মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৮২৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮২৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মে'রাজের রাতে আমি এমন এক শ্রেণীর লোকের নিকট পৌছিলাম, যাহাদের পেট ঘরের ন্যায় বড় এবং উহার ভিতরে বহু সাপ রহিয়াছে যাহা বাহির হইতে দেখা যায়। আমি (আমার সঙ্গীকে) জিজ্ঞাসা করিলাম – হে জিবরাঈল। ইহারা কোন্ লোক? তিনি বলিলেন, ইহারা সুদখোর। —আমদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮২৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮২৯। হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে অভিশাপ করিতে শুনিয়াছেন— সুদখোরের প্রতি এবং সুদ প্রদানকারীর প্রতি এবং সুদের ঋণপত্র লিখকের প্রতি। আরও অভিশাপ করিয়াছেন দান-খয়রাতে বাধাদানকারীর প্রতি। আর তিনি নিষেধ করিতেন মৃতের জন্য বিলাপ করিয়া কাঁদা হইতে। — নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩০

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮৩০। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, সুদ হারাম হওয়ার আয়াতই (কোরআন শরীফের) শেষ আয়াত। (অর্থাৎ, কোরআন শরীফে সুদ হারাম ঘোষিত হওয়ার পরে উহাতে আর কোন পরিবর্তন হয় নাই।) এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর তিরোধান হইয়া গিয়াছে, অথচ সুদের (অসংখ্য শাখা-প্রশাখার) পূর্ণ বিবরণ তিনি আমাদের সম্মুখে রাখিয়া যান নাই। সুতরাং কোরআন সুন্নাহ্য় বর্ণিত সুদ এবং যে যে ক্ষেত্রে সুদের কোন প্রকার সন্দেহ হয় সবই তোমরা বর্জন করিবে। —ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩১

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮৩১। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেহ যদি কোন ব্যক্তিকে ধার দেয়, অতঃপর ধারগ্রহীতা যদি দাতাকে কোন হাদিয়া বা উপহার দেয়, তবে উহা গ্রহণ করিবে না। যদি গ্রহীতা তাহার যানবাহনের উপর ধারদাতাকে বসাইতে চায়, তবে উহার উপর বসিবে না। অবশ্য যদি ধার নেওয়ার পূর্ব হইতে তাহাদের মধ্যে ঐরূপ ব্যবহার প্রচলিত থাকে, তবে তাহা স্বতন্ত্র কথা। —ইবনে মাজাহ্ আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩২

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮৩২। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে ধার দিলে ধারদাতা ধারগ্রহীতার নিকট হইতে কোন উপহার বা হাদিয়া গ্রহণ করিবে না। – বোখারী তাঁহার তারীখে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ
২৮৩৩। তাবেয়ী হযরত আবু বুরদা ইবনে আবু মুসা (রঃ) বলেন, একবার আমি মদীনায় আসিয়া সাহাবী আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি আমাকে বলিলেন, তুমি এমন এলাকায় বাস কর যথায় সুদের প্রচলন অনেক বেশী। অতএব, কাহারও উপর যদি তোমার কোন প্রাপ্য থাকে— সে যদি তোমাকে এক বোঝা খড়, এক গাঁটরি যব বা ঘাসের একটি বোঝাও উপঢৌকন দেয়, তাহা গ্রহণ করিও না; উহা সুদে পরিগণিত।—বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৩৪। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—'মোযাবানা' রকমের ক্রয়-বিক্রয় হইতে। তাহা খেজুরের মধ্যে এইরূপ— বাগানে গাছের মাথায় খেজুর রহিয়াছে, উহাকে অনুমান করা যে, বৃক্ষ হইতে ছিন্ন করিয়া শুকাইলে ইহাতে কি পরিমাণ খুর্মা হইবে। সেমতে মাপিয়া ঐ পরিমাণ খুর্মা প্রদান করিয়া উহার বিনিময়ে বৃক্ষের খেজুর বৃক্ষে রাখিয়াই ক্রয় করা। উহা আঙ্গুরের মধ্যে এইরূপ বাগানে গাছে আঙ্গুর রহিয়াছে, উহাকে অনুমান করা যে, শুকাইলে কি পরিমাণ কিশমিশ ইহাতে হইবে। সেমতে মাপিয়া ঐ পরিমাণ কিশমিশ প্রদান করিয়া উহার বিনিময়ে গাছের আঙ্গুর ক্রয় করা।
উহা শস্যের মধ্যে এইরূপ – খেতে শস্য আছে, উহাকে অনুমান করা যে, ইহা হইতে খাদ্য কি পরিমাণ হইবে; মাপিয়া সেই পরিমাণ ( ঐ জাতীয়) খাদ্য প্রদান করিয়া খেতের শস্য ক্রয় করা। এসব হইতে তিনি নিষেধ করিয়াছেন। —মোত্তাঃ
উভয়ের অপর এক বর্ণনায় আছে—রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) নিষেধ করিয়াছেন— মোযাবানা রকমের ক্রয়-বিক্রয় হইতে। তিনি আরও বলিয়াছেন— মোযাবানা এই যে, বৃক্ষের মাথায় যে খেজুর রহিয়াছে উহা অনুমানে বিক্রি করা নির্ধারিত পরিমাণের মাপা খুর্মার বিনিময়ে। (এই সাব্যস্তে যে, গাছের খেজুরের উৎপন্ন খুর্মা অনুমান হইতে কম হওয়ায় প্রদত্ত খুর্মা উহা অপেক্ষা)
যদি বেশী হয়, তবে তাহা আমার (তথা বিক্রেতার) লাভ গণ্য হইবে (অর্থাৎ, অতিরিক্তটা ফেরত দেওয়া হইবে না)। আর (উৎপন্ন খুর্মা অনুমান হইতে বেশী হওয়ায় প্রদত্ত খুর্মা উহা অপেক্ষা ) যদি কম হয়, তবে তাহা আমারই ক্ষতি গণ্য হইবে (অর্থাৎ, ক্রেতার নিকট উহা পূরণের দাবী করিব না)।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গাছের ফল গাছে থাকাবস্থায় এবং জমির ফসল জমিতে থাকাবস্থায় অনুমান করিয়াই যদি ভিন্ন জাতীয় বস্তুর সহিত বা নগদ টাকার সহিত বিনিময় করা হয়, তবে তাহা জায়েয হইবে।
উহা শস্যের মধ্যে এইরূপ – খেতে শস্য আছে, উহাকে অনুমান করা যে, ইহা হইতে খাদ্য কি পরিমাণ হইবে; মাপিয়া সেই পরিমাণ ( ঐ জাতীয়) খাদ্য প্রদান করিয়া খেতের শস্য ক্রয় করা। এসব হইতে তিনি নিষেধ করিয়াছেন। —মোত্তাঃ
উভয়ের অপর এক বর্ণনায় আছে—রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) নিষেধ করিয়াছেন— মোযাবানা রকমের ক্রয়-বিক্রয় হইতে। তিনি আরও বলিয়াছেন— মোযাবানা এই যে, বৃক্ষের মাথায় যে খেজুর রহিয়াছে উহা অনুমানে বিক্রি করা নির্ধারিত পরিমাণের মাপা খুর্মার বিনিময়ে। (এই সাব্যস্তে যে, গাছের খেজুরের উৎপন্ন খুর্মা অনুমান হইতে কম হওয়ায় প্রদত্ত খুর্মা উহা অপেক্ষা)
যদি বেশী হয়, তবে তাহা আমার (তথা বিক্রেতার) লাভ গণ্য হইবে (অর্থাৎ, অতিরিক্তটা ফেরত দেওয়া হইবে না)। আর (উৎপন্ন খুর্মা অনুমান হইতে বেশী হওয়ায় প্রদত্ত খুর্মা উহা অপেক্ষা ) যদি কম হয়, তবে তাহা আমারই ক্ষতি গণ্য হইবে (অর্থাৎ, ক্রেতার নিকট উহা পূরণের দাবী করিব না)।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গাছের ফল গাছে থাকাবস্থায় এবং জমির ফসল জমিতে থাকাবস্থায় অনুমান করিয়াই যদি ভিন্ন জাতীয় বস্তুর সহিত বা নগদ টাকার সহিত বিনিময় করা হয়, তবে তাহা জায়েয হইবে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৩৫। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন— মোখাবারা' হইতে, 'মোহাকালা' হইতে এবং 'মোযাবানা' হইতে।
মোহাকালা অর্থ খেতের শস্য (যেমন, গম অনুমানে পরিমিত পরিমাণ, যথা—) বিশ মণ প্রস্তুত গমের বিনিময়ে বিক্রি করা। মোযাবানা অর্থ খেজুর গাছের মাথায় যে খেজুর রহিয়াছে, উহা (অনুমানে পরিমিত পরিমাণ, যথা — ) বিশ মণ ঘুর্মার বিনিময়ে বিক্রি করা। মোখাবারা অর্থ তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ শস্যের বিনিময়ে জমি ইজারা দেওয়া (অর্থাৎ, খেত বর্গা দেওয়া)।
—মুসলিম
মোহাকালা অর্থ খেতের শস্য (যেমন, গম অনুমানে পরিমিত পরিমাণ, যথা—) বিশ মণ প্রস্তুত গমের বিনিময়ে বিক্রি করা। মোযাবানা অর্থ খেজুর গাছের মাথায় যে খেজুর রহিয়াছে, উহা (অনুমানে পরিমিত পরিমাণ, যথা — ) বিশ মণ ঘুর্মার বিনিময়ে বিক্রি করা। মোখাবারা অর্থ তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ শস্যের বিনিময়ে জমি ইজারা দেওয়া (অর্থাৎ, খেত বর্গা দেওয়া)।
—মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৩৬। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন— মোহাকালা' মোযাবানা', 'মোখাবারা' ও 'মোআওয়ামা হইতে এবং নিষেধ করিয়াছেন (অনির্দিষ্টরূপে) কিছু অংশ বাদ দেওয়া হইতে। আর 'আরায়া'কে জায়েয বলিয়াছেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৩৭। হযরত সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন — তৈয়ারী (প্রস্তুত) খুর্মার বিনিময়ে (গাছের উপরিস্থিত) খেজুর ফল বিক্রি করিতে। অবশ্য আরিয়্যার অনুমতি দিয়াছেন। আরিয়্যা বলে ফলকে অনুমান করিয়া বিক্রি করা—সেই অনুমান অনুসারে খুর্মা দিবে। আরিয়্যার ফলের ক্রেতা উহা পাকা ও ভাজা অবস্থায় খাইবে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান