মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৭৫০

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে ছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি 'হে আবুল কাসেম' বলিয়া ডাক দিল। তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার দিকে তাকাইলেন। তখন লোকটি বলিল, আমি (আপ নাকে ডাকি নাই,) বরং ঐ ব্যক্তিকে ডাকিয়াছি। অতঃপর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: তোমরা আমার নামানুসারে নাম রাখিতে পার, কিন্তু আমার কুনিয়াতে (উপনামে) নাম রাখিও না। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫১

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা আমার নামানুসারে নাম রাখ, কিন্তু আমার কুনিয়াত অনুসারে কুনিয়াত বা উপনাম রাখিও না। কেননা, আমাকে বন্টনকারী নিয়োগ করা হইয়াছে। অতএব আমি তোমাদের মধ্যে বন্টন করিয়া থাকি। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫২

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের নামসমূহের মধ্যে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় নাম হইল আব্দুল্লাহ্ ও আব্দুর রহমান। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৩। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তুমি কখনও তোমার গোলামের নাম ইয়াসার, রাবাহ, নাজীহ্ ও আফ লাহ্ রাখিও না। কারণ, যখন তুমি (তাহার নাম ধরিয়া) জিজ্ঞাসা করিবে 'অমুক এখানে আছে? আর সে তথায় উপস্থিত না থাকে, তখন কেহ বলিবে, 'নাই'। —মুসলিম। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় আছে—হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: তুমি তোমার গোলামের নাম রাবাহ, ইয়াসার, আফলাহ্ ও নাফে' রাখিও না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৪। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইচ্ছা করিয়া ছিলেন যে, লোকদিগকে ইয়ালা, বরকত, আফলাহ্, ইয়াসার, ও নাফে এবং এই জাতীয় নাম রাখিতে নিষেধ করিবেন। অতঃপর আমি দেখিলাম, তিনি উহা হইতে নীরব রহিয়াছেন। অব শেষে তাহার ওয়াফাত হইয়া গেল। আর উথা হইতে নিষেধ করেন নাই। মসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আল্লাহ্ তা'আলার নিকট কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত সেই নামওয়ালা ব্যক্তি, যাহার নাম রাখা হইয়াছে শাহানশাহ (রাজাধিরাজ )। -বুখারী। আর মুসলিমের বর্ণনায় আছে— কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা কূপিত ও ঘৃণিত ব্যক্তি সে হইবে যাহার নাম শাহান শাহ্ ধারণ করা হয়। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্ই হইলেন বাদশাহ্।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৬। হযরত যয়নব বিনতে আবু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, আমার নাম রাখা হইয়াছিল 'বাররা'। তখন রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন নিজের পবিত্রতা নিজে জাহির করিও না। তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান তাহা আল্লাহ্ পাকই বেশী জানেন। তোমরা উহার নাম রাখ যয়নব। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, (বিবি) জুওয়াইরিয়ার নাম ছিল বাররা। রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার নাম পরিবর্তন করিয়া রাখিয়াছেন জুওয়াইরিয়া। কেননা, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা পছন্দ করিতেন না যে, কেহ বলুক “আল্লাহর রাসুল পুণ্যবতীর নিকট হইতে বাহির হইয়া গিয়াছেন।” – মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হযরত উমর (রাঃ)-এর এক কন্যাকে 'আছীয়া' নামে ডাকা হইত। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার নাম (পরিবর্তন করিয়া) রাখিলেন জামীলা। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৫৯। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) বলেন, যখন মুনযির ইবনে আবু উসাইদ জন্মগ্রহণ করিল তখন তাহাকে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আনা হইল, তিনি তাহাকে আপন উরুর উপরে রাখিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন উহার নাম কি? উত্তরদাতা বলিলেন, অমুক। তখন হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: না, উহার নাম মুনযির।-মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬০

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহ যেন কখনও 'আমার বান্দা', 'আমার বাদী' না বলে। কেননা, তোমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর বান্দা এবং তোমাদের সমস্ত স্ত্রীগণ আল্লাহর বাদী। বরং তোমাদের বলা উচিত; আমার গোলাম ( বেটা), আমার জারিয়া (বেটি), আমার খাদিম, আমার খাদেমা ইত্যাদি। আর কোন গোলাম যেন আপন মুনিবকে আমার রব না বলে; বরং সে যেন বলে, আমার সরদার। অপর এক বর্ণনায় আছে, সে যেন বলে, 'আমার সরদার ও আমার মাওলা।" আরেক বর্ণনায় আছে, গোলাম যেন তাহার সরদারকে আমার মাওলা না বলে। কেননা, আল্লাহই তোমাদের মাওলা। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬১

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ তোমরা (আঙ্গুরের জন্য) 'করম' শব্দ ব্যবহার করিও না। কেননা, 'করম' হইল মু'মিনের অন্তর। —মুসলিম।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬২

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬২। মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় হযরত ওয়ায়েল ইবনে হোজর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তোমরা 'করম' বলিও না; বরং 'এনাব' ও 'হাবালা' বলিও।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমরা আঙ্গুরের নাম 'করম' রাখিও না এবং 'হে যুগের অনিষ্ট' বাক্যও উচ্চারণ করিও না। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলাই হইলেন যুগ (-এর স্রষ্টা)। বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহই যেন যমানাকে গালি না দেয়। কেননা, আল্লাহই যমানা। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৭৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহ যেন না বলে "আমার অন্তরাত্মা 'খবীস' (কলুষিত) হইয়া গিয়াছে; " বরং সে যেন বলে আমার মন খারাপ লাগিতেছে। মোত্তা। আর আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত হাদীস يُؤذيني ابنُ آدمَ ঈমানের অধ্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান