মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪২৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৩। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য একটি গৃহপালিত বকরীর দুধ দোহন করা হইল এবং উহার দুধে হযরত আনাসের গৃহের কূপের পানি মিশানো হইল। অতঃপর উহা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে পেশ করা হয়। তিনি উহা পান করিলেন। এই সময় তাহার বাম পার্শ্বে ছিলেন হযরত আবু বকর (রাঃ) এবং তাঁহার ডানে ছিল এক বেদুঈন। তখন হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (অবশিষ্ট) আবু বকরকে প্রদান করুন। কিন্তু তিনি তাহার ডান পার্শ্বের সেই বেদুঈনকেই দিলেন। অতঃপর বলিলেন ডান দিকের তৎপর তাহার ডান দিকের ব্যক্তিরই হক প্রথমে রহিয়াছে। অপর এক রেওয়ায়তে বর্ণিত, ডানে যাহারা রহিয়াছে, তারপর ডানে যাহারা রহিয়াছে তাহারা হকদার। সাবধান। ডান পার্শ্বওয়ালাদের অগ্রাধিকার দাও। –মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৪। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে (দুধের) একটি পেয়ালা পেশ করা হইল, তখন তিনি উহা হইতে কিছু পান করিলেন। তাঁহার ডানে ছিল উপস্থিত জনতার মধ্যে সর্বাপেক্ষা ছোট একটি বালক। আর প্রবীণ ও বয়স্ক লোকজন ছিলেন তাঁহার বামে। তখন হুযূর (ছাঃ) বালকটিকে বলিলেনঃ হে বৎস! তুমি কি আমাকে এই অনুমতি দিবে যে, আমি আমার অবশিষ্টটুকু এই সমস্ত প্রবীণদেরকে প্রদান করি? সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনার অবশিষ্টের ব্যাপারে আমি কাহাকেও অগ্রাধিকার দিব না। (বর্ণনাকারী বলেন) তখন তিনি পেয়ালাটি বালকটিকে দিলেন। --মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যমানায় চলা অবস্থায় খাইতাম এবং দাঁড়ানো অবস্থায় পান করিতাম। —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। ইমাম তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীসটি হাসান, সহীহ্ ও গরীব

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৬। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতা হইতে, তিনি তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দাঁড়ানো এবং বসা উভয় অবস্থায় পান করিতে দেখিয়াছি। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (কিছু পান করিবার সময়) পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস ফেলিতে এবং উহার মধ্যে ফুঁ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা উটের ন্যায় এক শ্বাসে পান করিবে না; বরং দুই কিংবা তিন শ্বাসে পান করিবে। আর যখন পান করিবে (শুরুতে) বিসমিল্লাহ্ পড়িবে এবং যখন (পানান্তে) পেয়ালা মুখ হইতে আলাদা করিবে, তখন আল্হামদুলিল্লাহ্ বলিবে। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৭৯। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) পানীয় বস্তুতে (পান করার সময়) ফুঁ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। তখন জনৈক ব্যক্তি বলিল, যদি আমি পানির মধ্যে খড়কুটা দেখিতে পাই (তখন কি করিব) ? তিনি বলিলেনঃ উহা ফেলিয়া দাও। সে আবার বলিল, এক নিঃশ্বাসে পান করিলে আমার তৃপ্তি হয় না। নবী (ﷺ) বলিলেন, এমতাবস্থায় পেয়ালাটি মুখ হইতে পৃথক করিয়া নিঃশ্বাস ত্যাগ কর। — তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৮০। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পেয়ালার ছিদ্র দিয়া পান করিতে এবং পানীয় বস্তুতে ফুঁ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৮১। হযরত কাবশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার গৃহে আসিলেন এবং তিনি একটি লটকান মশক হইতে দাঁড়ানো অবস্থায় পান করিলেন। পরে আমি মশকের নিকট যাইয়া উহার সেই মুখখানা কাটিয়া রাখিয়া দিলাম। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ এবং তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান, গরীব, সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪২৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৮২। হযরত (ইমাম) যুহরী (রহঃ) ওরওয়া হইতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, ঠাণ্ডা মিষ্টি পানি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে সর্বাধিক প্রিয় পানীয় ছিল। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, সহীহ্ ও নির্ভরযোগ্য কথা হইল, এই হাদীসটি নবী (ﷺ) হইতে যুহরী কর্তৃক মুরসাল হিসাবেই বর্ণিত হইয়াছে। অর্থাৎ, বর্ণনায় অন্য কোন সাহাবীর নাম উল্লেখ নাই।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান