মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৬১৮৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৮৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, বিবি খাদীজা (রা:)-এর প্রতি আমার যতটা ঈর্ষা হইত, ততটা ঈর্ষা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপর কোন স্ত্রীর প্রতি আমি পোষণ করিতাম না। অথচ তাহাকে আমি দেখিও নাই। কিন্তু (ঈর্ষার কারণ ছিল এই যে,) নবী (ছাঃ) অধিকাংশ সময় তাহার কথা আলোচনা করিতেন। প্রায়শ বকরী যবাই করিয়া উহার বিভিন্ন অংগ কাটিয়া তাহা খাদীজার বান্ধবীদের জন্য (হাদিয়াস্বরূপ) পাঠাইতেন। আমি কখনও কখনও রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-কে বলিতাম, “মনে হয় যেন দুনিয়াতে খাদীজা ব্যতীত আর কোন স্ত্রীলোকই নাই।” তখন তিনি উত্তরে বলিতেন। নিশ্চয়ই সে এইরূপই ছিল, এইরূপই ছিল। আর তাহার পক্ষ হইতেই আমার সন্তান-সন্ততি রহিয়াছে। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৮৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৮৭। হযরত আবু সালামা হইতে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, (একদা) রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন: হে আয়েশা! এই যে জিবরাঈল (আঃ), তোমাকে সালাম বলিতেছেন। আয়েশা (জওয়াবে) বলিলেন, তাঁহার উপরও সালাম এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হউক। আয়েশা বলেন, আমি যাহা দেখিতে পাই না, তিনি (অর্থাৎ, আল্লাহর রাসূল) তাহা দেখিতে পান। --মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৮৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৮৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন: তোমাকে তিন রাত্রিতে স্বপ্নযোগে আমাকে দেখান হইয়াছে। একজন ফিরিশতা তোমাকে রেশমী কাপড়ে জড়াইয়া লইয়া আসেন এবং আমাকে বলেন, ইনি আপনার স্ত্রী। তখন আমি তোমার মুখের কাপড় খুলিলাম। তখন দেখিতে পাইলাম, তুমিই। অতঃপর আমি (মনে মনে) বলিলাম, ইহা যদি আল্লাহর পক্ষ হইতে হইয়া থাকে, তাহা হইলে অবশ্যই পূর্ণ হইবে। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৮৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৮৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লোকেরা তাহাদের হাদিয়া বা উপহার পাঠাইবার জন্য আমি আয়েশার (ঘরে রাত্রি যাপনের) দিনের লক্ষ্য রাখিত। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। এক দলে ছিলেন হযরত আয়েশা, হাফসা, সাফিয়্যা ও সাওদা (রাঃ)। আর অপর দলে ছিলেন হযরত উম্মে সালামা ও রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যান্য স্ত্রীগণ। উম্মে সালামার দলের বিবিগণ উম্মে সালামাকে বলিলেন, আপনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আলাপ করুন, তাহাকে বলুন, তিনি যেন সমস্ত মানুষকে বলিয়া দেন যে, কেহ রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হাদিয়া দিতে চাহিলে তিনি তাহার যেই স্ত্রীর কাছেই অবস্থান করুন না কেন, সেইখানেই যেন পাঠাইয়া দেন। অতঃপর উম্মে সালামা এই ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর সহিত কথাবার্তা বলিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) তাহাকে বলিলেন হে উম্মে সালামা আয়েশার ব্যাপারে তুমি আমাকে কষ্ট দিও না। কেননা, একমাত্র আয়েশা ছাড়া আর কোন স্ত্রীর সাথে এক কাপড়ে থাকাকালে আমার কাছে অহী আসে নাই। উম্মে সালামা বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি আপনাকে কষ্ট দেওয়া হইতে আল্লাহ্ পাকের কাছে তওবা করিতেছি। অতঃপর বিবিগণ ফাতেমাকে ডাকিয়া আনিয়া এই ব্যাপারে তাঁহাকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পাঠাইলেন। সুতরাং ফাতেমা গিয়া তাহার সাথে কথাবার্তা বলিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) রলিলেন, হে স্নেহময়ী। আমি যাহা পছন্দ করি, তুমি কি তাহা পছন্দ কর না। ফাতেমা বলিলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তখন তিনি বলিলেন, তাহা হইলে তুমি আয়েশাকে ভালবাস। --মোত্তাঃ
বাদউল খালক অধ্যায়ে নারীকুলের উপর আয়েশার ফযীলত সম্পর্কিত আবু মুসা সূত্রে বর্ণিত হযরত আনাস (রাঃ)-এর হাদীস উল্লেখ করা হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৯০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৯০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সারা বিশ্বের মহিলাদের মধ্য হইতে এই চারিজন মহিলার ফযীলত সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হওয়াই তোমার জন্য যথেষ্ট। তাঁহারা হইলেন, মারইয়াম বিনতে এমরান, খাদীজা বিনতে খুওয়াইলেদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ এবং ফেরআউনের স্ত্রী আসিয়া। – তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান