মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৫- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৩৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৮৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যদি কেহ যৌথ মালিকানাধীন ক্রীতদাসের মধ্যে নিজের অংশ মুক্ত করিয়া দেয় এবং তাহার কাছে (অন্যান্য অংশীদারের অংশের মূল্য পরিশোধ করার মত) মাল-সম্পদও আছে, তখন তাহার পক্ষ হইতে ক্রীতদাসটি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হইয়া যাইবে (এবং অংশীদারগণকে তাহাদের স্ব স্ব অংশ পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করিয়া দিবে)। কিন্তু যদি তাহার কাছে (ক্রীতদাসের মূল্যের সমপরিমাণ) অর্থ-সম্পদ না থাকে, তখন গোলামটিকে তাহার সাধ্যা পরিমাণ শ্রমে খাটান হইবে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯০

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯০। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি মৃত্যুকালে তাহার ছয়টি ক্রীতদাসকে মুক্ত করিয়া দিল, অথচ ঐগুলি ব্যতীত তাহার আর অন্য কোন মাল-সম্পদও ছিল না। পরে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদিগকে ডাকাইয়া আনিলেন এবং তাহাদেরকে তিন ভাগে বিভক্ত করিয়া নিলেন। অতঃপর লটারির মাধ্যমে তাহাদের দুইজনকে মুক্ত করিয়া দিলেন এবং (অবশিষ্ট) চারিজনকে (পূর্ববং) গোলামই রাখিয়া দিলেন। পরে তিনি মুক্তিদানকারী লোকটিকে (তাহার এই কাজের জন্য) কঠোর বাক্যে ভৎসনা করিলেন। ইহা মুসলিম শরীফের রেওয়ায়ত। আর ইমাম নাসায়ী উক্ত বর্ণনাকারী হইতে 'কঠোর বাক্য' বলার স্থলে বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেন : “আমার ইচ্ছা হইয়াছিল যে, আমি তাহার জানাযাই পড়িব না।" আর আবু দাউদের রেওয়ায়তে আছে, তিনি বলিয়াছেনঃ যদি আমি তাহার দাফনের পূর্বে তথায় উপস্থিত থাকিতাম, তবে তাহাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা হইত না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯১

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কোন সন্তান তাহার পিতার ঋণ (হক) পরিশোধ করিতে পারিবে না, তবে যদি তাহার পিতা কাহারও দাসত্বে আব্দ্ধ থাকে, আর সন্তান তাহাকে খরিদ করিয়া মুক্ত করিয়া দেয় (তাহা হইলেই সে পিতার এহ্সান পরিশোধ করিতে পারিবে)। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯২

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯২। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, এক আনসারী তাহার একটি ক্রীত দাসকে মোদাব্বারে পরিণত করিলেন, অথচ ঐ একটি দাস ব্যতীত অন্য কোন মাল-সম্পদ তাহার ছিল না। পরে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সংবাদ পৌঁছিলে তিনি (লোক দের উদ্দেশ্যে) বলিলেন: আমার নিকট হইতে কে এই গোলামটি খরিদ করিতে ইচ্ছুক? তখন নোআইম ইবনে নাহহাম আট শত দেরহামের বিনিময়ে তাহাকে খরিদ করিয়া নিলেন। মোত্তাঃ - আর মুসলিমের এক রেওয়ায়তের মধ্যে আছে — নোআইম ইবনে আব্দুল্লাহ্ আল আদভী আট শত দেরহামের বিনিময়ে উহাকে খরিদ করিলেন এবং দেরহামগুলি আনিয়া নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে পেশ করিলেন। অতঃপর তিনি তাহাকে (গোলামটির মালিককে) দেরহামগুলি প্রদান করিয়া বলিলেন, যাও, এইগুলি প্রথমে নিজের প্রয়োজনে খরচ কর, যদি ইহার পর কিছু অবশিষ্ট থাকে উহা পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় কর। তারপরও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে, উহা তোমার নিকটতম আত্মীয়দের জন্য খরচ কর, ইহার পরও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে, উহা এইভাবে এইভাবে খরচ কর অর্থাৎ, তোমার সম্মুখে, ডানে ও বামের (তথা আশেপাশের লোকদের জন্য খরচ কর।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৩। হযরত হাসান সামুরা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার কোন মারাম (নিকটতম আত্মীয়)-এর মালিক হয় (খরিদ অথবা দান কিংবা অসিয়ত ইত্যাদি সূত্রে), তখন সঙ্গে সঙ্গেই সেই ব্যক্তি আযাদ হইয়া যাইবে। (অর্থাৎ, এমন ব্যক্তির উপর এক মুহূর্তের জন্যও তাহার মালিকানা স্বত্ব প্রয়োগ হইবে না।) —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান