মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৮৩৪
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮৩৪। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা আবু জাহল নবী (ﷺ)কে বলিল, আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি না (বা বলি না), তবে আমরা উহাকেই মিথ্যা মনে করি যাহা তুমি আমাদের কাছে লইয়া আসিয়াছ। (অর্থাৎ, যাহা তুমি আল্লাহর অহী বলিয়া দাবী করিতেছ।) তখন আল্লাহ্ তা'আলা সেই সমস্ত বেঈমানদের প্রসঙ্গে নাযিল করিলেনঃ (অর্থাৎ,) “ঐ সমস্ত কাফের-বেঈমানরা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলিয়া আখ্যায়িত করে না, কিন্তু সেই সমস্ত সীমালঙ্ঘনকারী যালিমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।” — তিরমিযী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ عَلِيٍّ أَنَّ أَبَا جَهْلٍ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: إنَّا لَا نُكذِّبكَ ولكنْ نكذِّبُ بِمَا جئتَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ: [فَإِنَّهُمْ لَا يُكَذِّبُونَكَ ولكنَّ الظالمينَ بآياتِ اللَّهِ يَجْحَدونَ] رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৩৫
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮৩৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ হে আয়েশা। যদি আমি চাইতাম তাহা হইলে স্বর্ণের পাহাড় আমার সঙ্গে সঙ্গে চলিত। একদা আমার কাছে একজন ফিরিশতা আসিলেন, তাহার কোমর ছিল কা'বা শরীফের সমপরিমাণ। (অর্থাৎ, প্রকাণ্ড দেহবিশিষ্ট) তিনি আসিয়া বলিলেন, আপনার রব আপনাকে সালাম জানাইয়াছেন এবং বলিয়াছেনঃ যদি আপনি ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে “নবী এবং বান্দা হওয়া” গ্রহণ করিতে পারেন কিংবা যদি ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে “নবী এবং বাদশাহ্ হওয়া” গ্রহণ করিতে পারেন। হুযূর (ﷺ) বলেন, যখন আমি হযরত জিবরাঈল (আঃ)-এর দিকে তাকাইলাম, তখন তিনি আমার দিকে ইংগিত করিলেন, নিজেকে নিম্নস্তরে রাখ ৷
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَائِشَةُ لَوْ شِئْتُ لَسَارَتْ مَعِي جِبَالُ الذَّهَبِ جَاءَنِي مَلَكٌ وَإِنَّ حُجْزَتَهُ لَتُسَاوِي الْكَعْبَةَ فَقَالَ: إِنَّ رَبَّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ: إِنْ شِئْتَ نَبِيًّا عَبْدًا وَإِنْ شِئْتَ نَبِيًّا مَلِكًا فَنَظَرْتُ إِلَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَشَارَ إِلَيَّ أَنْ ضَعْ نَفْسَكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৩৬
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮৩৬। অপর এক রেওয়ায়তে আছে—হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, উল্লিখিত কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিবরাঈলের দিকে তাকাইলেন, যেন তিনি তাহার কাছে মশওয়ারা চাহিতেছেন। তখন জিবরাঈল হাতে ইশারা করিলেন যে, আপনি বিনয় গ্রহণ করুন। কাজেই জবাবে বলিলাম; আমি “নবী এবং বান্দা” হইয়া থাকিতে চাই। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইহার পর হইতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আর কখনও হেলান দিয়া খাইতেন না; বরং তিনি বলিতেন; আমি সেইভাবে খানা খাইব, যেইভাবে একজন গোলাম খায় এবং সেইভাবে বসিব যেমনিভাবে একজন গোলাম বসে। —শরহে সুন্নাহ্
كتاب الفضائل والشمائل
وَفِي رِوَايَة ابْن عبَّاسٍ: فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جِبْرِيلَ كَالْمُسْتَشِيرِ لَهُ فَأَشَارَ جِبْرِيلُ بِيَدِهِ أَنْ تَوَاضَعْ. فَقُلْتُ: «نَبِيًّا عَبْدًا» قَالَتْ: فَكَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ ذَلِكَ لَا يَأْكُلُ متكأ يَقُولُ: «آكُلُ كَمَا يَأْكُلُ الْعَبْدُ وَأَجْلِسُ كَمَا يَجْلِسُ العبدُ» رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৩৭
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নুবুওয়্যাতপ্রাপ্তি ও ওয়াহীর সূচনা
৫৮৩৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চল্লিশ বৎসর বয়সে নবুওত প্রদান করা হইয়াছে। ইহার পর তিনি তের বৎসর মক্কায় অবস্থান করিয়াছেন এবং তাঁহার নিকটে অহী আসিতে থাকে। অতঃপর তাঁহাকে হিজরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। হিজরত করিয়া তিনি (মদীনায়) দশ বৎসর জীবিত ছিলেন, অবশেষে তেষট্টি বৎসর বয়সে ইনতেকাল করিয়াছেন। —মোত্তা ঃ
كتاب الفضائل والشمائل
بَاب المبعث وبدء الْوَحْي: الْفَصْل الأول
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَمَكَثَ بِمَكَّةَ ثلاثَ عَشْرَةَ سَنَةً يُوحَى إِلَيْهِ ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ فهاجرَ عشر سِنِينَ وَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. مُتَّفق عَلَيْهِ