রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين
৩. আহার-পানীয় গ্রহণের আদব - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫১ টি
হাদীস নং: ৭৬৭
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৫ দাঁড়িয়ে পান করার বৈধতা ও বসে পান করার উৎকৃষ্টতা
হাদীছ নং: ৭৬৭
নাযযাল ইবন সাবরাহ রহ. বলেন, আলী রাযি. রাহবার দরজায় আসলেন। তারপর দাঁড়িয়ে পান করলেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি, যেরূপ তোমরা আমাকে করতে দেখলে। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৬১৫; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭১৮; সুনানে নাসাঈ ১৩০; মুসনাদুল বাযযার: ৭৩৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬৪৭; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৩০৯)
নাযযাল ইবন সাবরাহ রহ. বলেন, আলী রাযি. রাহবার দরজায় আসলেন। তারপর দাঁড়িয়ে পান করলেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি, যেরূপ তোমরা আমাকে করতে দেখলে। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৬১৫; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭১৮; সুনানে নাসাঈ ১৩০; মুসনাদুল বাযযার: ৭৩৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬৪৭; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৩০৯)
كتاب أدب الطعام
باب بيان جواز الشرب قائمًا وبيان أنَّ الأكمل والأفضل الشرب قاعدًا
767 - وعن النَّزَّالِ بن سَبْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: أَتَى عَلِيٌّ - رضي الله عنه - بَابَ الرَّحْبَةِ، فَشَربَ قائِمًا، وقال: إنِّي رَأَيْتُ رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - فَعَلَ كما رَأَيْتُمُوني فَعَلْتُ. رواه البخاري. (1)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৮
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৫ দাঁড়িয়ে পান করার বৈধতা ও বসে পান করার উৎকৃষ্টতা
হাদীছ নং: ৭৬৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় হাঁটতে হাঁটতে আহার করতাম এবং দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করতাম। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৮১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১১৫; মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৬৪; সুনানে দারিমী: ২১৭১; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার ৬৮৫০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২৪৩; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৫৮৬)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় হাঁটতে হাঁটতে আহার করতাম এবং দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করতাম। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৮১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১১৫; মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৬৪; সুনানে দারিমী: ২১৭১; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার ৬৮৫০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২৪৩; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৫৮৬)
كتاب أدب الطعام
باب بيان جواز الشرب قائمًا وبيان أنَّ الأكمل والأفضل الشرب قاعدًا
768 - وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قَالَ: كُنَّا عَلَى عهدِ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - نَأكُلُ وَنَحْنُ نَمْشِي، وَنَشْرَبُ ونَحْنُ قِيامٌ. رواه الترمذي (1)، وقال: «حديث حسن صحيح».
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৯
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৫ দাঁড়িয়ে পান করার বৈধতা ও বসে পান করার উৎকৃষ্টতা
হাদীছ নং: ৭৬৯
আমর ইবন শু'আয়ব রহ. তাঁর পিতার সূত্রে দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে ও বসে পান করতে দেখেছি। -তিরমিযী
(জামে তিরমিযী: ১৮৮৩; সুনানে নাসাঈ ১৩৬১; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৪৪৯০; মুসনাদে আহমাদ: ৬৯২৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ১২১৩: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪৮)
আমর ইবন শু'আয়ব রহ. তাঁর পিতার সূত্রে দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে ও বসে পান করতে দেখেছি। -তিরমিযী
(জামে তিরমিযী: ১৮৮৩; সুনানে নাসাঈ ১৩৬১; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৪৪৯০; মুসনাদে আহমাদ: ৬৯২৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ১২১৩: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪৮)
كتاب أدب الطعام
باب بيان جواز الشرب قائمًا وبيان أنَّ الأكمل والأفضل الشرب قاعدًا
769 - وعن عمرو بن شعيب، عن أبيه، عن جَدِّهِ - رضي الله عنه - قَالَ: رأيتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يَشْرَبُ قَائِمًا وقَاعِدًا. رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح». (1)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭০
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৫ দাঁড়িয়ে পান করার বৈধতা ও বসে পান করার উৎকৃষ্টতা
হাদীছ নং: ৭৭০
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদা রহ. বলেন, আমরা হযরত আনাস রাযি.-কে জিজ্ঞেস করলাম, তবে আহার করা? তিনি বললেন, সেটা অধিকতর মন্দ। অথবা বললেন, অধিকতর নিকৃষ্ট। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২৪; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭১৭; জামে তিরমিযী: ১৮৭৯; সুনানে ইবন মাজাহ ৩৪২৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ২১২৯; মুসনাদুল বাযযার: ৭০৬৭; মুসনাদে আবু ইয়া'লা ৩১৬৫; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ২১২৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪৫; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩২১)
মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পান করতে তিরস্কারের সঙ্গে মানা করেছেন।
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদা রহ. বলেন, আমরা হযরত আনাস রাযি.-কে জিজ্ঞেস করলাম, তবে আহার করা? তিনি বললেন, সেটা অধিকতর মন্দ। অথবা বললেন, অধিকতর নিকৃষ্ট। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২৪; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭১৭; জামে তিরমিযী: ১৮৭৯; সুনানে ইবন মাজাহ ৩৪২৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ২১২৯; মুসনাদুল বাযযার: ৭০৬৭; মুসনাদে আবু ইয়া'লা ৩১৬৫; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ২১২৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩০৪৫; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩২১)
মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পান করতে তিরস্কারের সঙ্গে মানা করেছেন।
كتاب أدب الطعام
باب بيان جواز الشرب قائمًا وبيان أنَّ الأكمل والأفضل الشرب قاعدًا
770 - وعن أنس - رضي الله عنه - عن النبيِّ - صلى الله عليه وسلم: أنه نَهى أن يَشْرَبَ الرَّجُلُ قَائِمًا. قَالَ قتادة: فَقُلْنَا لأَنَسٍ: فالأَكْلُ؟ قَالَ: ذَلِكَ أَشَرُّ - أَوْ أخْبَثُ. رواه مسلم. (1) وفي رواية لَهُ: أنَّ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - زَجَرَ عَن الشُّرْب قائِمًا.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭১
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৫ দাঁড়িয়ে পান করার বৈধতা ও বসে পান করার উৎকৃষ্টতা
হাদীছ নং: ৭৭১
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে গেলে সে যেন বমি করে দেয়। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২৬; মুসনাদে আহমাদ: ৭৭৯৬; মুসনাদুল বাযযার: ৮৮১২; বায়হাকী আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৪১;)
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে গেলে সে যেন বমি করে দেয়। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২৬; মুসনাদে আহমাদ: ৭৭৯৬; মুসনাদুল বাযযার: ৮৮১২; বায়হাকী আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৪১;)
كتاب أدب الطعام
باب بيان جواز الشرب قائمًا وبيان أنَّ الأكمل والأفضل الشرب قاعدًا
771 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَشْرَبَنَّ أحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا، فَمَنْ نَسِيَ فَلْيَسْتَقِيء». رواه مسلم. (1)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭২
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ: ১৬ লোকদের মধ্যে পরিবেশনকারীর সবশেষে পান করা
হাদীছ নং: ৭৭২
হযরত আবু কাতাদা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, লোকদের মধ্যে পরিবেশনকারী হবে সর্বশেষ পানকারী। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৯৪; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭২৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৪৩৫; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা ২৪২২৭; মুসনাদু ইবনিল জা'দ ৩১৯৪; সুনানে দারিমী: ২১৮১; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩৩৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৮৩৮)
হযরত আবু কাতাদা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, লোকদের মধ্যে পরিবেশনকারী হবে সর্বশেষ পানকারী। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৯৪; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭২৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৪৩৫; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা ২৪২২৭; মুসনাদু ইবনিল জা'দ ৩১৯৪; সুনানে দারিমী: ২১৮১; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩৩৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৮৩৮)
كتاب أدب الطعام
باب استحباب كون ساقي القوم آخرهم شربًا
772 - عن أَبي قتادة - رضي الله عنه - عن النبيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «سَاقِي القَومِ آخِرُهُمْ شُرْبًا». رواه الترمذي، (1) وقال: «حديث حسن صحيح».
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭৩
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৩
হযরত আনাস রাযি. বলেন, একবার নামাযের ওয়াক্ত চলে আসল। যাদের বাড়ি কাছে ছিল তারা তাদের বাড়িতে চলে গেল। কিছুসংখ্যক লোক রয়ে গেল। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একটি পাথরের বাটি আনা হল। বাটিটি এমন ছোট ছিল যে, তাতে তাঁর হাত বিছিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। সেই বাটির পানি দিয়ে উপস্থিত লোকদের সকলে ওযু করল। তারা (শিষ্যগণ হযরত আনাস রাযি.-কে) জিজ্ঞেস করল, তখন আপনারা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, ৮০ জন বা তার কিছু বেশি। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৯৫; সহীহ মুসলিম: ২২৭৯; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ৩১৭২৪: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১১৭)
বুখারী-মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির একটি পাত্র আনতে বললেন। একটি প্রশস্ত ও অগভীর পাত্র আনা হল। তাতে সামান্য কিছু পানি ছিল। তাতে তিনি নিজ আঙ্গুলগুলো রাখলেন। হযরত আনাস রাযি. বলেন, আমি বিস্ময়ে লক্ষ করছিলাম তাঁর আঙ্গুলসমূহের মাঝখান থেকে ঝর্ণার মতো পানি বের হচ্ছে। আমি অনুমান করে দেখলাম যারা ওযু করেছে তাদের সংখ্যা হবে ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো।(সহীহ বুখারী: ২০০; সহীহ মুসলিম: ২২৭৯; সুনানে দারিমী ২৮; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৩৩২৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা ১২৪; সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৫৪৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১১৯; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ২৫৭)
হযরত আনাস রাযি. বলেন, একবার নামাযের ওয়াক্ত চলে আসল। যাদের বাড়ি কাছে ছিল তারা তাদের বাড়িতে চলে গেল। কিছুসংখ্যক লোক রয়ে গেল। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একটি পাথরের বাটি আনা হল। বাটিটি এমন ছোট ছিল যে, তাতে তাঁর হাত বিছিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। সেই বাটির পানি দিয়ে উপস্থিত লোকদের সকলে ওযু করল। তারা (শিষ্যগণ হযরত আনাস রাযি.-কে) জিজ্ঞেস করল, তখন আপনারা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, ৮০ জন বা তার কিছু বেশি। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৯৫; সহীহ মুসলিম: ২২৭৯; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ৩১৭২৪: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১১৭)
বুখারী-মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির একটি পাত্র আনতে বললেন। একটি প্রশস্ত ও অগভীর পাত্র আনা হল। তাতে সামান্য কিছু পানি ছিল। তাতে তিনি নিজ আঙ্গুলগুলো রাখলেন। হযরত আনাস রাযি. বলেন, আমি বিস্ময়ে লক্ষ করছিলাম তাঁর আঙ্গুলসমূহের মাঝখান থেকে ঝর্ণার মতো পানি বের হচ্ছে। আমি অনুমান করে দেখলাম যারা ওযু করেছে তাদের সংখ্যা হবে ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো।(সহীহ বুখারী: ২০০; সহীহ মুসলিম: ২২৭৯; সুনানে দারিমী ২৮; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৩৩২৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা ১২৪; সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৫৪৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১১৯; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ২৫৭)
كتاب أدب الطعام
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
773 - وعن أنس - رضي الله عنه - قَالَ: حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فقامَ مَن كَانَ قَريبَ الدَّارِ إِلَى أهْلِهِ، وبَقِيَ قَوْمٌ، فأُتِيَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - بِمَخْضَبٍ مِنْ حِجَارَةٍ، فَصَغُرَ المخْضَبُ أَنْ يَبْسُطَ فِيهِ كَفَّهُ، فَتَوَضَّأَ القَوْمُ كُلُّهُمْ. قالوا: كَمْ كُنْتُمْ؟ قَالَ: ثَمَانِينَ وزيادة. متفق عَلَيْهِ، (1) هذه رواية البخاري.
وفي رواية لَهُ ولمسلم: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - دَعَا بإناءٍ مِنْ ماءٍ، فَأُتِيَ بقَدَحٍ رَحْرَاحٍ (2) فِيهِ شَيْءٌ مِنْ ماءٍ، فَوَضَعَ أصابعَهُ فِيهِ. قَالَ أنسٌ: فَجَعلْتُ أنْظُرُ إِلَى الماءِ يَنْبُعُ مِنْ بَيْن أصَابِعِهِ، فَحَزَرْتُ مَنْ تَوضَّأ مَا بَيْنَ السَّبْعِينَ إِلَى الثَّمَانينَ.
وفي رواية لَهُ ولمسلم: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - دَعَا بإناءٍ مِنْ ماءٍ، فَأُتِيَ بقَدَحٍ رَحْرَاحٍ (2) فِيهِ شَيْءٌ مِنْ ماءٍ، فَوَضَعَ أصابعَهُ فِيهِ. قَالَ أنسٌ: فَجَعلْتُ أنْظُرُ إِلَى الماءِ يَنْبُعُ مِنْ بَيْن أصَابِعِهِ، فَحَزَرْتُ مَنْ تَوضَّأ مَا بَيْنَ السَّبْعِينَ إِلَى الثَّمَانينَ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭৪
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন। আমরা তাঁর জন্য পিতলের একটি পাত্রে করে পানি নিয়ে আসলাম। তিনি ওযু করলেন। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ১৯৭; সুনানে আবু দাউদ: ১০০; সুনানে ইবন মাজাহ: ৪৭০; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা : ৪০০; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৬০০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা : ১২০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ : ৩০৬)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন। আমরা তাঁর জন্য পিতলের একটি পাত্রে করে পানি নিয়ে আসলাম। তিনি ওযু করলেন। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ১৯৭; সুনানে আবু দাউদ: ১০০; সুনানে ইবন মাজাহ: ৪৭০; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা : ৪০০; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৬০০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা : ১২০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ : ৩০৬)
كتاب أدب الطعام
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
774 - وعن عبد الله بن زيد - رضي الله عنه - قَالَ: أتَانَا النبيُّ - صلى الله عليه وسلم - فَأَخْرَجْنَا لَهُ مَاءً في تَوْرٍ مِنْ صُفْر فَتَوَضَّأَ. رواه البخاري. (1)
«الصُّفْر»: بضم الصاد، ويجوز كسرها، وَهُوَ النُّحاس، و «التَّوْر»: كالقدح، وَهُوَ بالتاء المثناة من فوق.
«الصُّفْر»: بضم الصاد، ويجوز كسرها، وَهُوَ النُّحاس، و «التَّوْر»: كالقدح، وَهُوَ بالتاء المثناة من فوق.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭৫
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৫
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনও এক আনসারীর কাছে গেলেন। তাঁর সঙ্গে এক সাহাবী ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার মশকে এ রাতের বাসি পানি থাকলে আমাদের পান করাও। যদি না থাকে, তবে আমরা (কোনও কুয়া বা জলাশয়ে) মুখ লাগিয়ে পান করে নেব। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৬১৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৩১৪)
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনও এক আনসারীর কাছে গেলেন। তাঁর সঙ্গে এক সাহাবী ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার মশকে এ রাতের বাসি পানি থাকলে আমাদের পান করাও। যদি না থাকে, তবে আমরা (কোনও কুয়া বা জলাশয়ে) মুখ লাগিয়ে পান করে নেব। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৬১৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৩১৪)
كتاب أدب الطعام
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
775 - وعن جابر - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - دَخَلَ عَلَى رَجُلٍ مِن الأَنْصَارِ، وَمَعَهُ صَاحِبٌ لَهُ، فَقَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إنْ كَانَ عِنْدَكَ مَاءٌ بَاتَ هذِهِ اللَّيْلَةَ في شَنَّةٍ وَإلاَّ كَرَعْنَا (1)». رواه البخاري. (2)
«الشنّ»: القِربة.
«الشنّ»: القِربة.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭৬
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৬
হযরত হুযায়ফা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হারীর ও দীবাজ ব্যবহার করতে এবং সোনা-রুপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো ওদের জন্য দুনিয়ায় এবং তোমাদের জন্য আখিরাতে।-বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৬৩২; সহীহ মুসলিম: ২০৬৭; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ: ১৯৯২৮; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৬৪৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৮৪২; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১৪২০; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৪২৭৫; সুনানে দারিমী: ৪৭৯৬)
হযরত হুযায়ফা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হারীর ও দীবাজ ব্যবহার করতে এবং সোনা-রুপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, এগুলো ওদের জন্য দুনিয়ায় এবং তোমাদের জন্য আখিরাতে।-বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৬৩২; সহীহ মুসলিম: ২০৬৭; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ: ১৯৯২৮; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৬৪৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৮৪২; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১৪২০; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৪২৭৫; সুনানে দারিমী: ৪৭৯৬)
كتاب أدب الطعام
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
776 - وعن حذيفة - رضي الله عنه - قَالَ: إنَّ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - نَهَانَا عَن الحَرِير، وَالدِّيباجِ، والشُّربِ في آنِيَة الذَّهَب والفِضَّةِ، وقال: «هي لَهُمْ في الدُّنْيَا، وهِيَ لَكُمْ في الآخِرَةِ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৭৭
আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ : ১৭ সোনা-রুপার পাত্র ছাড়া সর্বপ্রকার পবিত্র পাত্রে পান করার বৈধতা, পাত্র বা হাত ছাড়া নদী বা অন্য কোনও জলাশয় থেকে সরাসরি মুখ দিয়ে পানি পান করার বৈধতা এবং পানাহার করা, পবিত্রতা অর্জন করা ও যে-কোনওরকম কাজে সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার করার নিষিদ্ধতা
হাদীছ নং: ৭৭৭
হযরত উম্মু সালামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সোনা-রুপার পাত্রে পান করে, সে তার পেটে কেবল জাহান্নামের আগুনই ঢোকায়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৬৩৪; সহীহ মুসলিম: ২০৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৪১৫; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৬৬২; মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ২৪১৩৫; তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর: ১২০৪৬; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা ৭৫৮৯; শুআবুল ঈমান: ৫৯৬৫)
হযরত উম্মু সালামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সোনা-রুপার পাত্রে পান করে, সে তার পেটে কেবল জাহান্নামের আগুনই ঢোকায়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৬৩৪; সহীহ মুসলিম: ২০৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৪১৫; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৬৬২; মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা ২৪১৩৫; তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর: ১২০৪৬; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা ৭৫৮৯; শুআবুল ঈমান: ৫৯৬৫)
كتاب أدب الطعام
باب جواز الشرب من جميع الأواني الطاهرة غير الذهب والفضة وجواز الكرع - وَهُوَ الشرب بالفم من النهر وغيره بغير إناء ولا يد - وتحريم استعمال إناء الذهب والفضة في الشرب والأكل والطهارة وسائر وجوه الاستعمال
777 - وعن أُمِّ سلمة رضي الله عنها: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «الَّذِي يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ، إنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
وفي رواية لمسلم: «إنَّ الَّذِي يَأكُلُ أَوْ يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ وَالذَّهَبِ».
وفي رواية لَهُ: «مَنْ شَرِبَ في إناءٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، فَإنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارًا مِنْ جَهَنَّم».
(3) - كتَاب اللّبَاس
وفي رواية لمسلم: «إنَّ الَّذِي يَأكُلُ أَوْ يَشْرَبُ في آنِيَةِ الفِضَّةِ وَالذَّهَبِ».
وفي رواية لَهُ: «مَنْ شَرِبَ في إناءٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ، فَإنَّمَا يُجَرْجِرُ في بَطْنِهِ نَارًا مِنْ جَهَنَّم».
(3) - كتَاب اللّبَاس
তাহকীক: