মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৪৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৪। হযরত মুআয (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাহ লালসা হইতে, যাহা মানুষকে দোষের দিকে লইয়া যায়। – আহমদ। আর বায়হাকী দা'ওয়াতুল কবীরে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৫। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) চন্দ্রের দিকে চাহিয়া বলিলেনঃ আয়েশা! আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাও ইহার অপকারিতা হইতে, কেননা, ইহাই হইল সেই গাসেক যখন অন্ধকার হইয়া যায়। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৬। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) আমার পিতা হুসাইনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কতজন মা'বূদকে তুমি এখন পূজা কর? আমার পিতা জবাবে বলিলেন, সাতজনকে — ছয়জন যমীনে একজন আসমানে। তিনি বলিলেনঃ আশা ও ভয়ে ইঁহাদের মধ্যে কাহাকে ঠিক রাখ? আমার পিতা বলিলেন, যিনি আসমানে আছেন তাঁহাকে। হুযূর বলিলেন, তবে শুন হুসাইন, যদি তুমি মুসলমান হও, আমি তোমাকে দুইটি বাক্য শিক্ষা দিব যাহা তোমাকে উপকার দিবে। ইমরান বলেন, যখন আমার পিতা হুসাইন মুসলমান হইলেন, বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে সেই দুইটি বাক্য শিক্ষা দিন, যাহার ওয়াদা আপনি আমাকে দিয়াছিলেন। হুযূর বলিলেন, (সেই আসমানের মা'বূদকে) বল, “আল্লাহ্! আমার অন্তরে সৎপথের সন্ধান দাও এবং আমাকে আমার মনের অপকারিতা হইতে পানাহ্ দাও।” –তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৭। হযরত আমর ইবনে শোআইব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন বলে, “আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয় লইতেছি, আল্লাহর রোষ ও তাঁহার শাস্তি হইতে, তাঁহার বান্দাদের অপকারিতা হইতে এবং শয়তানের খটকা হইতে, আর তাহারা যেন আমার নিকট উপস্থিত হইতে না পারে।” ইহাতে খটকা তাহার ক্ষতি করিতে পারিবে না। রাবী বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর তাহার সন্তানদিগের মধ্যে যাহারা বালেগ তাহাদিগকে ইহা শিখাইয়া দিতেন, আর যাহারা বালেগ নহে কাগজে লিখিয়া তাহাদের গলায় লটকাইয়া দিতেন। — আবু দাউদ ও তিরমিযী। পাঠ তিরমিযীর।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে তিনবার আল্লাহর নিকট জান্নাত চাহে, জান্নাত বলে, আল্লাহ্ ! তাহাকে জান্নাতে দাখিল কর, আর যে তিনবার দোযখ হইতে আমান চাহে, দোযখ বলে, আল্লাহ্! তাহাকে দোযখ হইতে আমান দাও! – তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৭৯। (তাবেয়ী) কা'কা বলেন, হযরত কা'বে আহবার বলিয়াছেন, যদি আমি এই বাক্যগুলি না বলিতাম, তবে ইহুদীরা আমাকে নিশ্চয় গাধা বানাইয়া দিত। তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, কোনগুলি? তিনি বলিলেন, এইগুলি, "আমি মহান আল্লাহর সত্তার আশ্রয় লইতেছি যাঁহার অপেক্ষা মহান আর কেহ নাই এবং আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয় লইতেছি যেগুলিকে অতিক্রম করার ক্ষমতা ভালমন্দ কোন লোকের নাই। আরও আমি আশ্রয় লইতেছি আল্লাহর আসমায়ে হুসনা বা উত্তম নামসমূহের, যাহা আমি অবগত আছি, আর যাহা আমি অবগত নহি, তাঁহার সৃষ্টির অপকারিতা হইতে যাহাদের তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন ও জগতে ছড়াইয়া রাখিয়াছেন।” —মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৪৮০। (তাবেয়ী) মুসলিম ইবনে আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, আমার পিতা আবু বাকরা নামাযের শেষে বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট পানাহ্ চাহি কুফরী, পরমুখাপেক্ষিতা ও কবর আযাব হইতে।” আর আমিও তাহা বলিতাম। একদা তিনি আমাকে বলিলেন, বাবা, তুমি ইহা কাহার নিকট হইতে গ্রহণ করিলে? আমি বলিলাম, আপনার নিকট হইতেই তো। তিনি বলিলেন, তবে শুন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইহা নামায শেষে বলিতেন। —তিরমিযী। নাসায়ী ‘নামায শেষে' শব্দ ব্যতীত। আহমদ শুধু দো'আটি বর্ণনা করিয়াছেন। তাঁহার বর্ণনায় রহিয়াছে, 'প্রত্যেক নামায শেষে।'

তাহকীক:
তাহকীক চলমান