মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৬১১

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দণ্ডবিধির ব্যাপারে সুপারিশ
৩৬১১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর দণ্ডবিধিসমূহ হইতে কোন একটি দণ্ডের ব্যাপারে সুপারিশ করিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, সে যেন আল্লাহর সঙ্গে মোকাবেলায় লিপ্ত হইল। আর যে লোক জানিয়া শুনিয়া বাতিল বা অন্যায় সমর্থনে ঝগড়ায় লিপ্ত হইল, সে উহা বর্জন না করা পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধ ও অসন্তুষ্টির মধ্যেই পড়িয়া রহিল। আর যে ব্যক্তি কোন মু'মিন সম্পর্কে এমন অপবাদ রটাইল, যেই দোষ তাহার মধ্যে নাই, যাবৎ না সে মুক্ত ও পবিত্র হইয়া যায় তাহার উক্তি হইতে (দুনিয়ায় থাকাকালে তওবা এবং ক্ষমা লওয়ার মাধ্যমে), আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে জাহান্নামীদের দূষিত রক্ত ও পুঁজের মধ্যে অবস্থান করাইবেন। —আহমদ ও আবু দাউদ। আর বায়হাকীর কিতাব শো আবুল ঈমানের এক রেওয়ায়তে আছে, যে লোক কোন ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে কোন পক্ষের সাহায্য-সহযোগিতা করিল, অথচ তাহার এইটুকুও জানা নাই যে, উহা ন্যায় বা অন্যায়, তবে সে উহা পরিহার না করা পর্যন্ত আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে থাকিবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬১২

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দণ্ডবিধির ব্যাপারে সুপারিশ
৩৬১২। আবু উমাইয়্যাহ্ আল মাখযূমী (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী (ﷺ)-এর নিকট এক চোরকে আনা হলো। সে সুস্পষ্টভাবে চুরির স্বীকারোক্তি দিলো; কিন্তু তার নিকট চুরির কোনো জিনিস পাওয়া গেল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার ধারণা যে, তুমি চুরি করনি। তবুও সে বলল, হ্যাঁ, আমি চুরি করেছি। এমতাবস্থায় তিনি (ﷺ) উক্ত কথাটি দুই কি তিনবার পুনরাবৃত্তি করলেন। কিন্তু সে প্রত্যেকবারই চুরি করার কথা স্বীকার করল। সুতরাং তিনি (ﷺ) নির্দেশ দিলেন, ফলে তার হাত কাটা হলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তাকে উপস্থিত করা হলে তিনি (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও এবং তওবা্ করো। সে বলল, আমি আল্লাহর নিকট মাফ চাচ্ছি এবং তওবা্ করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনবার বললেনঃ হে আল্লাহ! তার তওবা্ কবুল করো। (আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্, দারিমী)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দণ্ডবিধির ব্যাপারে সুপারিশ
৩৬১৩। কিন্তু মাসাবীহ-এর মূল গ্রন্থে বর্ণনাকারীর নাম আবু রিমসাহ্ বলা হয়েছে, অর্থাৎ- ء (হামযাহ্) ও ي (ইয়া)-এর পরিবর্তে ر (রাযিঃ) ও ث (ﷺ) রয়েছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান