মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬১৩৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার পর আমরা কাহাকে আমাদের আমীর (খলীফা) নিযুক্ত করিব? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ যদি তোমরা আবু বকরকে নিজেদের আমীর নিযুক্ত কর, তখন তাহাকে পাইবে অতি বিশ্বস্ত, আমানতদার, দুনিয়াত্যাগী, আখেরাত প্রত্যাশী। আর তোমরা যদি ওমরকে নিজেদের আমীর নিযুক্ত কর, তখন তাহাকে পাইবে শক্তিশালী, আমানতদার, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে সে কাহারও তিরস্কারের প্রতি ভূক্ষেপ করিবে না। আর যদি তোমরা আলীকে নিজেদের আমীর নিযুক্ত কর, তবে আমার ধারণা, তোমরা এইরূপ করিবে না, তখন তোমরা তাহাকে সরল পথপ্রদর্শক এবং সঠিক পথের অনুসারী পাইবে, আর তোমাদিগকেও সে সঠিক পথে পরিচালিত করিবে। — আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৪। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা আবু বকরের প্রতি অনুগ্রহ করুন। তিনি স্বীয় কন্যাকে আমার নিকট বিবাহ দিয়াছেন, নিজের উটে আমাকে সওয়ার করাইয়া “দারুল হিজরতে” লইয়া আসিয়াছেন, সত্তর গুহায় আমার সাথে ছিলেন এবং নিজের মাল দ্বারা বেলালকে খরিদ করিয়া আযাদ করিয়াছেন। আল্লাহ্ ওমরের প্রতি অনুগ্রহ করুন। তিনি সত্যবাদী ছিলেন, যদিও তাহা (কাহারও কাছে) তিক্ত হইত। সত্যবাদিতা তাঁহাকে এমন পর্যায়ে পৌঁছাইয়াছে যে, তাঁহার কোন বন্ধু নাই। আল্লাহ্ ওসমানের প্রতি অনুগ্রহ করুন, ফিরিশতাও তাঁহাকে লজ্জা করেন। আল্লাহ্ তা'আলা আলীর প্রতি অনুগ্রহ করুন। হে আল্লাহ্। হককে আলীর সাথে করিয়া দাও, যেইদিকে আলী থাকেন (হকও যেন সেইদিকে থাকে)। —তিরমিযী, এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৫। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, যখন نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ الايه (আস আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে আয়াত নাযিল হইল, তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী, ফাতেমা ও হাসান এবং হোসাইনকে ডাকিলেন এবং বলিলেন: ইয়া আল্লাহ্। ইহারা সকলে আমার আহলে বায়ত। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা ভোরে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা কাল বর্ণের পশমী নকশী কম্বল গায়ে দিয়া বাহির হইলেন। এমন সময় হাসান ইবনে আলী সেইখানে আসিলেন, তিনি তাঁহাকে কম্বলের ভিতরে ঢুকাইয়া নিলেন। তারপর হোসাইন আসিলেন, তাহাকেও হাসানের সহিত ঢুকাইয়া নিলেন। অতঃপর ফাতেমা আসিলেন, তাহাকেও উহাতে ঢুকাইয়া নিলেন। তারপর আলী আসিলেন, তাহাকেও উহার ভিতরে ঢুকাইয়া লইলেন। অতঃপর নবী (ছাঃ) কোরআনের এই আয়াতটি পড়িলেন - আয়াতের অনুবাদ : "হে আমার আহলে বায়ত। আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদিগকে গোনাহর অপবিত্রতা হইতে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে চান। " মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৭। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, হুযূর (ছাঃ)-এর সাহেবযাদা ইবরাহীম যখন ইনতেকাল করিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন নিশ্চয় তাহার জন্য জান্নাতে একজন ধাত্রী বহিয়াছে। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিবিগণ তাহার নিকটে বসা ছিলাম। এমন সময় ফাতেমা (রাঃ) আসিলেন। তাহার চলার ভঙ্গি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চলার ভঙ্গির সহিত স্পষ্ট মিল ছিল। যখন তিনি তাঁহাকে দেখিলেন, তখন বলিলেন হে আমার কন্যা তোমার আগমন মুবারক হউক। অতঃপর নবী (ছাঃ) তাহাকে নিজের কাছে বসাইলেন, তারপর চুপে চুপে তাহাকে কিছু বলিলেন। ইহাতে ফাতেমা ভীষণভাবে কাঁদিতে লাগিলেন। অতঃপর যখন তাহার অস্থিরতা দেখিলেন, তখন তিনি পুনরায় তাহার কানে চুপে চুপে কিছু বলিলেন। এইবার তিনি হাসিতে লাগিলেন। [আয়েশা (রাঃ) বলেন,] অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সেইখান হইতে উঠিয়া গেলেন, তখন আমি ফাতেমাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, রাসুলুল্লাহ্ (ছাঃ) চুপি চুপি তোমার সহিত কি কথা বলিয়াছেন? উত্তরে ফাতেমা বলিলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোপনীয়তা ফাঁস করিতে চাহি না।
[হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন,] রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর ওফাতের পর আমি ফাতেমাকে বলিলাম, তোমার উপর আমার যেই অধিকার রহিয়াছে, উহার প্রেক্ষিতে আমি তোমাকে কসম দিয়া বলিতেছি, সেই রহস্য সম্পর্কে তুমি আমাকে জরুর অবহিত করিবে। ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, এখন সেই কথাটি প্রকাশ করিতে কোন আপত্তি নাই। প্রথমবার যখন তিনি চুপি চুপি আমাকে কিছু কথা বলিলেন, তখন তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন, হযরত জিবরাঈল (আঃ) প্রতিবৎসর (রমযানে) একবার কোরআন মজীদ আমার সহিত দাওর করিতেন; কিন্তু এই বৎসর তিনি উহা দুইবার দাওর করিয়াছেন। ইহাতে আমি ধারণা করি যে, আমার ওফাতের সময় নিকটবর্তী হইয়া গিয়াছে। সুতরাং (হে ফাতেমা।) আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্যধারণ কর। আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রযাত্রী। এই কথা শুনিয়া আমি কাঁদিতে লাগিলাম। অতঃপর যখন তিনি আমার অস্থিরতা দেখিতে পাইলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে চুপি চুপি বলিলেন, হে ফাতেমা। তুমি কি ইহাতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি হইবে বেহেশতের নারীকুলের সরদার অথবা বলিয়াছেন, ঈমানদার মহিলা সম্প্রদায়ের সরদার।
অপর এক রেওয়ায়তে আছে, তিনি চুপি চুপি আমাকে এই খবরটি দিয়াছেন যে, ঐ অসুখেই তিনি ইনতেকাল করিবেন। তখন আমি কাঁদিতে লাগিলাম। তারপর (দ্বিতীয়বার) তিনি চুপি চুপি আমাকে এই খবরটি দিলেন যে, তাহার পরিজনদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম তাহার পশ্চাদগামী হইব। তখন আমি হাসিয়া ফেলিলাম। মোত্তাঃ
[হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন,] রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর ওফাতের পর আমি ফাতেমাকে বলিলাম, তোমার উপর আমার যেই অধিকার রহিয়াছে, উহার প্রেক্ষিতে আমি তোমাকে কসম দিয়া বলিতেছি, সেই রহস্য সম্পর্কে তুমি আমাকে জরুর অবহিত করিবে। ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, এখন সেই কথাটি প্রকাশ করিতে কোন আপত্তি নাই। প্রথমবার যখন তিনি চুপি চুপি আমাকে কিছু কথা বলিলেন, তখন তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন, হযরত জিবরাঈল (আঃ) প্রতিবৎসর (রমযানে) একবার কোরআন মজীদ আমার সহিত দাওর করিতেন; কিন্তু এই বৎসর তিনি উহা দুইবার দাওর করিয়াছেন। ইহাতে আমি ধারণা করি যে, আমার ওফাতের সময় নিকটবর্তী হইয়া গিয়াছে। সুতরাং (হে ফাতেমা।) আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্যধারণ কর। আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রযাত্রী। এই কথা শুনিয়া আমি কাঁদিতে লাগিলাম। অতঃপর যখন তিনি আমার অস্থিরতা দেখিতে পাইলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে চুপি চুপি বলিলেন, হে ফাতেমা। তুমি কি ইহাতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি হইবে বেহেশতের নারীকুলের সরদার অথবা বলিয়াছেন, ঈমানদার মহিলা সম্প্রদায়ের সরদার।
অপর এক রেওয়ায়তে আছে, তিনি চুপি চুপি আমাকে এই খবরটি দিয়াছেন যে, ঐ অসুখেই তিনি ইনতেকাল করিবেন। তখন আমি কাঁদিতে লাগিলাম। তারপর (দ্বিতীয়বার) তিনি চুপি চুপি আমাকে এই খবরটি দিলেন যে, তাহার পরিজনদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম তাহার পশ্চাদগামী হইব। তখন আমি হাসিয়া ফেলিলাম। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬১৩৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৩৯। হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ফাতেমা আমার (দেহেরই) একটি টুকরা, যে তাহাকে রাগান্বিত করিবে, সে নিশ্চয়ই আমাকে রাগান্বিত করিবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, আমাকে সেই বস্তুই অস্থির করে, যেই বস্তু তাহাকে পেরেশানীতে ফেলে এবং সেই জিনিসই আমাকে কষ্ট দেয়, যাহা তাহাকে কষ্ট দেয়। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান