মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৮৫১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার মুসলমান ভ্রাতার ক্রয়-বিক্রয়ের কথার উপর নিজে ক্রয়-বিক্রয়ের কথা বলিবে না। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫২

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫২। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: শহরী লোক গ্রাম্য লোকদের পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করিয়া দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করিবে না। (গ্রাম্য লোকগণ নিজেদের জিনিস নিজেরাই বিক্রি করিবে, তাহাতে শহর-বন্দরের ক্রেতাগণ সস্তা দামে জিনিস পাইবে।) লোকদেরকে এইভাবেই থাকিতে দাও, আল্লাহ্ তা'আলা একজনকে অপরজন দ্বারা লাভবান হওয়ার সুযোগ দিয়া থাকেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৩। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বস্ত্র পরনের দুইটি নিয়ম-প্রণালীকে নিষেধ করিয়াছেন এবং ক্রয়-বিক্রয়েরও দুইটি প্রণালী নিষেধ করিয়াছেন।
ক্রয়-বিক্রয়ের প্রণালীদ্বয় হইল 'মোলামাসা' ও 'মোনাবাযা। 'মোলামাসা' এই যে, রাত্রে বা দিনে ক্রেতা বিক্রেতার (বিক্রয়ের) কাপড়টিকে হাতে স্পর্শ করিলেই সে কাপড় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইবে। উহাকে দেখিয়া বিবেচনা করার কোন সুযোগ তাহার থাকিবে না। 'মোনাবাযা' এই যে, (কোন বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনাকালে ক্রেতা ও বিক্রেতা) পরস্পর একজনের কোন বস্ত্র অপরজনের প্রতি ভুঁড়িয়া মারিলেই তাহাদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় বাধ্যতামূলক হইয়া যাইবে। ক্রয়ের বস্তু দেখার সুযোগও থাকিবে না এবং উভয়ের সম্মতিরও ধার ধারা হইবে না।
আর বস্ত্র পরনের প্রণালী দুইটি হইল— (১) লুঙ্গি ইত্যাদি পরন ব্যতিরেকে শুধু এক চাদরে সর্বশরীর আবৃত করা স্থলে চাদরের এক দিক কাঁধে উঠাইয়া রাখা। (উহাতে নিশ্চয় ছতর খুলিয়া যাইবে।) (২) লুঙ্গি শ্রেণীর কাপড় পরিয়া হাঁটুদ্বয় খাড়া করিয়া বসা, অথচ নিম্নদেশ উন্মুক্ত রহিয়াছে। ইহাতেও ছতর খোলা থাকে।) — মোত্তাঃ
ক্রয়-বিক্রয়ের প্রণালীদ্বয় হইল 'মোলামাসা' ও 'মোনাবাযা। 'মোলামাসা' এই যে, রাত্রে বা দিনে ক্রেতা বিক্রেতার (বিক্রয়ের) কাপড়টিকে হাতে স্পর্শ করিলেই সে কাপড় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইবে। উহাকে দেখিয়া বিবেচনা করার কোন সুযোগ তাহার থাকিবে না। 'মোনাবাযা' এই যে, (কোন বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনাকালে ক্রেতা ও বিক্রেতা) পরস্পর একজনের কোন বস্ত্র অপরজনের প্রতি ভুঁড়িয়া মারিলেই তাহাদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় বাধ্যতামূলক হইয়া যাইবে। ক্রয়ের বস্তু দেখার সুযোগও থাকিবে না এবং উভয়ের সম্মতিরও ধার ধারা হইবে না।
আর বস্ত্র পরনের প্রণালী দুইটি হইল— (১) লুঙ্গি ইত্যাদি পরন ব্যতিরেকে শুধু এক চাদরে সর্বশরীর আবৃত করা স্থলে চাদরের এক দিক কাঁধে উঠাইয়া রাখা। (উহাতে নিশ্চয় ছতর খুলিয়া যাইবে।) (২) লুঙ্গি শ্রেণীর কাপড় পরিয়া হাঁটুদ্বয় খাড়া করিয়া বসা, অথচ নিম্নদেশ উন্মুক্ত রহিয়াছে। ইহাতেও ছতর খোলা থাকে।) — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—“বায়-এ হাসাত" কাঁকর নিক্ষেপ করার ক্রয়-বিক্রয় হইতে এবং "বায়-এ গরুর'—অনিশ্চিত বস্তুর ক্রয়-বিক্রয় হইতে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৫। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—পেটের বাচ্চার বাচ্চা বিক্রয় করিতে। ইহা অন্ধকার যুগের ক্রয়-বিক্রয় ছিল। (কোন উট উত্তম জাতের, উহার চাহিদা বেশী। এইরূপ ক্ষেত্রে) অনেকে এই উট ক্রয় করিত যে, বিক্রেতার উটের পেটে যেই বাচ্চা হইবে ঐ বাচ্চা বড় হইলে পর উহার পেটে যে বাচ্চা হইবে তাহা ক্রয় করা হইল। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতেই বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন— ষাঁড় দ্বারা পাল দিয়া উহার মজুরি গ্রহণ করা হইতে। — বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—উষ্ট্র দ্বারা পাল দিয়া উহার মজুরি গ্রহণ করা হইতে এবং জমি ও উহার সেচ ব্যবস্থা কোন ব্যক্তিকে চাষ করিতে দিয়া উহার বিনিময় গ্রহণ করা হইতে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৮। হযরত জাবের (রাঃ) হইতেই বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি কাহাকেও দান করিয়া উহার বিনিময় গ্রহণ করা হইতে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: স্বয়ং উৎপন্ন ঘাসের মূল্য (যাহা গ্রহণ করা জায়েয নহে, উহা আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত পানির মূল্য গ্রহণ করিতে পারিবে না। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতেই বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা (বিক্রয় করার জন্য স্তূপীকৃত) খাদ্যবস্তুর একটি স্তূপের নিকট দিয়া গমন করা কালে উহার ভিতরে হাত ঢুকাইলেন। স্তূপের ভিতরে হাতে ভিজা অনুভব হইল। ঐ স্তূপের মালিককে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহা কি? ঐ ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! বৃষ্টির পানিতে ঐগুলি ভিজিয়া গিয়াছিল। নবী করীম (ছাঃ) বলিলেন, ভিজাগুলিকে স্তূপের উপরে কেন রাখিলে না, যাহাতে লোকেরা উহা দেখিতে পায়? যে ব্যক্তি প্রবঞ্চনা করিবে, আমার সহিত তাহার কোন সম্পর্ক নাই। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে বিক্রীত বস্তু হইতে অনির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু অংশ বাদ রাখিতে নিষেধ করিয়াছেন। অবশ্য যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাদ রাখিয়া বিক্রয় করে, তবে তাহা জায়েয হইবে। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন—আঙ্গুর বিক্রয় করিতে, যাবৎ না উহা কাল হইয়া যায়, শস্য বিক্রয় করিতে, যাবৎ না উহা পুষ্ট হইয়া যায়। – তিরমিযী ও আবু দাউদ
তিরমিযী ও আবু দাউদের এক বর্ণনায় হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খেজুর বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন, যাবৎ না উহা লাল বা হলুদ হইয়া যায়। তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীস হাসান গরীব।
তিরমিযী ও আবু দাউদের এক বর্ণনায় হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খেজুর বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন, যাবৎ না উহা লাল বা হলুদ হইয়া যায়। তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীস হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন— ধারের বিনিময়ে ধারে বিক্রয় করিতে। – দারা কুতনী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৪। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন— 'ওরবান' রকমের ক্রয়-বিক্রয় হইতে। —মালেক, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৫। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন—জবরদস্তিমূলক ক্রয়-বিক্রয় হইতে এবং প্রতারণামূলক বস্তুর ক্রয়-বিক্রয় হইতে এবং পূর্ণ হওয়ার পূর্বে ফল ক্রয়-বিক্রয় করা হইতে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৬। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, কেলাব গোত্রের এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করিল— ষাঁড়ের পাল বা প্রজননের মজুরি গ্রহণ সম্পর্কে। নবী করীম (ﷺ) তাহাকে নিষেধ করিলেন। তখন সেই ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমরা ষাঁড়ের পাল দিয়া থাকি এবং উহার খাতিরে সৌজন্যমূলক কিছু পাইয়া থাকি। নবী করীম (ﷺ) ঐরূপ সৌজন্য গ্রহণের অনুমতি প্রদান করিলেন। —তিরমিযী
আমরা ষাঁড়ের পাল দিয়া থাকি এবং উহার খাতিরে সৌজন্যমূলক কিছু পাইয়া থাকি। নবী করীম (ﷺ) ঐরূপ সৌজন্য গ্রহণের অনুমতি প্রদান করিলেন। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৭। হযরত হাকীম ইবনে হেযাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে নিষেধ করিয়াছেন — ঐ বস্তু বিক্রয় করিতে যাহা আমার দখলে নাই। – তিরমিযী
তিরমিযীর আর এক বর্ণনায় এবং আবু দাউদ ও নাসায়ীতে আছে, হাকীম ইবনে হেযাম বলেন, আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কোন লোক আমার নিকট আসিয়া কোন বস্তু ক্রয় করিতে চাহে, উহা আমার নিকট নাই। আমি (কি) এক বাজার হইতে তাহার জন্য উহা ক্রয় করিয়া আনিব। (—এই আশায় যে, আমি তাহার নিকট উহা বিক্রয় করি।) তিনি বলিলেন, তোমার দখলে যাহা নাই তাহা বিক্রি করিও না।
তিরমিযীর আর এক বর্ণনায় এবং আবু দাউদ ও নাসায়ীতে আছে, হাকীম ইবনে হেযাম বলেন, আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কোন লোক আমার নিকট আসিয়া কোন বস্তু ক্রয় করিতে চাহে, উহা আমার নিকট নাই। আমি (কি) এক বাজার হইতে তাহার জন্য উহা ক্রয় করিয়া আনিব। (—এই আশায় যে, আমি তাহার নিকট উহা বিক্রয় করি।) তিনি বলিলেন, তোমার দখলে যাহা নাই তাহা বিক্রি করিও না।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন—একই বিক্রির মধ্যে দুই রকমের বিক্রি হইতে। —মালেক, তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৯। হযরত আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন—দুই বিক্রয়ের ব্যবস্থা এক বিক্রয়ের মধ্যে করা হইতে। — শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৭০

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৭০। ঐ আমর ইবনে শোআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঋণ এবং ক্রয়-বিক্রয় এক সঙ্গে জায়েয নহে। এক বিক্রয়ের সঙ্গে দুইটি শর্ত জুড়িয়া দেওয়াও জায়েয নহে। যেই বস্তুর খেসারতের দায়িত্ব বর্তে নাই, উহার লাভের অধিকার হাসিল হইবে না। আর যেই বস্তু তোমার হস্তগত নহে, উহা বিক্রি করাও জায়েয নহে। — তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী। তিরমিযী বলিয়াছেন, এই হাদীস সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান