মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৩৭০

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭০। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, একবার নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কতক যুদ্ধবন্দী আসিল। দেখা গেল, একটি স্ত্রীলোকের দুধ ঝারিয়া পড়িতেছে, আর সে শিশুর তালাশে দৌড়াদৌড়ি করিতেছে। হঠাৎ সে বন্দীদের মধ্যে একটি শিশু পাইল এবং তাহাকে কোলে টানিয়া লইল ও দুধ পান করাইল। তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে বলিলেন: তোমাদের কি মনে হয় এই স্ত্রীলোকটি নিজের ছেলেকে আগুনে নিক্ষেপ করিতে পারে। (অর্থাৎ, সে যখন অন্যের সন্তানের প্রতি এত স্নেহ দেখায়, তখন নিজের সন্তানকে কি আগুনে নিক্ষেপ করিতে পারে ?) আমরা আরয করিলাম, কখনও না, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যদি সে নিক্ষেপ না করার প্রতি শক্তি রাখে। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন: নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁহার বান্দার প্রতি এই স্ত্রীলোকের তাহার সন্তানের প্রতি দয়া অপেক্ষা অধিক দয়াবান। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭১

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কাহাকেও তাহার আমল মুক্তি দিতে পারিবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনাকেও নহে ইয়া রাসূলাল্লাহ্? তিনি বলিলেন, আমাকেও নহে—অবশ্য যদি আল্লাহ নিজ রহমত দ্বারা আমাকে ঢাকিয়া লন। তবে তোমরা ঠিকভাবে কাজ করিতে থাকিবে ও মধ্যমপন্থায় থাকিবে এবং সকাল, সন্ধ্যায় ও রাতে কিছু কাজ করিবে। সাবধান! তোমরা মধ্যমপন্থা এখতিয়ার করিবে, মধ্যমপন্থা এখতিয়ার করিবে—তাহাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছিবে। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কাহাকেও তাহার কর্ম বেহেশতে পৌঁছাইতে পারিবে না এবং তাহাকে দোযখ হইতেও বাচাইতে পারিবে না, এমন কি আমাকেও নহে, আল্লাহর রহমত ছাড়া। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৩। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যখন বান্দা ইসলাম গ্রহণ করে আর তাহার ইসলাম খাঁটি হয়, আল্লাহ্ উহা দ্বারা তাহার প্রায়শ্চিত্ত করিয়া দেন, সে পূর্বে যাহা অপরাধ করিয়াছে। অতঃপর তাহার সৎ কাজ হয় অসৎ কাজের বিনিময় — সৎ কাজ উহার দশ গুণ হইতে সাতশত গুণ বরং বহুগুণ - পর্যন্ত লেখা হয় ; আর অসৎ কাজ উহার এক গুণমাত্র—তবে আল্লাহ্ যাহাকে উহা ছাড়িয়া দেন (তাহার এক গুণের শাস্তিও হইবে না )। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ পাপ পুণ্য সম্পর্কে নির্ধারণ করিয়া রাখিয়াছেন, যে ব্যক্তি পুণ্যের সংকল্প করে আর উহা সম্পাদন না করে, আল্লাহ্ তাহার জন্য উহাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পুণ্যরূপে লেখেন। আর যদি উহার সংকল্প করে অতঃপর উহা সম্পাদন করে, আল্লাহ্ তাহার জন্য উহাকে দশ গুণ হইতে সাত শত গুণ বরং বহুগুণ পর্যন্ত পুণ্যরূপে লেখেন। আর যে পাপের সংকল্প করে অতঃপর উহা সম্পাদন না করে, আল্লাহ্ তাহার জন্য উহাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পুণ্যরূপে লেখেন। আর যদি সে উহার সংকল্প করে অতঃপর উহা সম্পাদন করে, আল্লাহ্ তাহার জন্য উহাকে একটিমাত্র পাপরূপে লেখেন। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৫। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে অসৎ কাজ করে অতঃপর সৎ কাজ করে, তাহার উদাহরণ সেই ব্যক্তির ন্যায়, যাহার গায়ে সংকীর্ণ বর্ম রহিয়াছে এবং তাহার গলা কষিয়া ধরিয়াছে, অতঃপর সে কোন সৎ কাজ করিল যাহাতে উহার একটি গিরা খসিয়া গেল, অতঃপর আরেকটি সৎ কাজ করিল, ফলে আরেকটি গিরা খসিয়া গেল। অবশেষে বর্ম মাটিতে পড়িয়া গেল। —শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান