মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৩৯৮০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান
৩৯৮০। সুলায়ম ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, হযরত মুআবিয়া (রাঃ) ও রোমীয়দের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিল। (কিন্তু উক্ত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই) মুআবিয়া (রাঃ) তাহাদের দেশের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। যাহাতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হইতেই যেন অতর্কিতে রোমীয়দের উপর আক্রমণ চালাইতে পারেন। ঠিক সেই সময় আরবী অথবা তুর্কী ঘোড়ার উপর সওয়ার হইয়া এক ব্যক্তি এই কথা বলিতে বলিতে আসিলেন, “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর! চুক্তি পালন করিতে হইবে, বিশ্বাসঘাতকতা করা যাইবে না।” লোকেরা তাকাইয়া দেখিল, ইনি ছিলেন (রাসূলুল্লাহ্ [ﷺ]-এর সাহাবী) আমর ইবনে আবাসা। অতঃপর হযরত মুআবিয়া (রাঃ) তাঁহাকে এই সমস্ত কথাগুলি বলার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন, উত্তরে তিনি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তিতে আব্দ্ধ হয়, তাহার উচিত সে যেন উহা ভঙ্গ না করে এবং উহাকে শক্তও না করে, যেই পর্যন্ত না চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। অথবা প্রতিপক্ষকে স্পষ্টভাবে চুক্তি ভঙ্গের সংবাদ জানাইয়া না দেয়। (অর্থাৎ, প্রতিপক্ষকে প্রকাশ্যে জানাইয়া দিবে যে, আমাদের মধ্যে যেই চুক্তি হইয়াছিল এখন হইতে আর উহা অবশিষ্ট রহিল না।) বর্ণনাকারী বলেন, (হযরত আমর ইবনে আবাসার এই কথা শুনিয়া) হযরত মুআবিয়া (রাঃ) নিজের লোকজনকে লইয়া ফিরিয়া আসিলেন।—তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৮১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান
৩৯৮১। হযরত আবু রাফে' (রাঃ) বলেন, একদা (কোন এক কাজে) কুরাইশরা আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে পাঠাইয়াছিল। আমি প্রথম দৃষ্টিতে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)কে দেখিতেই ইসলামের সত্যতা ও মহত্ত্ব আমার অন্তরের মধ্যে গাঁথিয়া গেল। সুতরাং আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম ! আমি আর তাহাদের (কুরাইশদের) কাছে কখনো ফিরিয়া যাইব না। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ আমি চুক্তি ভঙ্গ করিতে চাই না এবং কোন দূতকেও আটক করি না। তবে তুমি এখন চলিয়া যাও। তোমার অন্তরের মধ্যে বর্তমানে যাহাকিছু আছে, (অর্থাৎ, ইসলাম কবুল করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা) যদি ইহা অবিকল স্থির ও বহাল থাকে, তাহা হইলে আবার ফিরিয়া আসিবে। আবু রাফে' বলেন, আমি চলিয়া গেলাম, পরে নবী (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হইয়া ইসলাম প্রকাশ করিলাম। – আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৮২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান
৩৯৮২। হযরত নোআইম ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার (নবুওতের মিথ্যা দাবীদার) মুসাইলামার নিকট হইতে দুই ব্যক্তি দূত হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিল। তখন হুযূর (ﷺ) তাহাদিগকে বলিলেনঃ তোমরা জানিয়া রাখ, যদি দূতকে হত্যা করা নিষিদ্ধ না হইত, তাহা হইলে এখনই আমি তোমাদের উভয়ের গর্দান মারিয়া দিতাম। –আহমদ ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৮৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান
৩৯৮৩। আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহার ভাষণে বলিয়াছেনঃ তোমরা জাহিলী যুগের কৃত কসমসমূহ পূরণ করিয়া ফেল। কেননা, ইসলাম কসমের গুরুত্বকে ( হ্রাস করে না বরং) বর্ধিতই করে। আর ইসলামের পর নূতনভাবে কোন কসম করিও না। (অর্থাৎ, জাহিলী যুগের রীতি-নীতি অনুযায়ী কসম ইসলামের মধ্যে সৃষ্টি করিও না। কেননা, ওয়াদা অঙ্গীকারের জন্য ইসলামই যথেষ্ট। অন্য কোন ধর্মের নিয়ম-কানুন প্রচলন করার আদৌ প্রয়োজন নাই। ইসলাম নেক ও কল্যাণময় কাজের নির্দেশ দেয়। অকল্যাণ ও গুনাহের কাজে বাধা দেয়।) —তিরমিযী হুসাইন ইবনে যাওয়ান সূত্রে বর্ণনা করেন এবং বলেন, হাদীসটি হাসান। আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত হাদীস “সমস্ত মুসলমানের খুন এক সমান” কিতাবুল কেছাছে বর্ণিত হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৩৯৮৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৩৯৮৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আমাদের পূর্বে এই গনীমতের মাল খাওয়া) কাহারও জন্য হালাল ছিল না। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখিয়া উহা আমাদের জন্য হালাল করিয়া দিয়াছেন। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান