মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩৩৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - শিশুর বালেগ হওয়া ও ছোট বেলায় তাদের প্রতিপালন প্রসঙ্গে
৩৩৭৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, ওহুদ যুদ্ধের সময় আমাকে যুদ্ধে যোগদানের জন্য রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত করা হইল—তখন আমি চৌদ্দ বৎসরের ছেলে। তিনি আমাকে ফিরাইয়া দিলেন। অতঃপর খন্দকের যুদ্ধের সময় উপস্থিত করা হইল—তখন আমি পনর বৎসরের ছেলে, এবার তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। (পরবর্তীকালে ঘটনা শুনিয়া) হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয় বলিলেন, ইহাই হইল যোদ্ধা এবং বালকের বয়সের সীমা। মোত্তা

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩৩৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - শিশুর বালেগ হওয়া ও ছোট বেলায় তাদের প্রতিপালন প্রসঙ্গে
৩৩৭৭। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, হুদাইবিয়ার সন্ধির তারিখে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি শর্তে কুরাইশদের সঙ্গে সন্ধি করিলেন। মুশরিকদের কেহ নবী করীমের নিকট আসিলে তিনি তাহাকে ফেরত দিবেন। অপরপক্ষে মুসলমানদের মধ্যে কেহ মুশরিকদের হাতে পড়িলে তাহারা তাহাকে ফেরত দিবে না। দ্বিতীয় শর্ত হইল, তিনি এই বৎসর চলিয়া যাইবেন এবং আগামী বৎসর আসিয়া ওমরা করিবেন এবং মাত্র তিন দিন মক্কায় অবস্থান করিবেন। রাবী বলেন, পরবর্তী বৎসর তিনি যখন মক্কায় গেলেন এবং ঐ মুদ্দত শেষ হইয়া গেল, তিনি যখন বাহির হইতে লাগিলেন, ঐ সময় (শহীদ) হযরত হামযার ছোট মেয়ে তাঁহার অনুসরণ করিল এবং হে চাচা। হে চাচা। বলিয়া ডাকিতে লাগিল। হযরত আলী (রাঃ) তাহাকে গ্রহণ করিলেন এবং তাহার হাত ধরিলেন। মোটকথা, তাহার ব্যাপারে হযরত আলী, যায়দ ও জাফর ইবনে আবু তালেবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলিল। আলী বলিলেন, আমিই প্রথম তাহার হাত ধরিয়াছি। আর সে আমার চাচাত বোন। জাফর বলিল, সে আমারও চাচাত বোন। এছাড়া তাহার খালা আমার ঘরে আছে। যায়দ বলিলেন, সে আমার ভাইঝি। কিন্তু নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে তাহার খালার জন্য ডিক্রি দিলেন এবং বলিলেন: খালা মায়ের ন্যায়। মনস্তুষ্টির জন্য আলীকে বলিলেন, আমি তোমার—তুমি আমার জাফরকে বলিলেন, তুমি আমার আকৃতি-প্রকৃতি উভয় পাইয়াছ এবং যায়দ ইবনে হারেসাকে বলিলেন, তুমি আমার (ইসলামী) ভাই ও আমার প্রিয়। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান