মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪০। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার জনৈকা বিবির ঘরে ছিলেন, এমন সময় উম্মুল মু'মিনীনদের অপর একজন বড় পেয়ালায় করিয়া হুযুরের জন্য কিছু খাদ্য পাঠাইলেন। (ইহাতে রাগ করিয়া) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাঁহার ঘরে ছিলেন তিনি খাদেমের হাতে আঘাত হানিলেন, যাহাতে পেয়ালা পড়িয়া টুকরা টুকরা হইয়া গেল। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেয়ালার টুকরাগুলি একত্র করিলেন, অতঃপর উহাতে যে খাদ্য ছিল তাহা জমা করিতে লাগিলেন এবং বলিলেনঃ তোমাদের মাতা ঈর্ষান্বিত হইয়াছেন। এসময় তিনি খাদেমকে তাবৎ আটকাইয়া রাখিলেন, যাবৎ না তিনি যাঁহার ঘরে ছিলেন তাহার ঘর হইতে একটি আস্ত পেয়ালা আনা হইল। অতঃপর আস্ত পেয়ালাটি তিনি তাঁহাকে দিলেন, যাহার পেয়ালা ভাঙ্গা হইয়াছিল এবং ভাঙ্গাটি তাহার জন্য রাখিলেন যিনি উহা ভাঙ্গিয়াছিলেন। —বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি লুণ্ঠন করিতে ও কাহারো নাক-কান কাটিয়া দিতে নিষেধ করিয়াছেন। —— বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় একবার সূর্য গ্রহণ হইল, যেদিন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুত্র ইবরাহীম ইন্তেকাল করিলেন। হুযূর মানুষকে লইয়া দুই রাকআত নামায পড়িলেন ছয় রুকু ও চারি সজদা দিয়া। তিনি নামায শেষ করিলেন আর সূর্য তার পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়া গেল। এসময় তিনি বলিলেনঃ তোমাদেরকে যেসব জিনিসের ওয়াদা দেওয়া হয় আমি আমার এই নামাযে সেসব দেখিয়াছি। এসময় আমার সম্মুখে দোযখকে আনা হইয়াছিল, আর ইহা তখনই হইয়াছিল যখন তোমরা আমাকে দেখিয়াছিলে, আমাতে আগুনের ফুলকি পৌঁছার ভয়ে আমি পিছনে হটিয়া ছিলাম। (আমি উহাতে সবকিছু দেখিয়াছি, এমন কি বাঁকা মাথা লাঠিওয়ালা (আমর ইবনে লুহায়আ)-কেও দেখিয়াছি, যে উহাতে আপন নাড়ী-ভুঁড়ি টানিতেছে। সে বাঁকা মাথা লাঠি দ্বারা হাজীদের জিনিস চুরি করিত। যদি লোকে টের পাইত, বলিত, আমার লাঠির মাথায় আটক হইয়া গিয়াছে, আর যদি টের না পাইত উহা লইয়া যাইত। এমন কি আমি দোযখে বিড়ালওয়ালীকেও দেখিয়াছি, যে উহাকে বাঁধিয়া রাখিয়াছিল, অথচ উহাকে খাদ্য দিত না আর ছাড়িয়াও দিত না, যাহাতে উহা মাটির জীব (ইঁদুর ইত্যাদি) ধরিয়া খাইতে পারে, অবশেষে উহা ভুখে মরিয়া যায়। ঐ অতঃপর আমার নিকট বেহেশত আনা হইল, আর উহা ঐ সময় হইয়াছিল যখন তোমরা দেখিলে আমি সামনে আগাইলাম, এমন কি আমি আমার এই অবস্থানে দাঁড়াইলাম। নিশ্চয় আমি তখন এই ইচ্ছায় হাত বাড়াইয়াছিলাম যে, আমি উহার ফল লই, যাহাতে তোমরা উহা দেখিতে পাও। অতঃপর আমার নিকট স্পষ্ট হইয়া উঠিল যে, আমি ইহা যেন না করি। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৩। তাবেয়ী কাতাদা বলেন, আমি সাহাবী হযরত আনাস (রাঃ)কে বলিতে শুনিয়াছি, একদা মদীনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হইল (শত্রু আসিতেছে), তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু তালহা হইতে একটি ঘোড়া ধার লইলেন, যাহার নাম ছিল ‘মানদুব’ এবং অনুসন্ধানের জন্য উহাতে সওয়ার হইলেন; কিন্তু যখন ফিরিলেন, বলিলেন, আমি তো কিছু দেখিলাম না; আর আমি এই ঘোড়াকে দ্রুতগামীই পাইলাম । -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৪। হযরত সায়ীদ ইবনে যায়দ (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ যে পতিত জমি আবাদ করে উহা তাহার। অন্যায় দখলকারীর মেহনতের কোন হক নাই। – আহমদ, তিরমিযী ও আবু দাউদ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৫। হাদীসটি ইমাম মালিক (রহঃ) উরওয়াহ্ (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এটা হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান