ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)
৩. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৮১
রমাযান মাসের রাতের সালাত বা তারাবীহ
(৮৮১) আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাস ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমাযান মাসে রাতের সালাত আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী পাপরাশি ক্ষমা করা হবে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: من قام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৮২
রমাযান মাসের রাতের সালাত বা তারাবীহ
(৮৮২) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একরাতে** মসজিদের মধ্যে সালাত আদায় করেন। তখন কিছু মানুষ তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। এরপর পরবর্তী রাতে তিনি এভাবে সালাত আদায় করেন । তখন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। তৃতীয় বা চতুর্থ রাতে মানুষেরা (তাঁর সাথে জামাআতে রাতের সালাত আদায়ের জন্য) সমবেত হন । কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সাথে সালাত আদায়ের জন্য ঘর থেকে বের হলেন না । সকালে তিনি বললেন, তোমরা যা করেছ তা আমি দেখেছি। আমি তোমাদের কাছে বেরিয়ে আসি নি, তার কারণ আমি ভয় পেলাম যে, তা তোমাদের উপর ফরয করা হবে। এই ঘটনা ছিল রমাযান মাসে ।
عن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى ذات ليلة في المسجد فصلي بصلاته ناس ثم صلى من القابلة فكثر الناس ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة أو الرابعة فلم يخرج إليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما أصبح قال: قد رأيت الذي صنعتم ولم يمنعني من الخروج إليكم إلا أني خشيت أن تفرض عليكم وذلك في رمضان

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৮৩
রমাযান মাসের রাতের সালাত বা তারাবীহ
(৮৮৩) আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমাযান মাসে রাতের সালাত আদায়ের জন্য উৎসাহ প্রদান করতেন, তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতেন না। এই অবস্থাতেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন। এরপর আবু বাকর রা.র খিলাফতের সময়ে এবং উমার রারে খিলাফতের প্রথম অংশেও বিষয়টি এই অবস্থাতেই থাকে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يرغب في قيام رمضان من غير أن يأمرهم فيه بعزيمة... فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم والأمر على ذلك ثم كان الأمر على ذلك في خلافة أبي بكر وصدرا من خلافة عمر رضي الله عنهما

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৮৪
রমাযান মাসের রাতের সালাত বা তারাবীহ
(৮৮৪) তাবিয়ি আব্দুর রহমান ইবন আব্দুল কারি বলেন, আমি রমাযান মাসের এক রাত্রিতে উমার ইবনুল খাত্তাব রা.র সাথে মসজিদের দিকে বের হই । তখন আমরা দেখি যে, মানুষেরা বিভিন্ন ছোটছোট দলে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। কেউ একাকী সালাত আদায় করছে। কেউ বা নিজে সালাত আদায় করছে এবং তার পেছনে কয়েকজন সালাত আদায় করছে। উমার রা. বলেন, আমার মনে হয়, যদি এ সকল মানুষকে একজন কারির (হাফিয ইমামের) পেছনে একত্র করতাম তাহলে ভালো হত। এরপর তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন তিনি তাদেরকে উবাই ইবন কা'ব রা.র পেছনে একত্র করেন। এরপর অন্য একরাতে আমি উমার রা.র সাথে বের হই । তখন মানুষেরা তাদের কারির (হাফিয ইমামের) পেছনে সালাত আদায় করছিল। উমার বলেন, ‘এই কর্মটি (রমাযান মাসে রাতের সালাতের জন্য জামাআত প্রতিষ্ঠা করা) সুন্দর বিদআত (নতুন কর্ম) । তবে এরা যে সময়ে সালাত আদায় করছে তার চেয়ে যে সময় ঘুমিয়ে থাকে সেই সময় উত্তম'। তার উদ্দেশ্য হল, রাতের সালাত শেষ রাতে আদায় উত্তম, আর মানুষেরা রাতের প্রথমাংশেই রাতের সালাত আদায় করতেন।
عن عبد الرحمن بن عبد القاري أنه قال: خرجت مع عمر بن الخطاب رضي الله عنه ليلة في رمضان إلى المسجد فإذا النّاس أوزاع متفرقون يصلي الرجل لنفسه ويصلي الرجل فيصلي بصلاته الرهط فقال عمر: إني أرى لو جمعت هؤلاء على قارئ واحد لكان أمثل ثم عزم فجمعهم على أبي بن كعب رضي الله عنه ثم خرجت معه ليلة أخرى والناس يصلون التي بصلاة قارئهم قال عمر: نعم البدعة هذه والتي ينامون عنها أفضل من التي يقومون. يريد آخر الليل وكان الناس يقومون أوله

তাহকীক:
তাহকীক চলমান