মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২৩২৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তাহার শপথ যাঁহার হাতে আমার জান রহিয়াছে—যদি তোমরা গোনাহ না করিতে, আল্লাহ্ তোমাদিগকে সরাইয়া দিতেন এবং এমন জাতিকে সৃষ্টি করিতেন যাহারা গোনাহ করিয়া আল্লাহ্ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিত, আর আল্লাহ্ তাহাদিগকে মাফ করিয়া দিতেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩২৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৯। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন আল্লাহ্ তা'আলা রাতে আপন হাত প্রসারিত করেন, যাহাতে দিনের গোনাহ -গার তওবা করে, আবার দিনের বেলায় হাত প্রসারিত করেন, যাহাতে রাতের গোনাহগার তওবা করে। এভাবে তিনি করিতে থাকিবেন, যাবৎ না পশ্চিম দিক হইতে সূর্য উদিত হয়। মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়া -ছেনঃ যখন বান্দা গোনাহ স্বীকার করে এবং মাফ চাহে, আল্লাহ্ উহা কবুল করেন। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক হইতে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে তওবা করিবে, আল্লাহ্ তাহার তওবা কবুল করিবেন। -মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহ্ তাঁহার বান্দার তওবায় আনন্দিত হন, যখন সে তাঁহার নিকট তওবা করে, তোমাদের মধ্যকার সেই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক, যাহার বাহন একটি মরুপ্রান্তরে তাহার নিকট হইতে ছুটিয়া পালায়, আর উহার উপর থাকে তাহার খাদ্য ও পানীয়। ইহাতে সে হতাশ হইয়া যায়। অতঃপর সে একটি গাছের নিকট আসিয়া উহার ছায়ায় শুইয়া পড়ে সে তাহার বাহন সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিরাশ। এই অবস্থায় সে হঠাৎ দেখে, বাহন তাহার নিকট দাড়ান। সে উহার লাগাম ধরে এবং আনন্দের আতিশয্যে বলিয়া উঠে, হে খোদা তুমি আমার বান্দা আর আমি তোমার প্রভু! সে ভুল করে আনন্দের আতিশয্যে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কোন বান্দা অপরাধ করিল এবং বলিল, প্রভু হে! আমি অপরাধ করিয়াছি, তুমি উহা ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ্ বলেন, (আমার ফিরিশতাগণ।) আমার বান্দা কি জানে যে, তাহার একজন প্রভু আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা উহাতে শাস্তি দেন? (তোমরা সাক্ষী থাকিও) আমি তাহাকে ক্ষমা করিয়া দিলাম। অতঃপর আল্লাহ্ যতদিন চাহিলেন, ততদিন সে অপরাধ না করিয়া রহিল। আবার অপরাধ করিল এবং বলিল, প্রভু হে! আমি আবার অপরাধ করিয়াছি, উহা ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ্ বলেন, আমার বান্দা কি জানে যে, তাহার একজন প্ৰভু আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা উহাতে শাস্তি দেন? আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করিলাম। অতঃপর সে অপরাধ না করিয়া রহিল যতদিন আল্লাহ্ চাহিলেন। আবার অপরাধ করিল এবং বলিল, প্রভু হে! আমি আবার আরেক অপরাধ করিয়াছি, তুমি উহা আমাকে ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ্ বলেন, আমার বান্দা কি জানে যে, তাহার একজন প্রভু আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা উহাতে শাস্তি দেন? আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করিলাম। সে যাহা ইচ্ছা করুক। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৪। হযরত জুনদুব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ এক ব্যক্তি বলিল, আল্লাহর কসম! আল্লাহ্ অমুককে মাফ করিবেন না। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিলেন, কে আছে যে আমাকে কসম দিতে পারে (বা আমার নামে কসম খাইতে পারে) যে, আমি অমুককে মাফ করিব না। যাও, আমি তাহাকে মাফ করিলাম এবং তোমার আমল নষ্ট করিয়া দিলাম। রাবী বলেন, তিনি এইরূপ অথবা ইহার অনুরূপ বলিয়াছেন। — মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৫। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন ঃ সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার (বা শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার) হইল তোমার এইরূপ বলা, “আল্লাহ্! তুমি আমার প্রভু, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই; তুমি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছ, আমি তোমার বান্দা; আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার চুক্তি ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার কৃতকার্যের মন্দ পরিণাম হইতে তোমার নিকট আশ্রয় চাহিতেছি। আমি স্বীকার করি আমার প্রতি তোমার দানকে এবং স্বীকার করি আমার অপরাধকে। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা, তুমি ব্যতীত অপরাধরাশি ক্ষমা করার আর কেহ নাই।

অতঃপর হুযূর বলেন, যে ইহা বিশ্বাস করিয়া দিনে বলিবে আর সন্ধ্যার আগে মারা যাইবে, সে বেহেশতীদের অন্তর্গত হইবে এবং যে ইহা বিশ্বাস করিয়া রাতে বলিবে আর সকাল হওয়ার আগে মারা যাইবে, সে বেহেশতীদের অন্তর্গত হইবে। —বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যাবৎ তুমি আমাকে ডাকিবে এবং আমার ক্ষমার আশা রাখিবে আমি তোমাকে ক্ষমা করিব তোমার অবস্থা যাহাই হউক না কেন—আমি কাহারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছে, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাহ, আমি তোমাকে ক্ষমা করিব, আমি কাহারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গোনাহ্ লইয়াও আমার সাক্ষাৎ কর এবং আমার সাথে কাহাকেও শরীক না করিয়া আমার সাক্ষাৎ কর, আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা লইয়া তোমার নিকট উপস্থিত হইব। —তিরমিযী।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৭। আহমাদ ও দারিমী আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, যে জানে যে, আমি গোনাহ্ মাফ করিবার অধিকারী, আমি তাহাকে মাফ করিয়া দিব এবং আমি কাহারও পরওয়া করি না – যাবৎ সে আমার সাথে কাহাকেও শরীক না করে। — শরহুস সুন্নাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৩৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সর্বদা ক্ষমা চাহে আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা হইতে একটি পথ বাহির করিয়া দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা হইতে তাহাকে মুক্তি দেন, আর তাহাকে রিযিক দান করেন যেখান হইতে সে কখনও ভাবে নাই। – আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৪০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৪০। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সে বাস্তবে পুনঃ পুনঃ অপরাধ করে নাই যে ক্ষমা চাহিয়াছে, যদিও সে দৈনিক সত্তর বার উহা করিয়া থাকে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান