মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
হাদীস নং: ২৩৬০
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৬০। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, এই আয়াতের পরিবর্তে সমগ্র দুনিয়া লাভ হওয়াকেও আমি ভালবাসি না, “আমার বান্দাগণ! যাহারা নিজেদের প্রতি অবিচার করিয়াছ, তোমরা আল্লাহর রহমত হইতে নিরাশ হইও না!” এ সময় এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, যে শিরক করিয়াছে ? হুযূর (ﷺ) কিছুক্ষণ চুপ রহিলেন, অতঃপর তিনবার করিয়া বলিলেনঃ যে শিরক করিয়াছে সেও ।
كتاب الدعوات
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي الدُّنْيَا بِهَذِهِ الْآيَةِ (يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرفُوا على أنْفُسِهم لَا تَقْنَطوا)
الْآيَةَ» فَقَالَ رَجُلٌ: فَمَنْ أَشْرَكَ؟ فَسَكَتَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «أَلا وَمن أشرَكَ» ثَلَاث مرَّاتٍ
الْآيَةَ» فَقَالَ رَجُلٌ: فَمَنْ أَشْرَكَ؟ فَسَكَتَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «أَلا وَمن أشرَكَ» ثَلَاث مرَّاتٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬১
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৬১। হযরত আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার বান্দাকে মাফ করিয়া দেন, যাবৎ (আল্লাহ্ ও তাহার মধ্যে) পর্দা না পড়ে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! পর্দা কি ? তিনি বলিলেন, কোন ব্যক্তির মুশরিক অবস্থায় মরা। — উক্ত হাদীস তিনটি আহমদ রেওয়ায়ত করিয়াছেন। আর বায়হাকী কেবল শেষোক্তটি কিতাবুল বা’সে ওয়ান্নুশূরে।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيَغْفِرُ لِعَبْدِهِ مَا لَمْ يَقَعِ الْحِجَابُ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْحِجَابُ؟ قَالَ: «أَنْ تَمُوتَ النَّفْسُ وَهِيَ مُشْرِكَةٌ»
رَوَى الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ أَحْمَدُ وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَخِيرَ فِي كِتَابِ الْبَعْثُ والنشور
رَوَى الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ أَحْمَدُ وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَخِيرَ فِي كِتَابِ الْبَعْثُ والنشور
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬২
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৬২। হযরত আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আল্লাহর সাথে কাহাকেও সমান না করিয়া তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবে (মরিবে), আর তাহার উপর পাহাড় পরিমাণ গোনাহর বোঝাও থাকিবে, আল্লাহ্ তাহাকে মাফ করিয়া দিবেন (বিনা তওবায়, যদি তাঁহার ইচ্ছা হয়)। – বায়হাকী কিতাবুল বা’সে ওয়ান্নূশূরে
كتاب الدعوات
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَقِيَ اللَّهَ لَا يَعْدِلُ بِهِ شَيْئًا فِي الدُّنْيَا ثُمَّ كَانَ عَلَيْهِ مِثْلَ جِبَالٍ ذُنُوبٌ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي كتاب الْبَعْث والنشور
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৩
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গোনাহ্ হইতে তওবাকারী তাহার ন্যায় যাহার কোন গোনাহ্ নাই। —ইবনে মাজাহ্
বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে বলেন, নাহরানী ইহা একা বর্ণনা করিয়াছেন, অথচ তিনি হইলেন ‘মাজহুল' ব্যক্তি। শরহুস্ সুন্নাহ্য় বাগাবী ইহাকে মউকুফ অর্থাৎ, আব্দুল্লাহর কথা হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আব্দুল্লাহ্ বলিয়াছেন, “অনুশোচনাই হইল তওবা আর তওবাকারী হইল তাহার ন্যায় যাহার কোন গোনাহ্ নাই ।”
বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে বলেন, নাহরানী ইহা একা বর্ণনা করিয়াছেন, অথচ তিনি হইলেন ‘মাজহুল' ব্যক্তি। শরহুস্ সুন্নাহ্য় বাগাবী ইহাকে মউকুফ অর্থাৎ, আব্দুল্লাহর কথা হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আব্দুল্লাহ্ বলিয়াছেন, “অনুশোচনাই হইল তওবা আর তওবাকারী হইল তাহার ন্যায় যাহার কোন গোনাহ্ নাই ।”
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبَ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ وَقَالَ تَفَرَّدَ بِهِ النَّهْرَانَيُّ وَهُوَ مَجْهُولٌ. وَفِي (شَرْحِ السُّنَّةِ)
رَوَى عَنْهُ مَوْقُوفًا قَالَ: النَّدَمُ تَوْبَةٌ والتَّائبُ كمن لَا ذَنْبَ لَهُ
رَوَى عَنْهُ مَوْقُوفًا قَالَ: النَّدَمُ تَوْبَةٌ والتَّائبُ كمن لَا ذَنْبَ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৪
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহ্ যখন মখলুক সৃষ্টির ইচ্ছা করিলেন একটি লিপি লিখিলেন যাহা তাহার নিকট তাঁহার আরশের উপর আছে, আমার দয়া আমার ক্রোধ অতিক্রম করিয়াছে। অন্য বর্ণনায় আছে, আমার ক্রোধের উপর জয়লাভ করিয়াছে। —মোত্তাঃ
كتاب الدعوات
بَابُ سَعْةِ رَحْمَةِ اللهِ:
الْفَصْل الأول
الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَمَّا قَضَى اللَّهُ الْخَلْقَ كَتَبَ كِتَابًا فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ عَرْشِهِ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي «. وَفِي رِوَايَةٍ» غَلَبَتْ غَضَبي
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৫
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : আল্লাহর একশত রহমত রহিয়াছে যাহা হইতে একটি মাত্র রহমত তিনি জিন, মানুষ, পশু ও কীট-পতঙ্গের মধ্যে নাযিল করিয়াছেন। উহা দ্বারাই তাহাদের একে অন্যকে মায়া করে, উহা দ্বারাই তাহাদের একে অন্যকে দয়া করে এবং উহা দ্বারাই ইতর প্রাণীরা উহাদের সন্তানকে ভালবাসে, বাকী নিরানব্বইটি আল্লাহ্ তা'আলা পরের জন্য রাখিয়া দিয়াছেন, যাহা দ্বারা তিনি কেয়ামতের দিন আপন বান্দাদের রহম করিবেন। – মোত্তাঃ
كتاب الدعوات
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِنَّ للَّهِ مائةَ رَحْمَةٍ أَنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ وَالْبَهَائِمِ وَالْهَوَامِّ فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وَبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وَبِهَا تَعْطُفُ الْوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا وَأَخَّرَ اللَّهُ تِسْعًا وَتِسْعِينَ رَحْمَةً يَرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ الْقِيَامَة»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৬
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৬। মুসলিমের এক বর্ণনায় হযরত সালমান ফারেসী হইতে উহার অনুরূপ রহিয়াছে। উহার শেষের দিকে আছে, হুযূর বলিয়াছেন, যখন কেয়ামতের দিন হইবে, আল্লাহ্ ঐ সকল রহমত দ্বারা উহাকে পূর্ণ করিবেন।
كتاب الدعوات
بَابُ سَعْةِ رَحْمَةِ اللهِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ عَنْ سَلْمَانَ نَحْوُهُ وَفِي آخِرِهِ قَالَ: «فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أَكْمَلَهَا بِهَذِهِ الرَّحْمَة»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৭
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যদি মু'মিন জানিত আল্লাহর নিকট কি শাস্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে তাঁহার জান্নাতের আশা কেহই করিত না, আর যদি কাফের জানিত আল্লাহর নিকট কি দয়া রহিয়াছে, তবে কেহই তাহার জান্নাত হইতে নিরাশ হইত না। মোত্তাঃ
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ بِجَنَّتِهِ أَحَدٌ وَلَوْ يُعْلَمُ الْكَافِرُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ من جنته أحد»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৮
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৮। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ বেহেশত তোমাদের কাহারও জন্য জুতার দোয়ালী অপেক্ষাও অধিক নিকটে আর দোযখও তদ্রূপ। —বুখারী
كتاب الدعوات
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْجَنَّةُ أَقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ وَالنَّارُ مِثْلُ ذَلِكَ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৬৯
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৬৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এক ব্যক্তি, যে কখনও কোন ভাল কাজ করে নাই, আপন পরিজনকে বলিল, অপর বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি নিজের প্রতি অবিচার করিল; কিন্তু যখন তাহার মৃত্যু উপস্থিত হইল, আপন সন্তানদেরে ওসিয়ত করিল, যখন সে মরিয়া যাইবে, তখন তাহাকে যেন পুড়িয়া ফেলা হয়, অতঃপর উহার আধা ভাগ ডাঙ্গায় আর আধা সমুদ্রে ছিটাইয়া দেওয়া হয়। খোদার কসম। যদি তিনি তাহাকে ধরিতে সক্ষম হন, তবে এমন শাস্তি দিবেন যাহা জগতের কাহাকেও কখনও দেন নাই। যখন সে মরিয়া গেল, তাহারা তাহার নির্দেশ অনুসারেই কাজ করিল। অতঃপর আল্লাহ্ সমুদ্রকে হুকুম দিলেন, সমুদ্র তাহার মধ্যে যাহা ছিল তাহা একত্র করিয়া দিল। এভাবে ডাঙ্গাকে হুকুম দিলেন, ভাঙ্গা তাহার মধ্যে যাহা ছিল তাহা একত্র করিয়া দিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কেন তুমি এইরূপ করিয়াছিলে? সে বলিল, তোমার ভয়ে প্রভু তুমি তাহা জান। ইহাতে আল্লাহ্ তাহাকে ক্ষমা করিয়া দিলেন। মোত্তাঃ
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: قَالَ رَجُلٌ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ لِأَهْلِهِ وَفِي رِوَايَةٍ أَسْرَفَ رَجُلٌ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى بَنِيهِ إِذَا مَاتَ فَحَرِّقُوهُ ثُمَّ اذْرُوا نِصْفَهُ فِي الْبَرِّ وَنِصْفَهُ فِي الْبَحْرِ فو الله لَئِنْ قَدَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ لَيُعَذِّبَنَّهُ عَذَابًا لَا يُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ فَلَمَّا مَاتَ فَعَلُوا مَا أَمَرَهُمْ فَأَمَرَ اللَّهُ الْبَحْرَ فَجَمَعَ مَا فِيهِ وَأَمَرَ الْبَرَّ فَجَمَعَ مَا فِيهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ: لِمَ فَعَلْتَ هَذَا؟ قَالَ: مِنْ خَشْيَتِكَ يَا رَبِّ وَأَنْتَ أَعْلَمُ فَغَفَرَ لَهُ
তাহকীক: