মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৬১৪৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা দিনের একাংশে আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে বাহির হইলাম। অবশেষে তিনি হযরত ফাতেমার ঘরের নিকটে আসিয়া বলিলেন খোকা এখানে আছে কি? খোকা এখানে আছে কি? অর্থাৎ, 'হাসান।' অনতিবিলম্বে তিনি দৌড়াইয়া আসিলেন এবং একে অন্যের গলা জড়াইয়া ধরিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হে আল্লাহ্। আমি তাহাকে ভালবাসি, তুমিও তাহাকে ভালবাস। আর তাহাকে যে ভালবাসিবে, তুমি তাহাকেও ভালবাসিও। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৪। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন অবস্থায় মিম্বরের উপর দেখিলাম যে, হাসান ইবনে আলী তাহার পার্শ্বে রহিয়াছেন, আর নবী (ছাঃ) কখনও লোকদের প্রতি তাকাইতেছেন, আবার কখনও হাসানের দিকে তাকাইতেছেন এবং বলিতেছেন: আমার এই পুত্র সর্দার এবং সম্ভবত আল্লাহ্ তা'আলা ইহার দ্বারা মুসলমানদের দুইটি বিবাদমান বিরাট দলের মধ্যে সমঝোতা করাইয়া দিবেন। -বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৫। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু নো'ম বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যখন জনৈক (ইরাকী) ব্যক্তি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল মুহরেম সম্পর্কে। (যেই ব্যক্তি হজ্জ বা ওমরার জন্য এহরাম অবস্থায় রহিয়াছে।) শো'বা বলেন, আমার ধারণা, মাছি মারিলে (কি হইবে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিল)? উত্তরে তিনি বলিলেন, যে ইরাক বাসী রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৌহিত্রকে হত্যা করিয়াছে, তাহারা আমাকে মাছি সম্পর্কে প্রশ্ন করিতেছে। অথচ রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : ইহারা দুইজন (হাসান ও হোসাইন) দুনিয়াতে আমার দুইটি সুগন্ধি পুষ্পবিশেষ। - বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত আলী-তনয় হযরত হাসান হইতে আকৃতিতে অধিক সাদৃশ্য কাহারও ছিল না। রাবী হযরত আনাস হোসাইন সম্পর্কেও বলিয়াছেন যে, তিনি সকলের মধ্যে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত অধিক সদৃশ ছিলেন। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তাহার বুকের সাথে জড়াইয়া বলিলেন: হে আল্লাহ্ ইহাকে হেকমত শিক্ষা দান করুন। অপর এক বর্ণনায় আছে, ইহাকে কিতাব (কোরআন)-এর জ্ঞান দান করুন। -বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল খালায় প্রবেশ করিলেন। এই সময় আমি তাঁহার জন্য ওযুর পানি রাখিয়া দিলাম। অতঃপর তিনি বাহিরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, এই পানি এখানে কে রাখিয়াছে? তাহাকে অবহিত করা হইল (যে, ইবনে আব্বাসই রাখিয়াছেন)। তখন তিনি দো'আ করিলেন, হে আল্লাহ্। তাহাকে দ্বীনের জ্ঞান দান কর। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৪৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৪৯। হযরত উসামা ইবনে যায়দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে এবং হাসান (রাঃ)-কে একসাথে কোলে রাখিয়া বলিতেনঃ হে আল্লাহ্ আমি এই দুইজনকে ভালবাসি, আপনিও ইহাদিগকে ভালবাসুন। অপর এক রেওয়ায়তে আছে —উসামা বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিয়া তাহার এক উরুতে (রানে) বসাইতেন এবং হাসান ইবনে আলীকে অপর রানের উপর বসাইতেন, অতঃপর দুইজনকে একত্রে মিলাইয়া দোআ করিতেন, হে আল্লাহ্। আপনি ইহাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন, আমিও ইহাদের উভয়ের প্রতি অত্যধিক স্নেহ-মমতা পোষণ করি। -বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫০
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক যুদ্ধের উদ্দেশ্যে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন এবং হযরত উসামা ইবনে যায়দকে তাহাদের আমীর মনোনীত করিলেন। তখন কিছু লোক উসামার নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করিতে লাগিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তোমরা যদি আজ উসামার নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনা কর, তবে তোমরা তো ইতিপূর্বে তাহার পিতার (অর্থাৎ, যায়দ ইবনে হারেসার) নেতৃত্ব সম্পর্কেও বিরূপ সমালোচনা করিয়াছিলে। আল্লাহর কসম! তিনি (যায়দ) নিশ্চয়ই নেতৃত্বের যোগ্য ছিলেন এবং তিনি আমার সর্বাধিক প্রিয় লোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আর তাহার পরে (তাহার পুত্র) উসামা আমার সর্বাধিক প্রিয় লোকদের মধ্যে একজন। মোত্তা
মুসলিমের এক রেওয়ায়তের মধ্যে অনুরূপ বর্ণিত হওয়ার পর হাদীসটির শেষাংশে বলা হইয়াছে, তাহার নেতৃত্ব মানিয়া লওয়ার জন্য আমি তোমাদিগকে নসীহত করিতেছি। কেননা, সে (উসামা) তোমাদের মধ্যে একজন নেককার ব্যক্তি।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, হযরত যায়দ ইবনে হারেসা (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত গোলাম। আমরা তাহাকে যায়দ ইবনে মুহাম্মাদ (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পুত্র) বলিয়া ডাকিতাম। অতঃপর যখন কোরআনের এই আয়াত ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ (অর্থাৎ) "তাহাদিগকে তাহাদের প্রকৃত বাপের পরিচয়ে ডাক" অবতীর্ণ হয়, তখন আমরা যায়দ ইবনে মুহাম্মাদ বলা হইতে বিরত হইয়াছি।
হযরত বারা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস, নবী (ছাঃ) হযরত আলী (রাঃ)-কে যে বলিয়াছেন انت منى অর্থাৎ, হে আলী! তুমি আমার (দেহের অংশবিশেষ, "শিশুর বয়ঃপ্রাপ্তি ও তাহার প্রতিপালন" অধ্যায়ে বর্ণনা করা হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে দেখিয়াছি, তিনি (বিদায় হজ্জে আরাফাতের দিন তাঁহার “কাসওয়া” নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার অবস্থায় ভাষণ দান করিতেছেন। আমি শুনিয়াছি, তিনি ভাষণে বলিয়াছেনঃ হে লোকসকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রাখিয়া যাইতেছি, তোমরা যদি উহাকে শক্তভাবে ধরিয়া রাখ, তবে কখনও গোমরাহ্ হইবে না। তাহা হইল আল্লাহর কিতাব ও আমার ইত্র অর্থাৎ, আমার আহলে বায়ত। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৩। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রাখিয়া যাইতেছি, যদি তোমরা উহাকে শক্ত করিয়া ধরিয়া রাখ, তবে আমার পরে তোমরা আর কখনও গোমরাহ্ হইবে না। উহার মধ্যে একটি আরেকটি অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। একটি হইল, আল্লাহর কিতাব, উহা একটি লম্বা রশি সদৃশ। যাহা আকাশ হইতে যমীন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ। আর দ্বিতীয়টি হইল, আমার আপন আলে বায়ত। এই বস্তু দুইটি কখনও বিচ্ছিন্ন হইবে না। অবশেষে উহারা হাউয়ে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হইবে। সুতরাং তোমরা উহাদের সাথে কিরূপ আচরণ করিতেছ তৎপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিবে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৪। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী, ফাতেমা, হাসান এবং হোসাইন (রাঃ) সম্পর্কে বলিয়াছেনঃ যে কেহ উহাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, আমি তাহাদের শত্রু। পক্ষান্তরে যে তাহাদের সহিত (আপনজনের মত) সদ্ব্যবহার করিবে, আমি তাহাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিব। — তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৫। হযরত জুমাঈ ইবনে ওমায়র (রাঃ) বলেন, একদা আমি আমার ফুফুর সাথে হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে কোন্ মানুষটি সর্বাপেক্ষা প্রিয় ছিলেন? তিনি উত্তরে বলিলেন, বিবি ফাতেমা। এইবার জিজ্ঞাসা করা হইল, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বলিলেন, তাঁহার স্বামী। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৬। হযরত আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রবীআ (রাঃ) বলেন, একদা হযরত আব্বাস (রাঃ) ভীষণ ক্ষুব্ধ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিলেন। আমি তখন তাঁহার নিকট বসা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, কিসে আপনাকে এমনভাবে ক্ষুব্ধ করিয়াছে? তখন তিনি (আব্বাস) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের (অর্থাৎ, বনু হাশেম) এবং কোরাইশের মধ্যে কি (ব্যবধান) রহিয়াছে ? তাহারা যখন পরস্পরে দেখা-সাক্ষাৎ করে, তখন তাহারা হাসি-খুশী অবস্থায় মেলা-মেশা করে। পক্ষান্তরে যখন আমাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে, তখন তাহারা সেইভাবে মিলে না। এই কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমনভাবে রাগান্বিত হইলেন যে, তাহার চেহারা মুবারক লাল হইয়া গেল। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ সেই মহান সত্তার কসম, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ, কোন ব্যক্তির অন্তরে ঈমান প্রবেশ করিবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে (অর্থাৎ, আহলে বায়তকে) মহব্বত করিবে। অতঃপর তিনি বলিলেন, হে লোকসকল! যে ব্যক্তি আমার চাচাকে কষ্ট দেয়, সে যেন আমাকেই কষ্ট দিল। কেননা, কোন ব্যক্তির চাচা হইল তাহার পিতার সমতুল্য। – তিরমিযী, মাসাবীহ্ গ্রন্থে হাদীসটির বর্ণনাকারীর নাম “মুত্তালিব” উল্লেখ রহিয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আব্বাস আমার সহিত জড়িত আর আমি তাঁহার সহিত জড়িত। -তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আব্বাসকে বলিলেনঃ সোমবার সকালে আপনি আপনার সন্তানসহ আমার নিকট আসিবেন। তখন আমি আপনাদের জন্য এমন কিছু বিশেষ দো'আ করিব, যাহাতে আল্লাহ্ তা'আলা আপনাকে ও আপনার সন্তানকে উপকৃত করেন। (ইবনে আব্বাস বলেন, ) সুতরাং, তিনি ও তাঁহার সহিত আমরা সকালে উপস্থিত হইলাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহার চাদর আমাদের গায়ে জড়াইয়া দিলেন, অতঃপর এইভাবে দো'আ করিলেন, “হে আল্লাহ্! তুমি আব্বাস ও তাঁহার সন্তানকে মাফ করিয়া দাও, তাহাদেরে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উভয় দিক হইতে পবিত্ৰ রাখ। তাহাদের কোন প্রকারের গুনাহ্ই বাকী রাখিও না। হে আল্লাহ্! আব্বাসকে তাহার সন্তানের মাঝে নিরাপদে রাখ। —তিরমিযী
আর রাযীন এই বাক্যটি বর্ধিত বলিয়াছেন, [রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দো'আর মধ্যে বলিয়াছেন,] খেলাফত ও রাজত্ব তাঁহার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ। ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬১৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, তিনি জিবরাঈল ফিরিশতাকে দুইবার দেখিয়াছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহার জন্য দুইবার দো'আ করিয়াছেন। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান