মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৫৬৫৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৫৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) কথাবার্তা বলিতেছিলেন। এই সময় তাঁহার কাছে একজন গ্রাম্য বেদুইন উপস্থিত ছিল। নবী (ﷺ) বলিলেনঃ জান্নাতবাসী এক ব্যক্তি তথায় কৃষিকাজ করিবার জন্য তাহার পরওয়ারদিগারের কাছে অনুমতি চাহিবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে বলিবেনঃ তোমার যাহাকিছুর প্রয়োজন তাহা কি তোমার কাছে নাই ? সে বলিবে, হ্যাঁ, তবে আমি কৃষিকাজ ভালবাসি। অতঃপর সে বীজ বপন করিবে এবং চক্ষুর পলকে তাহা অঙ্কুরিত হইবে, পোক্ত হইবে এবং ফসল কাটা হইবে। এমন কি পাহাড়ের পরিমাণ স্তূপ হইয়া যাইবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেনঃ হে আদম সন্তান! লইয়া যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয় না। তখন গ্রাম্য বেদুইন লোকটি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম! দেখিবেন, সে হয়তো কোন কোরাইশী অথবা আনসার গোত্রীয় লোক হইবে। কেননা, তাহারাই কৃষিকাজ করিয়া থাকে। আর আমরা তো কৃষিকাজ করি না। তাহার কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হাসিয়া দিলেন। —বুখারী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَحَدَّثُ - وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ -: إِنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ فِي الزَّرْعِ. فَقَالَ لَهُ: أَلَسْتَ فِيمَا شِئْتَ؟ قَالَ: بَلَى وَلَكِنْ أُحِبُّ أَنْ أَزْرَعَ فَبَذَرَ فَبَادَرَ الطَّرْفَ نَبَاتُهُ وَاسْتِوَاؤُهُ وَاسْتِحْصَادُهُ فَكَانَ أَمْثَالَ الْجِبَالِ. فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: دُونَكَ يَا ابْن آدم فَإِنَّهُ يُشْبِعُكَ شَيْءٌ . فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: وَاللَّهِ لَا تَجِدُهُ إِلَّا قُرَشِيًّا أَوْ أَنْصَارِيًّا فَإِنَّهُمْ أَصْحَابُ زَرْعٍ وَأَمَّا نَحْنُ فَلَسْنَا بِأَصْحَابِ زَرْعٍ فَضَحِكَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৫৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ
৫৬৫৪। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করিল, বেহেশতবাসীগণ কি ঘুমাইবে ? তিনি বলিলেনঃ নিদ্রা তো মৃত্যুর সহোদর। আর বেহেস্তবাসী মরিবে না (সুতরাং তাহাদের নিদ্রা নাই)। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيَنَامُ أَهْلُ الْجَنَّةِ؟ قَالَ: «النَّوْمُ أَخُو الْمَوْتِ وَلَا يَمُوتُ أَهْلُ الجنةِ» . رواهُ البيهقيُّ فِي «شعب الْإِيمَان»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৫৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৫। হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: অচিরেই তোমরা নিশ্চিত তোমাদের পরওয়ারদিগারকে স্বচক্ষে প্রকাশ্যে দেখিতে পাইবে এবং অপর এক রেওয়ায়তে আছে— জারীর (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসা ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাত্রে চাঁদের দিকে তাকাইয়া বলিলেন, তোমরা অচিরেই তোমাদের প্রভুকে দেখিতে পাইবে, যেমন তোমরা এই চাঁদকে দেখিতেছ। তাহার দীদারে তোমরা কোনরূপ বাধাপ্রাপ্ত হইবে না। সুতরাং তোমরা সাধ্যমত চেষ্টা করিবে সূর্য উদয়ের পূর্বের নামায সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বের নামায সূর্যাস্তের পূর্বে আদায় করিতে যেন ব্যর্থ না হও। (অর্থাৎ, ফজর ও আসরের নামায যথাসময়ে আদায় করিবে।) অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করিলেন (অর্থাৎ) "সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে আপন পরওয়ারদিগারের প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা কর।” —মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
بَاب رؤيةالله تَعَالَى: الْفَصْل الأول
عَن جَرِيرِ بْنِ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ: «إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَا تُضَامُونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا تُغْلَبُوا عَلَى صَلَاةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا» ثُمَّ قَرَأَ (وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبهَا) مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক: