মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৮৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তীরন্দাজী অথবা উট কিংবা ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতা ব্যতীত অন্য কোন কিছুরই প্রতিযোগিতা বৈধ নহে। – তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতার দুইটি ঘোড়ার মধ্যে আরেকটি ঘোড়া সংযোজন করে, এমতাবস্থায় যদি এই বিশ্বাস থাকে যে, তাহার ঘোড়া আগে চলিয়া যাইবেই, তাহা হইলে উহাতে কোন কল্যাণ নাই। আর যদি এই বিশ্বাস না থাকে যে, তাহার ঘোড়া আগে যাইতে পারিবে, তখন ইহাতে কোন দোষ নাই। —শরহে সুন্নাহ্
আর আবু দাউদের রেওয়ায়তে আছে, হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি প্রতিযোগিতার দুই ঘোড়ার মধ্যে তাহার ঘোড়া প্রবেশ করাইল, অথচ উহা আগে যাইতে পারিবে কিনা বিশ্বাস নাই, তখন উহা জুয়া হইবে না। আর যে ব্যক্তি এই বিশ্বাসে তাহার ঘোড়াটি প্রবেশ করায় যে, উহা নিশ্চিত আগে যাইবেই, তখন উহা হইবে জুয়া ।
আর আবু দাউদের রেওয়ায়তে আছে, হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি প্রতিযোগিতার দুই ঘোড়ার মধ্যে তাহার ঘোড়া প্রবেশ করাইল, অথচ উহা আগে যাইতে পারিবে কিনা বিশ্বাস নাই, তখন উহা জুয়া হইবে না। আর যে ব্যক্তি এই বিশ্বাসে তাহার ঘোড়াটি প্রবেশ করায় যে, উহা নিশ্চিত আগে যাইবেই, তখন উহা হইবে জুয়া ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৬। হযরত ইমরান ইবনে হোসাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জালাব ও জানাব জায়েয নহে। ইয়াহইয়া তাঁহার হাদীসে অতিরিক্ত বলিয়াছেন, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায়। –আবু দাউদ ও নাসায়ী
ইমাম তিরমিযী আরো কিছু বর্ধিত বাক্যসহ উহা গসব (ছিনতাই) অধ্যায়ে বর্ণনা করিয়াছেন।
ইমাম তিরমিযী আরো কিছু বর্ধিত বাক্যসহ উহা গসব (ছিনতাই) অধ্যায়ে বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৭। হযরত আবু কাতাদাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই ঘোড়াই সবচাইতে উত্তম, যেইটির সারা শরীর কালো এবং কপালে ও নাকের দিকে কিঞ্চিৎ সাদা চিহ্ন আছে। অতঃপর উহা উত্তম, যেই ঘোড়ার কপালে সামান্য সাদা চিহ্নসহ পায়ের দিকেও সাদা; কিন্তু ডান হাত (সম্মুখের ডান পা) যেন সাদা বর্ণের না হয়। অতঃপর যদি মিসকালো বর্ণের ঘোড়া না হয়, তবে উক্ত চিহ্নসহ খয়েরী রংয়ের ঘোড়া উত্তম। —তিরমিযী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৮। হযরত আবু ওয়াহব জুশামী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ অবশ্যই তোমরা এমন ঘোড়া বাছিয়া লইবে, যাহা খয়েরী বর্ণের হয় এবং কপাল ও হাত-পা সাদা। অথবা আকার (লাল) বর্ণের যাহার কপাল ও হাত-পা সাদা। অথবা মিকালো যাহার কপাল ও হাত-পা সাদা – আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ লাল বর্ণের ঘোড়ার মধ্যেই বরকত নিহিত রহিয়াছে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮০। হযরত ওতবা ইবনে আব্দ সুলামী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছেন, তোমরা ঘোড়ার কপালের লম্বা চুল ও তাহার গর্দানের চুল ও লেজের চুল কাটিও না। কেননা, তাহার লেজ হইল তাহার পাখা (উহার দ্বারা সে তাহার শরীর হইতে মশা-মাছি ও পোকা-মাকড় তাড়ায়)। ঘাড়ের চুল হইল তাহার উষ্ণতা লাভের উপকরণ। আর তাহার কপালের চুলের মধ্যে কল্যাণ নিহিত রহিয়াছে। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮১। হযরত আবু ওয়াহব জুশামী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা ঘোড়াগুলিকে যুদ্ধের জন্য তৈয়ার রাখ এবং তাহাদের মাথা ও নিতম্বের উপর হাত বুলাও। অথবা তিনি أعجازِها এর পরিবর্তে أكفالِها শব্দ বলিয়াছেন, তাহাদের গলায় মালা ঝুলাইয়া রাখ, তবে তাহাদের গলায় কামানের তূণ বাঁধিও না । —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ছিলেন আল্লাহর একজন নির্দেশিত বন্দাহ্। তিনি অন্যান্য লোকদিগকে বাদ দিয়া শুধু আমাদিগকে (আহলে বায়তকে বা বনী হাশেমকে) তিনটি কাজ ব্যতীত বিশেষভাবে অন্য কিছুর নির্দেশ করেন নাই। (আর উক্ত কাজ তিনটি হইলঃ) তিনি আমাদিগকে হুকুম করিয়াছেন, যেন আমরা পরিপূর্ণভাবে ওযূ করি এবং আমরা যেন সদ্কা না খাই, আর ঘোড়ার উপর গাধার প্রজনন না করি। —তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে একটি খচ্চর হাদিয়া দেওয়া হইল, অতঃপর তিনি উহার উপর সওয়ার হইলেন। হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, (হে আল্লাহর রাসূল!) যদি আমরা গাধাকে ঘোড়ীর সঙ্গে মিলন (সঙ্গম) করাইতাম তাহা হইলে এই ধরনের খচ্চর আমরাও লাভ করিতাম। ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ নির্বোধ লোকই এইরূপ করিয়া থাকে। —আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলিয়াছেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর তলোয়ারের বাটের উপরিভাগ রৌপ্যমণ্ডিত ছিল। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৫। হযরত হুদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সা'দ তাহার দাদা মাযীদাহ (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মক্কা) বিজয়ের দিন এমন অবস্থায় প্রবেশ করিয়াছেন যে, তাঁহার তলোয়ারের কব্জীর মধ্যে সোনা-রুপা মোড়ানো ছিল। —তিরমিযী। আর তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি গরীব

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৬। হযরত সায়েব ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, ওহুদের লড়াইয়ের দিন নবী (ﷺ)-এর উপর দুইটি বর্ম ছিল তিনি একটির উপরে আরেকটি পরিধান করিয়াছিলেন। – আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ)-এর বড় ঝাণ্ডা (পতাকা) ছিল কালো বর্ণের এবং ছোট পতাকাটি ছিল সাদা রংয়ের। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৮। মুহাম্মাদ ইবনে কাসেমের আযাদকৃত গোলাম মুসা ইবনে উবায়দা (রহঃ) বলেন, একদা মুহাম্মাদ ইবনে কাসেম আমাকে হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পতাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠাইয়া ছিলেন। তিনি বলিলেন, উহা চতুষ্কোণ কৃষ্ণ বর্ণের চিত্রকের ন্যায় ছিল। —আহমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৮৯। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) এমন অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করিয়াছেন যে, তাঁহার (ছোট) পতাকার বর্ণ ছিল সাদা। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৯১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৯১। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাতে ছিল একখানা আরবী নমুনার তৈয়ারী ধনুক। এমন সময় তিনি দেখিতে পাইলেন, অন্য আরেক লোকের হাতে একখানা পারস্যের ধনুক। তখন তিনি বলিলেনঃ তোমার হাতে ইহা কি? উহা ফেলিয়া দাও। তোমাদের উচিত যে, তোমরা এই জাতীয় আরবী ধনুক ব্যবহার কর। আর উন্নত মানের বর্শা ব্যবহার কর। কেননা, ইহার দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদিগকে দ্বীনের রাস্তায় মদদ করিবেন এবং বিভিন্ন শহরে-নগরে তোমাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করিবেন। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৮৯২। হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তবুকের যুদ্ধে বৃহস্পতিবারে রওয়ানা করিয়াছিলেন। আর তিনি বৃহস্পতিবার দিন সফরে বাহির হওয়া পছন্দ করিতেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান