মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৩৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৬। হযরত আবুদ্দরদা (রাঃ) বলেন, তিনি নবী করীম (ﷺ)-কে মিম্বরে দাঁড়াইয়া ওয়ায করা কালে বলিতে শুনিয়াছেন, “আর যে আল্লাহর সমীপে দাঁড়াইবার ভয় করে, তাহার জন্য দুইটি জান্নাত রহিয়াছে।” (সূরা আররহমান, আয়াত ৪৬।) আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি সে যেনা করে ও চুরি করে? হুযূর দ্বিতীয়বার বলিলেন, “আর যে আল্লাহর সমীপে দাঁড়াইবার ভয় করে, তাহার জন্য দুইটি জান্নাত রহিয়াছে।” আমি দ্বিতীয়বার বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি সে যেনা করে ও চুরি করে? তিনি তৃতীয়বার বলিলেন, “আর যে আল্লাহর সমীপে দাঁড়াইবার ভয় করে, তাহার জন্য দুইটি জান্নাত রহিয়াছে।" আমি তৃতীয়বার বলিলাম, যদি সে যেনা করে ও চুরি করে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ? তখন তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আবুদ্দরদার নাক কাটা গেলেও (অর্থাৎ, তোমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও)। – আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৭। হযরত আমের রাম (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি আসিয়া পৌঁছিল, যাহার গায়ে একটি চাদর ছিল এবং হাতে চাদর জড়ানো একটি জিনিস। সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি বনের ধার দিয়া যাইতেছিলাম। হঠাৎ উহাতে পাখী ছানার শব্দ শুনিলাম। আমি উহাদেরে লইয়া আমার কাপড়ে রাখিলাম। এ সময় উহাদের মা আসিল এবং আমার মাথার উপর ঘুরিতে লাগিল। আমি উহাদেরে খুলিয়া দিলাম, আর সে উহাদের মধ্যে পড়িল। আমি অমনি উহাদের সকলকে আমার চাদরে জড়াইয়া ফেলিলাম। উহারা এই আমার সাথে। হুযূর বলিলেনঃ উহাদেরে ছাড়িয়া দাও। আমি ছাড়িয়া দিলাম; কিন্তু উহাদের মা উহাদের ছাড়িয়া গেল না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, ছানাদের মায়ের ছানাদের প্রতি দয়া দেখিয়া তোমরা কি আশ্চর্য বোধ করিতেছ ? কসম তাঁহার যিনি আমাকে সত্য সহকারে পাঠাইয়াছেন— নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের প্রতি ছানাদের মায়ের ছানাদের প্রতি দয়া অপেক্ষাও অধিক দয়াবান। উহাদেরে লইয়া যাও এবং যেখান হইতে লইয়াছ সেখানে উহাদের মায়ের সাথে রাখিয়া দাও। সুতরাং সে উহা লইয়া গেল। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে এক যুদ্ধে ছিলাম। তিনি একদল লোকের নিকট গেলেন এবং বলিলেন, ইহারা কোন্ দলের লোক? তাহারা বলিল, আমরা মুসলমান। তখন একটি স্ত্রীলোক তাহার ডেগের নীচে আগুন ধরাইতেছিল, আর তাহার সাথে ছিল তাহার একটি শিশু সন্তান। যখন আগুনের একটি ফুল্কি উপরে উঠিল অমনি সে তাহার সন্তানকে দূরে সরাইল। অতঃপর সে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, আপনিই কি রাসূলুল্লাহ্ ? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তখন সে বলিল, আপনার প্রতি আমার মা-বাপ কোরবান যাক! বলুন, আল্লাহ্ কি সর্বাপেক্ষা অধিক দয়ালু নহেন ? হুযূর বলিলেন, নিশ্চয়ই। সে বলিল, তবে কি আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের প্রতি মায়ের তাহার সন্তানের অপেক্ষা অধিক দয়ালু নহেন ? তিনি বলিলেন, নিশ্চয়ই। তখন সে বলিল, মা তো কখনও আপন সন্তানকে আগুনে ফেলে না! ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নীচের দিকে মাথা ঝুঁকাইয়া কাঁদিতে লাগিলেন। অতঃপর মাথা উঠাইয়া তাহার দিকে চাহিয়া বলিলেন, আল্লাহ্ তাহার বান্দাদের মধ্যে এমন অবাধ্য সারকাশ ব্যতীত কাহাকেও শাস্তি দেন না—যে আল্লাহ্র সাথে সারকাশী করে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই বলিতেও অস্বীকার করে। – ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান