রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين

২. বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ৪৭ টি

হাদীস নং: ৭২০
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া

যেমন ওযু করা, গোসল করা, তায়াম্মুম করা, কাপড় পরা, জুতা, মোজা ও পায়জামা পরা, মসজিদে প্রবেশ করা, মিসওয়াক করা, সুরমা লাগানো, নখ কাটা, গোফ কাটা, বগল পরিষ্কার করা, মাথা মুণ্ডানো, নামাযে সালাম ফেরানো, খাওয়া, পান করা, মুসাফাহা করা, হাজারে আসওয়াদে চুমু খাওয়া, হাম্মাম থেকে বের হওয়া, গ্রহণ করা, প্রদান করা এবং এ জাতীয় অন্যান্য কাজ। এসব কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া মুস্তাহাব। এর বিপরীত কাজে বাম দিককে প্রাধান্য দেওয়া মুস্তাহাব। যেমন নাক পরিষ্কার করা, থুথু ফেলা, হাম্মামে প্রবেশ করা, মসজিদ থেকে বের হওয়া, মোজা, জুতা, পায়জামা ও জামা খোলা, শৌচ করা, ময়লা পরিষ্কার করা এবং এ জাতীয় অন্যান্য কাজ।

‘মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া’ সম্পর্কিত দুটি আয়াত

এক নং আয়াত
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ (19)
অর্থ: অতঃপর যাকে আমলনামা দেওয়া হবে তার ডান হাতে সে বলবে, হে লোকজন! এই যে আমার আমলনামা, তোমরা পড়ে দেখো।(সূরা আল-হাক্কা (৬৯), আয়াত ১৯)

ব্যাখ্যা
পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের পর তাতে উত্তীর্ণ ছাত্র যেমন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আশপাশের লোকজনকে তার রেজালকার্ড দেখায় আর বলে, দেখো, দেখো, আমার প্রাপ্ত নম্বর পড়ে দেখো, তেমনি হাশরের দিনের মহাবিচারে যারা উত্তীর্ণ হবে এবং ডানহাতে আমলনামা পাবে, তারা আনন্দের উচ্ছ্বাসে আশপাশের মানুষকে বলবে, নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখো। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। না হয় সেদিন যারা নাজাত পাবে, যাদের ডানহাতে আমলনামা বা মুক্তিপত্র দিয়ে দেওয়া হবে, তারা যে কী খুশি হবে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সে খুশির সঙ্গে দুনিয়ার কোনও মুক্তি বা বড় থেকে বড় কোনও প্রাপ্তির আনন্দকে তুলনা করা যায় না। এ হল দুনিয়ার সীমিত ও ক্ষণস্থায়ী অর্জন। আর ওটা পরকালের অনন্ত জীবনের অফুরন্ত প্রাপ্তির হুকুমনামা। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকেও সে মহানন্দের জন্য কবুল করে নিন।
আয়াত দ্বারা জানা গেল, আখিরাতে নেককারদেরকে তাদের আমলনামা বা মুক্তিপত্র দেওয়া হবে ডান হাতে। এর দ্বারা বোঝা গেল, মর্যাদাপূর্ণ বিষয়ের প্রদান-গ্রহণের জন্য ডানহাতের ব্যবহারই বাঞ্ছনীয়।

আয়াতটির শিক্ষা
আমরা যে-কোনও উৎকৃষ্ট কাজে ডানহাত ব্যবহার করব।

দুই নং আয়াত
فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ (8) وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ (9)
অর্থ: সুতরাং যারা ডান হাত বিশিষ্ট, আহা কেমন যে সে ডান হাত বিশিষ্টগণ! আর যারা বাম হাত বিশিষ্ট, কী (হতভাগ্য) সে বাম হাত বিশিষ্টগণ!(সূরা ওয়াকিয়া (৫৬), আয়াত ৮, ৯)

ব্যাখ্যা
أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ ‘ডান হাত বিশিষ্টগণ’। এর আরেক অর্থ হতে পারে 'ডান দিকের দল' এর দ্বারা সেই ভাগ্যবান মুমিনদের বোঝানো হয়েছে, যারা ডান দিকের পথ অনুসরণ করে। যে পথ মানুষকে জান্নাতে পৌঁছায়। তারা তাদের ডান হাতে আমলনামা লাভ করবে। সেটা প্রমাণ করবে যে, তারা ঈমানদার এবং তারা জান্নাতে যাবে। তারা আরশের ডান দিকে থাকবে। মানবসৃষ্টির সূচনায় প্রতিশ্রুতি গ্রহণকালে তাদেরকে হযরত আদম আলাইহিস সালামের ডান পাঁজর থেকে বের করা হয়েছিল। এদের সম্পর্কে মি‘রাজের হাদীছে আছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম তাঁর ডান দিকে তাকিয়ে খুশিতে হাসছিলেন।
مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ (আহা কেমন যে সে ডান হাত বিশিষ্টগণ)! এটি একটি বিস্ময়জ্ঞাপক বাক্য। বোঝানো উদ্দেশ্য, আল্লাহ তা'আলার কাছে তাদের মর্যাদা কত বড়! তারা কতইনা ভাগ্যবান! তারা হবে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত। তারা জাহান্নামের আযাব থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। লাভ করবে অকল্পনীয় সুখ-শান্তির অনন্তকালীন জান্নাত।
এর দ্বারা বোঝা গেল 'ডান' শব্দের ব্যবহার হয় প্রশংসনীয় ক্ষেত্রে।
أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ ‘বাম হাতবিশিষ্ট বা বাম দিকের দল’। এর দ্বারা সেই হতভাগাদের বোঝানো হয়েছে, যাদের আমলনামা দেওয়া হবে তাদের বাম হাতে। এটা হবে তাদের কুফরের আলামত। তারা আরশের বাম দিকে থাকবে। প্রতিশ্রুতি গ্রহণকালে তাদেরকে হযরত আদম আলাইহিস সালামের বাম পাঁজর থেকে বের করা হয়েছিল। এদেরই সম্পর্কে মিরাজের হাদীছে আছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম যখন তাঁর বাম দিকে তাকাচ্ছিলেন, তখন মনের বেদনায় কাঁদছিলেন।
مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ ‘কী (হতভাগ্য) সে বাম হাত বিশিষ্টগণ’! এ বাক্য দ্বারা আক্ষেপ প্রকাশ করা উদ্দেশ্য। বোঝানো হচ্ছে, আহা! এ দলের লোক ইহকালে কুফরীকর্ম ও পাপাচারে লিপ্ত থাকার দরুন সেদিন কতইনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে! তারা আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি ও ক্রোধের পাত্রে পরিণত হবে। তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সেখানে তারা কঠোর-কঠিন শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
এ আয়াত দ্বারা বোঝা গেল, 'বাম' শব্দের ব্যবহার হয় নিন্দনীয় ক্ষেত্রে।

আয়াতটির শিক্ষা
আমরা প্রশংসনীয়, সম্মানজনক বা রুচিকর কাজে ডান হাত ব্যবহার করব এবং বামের উপর ডানকে প্রাধান্য দেব।
পানাহার ও পোশাক-আশাক পরিধানে ডান হাত ও ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
হাদীছ নং: ৭২০

উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া পসন্দ করতেন- পবিত্রতা অর্জনে, দাঁড়ি-চুল আঁচড়ানোতে ও জুতা পরায়। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৬৮; সহীহ মুসলিম: ২৬৮; সুনানে আবু দাউদ: ৪১৪০; জামে তিরমিযী: ৬১৪; সুনানে ইবন মাজাহ: ৪০১; সুনানে নাসাঈ ৪২১; মুসনাদে আহমাদ: ২৪৬২৭; সহীহ ইবনে হিব্বান: ১০৯১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৪০৪; শু'আবুল ঈমান ৬০৪৭)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
كالوضوءِ وَالغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ، وَلُبْسِ الثَّوْبِ وَالنَّعْلِ وَالخُفِّ وَالسَّرَاوِيلِ وَدُخولِ الْمَسْجِدِ، وَالسِّوَاكِ، وَالاكْتِحَالِ، وَتقليم الأظْفار، وَقَصِّ الشَّارِبِ، وَنَتْفِ الإبْطِ، وَحلقِ الرَّأسِ، وَالسّلامِ مِنَ الصَّلاَةِ، وَالأكْلِ، والشُّربِ، وَالمُصافحَةِ، وَاسْتِلاَمِ الحَجَرِ الأَسْوَدِ، والخروجِ منَ الخلاءِ، والأخذ والعطاء وغيرِ ذَلِكَ مِمَّا هُوَ في معناه. ويُسْتَحَبُّ تَقديمُ اليسارِ في ضدِ ذَلِكَ، كالامْتِخَاطِ وَالبُصَاقِ عن اليسار، ودخولِ الخَلاءِ، والخروج من المَسْجِدِ، وخَلْعِ الخُفِّ والنَّعْلِ والسراويلِ والثوبِ، والاسْتِنْجَاءِ وفِعلِ المُسْتَقْذرَاتِ وأشْبَاه ذَلِكَ.
قَالَ الله تَعَالَى: {فَأَمَّا مَنْ أوتِيَ كِتَابَهُ بيَمينِهِ فَيْقُولُ هَاؤُمُ اقْرَأوا كِتَابِيْه} [الحاقة: 19] الآيات، وقَالَ تَعَالَى: {فَأصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أصْحَابُ المَيْمَنَةِ وَأَصْحابُ المَشْئَمَةِ مَا أصْحَابُ المَشْئَمَةِ} [الواقعة: 8 - 9].
720 - وعن عائشة رضي الله عنها، قالت: كَانَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - يُعْجِبُهُ التَّيَمُّنُ في شَأنِهِ كُلِّهِ: في طُهُورِهِ، وَتَرَجُّلِهِ، وَتَنَعُّلِهِ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৭২১
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
পানাহার ও পোশাক-আশাক পরিধানে ডান হাত ও ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
হাদীছ নং: ৭২১

উন্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ডান হাত ছিল পবিত্রতা অর্জন ও খাবার গ্রহণের জন্য। আর বাম হাত ছিল হাম্মামের কাজ ও ময়লা পরিষ্কার করার জন্য। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৩; সুনানে ইবন মাজাহ: ৪০১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৪৮; শু'আবুল ঈমান: ৫৪৫৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৮২)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
721 - وعنها، قالت: كَانَتْ يَدُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - اليُمْنَى لِطُهُورِهِ وَطَعَامِهِ، وَكَانَتِ الْيُسْرَى لِخَلائِهِ وَمَا كَانَ مِنْ أذَىً. حديث صحيح، رواه أَبُو داود وغيره بإسنادٍ صحيحٍ. (1)
হাদীস নং: ৭২২
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
মায়্যিতের গোসল ডানদিক থেকে শুরু করা
হাদীছ নং: ৭২২

হযরত উম্মু আতিয়্যাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যা যায়নাবকে গোসল দেওয়ার সময় তাদেরকে বলেছিলেন, তোমরা তার ডানদিক থেকে এবং ওযুর অঙ্গসমূহ থেকে গোসল দেওয়া শুরু করো। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৬৭; সহীহ মুসলিম: ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ: ৫৩১৪; সুনানে নাসাঈ: ১৮৮৪; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ১০৮৯১; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৩০৩২; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৬২৯; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৪৭৩)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
722 - وعن أم عطية رضي الله عنها: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ لهن في غَسْلِ ابْنَتِهِ زَيْنَبَ رضي الله عنها: «ابْدَأنَ بِمَيَامِنِهَا، وَمَوَاضِعِ الوُضُوءِ مِنْهَا». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৭২৩
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
জুতা পরা ও খোলার সুন্নত
হাদীছ নং: ৭২৩

হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন জুতা পরে, তখন ডান পা দিয়ে যেন শুরু করে আর যখন খোলে তখন যেন বাম পা দিয়ে খোলা শুরু করে। যাতে ডান পা জুতা পরার সময় থাকে প্রথমে আর খোলার সময় থাকে শেষে। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৮৫৫; সহীহ মুসলিম: ২০৯৭; সুনানে আবু দাউদ: ৪১৩৯ সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩৬১৬; জামে তিরমিযী: ১৭৭৯; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৯১৮; মুসনাদে আহমাদ: ৭১৭৯; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৪৫৫; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৭৩)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
723 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا انْتَعَلَ أحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيُمْنَى، وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدأْ بِالشِّمَالِ. لِتَكُنْ اليُمْنَى أوَّلَهُمَا تُنْعَلُ، وَآخِرُهُمَا تُنْزَعُ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৭২৪
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
ডান হাতে পানাহার করা ও ডানদিক থেকে পোশাক পরা
হাদীছ নং: ৭২৪

উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডানহাত ব্যবহার করতেন খানা খাওয়া, পানি পান করা ও পোশাক পরিধানের বেলায়। আর এছাড়া অন্যান্য কাজে বামহাত ব্যবহার করতেন। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩২; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২২৭; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর : ৩৪৬; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭০৯১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ৫৪৭)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
724 - وعن حفصة رضي الله عنها: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - كَانَ يجعل يَمينَهُ لطَعَامِهِ وَشَرَابِهِ وَثِيَابِهِ، وَيَجْعَلُ يَسَارَهُ لِمَا سِوَى ذَلِكَ. رواه أَبُو داود والترمذي وغيره. (1)
হাদীস নং: ৭২৫
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
পোশাক পরা ও ওযু করায় ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
হাদীছ নং: ৭২৫

হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা যখন পোশাক পরবে এবং ওযু করবে, তখন ডানদিক থেকে শুরু করবে। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪১৪১; জামে তিরমিযী: ১৭৬৬; সুনানে ইবন মাজাহ : ৪০৩; মুসনাদে আহমাদ: ৮৬৩৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা ১৭৮; সহীহ ইবনে হিব্বান: ১০৯০; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ১০৯৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৪০৫; শু'আবুল ঈমান: ৫৮৬৮)
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
725 - وعن أَبي هُريرة - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا لَبِسْتُمْ، وَإِذَا تَوَضَّأتُمْ، فَابْدَأوا بأيَامِنِكُمْ» حديث صحيح، رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح. (1)
হাদীস নং: ৭২৬
বিবিধ আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১৬ মর্যাদাপূর্ণ সকল কাজে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া
মাথা মুণ্ডন ও চুল ছাঁটা ডানদিক থেকে শুরু করা সুন্নত
হাদীছ নং: ৭২৬

হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় আসলেন। তারপর জামরায় এসে পাথর নিক্ষেপ করলেন। তারপর মিনায় তাঁর অবস্থানস্থলে ফিরে আসলেন এবং কুরবানী করলেন। তারপর মাথা মুণ্ডনকারীকে বললেন, নাও এখান থেকে শুরু করো। এ বলে তিনি ডানদিকে ইশারা করলেন। তারপর বামদিকে ইশারা করলেন। তারপর লোকদের মধ্যে সে চুল বিতরণ করতে থাকলেন। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ১৭১; সহীহ মুসলিম: ১৩০৫; জামে তিরমিযী: ৯১২; সুনানে আবু দাউদ: ১৯৮১; সহীহ ইবনে হিব্বান ১৩৭১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৯৪০০; শারহুস সুন্নাহ: ১৯৬২)

অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি পাথর নিক্ষেপ করে কুরবানীর পশু জবাই করলেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। মুণ্ডনকালে ক্ষৌরকারকে মাথার ডানদিক পেতে দিলেন। সে তা মুণ্ডন করল। তারপর তিনি আবূ তালহা আনসারীকে ডাকলেন। তাকে সে চুল দিলেন। তারপর ক্ষৌরকারকে মাথার বামদিক পেতে দিলেন। বললেন, মুণ্ডন করো। সে তা মুণ্ডন করল। তিনি সে চুল আবু তালহাকে দিয়ে বললেন, এগুলো লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।
كتاب الأدب
باب استحباب تقديم اليمين في كل مَا هو من باب التكريم
726 - وعن أنس - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أتى مِنىً، فَأتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا، ثُمَّ أتَى مَنْزِلَهُ بِمِنَىً ونحر، ثُمَّ قَالَ لِلحَلاَّقِ: «خُذْ» وأشَارَ إِلَى جَانِبهِ الأَيْمَنِ، ثُمَّ الأَيْسَرِ، ثُمَّ جَعَلَ يُعْطِيهِ النَّاسَ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
وفي رواية: لما رمَى الجَمْرَةَ، وَنَحَرَ نُسُكَهُ وَحَلَقَ، نَاوَلَ الحَلاَّقَ شِقَّهُ الأَيْمَنَ فَحَلَقَهُ، ثُمَّ دَعَا أَبَا طَلْحَةَ الأنْصَارِيَّ - رضي الله عنه - فَأعْطَاهُ إيَّاهُ، ثُمَّ نَاوَلَهُ الشِّقَّ الأَيْسَرَ، فَقَالَ: «احْلِقْ»، فَحَلَقَهُ فَأعْطَاهُ أَبَا طَلْحَةَ، فَقَالَ: «اقْسِمْهُ بَيْنَ النَّاسِ».