মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪৬৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৪। হযরত ইমরান ইবনে হোছাইন (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর খেদমতে আসিল এবং বলিল, 'আসসালামু আলাইকুম'। তিনি তাহার সালামের জওয়াব দিলেন। অতঃপর সে বসিয়া পড়িল। তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ এই লোকটির জন্য দশটি নেকী লিখা হইয়াছে। তারপর আরেক ব্যক্তি আসিল এবং বলিল, 'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। হুযূর (ﷺ) সালামের জওয়াব দিলেন। সে বসিল। তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ লোকটির জন্য বিশটি নেকী লিখা হইয়াছে। অতঃপর আরেক ব্যক্তি আসিল। সে বলিল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্'। হুযূর (ﷺ) তাহার সালামের জওয়াব দিলেন। লোকটি বসিয়া পড়িল। তখন হুযূর (ﷺ) বলি লেনঃ এই লোকটির জন্য ত্রিশটি নেকী লিখা হইয়াছে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৪৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৫। হযরত মুয়া'য ইবনে আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ) হইতে পূর্বে বর্ণিত হাদীসটির অর্থানুযায়ী বর্ণনা করিয়াছেন এবং আরও অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন, “অতঃপর আরেক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, 'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ্'। তখন তিনি বলিলেনঃ এই ব্যক্তির জন্য চল্লিশ নেকী । অতঃপর বলিলেনঃ সওয়াবের পরিমাণ এইভাবে বৃদ্ধি হইতে থাকে।” – আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৪৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৬। হযরত আবু উমামা বাহেলী [রাঃ]) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই ব্যক্তিই আল্লাহ্ তা'আলার অধিক নিকটবর্তী যে প্রথমে সালাম করে। –আমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৪৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৭। হযরত জারীর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) কতিপয় মহিলার নিকট দিয়া গমন করিলেন এবং তাহাদিগকে সালাম করিলেন। —আহমদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৪৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৮। হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন একদল লোক পথ অতিক্রম করে—তাহাদের মধ্য হইতে কোন এক ব্যক্তি সালাম করিলে সেই সালামই গোটা দলের পক্ষ হইতে যথেষ্ট হইবে। অনুরূপভাবে উপবিষ্ট মজলিসের পক্ষ হইতে এক ব্যক্তির জওয়াবই গোটা মজলিসের পক্ষ হইতে যথেষ্ট। হাদীসটি ইমাম বায়হাকী তাঁহার শোআবুল ঈমান গ্রন্থে মারফু হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আর আবু দাউদ বর্ণনা করিয়াছেন মাউকুফ হিসাবে। আবু দাউদ আরও বলিয়াছেন, হাসান ইবনে আলীও মারফু' হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আর ইনি হইলেন আবু দাউদের শায়খ বা উস্তাদ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৪৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৪৯। আমর ইবনে শোআইব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য কোন জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইহুদী ও নাসারাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করিও না। ইহুদীদের সালাম হইল অঙ্গুলীর ইশারায় আর খৃষ্টানদের সালাম হইল হাতের তালুর ইশারায়। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন ইহার সনদ দুর্বল।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কাহারও কোন মুসলমান ভাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ হয় তখন সে যেন তাহাকে সালাম করে। অতঃপর যদি তাহাদের উভয়ের মধ্যখানে কোন বৃক্ষ, প্রাচীর কিংবা রের আড়াল পড়িয়া যায়, পরে পুনরায় যখন সাক্ষাৎ হয় তখনও যেন আবার সালাম করে। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫১। হযরত কাতাদাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমরা কোন গৃহে প্রবেশ করিবে তখন গৃহবাসীকে সালাম করিবে। আর যখন বাহির হইবে তখন গৃহবাসীকে সালাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিবে। বায়হাকী তাঁহার শোআবুল ঈমান গ্রন্থে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫২। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (আমাকে লক্ষ্য করিয়া) বলিলেনঃ হে বৎস! যখন তুমি (ঘরে) পরিজনদের কাছে প্রবেশ কর তখন তুমি সালাম করিও। ইহাতে তোমার ও তোমার গৃহবাসীদের জন্য কল্যাণ হইবে। — তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৩। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কথাবার্তার আগেই সালাম করিবে। – তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি মুনকার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৪। হযরত ইমরান ইবনে হোছাইন (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা জাহিলী যুগে (সাক্ষাতে) বলিতাম, আল্লাহ্ তোমার চক্ষু শীতল করুন, প্রাতঃকাল আনন্দময় হউক। কিন্তু ইসলাম আসার পর আমাদেরে ইহা হইতে নিষেধ করা হয়। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৫। গালিব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা হযরত হাসান বসরী (রহঃ)-এর দরজায় বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, আমার পিতা আমার দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি (অর্থাৎ, আমার দাদা) বলেন, একদিন আমার পিতা আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট পাঠাইলেন এবং বলিলেন, 'তাঁহাকে আমার সালাম জানাইবে।' আমার দাদা বলেন—আমি তাঁহার খেদমতে আসিয়া বলিলাম, আমার পিতা আপনাকে সালাম জানাইয়াছেন। তিনি বলিলেনঃ ‘তোমার উপর এবং তোমার পিতার উপর আমার সালাম।' –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৬। আবুল আ'লা ইবনে হাযরামী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আমার পিতা) আ'লা ইবনে আল-হাযরামী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পক্ষ হইতে কর্মচারী ছিলেন। যখন তিনি তাঁহার (হুযূরের) কাছে চিঠি লিখিতেন তখন নিজের নাম দিয়া আরম্ভ করিতেন। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৭। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ কোন পত্র লিখে, সে যেন উহাতে কিছু মাটি ছিটাইয়া দেয়। ইহা উদ্দেশ্য হাসিল হওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সহায়ক। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি মুনকার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৮। হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট গেলাম। এই সময় তাঁহার সম্মুখে ছিল একজন কাতিব (লিখক)। আমি শুনিতে পাইলাম, তিনি কাতিবকে বলিতেছেনঃ কলমটি তোমার কানের উপরে রাখ। কেননা, ইহাতে প্রয়োজনীয় কথা বেশী স্মরণে আসে। – তিরমিযী। তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব এবং সনদের মধ্যেও দুর্বলতা আছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৫৯। যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে সুরিয়ানী (সেমেটিক) ভাষা শিখার জন্য নির্দেশ দিয়াছেন। অপর এক রেওয়ায়তে আছে—তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়াছেন, যেন আমি ইহুদীদের লেখা (ভাষা) শিখিয়া লই। তিনি আরও বলিয়াছেনঃ চিঠি-পত্রের ব্যাপারে আমি ইহুদীদের উপর আস্থা রাখি না। হযরত যায়েদ বলেন, অর্ধমাস অতিক্রম না হইতেই আমি তাহা শিখিয়া ফেলিলাম। ফলে হুযূর (ﷺ) যখনই ইহুদীদের নিকট পত্র দিতেন তখন আমিই লিখিয়া দিতাম। আর ইহুদীরা যখন তাঁহার নিকট পত্র লিখিত তখন আমিই উহা তাঁহাকে পড়িয়া শুনাইতাম। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৬০। হযরত আবু হুরাইয়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ কোন মজলিসে পৌঁছে সে যেন সালাম করে এবং যদি সেখানে বসার প্রয়োজন হয় তখন বসিয়া পড়িবে। অতঃপর যখন তথা হইতে প্রস্থান করিবে তখন সালাম (করিয়া বিদায় গ্রহণ করিবে। কেননা, প্রথমবারের সালাম দ্বিতীয়বারের সালাম অপেক্ষা উত্তম নয়। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৬১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ রাস্তায় বসার মধ্যে কোন কল্যাণ নাই। তবে সেই ব্যক্তির জন্য কল্যাণ আছে, যে পথভোলাকে রাস্তা দেখায়, সালামের জওয়াব দেয়, চক্ষু বন্ধ রাখে এবং বোঝা বহনকারীর সাহায্য করে। শরহে সুন্নাহ। আর আবু জুরাইয়ের হাদীসটি সদকার ফযীলতের অধ্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৬৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম
৪৬৬২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিলেন এবং তাঁহার মধ্যে রূহ্ ফুঁকিলেন—তখন তিনি হাঁচি দিলেন এবং বলিলেন, 'আল্-হামদুলিল্লাহ্ ! এই বলিয়া আল্লাহর নির্দেশে তাঁহার শোকর আদায় করিলেন। ইহার জবাবে তাঁহার রব বলি লেনঃ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ্’ (অর্থাৎ, আল্লাহ্ আপনার প্রতি অনুগ্রহ করুন। এরপর বলিলেন,) হে আদম! ঐ যে দেখ একদল ফিরিশতা বসিয়া আছেন, তাহাদের কাছে যাও এবং বল আসসালামু আলাইকুম'। তিনি গিয়া বলিলেন, আসসালামু আলাইকুম। জওয়াবে তাঁহারা বলিলেন, “আলাইকাস্ সালামু ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।' অতঃপর তিনি তাঁহার প্রভুর কাছে ফিরিয়া আসিলেন। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিলেনঃ ইহাই তোমার ও তোমার সন্তানদের মধ্যে পরস্পরের সালাম ও দো'আ। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা আদম (আঃ)-কে বলিলেনঃ তখন তাঁহার উভয় হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় ছিল, এই হস্তদ্বয়ের মধ্যে যেটিই তোমার ইচ্ছা— পছন্দ কর। তখন আদম (আঃ) বলিলেন, আমি আমার প্রভুর ডান হাতকেই পছন্দ করিলাম—অথচ আমার প্রভুর উভয় হাতই ডান এবং বরকতময়। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা হাতের মুষ্টি খুলিলেন। উহার মধ্যে রহিয়াছে আদম ও তাঁহার সন্তান-সন্ততিগণ। তখন আদম (আঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আমার প্রভু ! ইহারা কাহারা? আল্লাহ্ উত্তরে বলিলেনঃ ইহারা তোমার সন্তান-সন্ততিগণ। আদম (আঃ) দেখিতে পাইলেন—তাহাদের প্রত্যেকেরই দুই চক্ষুর মাঝখানে লিখা রহিয়াছে তাহাদের বয়স কাল। তিনি ইহাদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তিকে দেখিতে পাইলেন, যে সকলের চাইতে উজ্জ্বল অথবা নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সে সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল। তখন আদম (আঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আমার প্রভু! এই লোকটি কে ? বলিলেনঃ ইনি তোমার পুত্র দাউদ (আঃ), আমি তাহার বয়স চল্লিশ বৎসর লিখিয়াছি। তখন আদম (আঃ) বলিলেন, হে আমার প্রভু! তাহার বয়স আরও বৃদ্ধি করিয়া দিন। আল্লাহ্ বলিলেনঃ আমি তো তাহার জন্য ইহাই লিপিবদ্ধ করিয়াছি। আদম (আঃ) বলিলেন, আচ্ছা! আমি আমার বয়স হইতে ষাট বৎসর তাহার জন্য দান করিলাম। তখন আল্লাহ্ বলিলেনঃ ইহা তোমার খুশী।
হুযূর (ﷺ) বলেনঃ অতঃপর যতদিন আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ততদিন হযরত আদম (আঃ) বেহেশতে অবস্থান করিলেন। তারপর একসময় তাঁহাকে তথা হইতে বাহির করা হইল। (অপর দিকে) আদম (আঃ) তাঁহার বয়সের বৎসরগুলি গণনা করিতেছিলেন। এরপর (যখন তাঁহার বয়স শেষ হইয়া গেল,) একদিন মৃত্যুদূত আসিয়া তাঁহার কাছে উপস্থিত হইলেন। আদম (আঃ) দূতকে বলিলেন, তুমি তো খুব তাড়াতাড়ি আসিয়া গিয়াছ? কেননা, আমার বয়স তো এক হাজার বৎসরই লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে। উত্তরে মৃত্যুদূত বলিলেনঃ হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলিয়াছেন। কিন্তু আপনি যে আপনার সন্তান দাউদ (আঃ)-কে ষাট বৎসর দান করিয়াছেন। তখন হযরত আদম (আঃ) উহা অস্বীকার করিয়া বসিলেন। ফলে, তাঁহার সন্তানরাও (এই ধরনের) অস্বীকার করিতে থাকে। আর আদম ([আঃ] স্বীয় অঙ্গীকার) ভুলিয়া গিয়াছিলেন, তাই তাঁহার সন্তানগণও ভুলিয়া যায়। হুযুর (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই দিন হইতেই লিখিয়া রাখা এবং সাক্ষী নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। – তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান