মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২৭১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং হজ্জ ছুটে যাওয়া
২৭১৩। হযরত হাজ্জাজ ইবনে আমর আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন যাহার পা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে অথবা খোঁড়া হইয়া গিয়াছে সে হালাল হইয়া গিয়াছে। তাহার আগামী বৎসর হজ্জ করিতে হইবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। কিন্তু আবু দাউদ অপর এক বর্ণনায় অধিক বলিয়াছেন, হুযূর বলিয়াছেন, “অথবা রোগাক্রান্ত হইয়াছে।” তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান, কিন্তু বাগাবী মাসাবীহতে বলেন, ইহা যয়ীফ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৭১৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং হজ্জ ছুটে যাওয়া
২৭১৪। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ইয়া'মার দু'লী (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আরাফাই হজ্জ। যে মুযদালিফার রাতে (নয় তারিখ শেষ রাতে) উষা উদয়ের পূর্বে আরাফাতে পৌঁছিতে পারিয়াছে সে হজ্জ পাইয়াছে। মিনায় অবস্থানের দিন হইল তিন দিন। যে দুই দিনে তাড়াতাড়ি করিয়া প্রস্থান করিল তাহার গোনাহ হইল না, আর যে (তিন দিন পর্যন্ত) গৌণ করিল তাহারও গোনাহ হইল না। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৭১৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - মক্কার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭১৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন বলিয়াছেন: অতঃপর আর হিজরত নাই, তবে জেহাদ ও সংকল্প (নিয়ত ) বাকী আছে। সুতরাং তোমাদের যখন জেহাদের জন্য বাহির হইতে বলা হইবে বাহির হইয়া পড়িবে। তিনি ঐ দিন পুনরায় বলিলেন, এই শহরকে আল্লাহ্ সম্মানিত করিয়াছেন সেদিন হইতে যেদিন তিনি আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করিয়াছেন। সুতরাং উহা আল্লাহর সম্মানেই সম্মানিত থাকিবে কেয়ামত পর্যন্ত। আমার পূর্বে কাহারও জন্য ইহাতে যুদ্ধ চালনা করা হালাল ছিল না, আর আমার জন্যও একদিনের সামান্য মাত্র সময়ই হালাল করা হইয়াছে। অতঃপর উহা আল্লাহর সম্মানেই সম্মানার্হ কেয়ামত পর্যন্ত। উহার কাঁটা গাছ পর্যন্ত কাটা যাইবে না, উহার শিকারকে তাড়ান চলিবে না এবং উহার পথে পড়া জিনিস কেহ উঠাইতে পারিবে না শোহরতকারী ব্যতীত। আর উহার ঘাসও কাটা চলিবে না। এ সময় (আমার পিতা) হযরত আব্বাস (রাঃ) বলিয়া উঠিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। ইযখার ব্যতীত। উহা লোকদের (কামারদের) জন্য ও ঘরের ছাদের জন্য দরকার। তখন তিনি বলিলেন, আচ্ছা ইযখার ব্যতীত। --মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান