মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৭৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৮৯। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী কুরাইযার দিন হযরত হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ)-কে বলিলেন, তুমি (কবিতার মাধ্যমে) মুশরিকদিগকে ভৎসনা কর। হযরত জিবরাঈল তোমার সঙ্গে আছেন। আর রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসানকে বলিতেনঃ তুমি আমার পক্ষ হইতে (মুশরিকদের) প্রতিবাদ কর। ইয়া আল্লাহ্! তুমি রূহুল কুদস দ্বারা তাহার সাহায্য কর। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯০

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯০। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা কুরাইশদের দুর্নামজনিত কবিতা আবৃত্তি কর। কেননা, ইহা তাহাদের জন্য তীরের আঘাত অপেক্ষা অধিক বেদনাদায়ক। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯১

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হযরত হাসান (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তুমি যেই পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলের পক্ষ হইতে (মুশরিকদের বিদ্রূপাত্মক উক্তির) মোকাবিলা করিতে থাকিবে সেই পর্যন্ত জিবরাঈল তোমার মদদ করিতে থাকিবেন। হযরত আয়েশা আরও বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহাও বলিতে শুনিয়াছি; হাসান (কবিতার দ্বারা) কাফেরদের নিন্দা করিয়া নিজেও পরিতৃপ্তি পাইয়াছে এবং অপরকেও পরিতৃপ্তি দান করিয়াছে। ——মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯২

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯২। হযরত বারা (রাঃ) বলেন, খন্দকের দিন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও মাটি সরাইতেছিলেন। এমনকি তাঁহার বক্ষ ধুলাবৃত হইয়া গিয়াছিল। এই সময় তিনি (এই ছন্দগুলি) আবৃত্তি করিতেছিলেন : 'আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাদিগকে হেদায়ত দান না করিতেন তবে আমরা হেদায়ত পাইতাম না, আমরা সদকা দিতাম না, আর নামাযও পড়িতাম না। সুতরাং হে আল্লাহ্। আমাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল কর। আর যখন আমরা শত্রুর মুখোমুখি হই তখন আমাদের পাসমূহ সুদৃঢ় রাখ। কাফেরগণ আমাদের উপর সীমা লঙ্ঘন করিয়াছে। আর যখন তাহারা বিপর্যয়ে নিক্ষেপ করার (অর্থাৎ, কুফরের দিকে ফিরাইয়া নেওয়ার) সংকল্প করে, তখন আমরা উহা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করি।' (বর্ণনাকারী বলেন :) রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই চরণগুলি আবৃত্তি করিবার সময় 'আবাইনা আবাইনা' (শব্দ) খুব উঁচু স্বরে বলিতেন। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আহযাবের যুদ্ধে (যখন) মুহাজির ও আনসার গণ পরিখা খনন করিতেছিলেন এবং মাটি সরাইতেছিলেন তখন তাঁহারা (এই ছন্দাকৃতি চরণ) উচ্চারণ করিতে লাগিলেন: “আমরা তাহারাই যাহারা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে জিহাদের জন্য 'বাইয়াত গ্রহণ করিয়াছি যে পর্যন্ত আমরা জীবিত থাকিব।" আর তাহাদের প্রতিউত্তরে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে আল্লাহ্! পরকালের জীবন ব্যতীত আর কোন জীবনই নাই। সুতরাং তুমি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা করিয়া দাও। –মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : কোন ব্যক্তির পেট কদর্য পুঁজ দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়া—যাহা দেহকে নষ্ট করিয়া দেয়, কবিতা দ্বারা ভর্তি হওয়া অপেক্ষা উত্তম। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৫। হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা কবিতা সম্পর্কে যাহা নাযিল করিয়াছেন তাহা তো (উক্ত আয়াতে স্পষ্ট যাহা) তিনি নাযিল করিয়াছেন। তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ মু'মিন তাহার তলোয়ার ও রসনা উভয়টি দ্বারা জিহাদ করে। সেই সত্তার কসম! যাঁহার হাতে আমার প্রাণ। তোমরা কাফেরদিগকে কবিতার দ্বারা এমনভাবে আঘাত কর যেইভাবে তীর দ্বারা করা হয়। —শরহে সুন্নাহ্। আর ইবনে আব্দুল বারের ইসতিয়াব কিতাবে রহিয়াছে যে, তিনি (অর্থাৎ কা'ব ইবনে মালেক) আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কবিতা সম্পর্কে আপনি কি আদেশ করেন? জওয়াবে তিনি বলিলেনঃ নিশ্চয় মু'মিন তাহার তরবারি ও রসনা দ্বারা জিহাদ করে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৬। হযরত আবু উমামা (রাঃ) নবী (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ লজ্জা ও কম কথা বলা ঈমানের দুইটি শাখা। আর অশ্লীল ও অসার কথা বলা মুনাফেকীর দুই শাখা। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৭। হযরত আবু সা'লাবা খোশানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে আমার কাছে সবচাইতে প্রিয়তম এবং আমার সর্বাপেক্ষা নিকটতম সেই ব্যক্তি হইবে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম চরিত্রের অধিকারী। আর আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত এবং আমার থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী সেই ব্যক্তি হইবে, তোমাদের মধ্যে যাহার চরিত্র খারাপ। অর্থাৎ, অহেতুক বক্বক্ করে, ঠাট্টা বিদ্রূপের ছলে গাল পেঁচাইয়া কথা বলে এবং কথাবার্তায় নিজেকে বড় করিয়া জাহির করে। —বায়হাকী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৮। আর তিরমিযী হযরত জাবের (রাঃ) হইতে অনুরূপই বর্ণনা করিয়াছেন। আর তাঁহার বর্ণনায় আছে, লোকেরা জিজ্ঞাসা করিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো 'সারসারূন' ও 'মুতাশাদ্দিকন'-এর অর্থ বুঝিলাম, তবে 'মুতাফাইহেকুন' কাহারা ? তিনি বলিলেনঃ যাহারা অহংকারী!

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৯৯। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঐ সময় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হইবে না, যে পর্যন্ত না এমন একদল লোকের আবির্ভাব হইবে যাহারা নিজের রসনার সাহায্যে এমনভাবে ভক্ষণ করিবে যেভাবে গাভী তাহার মুখের সাহায্যে ভক্ষণ করে। – আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৮০০

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৮০০। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা মানুষের বাক-চাতুর্যকে ঘৃণা করেন যেই বাক-চাতুর্য প্রদর্শন করিতে যাইয়া জিহ্বাকে এমনভাবে নাড়াইতে থাকে, যেমন গরু তাহার জিহ্বা নাড়ায়। —তিরমিযী ও আবু দাউদ। তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান