মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৬৫৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৭। হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিম্নমানের জান্নাতী তাহার উদ্যানসমূহ, বিবিগণ, নেয়ামতের সারি, খাদেম ও সেবককুল এবং তাহার আসনসমূহ একহাজার বৎসরের দূরত্ব পরিমাণ বিস্তীর্ণ দেখিতে পাইবে। আর আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সেই ব্যক্তিই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানী হইবে, যে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ্ তা'আলার দর্শন লাভ করিবে। অতঃপর হুযূর (ﷺ) এই আয়াতটি পাঠ করিলেন— (অর্থাৎ,) “সেই দিন কিছুসংখ্যক চেহারা আপন পরওয়ারদিগারের দর্শন লাভে তরতাজা ও উজ্জ্বল হইয়া উঠিবে এবং তাহাদের প্রভুর দিকে তাকাইয়া থাকিবে।” –আহমদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬৫৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৮। হযরত আবু রাযীন উকাইলী (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কিয়ামতের দিন আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিই কি স্বতন্ত্রভাবে তাহার পরওয়ারদিগারকে দেখিতে পাইবে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, দেখিতে পাইবে। আবু রাযীন বলেন, আমি আবার জিজ্ঞাসা করিলাম, আচ্ছা, তাঁহার সৃষ্টিকুলের মধ্যে ইহার কোন দৃষ্টান্ত আছে কি? উত্তরে তিনি বলিলেন ; হে আবু রাযীন! তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি কি মানুষের ভীড় ব্যতিরেকে স্বতন্ত্রভাবে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিতে পায় না? আবু রাযীন বলিলেন, হ্যাঁ। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেন; চাঁদ হইল আল্লাহ্ পাকের সৃষ্টিকুলের একটি সৃষ্টি। অথচ আল্লাহ্ পাক হইলেন সুমহান ও বিরাট সত্তা। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান