মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৪৫০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫০৭। সায়ীদ ইবনে আবুল হাসান (রঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তাঁহার নিকট এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, হে ইবনে আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি, হস্তশিল্পই হইল আমার পেশা। আমি এই সকল ছবি তৈয়ার করিয়া থাকি। তখন হযরত ইবনে আব্বাস বলিলেন, আমি তোমাকে তাহাই বর্ণনা করিব, যাহা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে শুনিয়াছি। তিনি বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ছবি তৈয়ার করিবে, আল্লাহ্ তা'আলা নিশ্চয় তাহাকে শাস্তি দিবেন – যে পর্যন্ত না সে উহার মধ্যে প্রাণ ফুঁকিবে, অথচ সে কস্মিনকালেও উহাতে প্রাণ দিতে পারিবে না। এই কথা শুনিয়া লোকটি দীর্ঘ শ্বাস ফেলিয়া ভীষণভাবে হতাশ হইয়া পড়িল এবং তাহার মুখমণ্ডল ফ্যাকাসে হইয়া উঠিল। (তাহার অবস্থা দেখিয়া) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলিলেন, আফসোস তোমার প্রতি! যদি তুমি এই পেশা ছাড়া অন্য কিছু করিতে না চাও, তাহা হইলে এই সকল গাছ-গাছড়া এবং এমন সব জিনিসের ছবি নির্মাণ কর যাহার মধ্যে প্রাণ নাই। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫০৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন নবী (ﷺ) (ওফাতের প্রাক্কালে) অসুস্থ হইয়া পড়িলেন, তখন তাঁহার বিবিদের কেহ (আবিসিনিয়ার) মারিয়া গির্জার কথা উল্লেখ করিলেন। (ইসলামের প্রাথমিক যুগে) হযরত উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা (রাঃ) হিজরত করিয়া হাবশা দেশে গিয়াছিলেন, তাহারা ঐ গির্জার সৌন্দর্য এবং উহাতে যে সকল ছবি ছিল উহার বর্ণনা করিলেন। (এই কথা শুনিয়া) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাথা উঠাইয়া বলিলেনঃ তাহারা এমন এক সম্প্রদায়, যখন তাহাদের মধ্যে নেক বান্দাহ্ মারা যাইত, তখন তাহারা ঐ ব্যক্তির কবরের উপরে মসজিদ বানাইয়া লইত। অতঃপর তথায় তাহারা এই সকল ছবি বানাইত, বস্তুত তাহারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫০৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন সবচাইতে কঠিন আযাব হইবে সেই ব্যক্তির, যে কোন নবীকে কতল করিয়াছে অথবা কোন নবী যাহাকে কতল করিয়াছেন। অথবা যে ব্যক্তি তাহার পিতা বা মাতার মধ্যে কাহাকে কতল করিয়াছে। আর ছবি প্রস্তুতকারীদের এবং ঐ আলেম যে নিজের ইল্‌ম হইতে উপকৃত হয় না। (অর্থাৎ, ইল্‌ম মোতাবেক আমল করে না। )

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫১০। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিতেন, শতরঞ্জ (দাবা) খেলা হইল আজমীদের (অনারবদের) জুয়া।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫১১। ইবনে শিহাব যুহরী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলিয়াছেন, পাপী ব্যক্তিই দাবা খেলায় লিপ্ত হয়।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫১২। হযরত ইবনে শিহাব যুহরী অথবা হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ)-কে দাবা খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলেনঃ ইহা বাতিল (অবৈধ) কাজ। আর আল্লাহ্ তা'আলা বাতিল কাজ পছন্দ করেন না। —উপরোক্ত হাদীস চারটি বায়হাকী শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৪৫১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ছবি সম্পর্কে বর্ণনা
৪৫১৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রায়শ এক আনসারীর ঘরে আসা-যাওয়া করিতেন। অথচ তাহাদের নিকটেই অন্য আরেকটি ঘর আছে, (কিন্তু তিনি সেই ঘরে যাইতেন না।) ইহাতে সেই গৃহবাসীর মনঃকষ্ট হইল। তখন তাহারা বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি অমুকের ঘরে আসেন, অথচ আমাদের ঘরে আসেন না। (ইহার কারণ কি ?) উত্তরে নবী (ﷺ) বলিলেনঃ যেহেতু তোমাদের ঘরে কুকুর আছে। তখন তাহারা বলিল, উহাদের ঘরে তো বিড়াল রহিয়াছে। (আমরা তো মনে করি কুকুর ও বিড়াল উভয়টি একই শ্রেণীর প্রাণী।) তখন নবী (ﷺ) বলিলেনঃ বিড়াল তো একটি পশু মাত্র। – দারা কুতনী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান