরেশতা বললেন, তাঁর এবং তাঁর উম্মতের উদাহরণ হল এমন এক সম্প্রদায়ের ন্যায়, যারা (সফর করে) এক বিশাল জনশূন্য প্রান্তরের কিনারায় পৌঁছল। কিন্তু তাদের নিকট এই পরিমাণ পাথেয় নেই যে, তারা এর দ্বারা মরুপ্রান্তর অতিক্রম করতে পারবে অথবা সেখান হতে ফিরে আসতে পারবে। যখন তারা এই দুরাবস্থার শিকার তখন তাদের নিকট ইয়ামানী পোশাক পরিহিত একলোক এসে বলল, তোমরা ভেবে দেখ যে, যদি আমি তোমাদেরকে সবুজ-শ্যামল, বাগ-বাগিচা এবং নয়নাভিরাম চৌবাচ্চাসমূহে নিয়ে যেতে চাই তবে কি তোমরা আমার অনুসরণ করবে? তারা বলল, হ্যাঁ। ফেরেশতা বলেন, এরপর সে তাদেরকে নিয়ে চলল এবং সবুজ-শ্যামল, বাগ-বাগিচা এবং নয়নাভিরাম চৌবাচ্চাসমূহে পৌঁছে দিল। তারপর তারা (সেখানে তৃপ্তিসহকারে) পানাহার করে মোটা হয়ে গেল। এরপর সে লোক বলল, আমি কি তোমাদের সঙ্গে ঐ দুঃসময়ে মিলিত হই নি? তখন তোমরা আমাকে কথা দিয়েছিলে যে, যদি আমি তোমাদেরকে সবুজ- শ্যামল, বাগ-বাগিচা এবং নয়নাভিরাম চৌবাচ্চাসমূহে নিয়ে যাই তবে তোমরা আমরা অনুগামী হবে। লোকেরা বলল, হ্যাঁ। সে বলল, তবে শোন! তোমাদের সামনে এর চেয়ে অধিক সবুজ-শ্যামল, বাগ- বাগিচা ও নয়নাভিরাম চৌবাচ্চা রয়েছে। সুতরাং তোমরা আমার সঙ্গে সেখানে চল। ফেরেশতা বলেন, তখন তাদের মধ্যে একদল বলল, সে সত্যই বলেছে, আল্লাহর শপথ। আমরা তার অনুগামী হবো আর একদল বলল, আমরা এটার ওপরই সন্তুষ্ট; এখানেই আমরা অবস্থান করবো।
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ, তবারানী, বাযযার বর্ণনা করেছেন। এর সনদ হাসান।)
(হাদীসটি হায়ছামী (র) বর্ণনা করে বলেছেন, এটা আহমাদ, তবারানী, বাযযার বর্ণনা করেছেন। এর সনদ হাসান।)
كتاب تعبير الرؤيا
باب رُؤى النبي صلى الله عليه وسلم
عن ابن عباس (1) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أتاه فيما يرى النائم ملكان فقعد أحدهما عند رجليه والآخر عند رأسه فقال الذي عند رجليه للذي عند رأسه اضرب مثل هذا ومثل أمته فقال إن مثَله ومثَل أمته كمثل قوم سَفْر انتهوْا إلى رأس مفازة (2) فلم يكن معهم من الزاد ما يقطعون به المفازة ولا ما يرجعون به، فبينما هم كذلك إذ أتاهم رجل في حُلة حَبرة (3) فقال أرأيتم أن وردت بكم رياضا معشبة وحياضا رٌواءا (4) أتتبعوني؟ فقالوا نعم قال فانَطلق بهم فأوردهم رياضا معشبة وحياضا رُواءا فأكلوا وشربوا وسمنوا، فقال لهم ألم ألقكم على تلك الحال فجعلتم لي إن وردت بكم رياضا معشبة وحياضا رُواءا أن تتبعوني؟ فقالوا بلى: قال فإن بين أيديكم رياضا أعشب من هذه وحياضا أروى من هذه فاتبعوني، قال فقالت طائفة صدق والله لنتبعنه، وقالت طائفة قد رضينا بهذا نقيم عليه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
স্বপ্নের ব্যাখ্যা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: নবী (ﷺ)-এর স্বপ্ন।
৪০। হামযা ইবন আবদিল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে তার পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বাসূলুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, একদা আমি ঘুমন্ত ছিলাম। সে সময় আমি দেখলাম যে, আমাকে একটি দুধের পেয়ালা দেওয়া হয়েছে। আমি তা পান করলাম। পরে আমার নখ হতে দুধ বের হতে লাগল। তারপর যা অবশিষ্ট থাকল তা আমি উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে দিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনি এটা কী ব্যাখ্যা করেছেন? তিনি বললেন, ইলম।
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
(বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
كتاب تعبير الرؤيا
باب رُؤى النبي صلى الله عليه وسلم
عن حمزة بن عبد الله بن عمر عن أبيه (5) قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول أتيت وأنا نائم بقدح من لبن فشربت منه حتى جعل اللبن يخرج من أظفاري، ثم ناولت فضلي عمر بن الخطاب، فقال يا رسول الله فما أوّلته قال العلم
তাহকীক: