মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪৩৯১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে জা'ফর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) স্বীয় ডান হাতে আংটি পরিতেন। – ইবনে মাজাহ্,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯২। আর এ হাদীস আবু দাউদ ও নাসায়ী ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) স্বীয় বাম হাতে আংটি পরিতেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৪। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, একদা নবী (ﷺ) ডান হাতে রেশম এবং বাম হাতে স্বর্ণ লইয়া বলিলেনঃ এই বস্তু দুইটি (দুনিয়াতে) আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য (ব্যবহার করা) হারাম। –আহমদ, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৫। হযরত মুআবিয়া (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) চিতা বাঘের চামড়ার তৈয়ারী গদিতে সওয়ার হইতে নিষেধ করিয়াছেন এবং তিনি পুরুষদিগকে স্বর্ণ ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তবে কর্তিত উহার মিহিন অংশ বিশেষ ব্যবহারের অনুমতি দিয়াছেন। – আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৬। হযরত বুরায়দা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) কাঁসার তৈয়ারী আংটি পরিহিত এক ব্যক্তিকে বলিলেনঃ কি ব্যাপার! আমি যে তোমার নিকট হইতে মূর্তির গন্ধ পাইতেছি? তখন সে আংটিটি খুলিয়া ফেলিয়া দিল। অতঃপর সে লোহার তৈয়ারী একটি আংটি পরিধান করিয়া আসিল। এইবার তিনি বলিলেন, কি ব্যাপার ! আমি যে তোমাকে দোযখীদের অলংকার পরিহিত অবস্থায় দেখিতেছি। এইবারও সে আংটিটি খুলিয়া ফেলিয়া দিল। অতঃপর সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তবে আমি কিসের আংটি তৈয়ার করিব? তিনি বলিলেন, রূপার দ্বারা। কিন্তু উহার পরিমাণ যেন এক মিসকাল হইতে কম হয় । —তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী। ইমাম মহিউসসুন্নাহ্ বলেন, হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) হইতে নারীদের মহর সংক্রান্ত অধ্যায়ে একটি সহীহ্ হাদীস বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে বলিয়াছেন, বিবির মহর আদায়ের জন্য কোন জিনিস খোঁজ করিয়া দেখ। যদি কিছুই না পাও, অন্তত লোহার একটি আংটি হইলেও লইয়া আস।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, নবী (ﷺ) দশটি অভ্যাসকে (কাজকে) অপছন্দ করিতেন। (১) সুগন্ধি (জা'ফরান ইত্যাদি দ্বারা প্রস্তুতকৃত) হলুদ রং। (২) (সাদা চুল উঠাইয়া অথবা কালো খেজাব লাগাইয়া) বার্ধক্য পরিবর্তন করা। (৩) ইযার ঝুলাইয়া পরা। (৪) স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা। (৫) পরপুরুষের সম্মুখে স্বীয় সাজ-সৌন্দর্য প্রকাশ করা। (৬) গুটি খেলা করা। (৭) সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা (যাহাতে কুফরী শব্দ রহিয়াছে) মন্তর করা। (৮) (জাহিলী পন্থায় শয়তানের নাম সম্বলিত) তাবিজ গলায় বাঁধা। (৯) অপাত্রে বীর্য প্রবাহিত করা। এবং (১০) শিশু সন্তানের অনিষ্ট করা (অর্থাৎ, স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাহাতে সে পুনরায় গর্ভধারণ করে। ফলে দুগ্ধপোষ্য শিশুটির খাদ্য দুধ কমিয়া যায়)। অবশ্য হুযূর (ﷺ) ইহাকে হারাম বলেন নাই। –আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৮। হযরত ইবনে যুবায়র (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তাহাদের আযাদকৃত এক দাসী যুবায়রের একটি কন্যাকে লইয়া হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাবের নিকট গেল। সেই সময় মেয়েটির পায়ে বাঁধা ছিল ঝুমঝুমি। তখন হযরত ওমর ঝুমঝুমিটি কাটিয়া ফেলিলেন এবং বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ প্রত্যেক বাজনার সাথে শয়তান থাকে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৩৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯৯। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে হায়্যান আনসারীর আযাদকৃত দাসী বুনানাহ্ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা তিনি (দাসী) হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় হযরত আয়েশার নিকট একটি ছোট মেয়ে আনা হইল, তাহার পরনে ছিল ঝুমঝুমি এবং উহা বাজিতেছিল। (ঐ মেয়েটিকে যেই মহিলা আনিয়াছিল, তাকে লক্ষ্য করিয়া) হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, তাহার ঝুমঝুমিটি না কাটিয়া ফেলা পর্যন্ত তুমি উহাকে ঢুকাইও না। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, যেই ঘরে বাদ্য থাকে সেই ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪০০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৪০০। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে তারাফা হইতে বর্ণিত যে, কুলাবের যুদ্ধে তাঁহার দাদা আরফাজা ইবনে আসআদের নাক কাটা গিয়াছিল। তিনি রূপার দ্বারা একটি নাক তৈয়ার করিয়াছিলেন। ফলে উহাতে দুর্গন্ধ দেখা দিল। অতঃপর নবী (ﷺ) তাঁহাকে স্বর্ণের নাক তৈয়ার করিতে নির্দেশ করিলেন। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪০১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৪০১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার কোন প্রিয়জনকে আগুনের কড়া পরানো পছন্দ করে, সে যেন তাহাকে স্বর্ণের কড়া পরায়। এবং যে ব্যক্তি তাহার কোন প্রিয়জনকে আগুনের হার পরানো পছন্দ করে, সে যেন তাহাকে স্বর্ণের হার পরায়। আর যে ব্যক্তি তাহার কোন প্রিয়জনকে আগুনের বালা পরানো পছন্দ করে, সে যেন তাহাকে সোনার বালা পরায়। তবে তোমরা চান্দি ব্যবহার করিতে পার, ইহাতে বাধা নাই। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪০২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৪০২। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে নারী গলায় সোনার হার পরিধান করিল, কিয়ামতের দিন তাহার গলায় অনুরূপ আগুনের হার পরিধান করানো হইবে। আর যে নারী স্বীয় কানের মধ্যে সোনার বালি পরিধান করিবে, কিয়ামতের দিন তাহার কানে উহার অনুরূপ আগুনের বালি পরানো হইবে। —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪৪০৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৪০৩। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) এর ভগ্নী হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মহিলাদিগকে সম্বোধন করিয়া) বলিয়াছেনঃ হে মহিলা সম্প্রদায়! -তোমাদের জন্য ইহা কি যথেষ্ট নহে যে, তোমরা কেবলমাত্র রূপার দ্বারা অলংকার তৈয়ার করিবে? সাবধান! তোমাদের যে মহিলা সোনার অলংকার প্রস্তুত করিবে এবং উহা বেগানা পুরুষদের মধ্যে প্রকাশ করিয়া বেড়াইবে, তজ্জন্য তাহাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হইবে। —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান