মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني
শিকার ও যবাহ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪২ টি
হাদীস নং: ২১
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যবাহ এবং এর অত্যাবশ্যকীয় ও মুস্তাহাব বিষয়াবলী
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
২১। ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার পিতাকে গালি দেয় সে অভিশপ্ত, যে ব্যক্তি তার মাকে গালি দেয় সে অভিশপ্ত, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু যবাহ করে সে অভিশপ্ত।
(হাদীসটি 'গালি-গালাজ ও অভিশম্পাত করা' অধ্যায়ে বর্ণিত হবে।)
(হাদীসটি 'গালি-গালাজ ও অভিশম্পাত করা' অধ্যায়ে বর্ণিত হবে।)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الذبح وما يجب له وما يستحب
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
عن ابن عباس (1) قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ملعون من سب أباه ملعون من سب أمه ملعون من ذبح لغير الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যবাহ এবং এর অত্যাবশ্যকীয় ও মুস্তাহাব বিষয়াবলী
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
২২। আবু তুফায়ল (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আলী (রা)-কে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে গোপনে যা বলেছেন তা হতে আমাদেরকে কিছু সংবাদ দিন। তিনি বললেন, মানুষের নিকট গোপন রেখেছেন এমন কিছুই তিনি আমাকে গোপনে বলেন নি। তবে আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু যবাহ করে আল্লাহ তার ওপর লা'নত করেন। যে ব্যক্তি কোন অপরাধীকে আশ্রয় দেয় আল্লাহ তাকে লা'নত করেন। যে ব্যক্তি তার স্বীয় পিতামাকে লা'নত করে আল্লাহ তাকে লা'নত করেন। যে ব্যক্তি জমির সীমানা পরিবর্তন করে আল্লাহ তাকে লা'নত করেন।
(মুসলিম, নাসাঈ)
(মুসলিম, নাসাঈ)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الذبح وما يجب له وما يستحب
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
عن أبي الطفيل (2) قال قلنا لعلي رضي الله عنه أخبرنا بشيء أسره إليك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ما أسره إلى شيئا كتمه الناس ولكن سمعته يقول لعن الله من ذبح لغير الله ولعن الله من آوى محدثا (3) ولعن الله من لعن والديه (4) ولعن الله من غير تخوم (5) الأرض يعني المنار
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যবাহ এবং এর অত্যাবশ্যকীয় ও মুস্তাহাব বিষয়াবলী
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
২৩। সালিম (র) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, একদা তিনি যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়ল-এর সঙ্গে বালদাহ নামক স্থানের পাদদেশে সাক্ষাত করেন। এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নিকট গোশত ভর্তি একটি খাবার পাত্র পেশ করলেন। কিন্তু সে তা খেতে অস্বীকার করল। তারপর বলল, তোমরা (তোমাদের মূর্তির নামে) নির্ধারিত পাথরে যা যবাহ কর আমি তা খাই না এবং যে পশু যবাহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে আমি কেবল সে পশুই খাই। এটা আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন।
(বুখারী, নাসাঈ)
(বুখারী, নাসাঈ)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الذبح وما يجب له وما يستحب
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
عن سالم (6) أنه سمع عبد الله (يعني ابن عمر) يحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه لقى زيد بن عمر بن نفيل بأسفل بلدح (7) وذلك قبل أن ينزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم الوحي فقدم (8) إليه رسول الله صلى الله عليه وسلم سفرة (9) فيها لحم فأبي أن يأكل منها، ثم قال إني لا آكل ما تذبحون على أنصابكم (1) ولا آكل إلا مما ذكر اسم الله عليه (2) حدث هذا عبد الله بن عمر عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ যবাহ এবং এর অত্যাবশ্যকীয় ও মুস্তাহাব বিষয়াবলী
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
পরিচ্ছেদ: 'বিসমিল্লাহ' বলা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাহ করা।
২৪। আদী ইবন হাতিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে শিকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যা আমি শিকার করে থাকি। তিনি বললেন, তোমরা যা দ্বারা ইচ্ছা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে রক্ত প্রবাহিত কর এবং খাও।
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম, ইবন হিব্বান। হাকিম (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী (র) তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আবু দাউদ (র) ও মুনযিরী (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
(আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ, হাকিম, ইবন হিব্বান। হাকিম (র) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী (র) তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আবু দাউদ (র) ও মুনযিরী (র) এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করেননি।)
كتاب الصيد والذبائح
أبواب الذبح وما يجب له وما يستحب
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
باب ما جاء في التسمية والذبح لغير الله
عن عدى بن حاتم (3) قال سالت النبى صلى الله عليه وسلم عن الصيد أصيده (4) قال أنهروا الدم (5) بما شئتم واذكروا اسم الله (6) وكلوا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যবাহর পশুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা, দ্রুত যবাহ করা, ছুরি ধার দেওয়া এবং দুধেল ও বাচ্চাবিশিষ্ট পশু যবাহ না করা।
২৫। শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে দু'টি কথা মুখস্থ রেখেছি। আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক বস্তুর ওপর ইহসান করা ফরয করেছেন। সুতরাং যখন তোমরা কাউকে হত্যা করবে, তখন উত্তম পন্থায় হত্যা করবে। আর যখন তোমরা কোন কিছু যবাহ করবে, তখন উত্তম পন্থায় যবাহ করবে। তোমাদের প্রত্যেকে যেন স্বীয় ছুরি ধার দেয় এবং যবাহকৃত পশুকে ঠাণ্ডা হতে দেয়।
(মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
(মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب الصيد والذبائح
باب الرفق بالذبيحة والإجهاز عليها وحد الشفرة وترك ذات الدَّر والنسل
عن شداد بن أوس (7) قال ثنتان حفظتهما عن رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله عز وجل كتب الإحسان على كل شئ فإذا قتلتم فأحسنوا القتلة (8) وإذا ذبحتم فأحسنوا الذبح (9) وليحد أحدكم شفرته وليرح ذبيحته
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যবাহর পশুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা, দ্রুত যবাহ করা, ছুরি ধার দেওয়া এবং দুধেল ও বাচ্চাবিশিষ্ট পশু যবাহ না করা।
২৬। সালিম ইবন আবদিল্লাহ (র) সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছুরি ধার করার জন্য এবং তা পশু হতে লুকিয়ে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ যবাহ করে সে যেন তাড়াতাড়ি করে।
(ইবন মাজাহ। হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ইবন লাহী'আ বিতর্কিত।)
(ইবন মাজাহ। হাদীসটির সূত্রে বর্ণনাকারী ইবন লাহী'আ বিতর্কিত।)
كتاب الصيد والذبائح
باب الرفق بالذبيحة والإجهاز عليها وحد الشفرة وترك ذات الدَّر والنسل
عن سالم بن عبد الله عن أبيه (11) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمر بحد الشفار وأن توارى عن البهائم (12) وإذا ذبح أحدكم فليجهز
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যবাহর পশুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা, দ্রুত যবাহ করা, ছুরি ধার দেওয়া এবং দুধেল ও বাচ্চাবিশিষ্ট পশু যবাহ না করা।
২৭। আবদুল্লাহ ইবন 'আমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন চড়ুইকে তার হক আদায় না করে যবাহ করে আল্লাহ তা'আলা তাকে এ সম্বন্ধে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করবেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তার হক কী? তিনি বললেন, তাকে উত্তমরূপে যবাহ করবে এবং তাকে ঘাড়ে ধরে কেটে ফেলবে না।
(নাসাঈ। হাদীসটির সনদ হাসান।)
(নাসাঈ। হাদীসটির সনদ হাসান।)
كتاب الصيد والذبائح
باب الرفق بالذبيحة والإجهاز عليها وحد الشفرة وترك ذات الدَّر والنسل
عن عبد الله بن عمرو (1) أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال منذ بح عصفوراً بغير حقه سأله الله عز وجل عنه يوم القيامة، قيل وما حقه؟ قال يذبحه ذبحاً ولا يأخذ بعنقه فيقطعه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যবাহর পশুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা, দ্রুত যবাহ করা, ছুরি ধার দেওয়া এবং দুধেল ও বাচ্চাবিশিষ্ট পশু যবাহ না করা।
২৮। মু'আবিয়া ইবন কুররা (র) সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! নিশ্চয় আমি বকরী যবাহ করাকালে তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করি। তিনি বললেন, যদি তুমি বকরীর ওপর দয়া কর তবে আল্লাহ তোমার ওপর দয়া করবেন।
(বাযযার, তবারানী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(বাযযার, তবারানী। হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصيد والذبائح
باب الرفق بالذبيحة والإجهاز عليها وحد الشفرة وترك ذات الدَّر والنسل
عن معاوية بن قرة عن أبيه (2) أن رجلاً قال يا رسول الله أنى لأذبح الشاة وأنا أرحمها (3) أو قال إنى لأرحم الشاة أن أذبحها، فقال والشاة إن رحمتها يرحمك الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যবাহর পশুর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করা, দ্রুত যবাহ করা, ছুরি ধার দেওয়া এবং দুধেল ও বাচ্চাবিশিষ্ট পশু যবাহ না করা।
২৯। জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট আসলে আমি একটি ছাগল যবাহ করার জন্য তার দিকে ছুটে গেলাম। তখন সে চিৎকার করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার চিৎকার শুনে বললেন, হে জাবির, দুগ্ধবতী এবং গর্ভবতী ছাগল যবাহ কর না। এরপর জাবির (রা) বললেন, ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ, এটা অল্প বয়স্ক। এটাকে আমি কাঁচা এবং পাকা খেজুর খাইয়েছি। এর ফলে সে মোটা হয়ে গেছে।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদ উত্তম।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। এর সনদ উত্তম।)
كتاب الصيد والذبائح
باب الرفق بالذبيحة والإجهاز عليها وحد الشفرة وترك ذات الدَّر والنسل
عن جابر بن عبد الله (4) قال دخل علىّ رسول الله صلى الله عليه وسلم فعمدت إلى عنز لأذبحها قبعث فسمع ثغوتها، فقال يا جابر لا تقطع درّا ولا نسلاً (5) فقال يا نبى الله إنما هى عتودة (6) علفتها البلح والرطبة حتى سمنت
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩০। ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা কা'ব ইবন মালিকের বংশের ছাগল সালা' নামক স্থানে চড়াত। একদা একটি বকরীর ব্যাপারে তার আশংকা হল সেটি মারা যাবে। তখন সে সেটাকে ধারালো পাথর দ্বারা যবাহ করল। নবী (ﷺ)-এর নিকট এটা বলা হলে তিনি তাদেরকে তা খেতে নির্দেশ দিলেন।
(বাযযার, তবারানী। আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(বাযযার, তবারানী। আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن ابن عمر (7) أن امرأة كانت ترعى على آل كعب بن مالك غنماً بسلع (8) فخافت على شاة منها الموت فذبحتها بحجر (9) فذكر ذلك للنبى صلى الله عليه وسلم فأمرهم بأكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩১। ইবন কা'ব ইবন মালিক (র) থেকে বর্ণিত যে, কা'ব (রা)-এর এক দাসী সালা' নামক স্থানে তার ছাগলগুলো চড়াত। একদা এক বকরীর ওপর নেকড়ে বাঘ আক্রমণ করল। কিন্তু দাসী তাকে পেয়ে ধারালো পাথর দ্বারা যবাহ করল। এরপর কা'ব ইবন মালিক (রা) নবী (ﷺ)-কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে তা খেতে নির্দেশ দিলেন।
(বুখারী ও অন্যান্য)
(বুখারী ও অন্যান্য)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن ابن كعب بن مالك (10) أن جارية لكعب كانت ترعى غنماً له بسلع فعدا الذئب على شاة من شأنها فأدركتها الراعية فذكتها بمروة (11) فسأل كعب بن مالك للنبى صلى الله عليه وسلم فأمره بأكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩২। রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আগামীকাল শত্রুর সম্মুখীন হব। তখন আমাদের সঙ্গে ছুরি থাকবে না। (তখন আমরা কীভাবে পশু যবাহ করব?) তিনি বললেন, যা রক্ত প্রবাহিত করে এবং যাকে আল্লাহর নাম নিয়ে যবাহ করা হয় তা খাবে। তবে দাঁত এবং নখ দ্বারা যা যবাহ করা হয় তা খাবে না। আমি তোমাদের নিকট এর কারণ বর্ণনা করছি। দাঁত হল একটি হাড় আর নখ হল হাবশীদের ছুরি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)(সে যুদ্ধে) গনীমত পেলেন। এর মধ্য হতে একটি উট ছুটে গেল লোকেরা (তার পিছনে) দৌড়াল। কিন্তু তারা তাকে ধরতে সক্ষম হল না। শেষে তাদের মধ্য হতে একলোক তীর নিক্ষেপ করে সেটাকে আটক করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এসব উটের মধ্যেও বন্য পশুর ন্যায় পলায়নের স্বভাব আছে। অতএব কোন উট পালিয়ে গেলে যদি তোমরা তাকে ধরতে না পার তবে তোমরা তার সাথে এরূপ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমত বণ্টনের ক্ষেত্রে একটি উটের পরিবর্তে দশটি বকরী রাখতেন।
(বুখারী, মুসলিম ও ইমাম চতুষ্টয়)
(বুখারী, মুসলিম ও ইমাম চতুষ্টয়)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن رافع بن خديج (12) أنه قال يا رسول الله إنا لاقوا العدو غداً وليس معنا مدى (1) قال ما أنهر الدم وذكر اسم الله عليه فكل، ليس السن والظُّفر (2) وسأحدثك، أما السن فعظم (3) وأما الظفر فمدى الحبشة (4) وأصاب رسول الله صلى الله عليه وسلم نهبا (5) فندّ بعير منها فسعوا فلم يستطيعوه فرماه رجل من القوم بسهم فحبسه (6) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أن لهذه الإبل أو النِّعم أو أبد (7) كأوابد الوحش: فإذا غلبكم شئ منها فاصنعوا به هكذا قال وكان النبى صلى الله عليه وسلم يجعل في قسم الغنائم عشراً من الشاء ببعير
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩৩। জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ)-এর নিকট বনূ সালামা-এর এক যুবক এসে বলল, আমি একটি খরগোশ পেয়ে তাকে আঘাত করলাম। সে সময় আমার নিকট যবাহ করার মত কোন লৌহদ্রব্য ছিল। আমি সেটাকে ধারালো পাথর দ্বারা যবাহ করলাম। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি এটা খেতে পারবে।
(তিরমিযী, বায়হাকী। হাদীসটির সূত্র ভাল।)
(তিরমিযী, বায়হাকী। হাদীসটির সূত্র ভাল।)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن جابر بن عبد الله (9) قال أتى النبى صلى الله عليه وسلم فتى شاب من بنى سلمة فقال إنى رأيت أرنباً فخذفتها ولم تكن معى حديدة أذكيها بها وإنى ذكيتها بمروة، فقال له النبى صلى الله عليه وسلم كل
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩৪। মুহাম্মাদ ইবন সাফওয়ান (র) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি দু'টি খরগোশ শিকার করলেন। কিন্তু এগুলো যবাহ করার জন্য কোন লৌহদ্রব্য পেলেন না। শেষে তিনি ধারালো পাথর দ্বারা এ দু'টিকে যবাহ করেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসলে তিনি তাকে তা খেতে নির্দেশ দেন।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
(আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজাহ)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن محمد بن صفوان (10) أنه صاد أرنبين فلم يجد حديدة يذبحهما بها فذبحهما بمروة، فأتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأمره بأكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩৫। যায়দ ইবন সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত যে, একটি নেকড়ে একটি বকরীর গায়ে দাঁত বসাল। তখন লোকেরা একটি ধারালো পাথর দ্বারা তা যবাহ করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এটা খাওয়ার জন্য অনুমতি দিলেন।
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির সূত্র হাসান।)
(নাসাঈ, ইবন মাজাহ, বায়হাকী। হাদীসটির সূত্র হাসান।)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن زيد بن ثابت (11) أن ذئباً نيِّب (12) في شاة فذبحوها بمروة فرخص النبى صلى الله عليه وسلم في أكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩৬। সাফীনা (র) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি ধারালো কাষ্ঠখণ্ড দ্বারা তার উটনী যবাহ করল। এরপর নবী (ﷺ) -এর নিকট এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদেরকে এটা খাওয়ার অনুমতি দিলেন।
(বাযযার। হায়ছামী (র) বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে এটা ইয়াহয়া ইবন কাসীর (র) সাফীনা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। )
(বাযযার। হায়ছামী (র) বলেছেন, আহমাদ (র)-এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে এটা ইয়াহয়া ইবন কাসীর (র) সাফীনা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন। )
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن سفينة (1) أن رجلاً أشاط ناقته (2) بجذل فسأل النبى صلى الله عليه وسلم فأمرهم بأكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: যে সব বস্তু দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় সেগুলো দ্বারা যবাহ করা বৈধ। তবে দাঁত ও নখ ব্যতিক্রম। পলাতক উটের বিধান।
৩৭। আতা ইবন ইয়াসার (রা) বনু হারিসার জনৈক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি তার উটনীর বুকে কীলক দ্বারা আঘাত করল। তখন সে এটা হাতছাড়া হওয়ার আশংকা করেছিল। এরপর সে নবী (ﷺ) এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে এবং লোকদেরকে এটা খাওয়ার নির্দেশ দিলেন।
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। ইহার সূত্র উত্তম।)
(হাদীসটি অন্যত্র পাওয়া যায় নি। ইহার সূত্র উত্তম।)
كتاب الصيد والذبائح
باب جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إلا السن والظُّفر وما يفعل بالبعير الناد
عن عطاء بن يسار (4) عن رجل من بنى حارثة أن رجلاً وجأ ناقة (5) في لبتها بوتد وخشى أن تفوته (6) فسأل النبى صلى الله عليه وسلم فأمره وأمرهم بأكلها
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া পশু, পলায়নপর পশু এবং গর্ভস্থ বাচ্চা যবাহ করার বিধান।
৩৮। আবুল ওশারা (র) সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! কণ্ঠনালী এবং লাব্বা (বুকের হাড়)-এর মধ্যবর্তী অংশ ব্যতীত অন্য কোথাও যবাহ হয় না? তিনি বললেন, যদি তুমি তার উরুতেও আঘাত কর তবে তাই তোমার জন্য যথেষ্ট।
(ইমামচতুষ্টয় ও বায়হাকী। খাত্তাবী (র) বলেছেন, হাদীসটিকে দুর্বল বলা হয়েছে। কেননা, এর সকল বর্ণাকারী অজ্ঞাত। আবু উশারা-এর পিতা কে তা জানা যায়নি।)
(ইমামচতুষ্টয় ও বায়হাকী। খাত্তাবী (র) বলেছেন, হাদীসটিকে দুর্বল বলা হয়েছে। কেননা, এর সকল বর্ণাকারী অজ্ঞাত। আবু উশারা-এর পিতা কে তা জানা যায়নি।)
كتاب الصيد والذبائح
باب ذكاة المتردية والنافرة والجنين في بطن أمه
عن أبى العشراء (7) عن ابيه قال قلت يا رسول الله أما تكون الذكاة إلا في الحلق واللبة؟ قال لو طعنت في فخذها (8) لأجزأك
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া পশু, পলায়নপর পশু এবং গর্ভস্থ বাচ্চা যবাহ করার বিধান।
৩৯। রাফি' ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (যুদ্ধে) গনীমত পেলেন। এর মধ্য হতে একটি উট ছুটে গেলে লোকেরা (তার পিছনে) দৌঁড়াল। কিন্তু তারা তাকে ধরতে সক্ষম হল না। তারপর তাদের মধ্য হতে একলোক তীর নিক্ষেপ করে সেটাকে আটক করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এসব উটের মধ্যেও বন্য পশুর ন্যায় পলায়নের স্বভাব আছে। অতএব কোন উট পালিয়ে গেলে যদি তোমরা তাকে ধরতে না পার তবে তোমরা তার প্রতি এরূপ করবে।
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্টয়)
(বুখারী, মুসলিম ও ইমামচতুষ্টয়)
كتاب الصيد والذبائح
باب ذكاة المتردية والنافرة والجنين في بطن أمه
عن رافع بن خديج (9) قال أصاب رسول الله صلى الله عليه وسلم نهباً فندَّ بعير منها فسعوا فلم يستطيعوه، فرماه رجل من القوم بسهم فحبسه، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أن لهذه الإبل أو النِّعم أوابد كأوابد الوحش فغذا غلبكم شئ منها فاصنعوا به هكذا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০
শিকার ও যবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া পশু, পলায়নপর পশু এবং গর্ভস্থ বাচ্চা যবাহ করার বিধান।
৪০। আবু সা'ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উটনী, গাভী অথবা বকরীর গর্ভস্থ বাচ্চা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এটা খেতে পার। কেননা, তার মায়ের যবাহই তার যবাহ।
দ্বিতীয় সূত্রে তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মায়ের যবাহই গর্ভস্থ বাচ্চার যবাহ।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান, হাকিম। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। ইবন হিব্বান (র) ও ইবন দাকীকুল ঈদ (র) সহীহ বলেছেন।)
দ্বিতীয় সূত্রে তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মায়ের যবাহই গর্ভস্থ বাচ্চার যবাহ।
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, ইবন হিব্বান, হাকিম। তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। ইবন হিব্বান (র) ও ইবন দাকীকুল ঈদ (র) সহীহ বলেছেন।)
كتاب الصيد والذبائح
باب ذكاة المتردية والنافرة والجنين في بطن أمه
عن أبى سعيد الخدرى (10) قال سألنا رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم عن الجنين يكون في بطن الناقة أو البقرة أو الشاة فقال كلوه إن شئتم فإن ذكاته ذكاة أمه (وعنه من طريق ثان) (1) عن النبى صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم قال ذكاة الجنين ذكاة أمه
তাহকীক: