মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৮৭১

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের 'আযবা' নামক একটি উটনী ছিল। কোন উটই উহাকে পিছনে ফেলিতে পারিত না। এক সময় একজন গ্রাম্য আরব তাহার উটের পিঠে আরোহণ করিয়া আসিল এবং হুযূর (ছাঃ)-এর উটনীকে পশ্চাতে ফেলিয়া আগে চলিয়া গেল। এই অবস্থা মুসলমানদের জন্য পীড়াদায়ক হইল। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন ইহা আল্লাহ্ তা'আলা নির্ধারণ করিয়া রাখিয়াছেন যে, পৃথিবীর যেই জিনিসই সমুন্নত হয়, উহাকে অবনত করিয়া দেন। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭২। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা এক তীরের উসীলায় তিন প্রকারের লোককে বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন। (এক) উহার প্রস্তুতকারী, যে সওয়াবের নিয়তে উহা তৈয়ার করে। (দুই) তীর নিক্ষেপকারী। (তিন) তীর প্রদানকারী। সুতরাং তোমরা তীরন্দাজী ও সওয়ারীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর। অবশ্য তোমাদের তীরন্দাজীর প্রশিক্ষণ আমার নিকট তোমাদের সওয়ারী অপেক্ষা অধিক প্রিয়। নিম্নোক্ত (তিনটি) কাজ ব্যতীত মানুষের সর্বপ্রকার খেলতামাশা বাতিল ও অন্যায়। (১) ধনুকের সাহায্যে তীর নিক্ষেপ করা, (২) ঘোড়াকে যুদ্ধের শিষ্টাচারিতার প্রশিক্ষণ দেওয়া, (৩) স্ত্রীর সঙ্গে আমোদ-প্রমোদ করা। মোটকথা, এই কাজ গুলি স্বীকৃত ও বৈধ। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্, তবে আবু দাউদ ও দারেমী অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন—
যে ব্যক্তি তীরন্দাজী শিক্ষা গ্রহণ করার পর অবহেলা বা অনীহা প্রকাশে উহা পরিত্যাগ করে, প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহর একটি নিয়ামত পরিত্যাগ করিল অথবা তিনি বলিয়াছেন সে আল্লাহর নিয়ামতের না-শোকরী করিল।
যে ব্যক্তি তীরন্দাজী শিক্ষা গ্রহণ করার পর অবহেলা বা অনীহা প্রকাশে উহা পরিত্যাগ করে, প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহর একটি নিয়ামত পরিত্যাগ করিল অথবা তিনি বলিয়াছেন সে আল্লাহর নিয়ামতের না-শোকরী করিল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাস্ত্রের প্রস্তুতিকরণ
৩৮৭৩। হযরত আবু নাজীহ্ সুলামী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ দ্বারা (কোন কাফেরের উপর) আঘাত হানে, তাহার জন্য বেহেশতে বিশেষ মর্যাদা রহিয়াছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করিল (চাই উহা কাফেরের গায়ে লাগুক আর নাই লাগুক), তাহার জন্য একটি গোলাম আযাদ করার সমপরিমাণ সওয়াব রহিয়াছে। আর যে ব্যক্তি ইসলামের কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় বার্ধক্যের শুভ্রতায় পৌঁছিয়াছে, তাহার সেই শুভ্রতা কিয়ামতের দিন তাহার জন্য উজ্জ্বল নূরে পরিণত হইবে। বায়হাকী শোআবুল ঈমানে আবু দাউদ এই হাদীসের কেবলমাত্র প্রথম অংশটি, নাসায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় অংশটি এবং তিরমিযী দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে বায়হাকী ও তিরমিযীর রেওয়ায়তের মধ্যে ফিল ইসলামের স্থলে ফী সাবীলিল্লাহ্ বর্ণিত হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান