মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৯৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৫৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। কাজেই তাহার উপর যুলম করিবে না, তাহাকে লজ্জিত করিবে না এবং তাহাকে হীন মনে করিবে না। 'খোদাভীতি এইখানে এই কথা বলিয়া তিনি তিনবার নিজের বক্ষের দিকে ইংগিত করিলেন। তিনি আরও বলিয়াছেন: কোন ব্যক্তির মন্দ কাজ করার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে নিজের কোন মুসলমান ভাইকে হেয় জানে। বস্তুতঃ একজন মুসলমানের সব কিছুই অপর মুসলমানের জন্য হারাম। অর্থাৎ, তাহার জান, মাল ও ইজ্জত-আবরু। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬০। হযরত ইয়ায ইবনে হিমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : তিন প্রকারের লোক বেহেশতবাসী। (এক) এমন শাসক যে ইনসাফ কারী, দানশীল এবং যাহাকে সৎ কাজের যোগ্যতাদান করা হইয়াছে। (দুই) এমন ব্যক্তি যিনি দয়ালু, নিকটতম ও অন্যান্য মুসলমানের প্রতি কোমল প্রাণবিশিষ্ট। (তিন) যে সৎচরিত্রের অধি- কারী এবং পারিবারিক দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা হইতে বাঁচিয়া থাকে। এবং পাঁচ প্রকারের লোক জাহান্নামী। (এক) দুর্বল জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি, যে নিজের স্থূল-বুদ্ধির কারণে নিজেকে কুকর্ম হইতে ফিরাইয়া রাখিতে পারে না। ইহারা সেই সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাহারা তোমাদের অধীনস্থ চাকর-বাকর। তাহারা স্ত্রী-পরিবার চায় না এবং মালেরও ভ্রুক্ষেপ করে না। (দুই) ঐ খেয়ানতকারী যাহার লোভ-লালসা হইতে গোপনীয় জিনিসও রক্ষা পায় না। তুচ্ছ জিনিস হই লেও আত্মসাৎ করে। (তিন) এমন ব্যক্তি যে তোমাকে তোমার পরিজন ও মাল-সম্পদের মধ্যে ধোকায় ফেলার জন্য সকাল-সন্ধ্যা ফিকিরে থাকে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (চার) কার্পণ্যতা ও মিথ্যাবাদিতা এবং (পাঁচ) দুশ্চরিত্র ও অশ্লীল বাক্যালাপকারীর কথাও বর্ণনা করিয়াছেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই মহান সত্তার কসম যাহার হাতে আমার প্রাণ। কোন বান্দা (পরিপূর্ণ) ঈমানদার হইবে না যে পর্যন্ত সে নিজের কোন (মুসলমান) ভাইয়ের জন্য তাহা পছন্দ করিবে না যাহা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহর কসম। সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম। সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম সে ঈমানদার নয়। জিজ্ঞাসা করা হইল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। সে কে? তিনি বলিলেন যাহার প্রতিবেশী তাহার অনিষ্ট হইতে নিরাপদ না থাকে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে না যাহার অনিষ্ট হইতে তাহার প্রতিবেশী নিরাপদ না থাকে। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৪। হযরত আয়েশা ও ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: হযরত জিবরাঈল (আঃ) সর্বদা আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে উপদেশ দিতে থাকেন। এমনকি আমার এই ধারণা হইতেছিল যে, অচিরেই তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিশ করিয়া দিবেন। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : যখন তোমরা তিন জন একত্রে থাকিবে, তখন একজনকে বাদ দিয়া দুই জনে চুপে চুপে কথা বলিবে না—অন্যান্য লোকের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত। ইহা এইজন্য যে, ইহা তাহাকে দুশ্চিন্তায় ফেলিতে পারে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৬। হযরত তামীম দারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলিয়াছেনঃ অকপট আচরণের নামই দ্বীন। আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, কাহার জন্য ? তিনি বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার জন্য, তাঁহার কিতাবের জন্য, তাঁহার রাসূলের জন্য, মুসলমানদের নেতৃত্বে অধিষ্ঠ ব্যক্তিদের জন্য এবং সাধারণ মুসলমানদের জন্য। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৭। হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে নামায প্রতিষ্ঠা, যাকাত প্রদান এবং প্রত্যেক মুসলমানের কল্যাণ কামনা করার অঙ্গীকার করিয়া বায়'আত করিলাম। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি সত্যায়িত সত্যবাদী আবুল কাসেম (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছিঃ একমাত্র হতভাগ্যদের অন্তর হইতেই দয়া অনুগ্রহ বাহির করিয়া দেওয়া হয়। –আহমদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দয়াবান ব্যক্তিদের প্রতি আল্লাহ্ রহমানুর রাহীম দয়া করেন। অতএব, তোমরা পৃথিবীবাসীদের প্রতি দয়া কর, আসমানে যিনি আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করিবেন। —আবু দাউদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না, বড়দেরকে সম্মান করে না, ভাল কাজের আদেশ করে না এবং খারাপ কাজ হইতে নিষেধ করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে যুবক কোন বৃদ্ধকে বার্ধক্যের কারণে সম্মান করিবে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাহার বৃদ্ধাবস্থায় এমন লোক নিয়োজিত করিবেন যে তাহাকে সম্মান করিবে। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭২। হযরত আবু মুসা (আশ্আরী [রাঃ]) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বৃদ্ধ মুসলমানকে সম্মান করা এবং এমন কোরআন সংরক্ষণকারীকে সম্মান করা—যে উহাতে বাড়াবাড়ি এবং উহার হক আদায়ে ত্রুটি করে না এবং ন্যায়পরায়ণ শাসককে সম্মান করা আল্লাহকে সম্মান করারই অন্তর্ভুক্ত। –আবু দাউদ ও বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মুসলমানদের সেই ঘরটিই সর্বোত্তম, যেখানে কোন ইয়াতীম আছে এবং তাহার সহিত ভাল আচরণ করা হয়। আর মুসলমানদের সেই ঘরটিই সর্বাপেক্ষা মন্দ, যাহাতে কোন ইয়াতীম আছে, অথচ তাহার সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। – ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৪। হযরত আবু উমামা (বাহেলী [রাঃ]) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোন ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলাইবে, যেই সমস্ত চুলের উপর দিয়া তাহার হাত অতিক্রম করিবে উহার প্রতিটির বিনিময়ে তাহার জন্য সওয়াব লিখা হইবে। আর যেই ব্যক্তি তাহার তত্ত্বাবধানে লালিত-পালিত ইয়াতীম বালক-বালিকার সাথে ভাল আচরণ করিবে, আমি ও সেই ব্যক্তি বেহেশতে এই দুইটির মত হইব। ইহা বলিয়া তিনি নিজের অঙ্গুলী দুইটি মিলিত করিলেন। —আহমদ ও তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ইয়াতীমকে নিজের খানা-পিনাতে শামিল করে, আশ্রয় দেয়, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য নিশ্চয় বেহেশত ওয়াজিব করিয়া দিবেন যে পর্যন্ত না সে এমন কোন গুনাহ্ করে যাহা মার্জনাযোগ্য নহে। আর যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা অথবা এই পরিমাণ বোনের প্রতিপালন করিবে অর্থাৎ, তাহাদিগকে আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে এবং স্নেহ করিবে যে পর্যন্ত না তাহাদিগকে আল্লাহ্ পাক পরমুখাপেক্ষিতা হইতে মুক্ত করেন, তাহার জন্য আল্লাহ্ পাক বেহেশত অবধারিত করিবেন। তখন জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! দুইটির বেলায়ও কি অনুরূপ সওয়াব হইবে? তিনি বলিলেন, দুই জনের ব্যাপারেও সেই সওয়াব পাইবে। রাবী বলেন, এমনকি যদি তাঁহারা (সাহাবীগণ) একজনের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করিতেন, তবে একজন সম্পর্কেও তিনি তাহাই বলিতেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) তিনি আরও বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা যাহার দুইটি মূল্যবান প্রিয় বস্তু লইয়া গিয়াছেন তাহার জন্য বেহেশ্ত অবধারিত। কেহ জিজ্ঞাসা করিল, সেই প্রিয় বস্তু দুইটি কি ? তিনি বলিলেনঃ 'তাহার চক্ষুদ্বয়'। — শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৬। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার সন্তানকে একটি আদব শিক্ষা দেওয়া এক সা' খাদ্য সদকা করা অপেক্ষা উত্তম। ——তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব এবং এই হাদীসের সূত্রে নাসেহ নামীয় বর্ণনাকারী মুহাদ্দেসীনের নিকট নির্ভরযোগ্য নহেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৭। আইউব ইবনে মুসা তাহার পিতার মাধ্যমে তাহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন পিতা তাহার পুত্রকে উত্তম শিষ্টাচার অপেক্ষা অধিক শ্রেয়ঃ কোন বস্তু দান করিতে পারে না। —তিরমিযী ও বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে। তিরমিযী বলিয়াছেন, আমার মতে হাদীসটি মুরসাল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৯৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৭৮। হযরত আওফ ইবনে মালেক আজায়ী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমি ও কালো গণ্ডদ্বয়বিশিষ্ট মহিলা কিয়ামতের দিন এইভাবে (নিকটবর্তী) হইব। রাবী ইয়াযীদ ইবনে যোরাঈ নিজের মধ্যমা ও তর্জনী অঙ্গুলীর প্রতি ইংগিত করিয়া দেখাইলেন। অর্থাৎ, সে এমন মহিলা যাহার স্বামী নাই। অথচ সে মর্যাদাশীলা ও রূপসী হওয়া সত্ত্বেও ইয়াতীম সন্তানদের লালন-পালনের উদ্দেশ্যে নিজেকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে, যে পর্যন্ত না তাহারা (স্বনির্ভর হইয়া মায়ের সেবা-যত্ন হইতে) পৃথক হইয়া যায় বা মৃত্যুবরণ করে। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান