মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৫৭৯৪
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৪। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, একদা আমি চাঁদনী রাত্রে নবী (ﷺ)কে দেখিলাম। অতঃপর একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে তাকাইতাম আর একবার চাঁদের দিকে। সেই সময় তিনি লাল বর্ণের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তখন তাঁহাকে আমার কাছে চাঁদের চাইতে অধিকতর খুবসুরত মনে হইল। —তিরমিযী ও দারেমী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى الْقَمَرِ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ فَإِذَا هُوَ أَحْسَنُ عِنْدِي مِنَ الْقَمَرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৯৫
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে সুন্দর কোন জিনিস আমি কখনও দেখিতে পাই নাই, মনে হইত যেন সূর্য তাঁহার মুখমণ্ডলে ভাসিতেছে। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপেক্ষা চলার মধ্যে দ্রুতগতিসম্পন্ন কাহাকেও আমি দেখি নাই। তাঁহার চলার সময় মনে হইত যমীন যেন তাঁহার জন্য সংকুচিত হইয়া আসিত। আমরা তাঁহার সাথে সাথে চলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করিয়া চলিতাম। অথচ তিনি স্বাভাবিক নিয়মে চলিতেন। – তিরমিযী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَن الشَّمْس تجْرِي على وَجْهِهِ وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَسْرَعَ فِي مَشْيِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّمَا الْأَرْضُ تُطْوَى لَهُ إِنَّا لَنُجْهِدُ أَنْفُسَنَا وَإنَّهُ لغير مكترث. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৯৬
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৬। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পায়ের উভয় গোড়ালী হাল্কা-পাতলা। তিনি মৃদু হাসি ব্যতীত (খিল খিল করিয়া উচ্চ স্বরে) হাসিতেন না। আর আমি যখনই তাহার দিকে তাকাইতাম, তখন আমি মনে মনে বলিতাম, তিনি চক্ষুতে সুরমা লাগাইয়াছেন। অথচ তখন তিনি সুরমা ব্যবহার করেন নাই। —তিরমিযী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: كَانَ فِي سَاقَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُمُوشَةٌ وَكَانَ لَا يَضْحَكُ إِلَّا تَبَسُّمًا وَكُنْتُ إِذَا نَظَرْتُ إِلَيْهِ قُلْتُ: أَكْحَلُ الْعَيْنَيْنِ وَلَيْسَ بأكحل. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৯৭
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সম্মুখের দাঁত দুইটির মাঝে কিছুটা ফাঁক ছিল। যখন তিনি কথাবার্তা বলিতেন, তখন মনে হইত উক্ত দাঁত দুইটির মধ্য দিয়া যেন আলো বিচ্ছুরিত হইতেছে। —দারেমী
كتاب الفضائل والشمائل
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ إِذَا تَكَلَّمَ رُئِيَ كَالنُّورِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
তাহকীক: