মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৫- গোলাম আযাদ করা সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৩৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৫। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর যমানায় আমরা উম্মুল ওয়ালাদ ক্রয়-বিক্রয় করিয়াছি। কিন্তু হযরত ওমর (রাঃ)-এর খেলাফত আমলে তিনি আমাদিগকে ইহা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। ফলে আমরা ইহা হইতে বিরত রহিয়াছি। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার ক্রীতদাসকে মুক্ত করে এবং যদি সেই গোলামের কাছে নিজের কিছু মাল-সম্পদও থাকে, তবে মালিক নিজেই ঐ সম্পদের অধিকারী হইবে। অবশ্য যদি মুক্তিদানকারী প্রভু সেই মাল গোলামে পাইবে বলিয়া উল্লেখ করে, তাহা হইলে গোলামই পাইবে। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৭। আবুল মালীহ্ তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, একবার এক ব্যক্তি তাহার একটি গোলামের কিছু অংশ আযাদ করিয়া দিল। পরে ব্যাপারটি নবী (ﷺ)কে জানান হইল, তিনি বলিলেনঃ 'আল্লাহর কোন অংশীদার নাই।' এই বলিয়া তিনি সম্পূর্ণ গোলামটি মুক্ত হইয়াছে বলিয়া রায় দিলেন। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৮। হযরত সফীনা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত উম্মে সালামার মালিকানাধীন ক্রীতদাস ছিলাম। একদিন তিনি আমাকে বলিলেন, আমি তোমাকে এই শর্তে আযাদ করিব যে, তুমি যতদিন জীবিত থাকিবে ততদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমত করিবে। তখন আমি বলিলাম, এই শর্ত আরোপের আদৌ প্রয়োজন নাই। আপনি এই শর্ত আরোপ না করিলেও আমি যতদিন জীবিত থাকিব, ততদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহচর্য হইতে বিচ্ছিন্ন থাকিব না। অতঃপর তিনি আমাকে মুক্ত করিয়া দিলেন এবং নবী (ﷺ)-এর খেদমত করার শর্তটি আমার উপর আরোপ করিলেন। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯৯। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে, তিনি নবী (ﷺ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেনঃ মোকাতব সেই পর্যন্ত গোলামই থাকিবে যেই পর্যন্ত তাহার উপর শর্তকৃত এক দেরহাম মুদ্রাও অবশিষ্ট থাকিবে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪০০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৪০০। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যদি তোমাদের কাহারও মোকাতর গোলামের কাছে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করা পরিমাণ সম্পদ থাকে, তখন তাহা হইতে অবশ্যই পর্দা করিবে । —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪০১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৪০১। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তাহার ক্রীতদাসের সহিত একশত 'উকিয়ায়' মুক্তিপণ সম্পাদন করিয়াছে, ইহার পর সে উহা আদায় করিল । কিন্তু মাত্র দশ উকিয়া অথবা বলিয়াছেন, দশ দীনার বাকী রহিল যাহা আদায় করিতে অক্ষমতা প্রকাশ করিল, তবে সে (পূর্ববৎ) ক্রীতদাসই বহাল থাকিবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৪০২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৪০২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যদি কোন মোকাতব (ক্রীতদাস) দিয়ত (রক্তপণ) কিংবা মীরাস (উত্তরাধিকার)-এর অধিকারী হয়, তবে যেই পরিমাণ মুক্ত হইয়াছে সেই অনুপাতে তাহার মীরাস কার্যকরী হইবে। এই হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করিয়াছেন, তবে তিরমিযীর অন্য আরেক রেওয়ায়তে আছে, মোকাতবের দিয়ত তাহার পরিশোধকৃত অংশ পরিমাণ স্বাধীন লোকের দিয়ত হিসাবে এবং অবশিষ্ট অংশের দিয়ত ক্রীতদাস হিসাবে আদায় করিতে হইবে। কিন্তু তিরমিযী হাদীসটিকে যয়ীফ বলিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান