ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)
১২. জিহাদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৯৩৭
বিজিত ভূমি তার মালিক কাফিরগণের নিকট রেখে দিলে ভূমির উপর খারাজ ও মালিকের উপর জিযইয়া আরোপিত হবে এবং খারাজ ও জিযইয়ার পরিমাণ
(১৯৩৭) তাবিয়ি ইবরাহীম তাইমি (৫২-৯২ হি.) বলেন, যখন মুসলিমগণ ইরাকের কৃষিসমৃদ্ধ সবুজ গ্রামাঞ্চল বিজয় করলেন তখন তারা খলীফা উমার রা.কে বললেন, এই ভূসম্পদ আমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিন; কারণ আমরা যুদ্ধ করে তা বিজয় করেছি। উমার রা. তাদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, তাহলে তোমাদের পরে আগত প্রজন্মের মুসলিম উম্মাহর জন্য কী থাকবে? অতঃপর তিনি এই এলাকার অমুসলিম অধিবাসীদেরকে তাদের ভূসম্পত্তিতে আগের মতোই রেখে দিলেন। তিনি তাদের উপর ব্যক্তিগত জিযইয়া কর ধার্য করলেন এবং তাদের জমির উপর খারাজ ধার্য করলেন ।
عن إبراهيم التيمي قال: لما فتح المسلمون السواد قالوا لعمر رضي الله عنه: إقسمه بيننا فإنّا افتتحناه عنوة قال: فأبي وقال: فما لمن جاء بعدكم من المسلمين؟ قال: فأقر أهل السواد في أرضهم وضرب على رؤوسهم الجزية وعلى أراضيهم الخراج

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৯৩৮
বিজিত ভূমি তার মালিক কাফিরগণের নিকট রেখে দিলে ভূমির উপর খারাজ ও মালিকের উপর জিযইয়া আরোপিত হবে এবং খারাজ ও জিযইয়ার পরিমাণ
(১৯৩৮) উমার ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবন হুনাইফ রা.কে কুফার গ্রামাঞ্চলের খারাজ নির্ধারণ করতে প্রেরণ করেন । তিনি তাকে প্রতি দিনের ভাতা হিসেবে একটি ছাগির একচতুর্থাংশ ও ৫ দিরহাম নির্ধারণ করেন । (এই হাদীসে উসমান ইবন হুনাইফ রা. কীভাবে কুফার গ্রামাঞ্চলের জমিজমা জারিপ করেন এবং খারাজ নির্ধারণ করেন তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে)।
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنه وجه عثمان بن حنيف رضي الله عنه على خراج السواد و رزقه كل يوم ربع شاة وخمسة دراهم.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৯৩৯
বিজিত ভূমি তার মালিক কাফিরগণের নিকট রেখে দিলে ভূমির উপর খারাজ ও মালিকের উপর জিযইয়া আরোপিত হবে এবং খারাজ ও জিযইয়ার পরিমাণ
(১৯৩৯) তাবিয়ি আমির আশ-শা'বি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রা. কুফার গ্রামাঞ্চলের জরিপ করান। এতে জমির পরিমাণ হয় তিনকোটি ষাটলক্ষ জারীব (একর)। তিনি সাধারণ কৃষি জমিতে প্রতি জারীবে (একরে) এক দিরহাম ও এক কাফিয খাদ্যশস্য খারাজ নির্ধারণ করেন। আর আঙুরের জমিতে ১০ দিরহাম এবং শাক-সবজির ক্ষেত্রে ৫ দিরহাম নির্ধারণ করেন। তিনি অমুসলিম ব্যক্তির জন্য ১২ দিরহাম, ২৪ দিরহাম বা ৪৮ দিরহাম জিযইয়া কর ধার্য করেন ।
عن عامر الشعبي أن عمر بن الخطاب رضي الله تعالى عنه مسح السواد فبلغ ستة وثلاثين ألف ألف جريب وأنه وضع على جريب الزرع درهما وقفيزا وعلى الكرم عشرة دراهم وعلى الرطبة خمسة دراهم وعلى الرجل اثني عشر درهما وأربعة وعشرين درهما وثمانية وأربعين درهما

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯৪০
বিজিত ভূমি তার মালিক কাফিরগণের নিকট রেখে দিলে ভূমির উপর খারাজ ও মালিকের উপর জিযইয়া আরোপিত হবে এবং খারাজ ও জিযইয়ার পরিমাণ
(১৯৪০) তাবিয়ি আবু আওন মুহাম্মাদ ইবন উবাইদুল্লাহ সাকাফি বলেন, উমার রা. অমুসলিমদের উপর মাথাপ্রতি বার্ষিক জিযইয়া কর আরোপ করেন— ধনীর জন্য ৪৮ দিরহাম, মধ্যম পর্যায়ের সচ্ছল ব্যক্তির জন্য ২৪ দিরহাম ও দরিদ্রের জন্য ১২ দিরহাম।
عن أبي عون محمد بن عبيد الله الثقفي قال: وضع عمر بن الخطاب رضي الله عنه في الجزية على رءوس الرجال: على الغني ثمانية وأربعين درهما وعلى الوسط أربعة وعشرين وعلى الفقير اثني عشر درهما

তাহকীক:
তাহকীক চলমান