মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৮০২
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বাপেক্ষা উত্তম চরিত্রের মানুষ। একদা তিনি কোন এক কাজে আমাকে পাঠাইতে চাহিলেন। তখন আমি বলিলাম—আল্লাহর কসম! আমি যাইব না। কিন্তু আমার মনের মধ্যে আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই কাজের জন্য আমাকে আদেশ করিয়াছেন, আমি সেই কাজে অবশ্যই যাইব। অতঃপর আমি বাহির হইলাম এবং এমন কতিপয় বালকদের নিকট আসিয়া পৌঁছিলাম যাহারা বাজারের মধ্যে খেলাধুলা করিতেছিল। এমন সময় হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিয়া পিছন হইতে আমার ঘাড় চাপিয়া ধরিলেন। আনাস বলেন, আমি তাহার দিকে তাকাইয়া দেখিলাম, তিনি হাসিতেছেন। তখন তিনি স্নেহের সুরে বলিলেন : হে উনাইস। আমি তোমাকে যেই কাজের জন্য আদেশ করিয়াছিলাম তথায় কি তুমি গিয়াছিলে? জবাবে আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এই তো আমি এক্ষুণি যাইতেছি। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত পথ চলিতেছিলাম। তাঁহার গায়ে ছিল মোটা পাড়ের একখানা নাজরানী চাদর। এমন সময় একজন গ্রাম্য বেদুইন তাঁহাকে পাইয়া তাঁহার চাদরটি ধরিয়া জোরে টান দিল। টানের চোটে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত বেদুইনের বক্ষের কাছে আসিয়া পড়িলেন। আনাস বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাধের প্রতি নজর করিয়া দেখিলাম, সে জোরে টানার দরুন তাঁহার কাধে চাদরের ডোরার ছাপ পড়িয়া গিয়াছে। অতঃপর বেদুইনটি বলিল, হে মুহাম্মাদ। আল্লাহ্ তা'আলার যেই সমস্ত মালামাল তোমার নিকট আছে, উহা হইতে আমাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দাও। এই সময় রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার দিকে ফিরিয়া তাকাইলেন এবং হাসিয়া ফেলিলেন। অতঃপর তাহাকে কিছু দেওয়ার নির্দেশ দান করিলেন। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মধ্যে সকলের চাইতে সুন্দরতম, সর্বাপেক্ষা অধিক দানশীল এবং সকলের চাইতে বেশী সাহসী ছিলেন। একরাত্রে মদীনাবাসী ( কোন শব্দ শুনিয়া) ভীষণ ভয় পাইয়াছিল। ইহাতে লোকজন সেই আওয়ায়ের দিকে ছুটিয়া চলিল, তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাহাদের সম্মুখে পাইল। তিনি সকলের আগে সেই আওয়াযের দিকে পৌঁছিয়া গিয়াছিলেন। এই সময় নবী (ছাঃ) বলিতে লাগিলেনঃ তোমরা ভয় করিও না, তোমরা ভয় করিও না। তখন তিনি হযরত আবু তালহা (রাঃ)-এর একটি ঘোড়ার খালি পিঠে জিন-পোষ ছাড়াই আরোহণ করিয়া ছিলেন। তাহার গলায় ঝুলিতেছিল একখানা তলোয়ার। অতঃপর হুযুর (ছাঃ) বলিলেন; আমি এই ঘোড়াটিকে দরিয়ার মত পাইয়াছি। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৫। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যখনই কোন জিনিস চাওয়া হইয়াছে, তিনি কখনও 'না' বলেন নাই। – মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এতগুলি বকরী চাহিল, যাহাতে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী নিম্নভূমি ভর্তি হইয়া যায়। তখন তিনি তাহাকে সেই পরিমাণ বকরীই দিয়া দিলেন। অতঃপর লোকটি আপন কওমের কাছে আসিয়া বলিল, হে আমার কওমের লোকসকল! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কেননা, মুহাম্মাদ (ছাঃ) এত অধিক পরিমাণে দান করেন যে, তিনি অভাবকে ভয় করেন না। — মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৭। হযরত জুবাইর ইবনে মুতয়িম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হোনাইনের যুদ্ধ হইতে ফিরিবার সময় তিনি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সফর করিতেছিলেন। একসময় পথে কিছুসংখ্যক গ্রাম্য আরব বেদুইন তাঁহাকে জড়াইয়া ধরিল এবং তাহাদিগকে কিছু দেওয়ার জন্য আব্দার করিতে থাকিল। অবশেষে তাহারা তাহাকে একটি বাবলা গাছের নীচে যাইতে বাধ্য করিল। এমন কি উহার কাঁটায় তাহার চাদর আটকিয়া গেল। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে দাঁড়াইয়া তাহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন: তোমরা আমার চাদরখানা ছাড়াইয়া দাও। যদি এখন আমার কাছে এই কাঁটা গাছগুলির সমসংখ্যক উট ও দুম্বা থাকিত, তাহা হইলে আমি সেইগুলি তোমাদের মধ্যে বন্টন করিয়া দিতাম। ইহার পর তোমরা বুঝিতে পারিতে যে, আমি কৃপণ স্বভাব নই, মিথ্যাবাদী নই এবং কাপুরুষও নই। ———বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের নামায পড়িয়া অবসর হইতেন, তখন মদীনাবাসীদের খাদেমগণ (দাস-দাসী) পানি ভরা পাত্র লইয়া তথায় উপস্থিত হইত। তিনি তাহাদের আনীত যে কোন পাত্রে নিজ হাত ডুবাইয়া দিতেন। তাহারা কখনও কখনও শীতকালে ভোরে আসিত, তখনও তিনি উহাতে হাত ডুবাইয়া দিতেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনাবাসীদের বাদীদের মধ্যে এমন একটি বাঁদী ছিল, যে রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত ধরিয়া যথায় ইচ্ছা তথায় লইয়া যাইত। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১০। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা এমন একটি মহিলা —যাহার মাথায় কিছুটা গণ্ডগোল ছিল, সে আসিয়া বলিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। আপনার সাথে আমার একটু দরকার আছে। উত্তরে তিনি বলিলেন: হে অমুকের মা। যেই গলিতেই তুমি আমাকে লইয়া যাইতে চাও, আমি তোমার কাজের জন্য তথায় যাইতে প্রস্তুত আছি। অতঃপর হুযুর (ছাঃ) মহিলাটির সহিত কোন এক রাস্তার পার্শ্বে নিরালায় কথাবার্তা বলিলেন, এমন কি সে তাহার প্রয়োজন সমাধা করিয়া চলিয়া গেল। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশালীন বাক্য উচ্চারণকারী, লানতকারী এবং গালি-গালাজকারী ছিলেন না। তিনি যখন কাহারও প্রতি নারাজ হইতেন, তখন কেবল এতটুকুই বলিতেন যে, "তাহার কি হইল ? তাহার কপাল ভূলুণ্ঠিত হউক।" —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১২। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ)-এর নিকট প্রস্তাব করা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কাফের-মুশরিকদের উপর বদ্-দোআ করুন। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ আমাকে অভিসম্পাতকারী করিয়া পাঠান হয় নাই; বরং আমাকে রহমতস্বরূপ পাঠান হইয়াছে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশী লাজুক ছিলেন। যখন তিনি কোন কিছু অপছন্দ করিতেন, তখন তাঁহার চেহারায় আমরা উহার পরিচয় পাইতাম। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনও মুখ খুলিয়া দাঁত বাহির করত এমনভাবে হাসিতে দেখি নাই যে, তাহার কণ্ঠতালু পর্যন্ত দেখা যায়; বরং তিনি মুচকি হাসিতেন। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনর্গল কথাবার্তা বলিতেন না, যেইরূপ তোমরা অনর্গল বলিতে থাক। বরং তিনি যখন কথাবার্তা বলিতেন, তখন ধীরে ধীরে থামিয়া থামিয়া কথা বলিতেন, এমন কি যদি কোন ব্যক্তি উহা গনিতে চাহিত, তবে উহা গনিতে পারিত। -মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৬। আসওয়াদ (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহের অভ্যন্তরে কি কাজ করিতেন? তিনি বলিলেন, তিনি পারিবারিক কাজ করিতেন। অর্থাৎ, পরিবারের কাজ আঞ্জাম দিতেন। আর যখন নামাযের সময় হইত তখন নামাযের দিকে বাহির হইয়া যাইতেন। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখনই দুইটি ব্যাপারে এখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে, তখন তিনি উভয়টির মধ্যে যেইটি সহজতর সেইটি গ্রহণ করিয়াছেন। তবে এই শর্তে যে, সেইটি যেন কোন প্রকারের গোনাহের কাজ না হয়। কিন্তু যদি উহা গোনাহের কাজ হইত, তবে তিনি উহা হইতে সকলের চাইতে অনেক দূরে সরিয়া থাকিতেন। আর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের কোন ব্যাপারে কখনও প্রতিশোধ গ্রহণ করেন নাই। তবে কেহ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করিয়া ফেলিত, তখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে (তাহার নিকট হইতে) প্রতিশোধ গ্রহণ করিতেন। — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাস্তায় জেহাদরত অবস্থা ব্যতীত কখনও কাহাকেও নিজ হাতে প্রহার করেন নাই। নিজের স্ত্রীগণকেও না, খাদেমকেও না। আর যদি তাঁহার দেহে বা অন্তরে কাহারও পক্ষ হইতে কোন প্রকারের কষ্ট বা ব্যথা লাগিত, তখন নিজের ব্যাপারে সেই ব্যক্তি হইতে কোন প্রকারের প্রতিশোধ নিতেন না। কিন্তু যদি কেহ আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ করিয়া বসিত, তখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে শাস্তি দিতেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৮১৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমার বয়স যখন আট বৎসর তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে যোগ দেই এবং দশ বৎসর তাঁহার খেদমত করি। কোন সময় কোন জিনিস আমার হাতে নষ্ট হইয়া গেলেও তিনি আমাকে কখনও তিরস্কার করেন নাই। যদি পরিবারবর্গের কেহ আমাকে তিরস্কার করিতেন, তখন তিনি বলিতেনঃ তাহাকে ছাড়িয়া দাও। কেননা, যাহা মোকাদ্দার ছিল তাহা তো হইবেই। —ইহা মাসাবীহ্-এর শব্দ, বায়হাকী শোআবুল ঈমানে কিছু পরিবর্তনসহ বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান