ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)
১- সামগ্রিক মূলনীতিসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২
ঈমান, ইসলাম ও ইখলাস
(২) আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, একদিন নবীজি (ﷺ) মানুষদের জন্য বাইরে উপস্থিত ছিলেন। এমতাবস্থায় একব্যক্তি এসে বলেন, ঈমান (বিশ্বাস) কী? তিনি বলেন, ঈমান এই যে, তুমি বিশ্বাস স্থাপন করবে আল্লাহর উপরে, তাঁর মালাকগণের (ফিরিশতাগণের) উপরে, তাঁর গ্রন্থসমূহের উপরে, তাঁর সাথে সাক্ষাতের উপরে, তাঁর রাসূলগণের উপরে এবং বিশ্বাস স্থাপন করবে পুনরুত্থানের উপরে । লোকটি বলেন, ইসলাম কী? তিনি বলেন, ইসলাম এই যে, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোনো শিরক করবে না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, ফরয যাকাত প্রদান করবে, রমাদান মাসে সিয়াম পালন করবে । লোকটি বলেন, ইহসান (সৌন্দর্য বা পূর্ণতা) কী? তিনি বলেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এমনভাবে যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছ; কারণ তুমি তাঁকে দেখতে না পেলেও তিনি তোমাকে দেখছেন ।
ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ‘এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশী জানেন না। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জাননা। এরপর রাসূল (ﷺ) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ) “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই নিকট।” (৩১ : ৩৪) এরপর ঐ ব্যক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ‘তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, এই ব্যক্তি জিবরাঈল আ., তিনি মানুষদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)।
ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ‘এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশী জানেন না। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জাননা। এরপর রাসূল (ﷺ) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ) “কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই নিকট।” (৩১ : ৩৪) এরপর ঐ ব্যক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ‘তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, এই ব্যক্তি জিবরাঈল আ., তিনি মানুষদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: أنَّ رَسولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ كانَ يَوْمًا بَارِزًا لِلنَّاسِ، إذْ أتَاهُ رَجُلٌ يَمْشِي، فَقالَ: يا رَسولَ اللَّهِ ما الإيمَانُ؟ قالَ: الإيمَانُ أنْ تُؤْمِنَ باللَّهِ ومَلَائِكَتِهِ، وكُتُبِهِ، ورُسُلِهِ، ولِقَائِهِ، وتُؤْمِنَ بالبَعْثِ الآخِرِ قالَ: يا رَسولَ اللَّهِ ما الإسْلَامُ؟ قالَ: الإسْلَامُ أنْ تَعْبُدَ اللَّهَ ولَا تُشْرِكَ به شيئًا، وتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ المَفْرُوضَةَ، وتَصُومَ رَمَضَانَ، قالَ: يا رَسولَ اللَّهِ ما الإحْسَانُ؟ قالَ: الإحْسَانُ أنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأنَّكَ تَرَاهُ، فإنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فإنَّه يَرَاكَ، قالَ: يا رَسولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ؟ قالَ: ما المَسْئُولُ عَنْهَا بأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ، ولَكِنْ سَأُحَدِّثُكَ عن أشْرَاطِهَا: إذَا ولَدَتِ المَرْأَةُ رَبَّتَهَا، فَذَاكَ مِن أشْرَاطِهَا، وإذَا كانَ الحُفَاةُ العُرَاةُ رُؤُوسَ النَّاسِ، فَذَاكَ مِن أشْرَاطِهَا، في خَمْسٍ لا يَعْلَمُهُنَّ إلَّا اللَّهُ: (إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ ويُنْزِلُ الغَيْثَ ويَعْلَمُ ما في الأرْحَامِ) ثُمَّ انْصَرَفَ الرَّجُلُ، فَقالَ: رُدُّوا عَلَيَّ فأخَذُوا لِيَرُدُّوا فَلَمْ يَرَوْا شيئًا، فَقالَ: هذا جِبْرِيلُ جَاءَ لِيُعَلِّمَ النَّاسَ دِينَهُمْ.
হাদীস নং:৩
ঈমান, ইসলাম ও ইখলাস
(৩) উমার রা. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই বর্ণনায় ঈমানের পরিচয়ে আরো বলেছেন, ‘এবং তুমি বিশ্বাস স্থাপন করবে তাকদীরের উপর- তা ভালো হোক বা মন্দ হোক । এই বর্ণনায় ইসলামের পরিচয়ে অতিরিক্ত বলেছেন, ‘এবং তুমি কাবাগৃহের হজ্জ পালন করবে, যদি তুমি তথায় গমন করতে সক্ষম হও’। এই বর্ণনায় বলা হয়েছে, 'ইসলাম এই যে, তুমি সাক্ষ্য প্রদান করবে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল'। (মুসলিম) ।
عن عمر رضي الله عنه مرفوعا نحوه وزاد فيه في الأيمان: وتؤمن بالقدر خيره وشره وزاد في الإسلام: وتحج البيت إن استطعت إليه سبيلا. وفيه: الإسلام أن تشهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪
ঈমান, ইসলাম ও ইখলাস
(৪) আব্দুল্লাহ ইবন আমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ বিশ্বাস স্থাপন করবে না (বিশ্বাসী বা ঈমানদার বলে গণ্য হবে না) যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি বা পছন্দ ও অপছন্দ আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুগত ও অনুগামী হবে। (হাদীসটি আবু বাকর ইবন আসিম আল ইসপাহানি তার 'আস সুন্নাহ' গ্রন্থে সঙ্কলন করেছেন। ইমাম নববি এই হাদীসটিকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন)।**
عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا يؤمن أحدكم حتى يكون هواه تبعا لما جئت به.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান