(১৪৬৬) আয়িশা রা. বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের বছরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে বের হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ উমরার জন্য ইহরাম করলেন, কেউ উমরাহ এবং হজ্জ একত্রে (কিরান) পালনের জন্য ইহরাম করেন এবং কেউ হজ্জের ইহরাম করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের জন্য ইহরাম করেন। যারা হজ্জের ইহরাম করেন অথবা যারা হজ্জ ও উমরাহ একত্রে পালনের জন্য ইহরাম করেন তারা জিলহজ্জ মাসের দশ তারিখ কুরবানীর দিনের আগে হালাল হন নি।

(১৪৬৭) উমার রা. বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আজ রাতে আমার নিকট আমার প্রভুর পক্ষ থেকে এক আগন্তুক এসে বলেন- তিনি তখন (মদীনার উপকণ্ঠে) আকীক উপত্যকায় ছিলেন- আপনি এই বরকতময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন, হজ্জের মধ্যে উমরাহ।

(১৪৬৮) আনাস রা. বলেন, আমি শুনলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছেন, উমরাহ ও হজ্জের জন্য লাব্বাইকা ।

(১৪৬৯) আনাস ইবন মালিক রা. বলেন, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনা থেকে যুহর পড়ে রওয়ানা দেন। যুল হুলাইফায় আসর পড়েন এবং সেখানে রাত্রি যাপন করেন। ফজরের সালাতের পরে তিনি বাহনে আরোহণ করেন।) যখন তাঁর বাহন তাঁকে নিয়ে বাইদা প্রান্তরে দণ্ডায়মান হল তখন তিনি হজ্জ এবং উমরার তালবিয়া পাঠ করলেন।

(১৪৭০) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনটি উমরাহ পালন করেন। এছাড়া তিনি একটি উমরাহ বিদায় হজ্জের সাথে সংযুক্ত বা কিরান করেন।