মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কারামাত সম্পর্কে বর্ণনা
৫৯৪৬। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাঃ) বলেন, আসহাবে সুফ্ফাগণ ছিলেন দরিদ্র লোক। এই জন্য নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যাহার কাছে দুইজনের খাদ্য আছে, সে যেন তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে (আসহাবে সুফ্ফা হইতে) একজনকে লইয়া যায়। আর যাহার কাছে চারজনের খাদ্য আছে, সে যেন পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ ব্যক্তিকে লইয়া যায়। ইহা শুনিয়া আবু বকর (রাঃ) তিনজনকে এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ জনকে লইয়া গেলেন। এইদিকে আবু বকর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে রাত্রির খাবার গ্রহণ করিয়া ঐখানেই বিলম্ব করিলেন। এমন কি এশার নামায আদায়ের পর আবার তিনি নবী (ছাঃ)-এর ওখানে ফিরিয়া গেলেন এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আহার শেষ করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করিলেন। তারপর অধিক রাত্রি অতিবাহিত হওয়ার পরে তিনি বাড়ী ফিরিলেন। তখন তাহার স্ত্রী তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাকে তোমার মেহমান হইতে কিসে আটকাইয়া রাখিল? আবু বকর বলিলেন, তুমি কি তাহাদিগকে রাতের খাবার দাও নাই? বিবি বলিলেন, তুমি না আসা পর্যন্ত তাহারা খাইতে অস্বীকার করিয়াছে। এই কথা শুনিয়া আবু বকর রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমি কখনও খাইব না। তাহার স্ত্রীও কসম করিলেন যে, তিনিও উক্ত খানা খাইবেন না। এইদিকে মেহমানগণও কসম করিয়া বলিলেন যে, তাহারাও এই খানা খাইবেন না।
অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, ইহা (না খাওয়ার শপথ) শয়তানের পক্ষ হইতে। এই বলিয়া তিনি খাবার আনাইয়া নিলেন (এবং মেহমানদিগকে বলিলেন, আপনারা কোন প্রকারের দ্বিধা-সংকোচ না করিয়া খাইতে আসুন।) অতঃপর আবু বকর খাইলেন এবং তাহারাও খাইতে লাগিলেন। (আব্দুর রহমান বলেন,) তাহারা যখনই কোন লোকমা উঠাইতেন, তখন সঙ্গে সঙ্গেই উহার নীচের দিক হইতে ঐ পরিমাণ অপেক্ষা অধিক বাড়িয়া যাইত। তখন আবু বকর (বিস্ময়ের সাথে) স্ত্রীকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে বনী ফেরাসের ভগ্নি। এই কি আশ্চর্য কাণ্ড? স্ত্রী বলিলেন, আমার চক্ষু শীতলকারীর শপথ। এইগুলি নিঃসন্দেহে এখন পূর্বের চাইতে তিন গুণ অধিক। মোটকথা, তাঁহারা সকলে খাইলেন এবং অবশিষ্ট খাদ্য নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে পাঠাইয়া দিলেন। এই প্রসঙ্গে ইহাও বর্ণনা করা হইয়াছে যে, নবী (ছাঃ)-এ উহা হইতে খাইয়াছেন। —মোস্তাঃ
এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক বর্ণিত হাদীস كنا نسمع تسبيح الطعام মু'জেযার অধ্যায়ে বর্ণনা করা হইয়াছে।
অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, ইহা (না খাওয়ার শপথ) শয়তানের পক্ষ হইতে। এই বলিয়া তিনি খাবার আনাইয়া নিলেন (এবং মেহমানদিগকে বলিলেন, আপনারা কোন প্রকারের দ্বিধা-সংকোচ না করিয়া খাইতে আসুন।) অতঃপর আবু বকর খাইলেন এবং তাহারাও খাইতে লাগিলেন। (আব্দুর রহমান বলেন,) তাহারা যখনই কোন লোকমা উঠাইতেন, তখন সঙ্গে সঙ্গেই উহার নীচের দিক হইতে ঐ পরিমাণ অপেক্ষা অধিক বাড়িয়া যাইত। তখন আবু বকর (বিস্ময়ের সাথে) স্ত্রীকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে বনী ফেরাসের ভগ্নি। এই কি আশ্চর্য কাণ্ড? স্ত্রী বলিলেন, আমার চক্ষু শীতলকারীর শপথ। এইগুলি নিঃসন্দেহে এখন পূর্বের চাইতে তিন গুণ অধিক। মোটকথা, তাঁহারা সকলে খাইলেন এবং অবশিষ্ট খাদ্য নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে পাঠাইয়া দিলেন। এই প্রসঙ্গে ইহাও বর্ণনা করা হইয়াছে যে, নবী (ছাঃ)-এ উহা হইতে খাইয়াছেন। —মোস্তাঃ
এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক বর্ণিত হাদীস كنا نسمع تسبيح الطعام মু'জেযার অধ্যায়ে বর্ণনা করা হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯৪৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারামাত সম্পর্কে বর্ণনা
৫৯৪৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, (হাবশার তথা আবিসিনিয়ার রাজা) নাজাশীর মৃত্যুর পর আমরা পরস্পর বলাবলি করিতাম, তাঁহার কবরে সর্বদা আলো দেখা যাইতেছে। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান