মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৬৩৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৩৭। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : যখন আহলে কিতাব তোমাদিগকে সালাম করে তখন তোমরা (জওয়াবে) 'ওয়া আলাইকুম' বলিবে। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৩৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা একদল ইহুদী নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসিতে অনুমতি চাহিল এবং বলিল, 'আস্সামু আলাই কুম'। তখন আমি (আয়েশা) জওয়াবে বলিলাম, 'বাল আলাইকুমুস্ সাম ওয়াল্লা'নাৎ'। (অর্থঃ বরং তোমাদেরই শীঘ্র মৃত্যু হউক এবং আল্লাহর অভিশাপ তোমাদের উপরই বর্ষিত হউক। তখন নবী (ছঃ) বলিলেন: হে আয়েশা। আল্লাহ সহনশীল, তিনি প্রত্যেক কাজে সহনশীলতাকেই পছন্দ করেন। তখন আমি বলিলাম, আপনি শুনেন নাই তাহারা কি বলিয়াছিল? তিনি বলিলেন ! আমিও তো তাহাদের জওয়াবে ওয়া আলাইকুম' বলিয়াছি। অপর এক রেওয়ায়তে কেবল 'আলাইকুম' রহিয়াছে। (অর্থাৎ) এ, অক্ষরটি উল্লেখ নাই। মোত্তা:
বুখারীর অপর এক রেওয়ায়তে আছে— তিনি [হযরত আয়েশা (রাঃ)] বলেন, একবার ইহুদী গণ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসিল এবং বলিল, 'আস্সামু আলাইকা'। উত্তরে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: 'ওয়া আলাইকুম'। কিন্তু হযরত আয়েশা বলিলেন, 'আসামু আলাইকুম ওয়া লা'নাকুমুল্লাহু ওয়া গাযিবা আলাইকুম'। (অর্থ: তোমাদের মৃত্যু ঘটুক এবং তোমাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত ও অসন্তুষ্টি বর্ষিত হউক।) রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে আয়েশা থাম, কোমলতা অবলম্বন কর, কঠোরতা পরিহার কর এবং অশোভন উক্তি হইতে বাচিয়া থাক। তখন আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, আপনি কি শুনেন নাই তাহারা কি বলিয়াছে? তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: তুমি কি শুন নাই আমি কি বলিয়াছি? আমি তো তাহাদের বাক্য তাহাদের উপরই ফিরাইয়া দিয়াছি এবং (জানিয়া রাখ) আমার দো'আ তাহাদের বিরুদ্ধে গৃহীত। কিন্তু আমার উপর তাহাদের দো'আ অগৃহীত। আর মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় ইহাও উল্লেখ রহিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: হে আয়েশা। তুমি অশ্লীল বাক্য উচ্চারণকারিণী হইও না। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা অশ্লীলতা ও অশালীন বাক্য ব্যবহার আদৌ পছন্দ করেন না।
বুখারীর অপর এক রেওয়ায়তে আছে— তিনি [হযরত আয়েশা (রাঃ)] বলেন, একবার ইহুদী গণ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসিল এবং বলিল, 'আস্সামু আলাইকা'। উত্তরে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: 'ওয়া আলাইকুম'। কিন্তু হযরত আয়েশা বলিলেন, 'আসামু আলাইকুম ওয়া লা'নাকুমুল্লাহু ওয়া গাযিবা আলাইকুম'। (অর্থ: তোমাদের মৃত্যু ঘটুক এবং তোমাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত ও অসন্তুষ্টি বর্ষিত হউক।) রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে আয়েশা থাম, কোমলতা অবলম্বন কর, কঠোরতা পরিহার কর এবং অশোভন উক্তি হইতে বাচিয়া থাক। তখন আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, আপনি কি শুনেন নাই তাহারা কি বলিয়াছে? তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: তুমি কি শুন নাই আমি কি বলিয়াছি? আমি তো তাহাদের বাক্য তাহাদের উপরই ফিরাইয়া দিয়াছি এবং (জানিয়া রাখ) আমার দো'আ তাহাদের বিরুদ্ধে গৃহীত। কিন্তু আমার উপর তাহাদের দো'আ অগৃহীত। আর মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় ইহাও উল্লেখ রহিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: হে আয়েশা। তুমি অশ্লীল বাক্য উচ্চারণকারিণী হইও না। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা অশ্লীলতা ও অশালীন বাক্য ব্যবহার আদৌ পছন্দ করেন না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৩৯। হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক সমাবেশের নিকট দিয়া গমন করিলেন যেখানে মুসলমান ও মুশরিক তথা পৌত্তলিক ও ইহুদী সম্প্রদায়ের লোক ছিল। তিনি তাহাদিগকে সালাম করিলেন।—মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৪০

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪০। হযরত আবু সাঈদ খুদ্রী (রাঃ) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করেন, তোমরা রাস্তার উপর বসা হইতে নিজকে বাঁচাইয়া রাখ। তাঁহারা (সাহাবাগণ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের তো রাস্তার উপর বসা ব্যতীত গত্যন্তর নাই। কারণ, তথায় বসিয়া আমরা প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সমাধা করি। তিনি বলিলেন: যদি তোমরা তথায় বসিতে একান্ত বাধ্যই হও, তবে রাস্তার হক আদায় করিবে। তাঁহারা জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। রাস্তার হক কি? তিনি বলিলেন: চক্ষু বন্ধ রাখা, কাহাকেও কষ্ট না দেওয়া, সালামের জওয়াব দেওয়া, ভাল কাজের আদেশ করা এবং খারাপ কাজ হইতে নিষেধ করা। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৪১

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে উক্ত হাদীসে ইহাও বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন : ‘এবং পথ দেখাইয়া দেওয়া। –আবু দাউদ। এই বাক্যটি তিনি আবু সাঈদ খুদ্রী বর্ণিত হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৪২

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪২। হযরত উমর (রাঃ) নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে 'রাস্তার হক' সম্পর্কীয় হাদীসে বর্ণনা করেন, তিনি ইহাও বলিয়াছেন : 'এবং মযলুমের ফরিয়াদ শ্রবণ কর আর পথভোলা ব্যক্তিকে রাস্তা দেখাইয়া দাও।'—ইমাম আবু দাউদ এই হাদীসটি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর পূর্ববর্ণিত হাদীসের শেষাংশে অনুরূপভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। [মেশকাতের গ্রন্থকার আল্লামা খতীব উমরী (রহঃ) বলেন:] উক্ত হাদীসদ্বয়ের এই অংশ দুইটি আমি বুখারী ও মুসলিম শরীফের মধ্যে পাই নাই।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৬৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৩। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের সদ্ব্যবহারস্বরূপ ছয়টি হক রহিয়াছে। (১) যখন তাহার সাথে সাক্ষাৎ হইবে তাহাকে সালাম করিবে। (২) সে তাহাকে ডাকিলে ডাকে সাড়া দিবে। (৩) যখন সে হাঁচি দিবে তখন (يرحمك الله) ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলিবে। (৪) সে অসুস্থ হইলে খোঁজ-খবর নিবে। (৫) মৃত্যু হইলে তাহার জানাযার সাথে যাইবে। (৬) এবং নিজের জন্য যাহা পছন্দ করিবে তাহার জন্যও উহা পছন্দ করিবে। — তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান