মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৩১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩১৫। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মে'রাজের রাতে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হইলে তিনি বলিলেন, মুহাম্মাদ! আপনি আপনার উম্মতকে আমার সালাম বলিবেন এবং সংবাদ দিবেন যে, বেহেশত হইল সুগন্ধ-মৃত্তিকা ও সুপেয় পানিবিশিষ্ট; কিন্তু উহাতে কোন গাছপালা নাই। আর উহার গাছ হইল—'সুবহানাল্লাহ্, ওয়ালহামদুলিল্লাহ্, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।' –তিরমিযী। তিনি বলেন, সনদের বিচারে হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩১৬। হযরত ইয়ুসায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি ছিলেন মুহাজির নারীদের অন্তর্গত— তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে বলিলেনঃ তোমরা 'সুবহানাল্লাহ্', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' ও 'সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস'—বলিবে এবং অঙ্গুলীসমূহে গুণিবে। কেননা, উহাদিগকে কেয়ামতে জিজ্ঞাসা করা হইবে ও বলার শক্তি দেওয়া হইবে এবং তোমরা গাফেল হইবে না—যাহাতে তোমরা আল্লাহর রহমত হইতে বিস্মৃত হও। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩১৭

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩১৭। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, একদা এক বেদুইন আসিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বলিল, হুযুর! আমাকে দোআ-কালাম সম্পর্কে একটি কথা শিখাইয়া দিন যাহা আমি পড়িতে পারি। তিনি বলিলেনঃ বল তুমি, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি এক, তাঁহার কোন শরীক নাই, আল্লাহ্ বহু বড়, আল্লাহর জন্য বহু প্রশংসা, আমি পবিত্রতা ঘোষণা করি আল্লাহর যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক, কাহারও কোন উপায় বা শক্তি নাই আল্লাহ্ ভিন্ন, যিনি প্রতাপান্বিত ও প্রজ্ঞাবান।” সে বলিল, হুযূর ইহা তো হইল আমার প্রভুর জন্য (প্রশংসা) আমার জন্য কি ? তখন তিনি বলিলেন, বল তুমি, “আল্লাহ্ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, হেদায়ত কর, আমাকে রিযিক দাও ও আমাকে শান্তিতে রাখ!” রাবী সন্দেহ করিয়াছেন, শেষ শব্দ হুযূরের কথার মধ্যে আছে কিনা। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩২৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৪। হযরত আগার মুযানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আমার অন্তরে মরিচা পড়ে আর (উহা সাফ করার জন্য) আমি দৈনিক একশত বার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলি। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩২৫

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৫। আগার মুযানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহর নিকট তওবা কর, আর আমিও দৈনিক একশত বার তাঁহার নিকট তওবা করি। – মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩২৬

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৬। হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নাম করিয়া বলিয়াছেন: আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তাআলা বলেন: আমার বান্দাগণ! আমি জুলুমকে আমার জন্য হারাম করিয়াছি এবং তোমাদের জন্যও উহা হারাম করিয়াছি। সুতরাং তোমরা পরস্পরে জুলুম করিও না। আমার বান্দাগণ, তোমাদের প্রত্যেকেই পথহারা। কিন্তু আমি যাহাকে পথ দেখাই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট পথের সন্ধান চাই, আমি তোমাদিগকে পথ দেখাইব। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত; কিন্তু আমি যাহাকে আহার করাই। অতএব তোমরা আমার নিকট খাদ্য চাই আমি তোমাদিগকে খাওয়াইব। আমার বান্দাগণ, তোমাদের প্রত্যেকেই নাঙ্গা। কিন্তু আমি যাহাকে পরাই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট পরিচ্ছদ চাহ, আমি তোমাদিগকে পরাইব।
আমার বান্দাগণ! তোমরা অপরাধ করিয়া থাক রাতদিন, আর আমি সমস্ত অপরাধ মাফ করিয়া নেই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট মাফ চাই, আমি তোমাদিগকে মাফ করিয়া দিব। আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার ক্ষতি করার সাধ্য রাখ না যে, আমার ক্ষতি করিবে এবং আমার উপকার করারও সাধ্য রাখ না যে, আমার কোন উপকার করিবে। অতএব, আমার বান্দাগণ। যদি তোমা দের আওয়াল ও আখের, সমস্ত মানুষ ও জিন তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক পরহেযগার ব্যক্তির অন্তরের ন্যায় অন্তর লইয়া পরহেযগার হইয়া যায়, উহা আমার রাজ্যের কিছুমাত্র বৃদ্ধি করিতে পারিবে না। আমার বান্দাগণ। যদি তোমাদের আওয়াল ও আখের, সমস্ত মানুষ ও জিন তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অনাচারী ব্যক্তির অন্তরের ন্যায় অন্তর লইয়া অনাচার করে—ইহা আমার রাজ্যের কিছুমাত্র লোকসান করিতে পারিবে না। আমার বান্দাগণ! যদি তোমাদের আওয়াল ও আগের, সমস্ত মানুষ ও জিন একই মাঠে দাড়াইয়া একত্রে আমার নিকট চাহে, আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে তাহার চাওয়া জিনিস দেই, তাহা আমার কাছে যাহা আছে তাহার কিছুই কমাইতে পারিবে না, অতখানি ব্যতীত যতখানি কমায় একটি সুই যখন সমুদ্রে ডুবাইয়া দেওয়া হয়। (আর উঠাইয়া লওয়া হয়)। আমার বান্দাগণ। বাকী রহিল তোমাদের (ভাল-মন্দ) আমল – উহা আমি যথাযথভাবে রক্ষা করি, অতঃপর উহার প্রতিফল দিব পূর্ণভাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন ভাল লাভ করে, সে যেন আল্লাহর শোকর করে, আর যে মন্দ লাভ করে, সে যেন নিজেকে ব্যতীত কাহাকেও তিরস্কার না করে। (কেননা, উহা তাহারই কামাই।) মুসলিম
আমার বান্দাগণ! তোমরা অপরাধ করিয়া থাক রাতদিন, আর আমি সমস্ত অপরাধ মাফ করিয়া নেই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট মাফ চাই, আমি তোমাদিগকে মাফ করিয়া দিব। আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার ক্ষতি করার সাধ্য রাখ না যে, আমার ক্ষতি করিবে এবং আমার উপকার করারও সাধ্য রাখ না যে, আমার কোন উপকার করিবে। অতএব, আমার বান্দাগণ। যদি তোমা দের আওয়াল ও আখের, সমস্ত মানুষ ও জিন তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক পরহেযগার ব্যক্তির অন্তরের ন্যায় অন্তর লইয়া পরহেযগার হইয়া যায়, উহা আমার রাজ্যের কিছুমাত্র বৃদ্ধি করিতে পারিবে না। আমার বান্দাগণ। যদি তোমাদের আওয়াল ও আখের, সমস্ত মানুষ ও জিন তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অনাচারী ব্যক্তির অন্তরের ন্যায় অন্তর লইয়া অনাচার করে—ইহা আমার রাজ্যের কিছুমাত্র লোকসান করিতে পারিবে না। আমার বান্দাগণ! যদি তোমাদের আওয়াল ও আগের, সমস্ত মানুষ ও জিন একই মাঠে দাড়াইয়া একত্রে আমার নিকট চাহে, আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে তাহার চাওয়া জিনিস দেই, তাহা আমার কাছে যাহা আছে তাহার কিছুই কমাইতে পারিবে না, অতখানি ব্যতীত যতখানি কমায় একটি সুই যখন সমুদ্রে ডুবাইয়া দেওয়া হয়। (আর উঠাইয়া লওয়া হয়)। আমার বান্দাগণ। বাকী রহিল তোমাদের (ভাল-মন্দ) আমল – উহা আমি যথাযথভাবে রক্ষা করি, অতঃপর উহার প্রতিফল দিব পূর্ণভাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন ভাল লাভ করে, সে যেন আল্লাহর শোকর করে, আর যে মন্দ লাভ করে, সে যেন নিজেকে ব্যতীত কাহাকেও তিরস্কার না করে। (কেননা, উহা তাহারই কামাই।) মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৩২৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৭। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল, যে নিরানব্বই জন মানুষকে হত্যা করিয়াছিল। অতঃপর সে ফতওয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য বাহির হইল এবং একজন দরবেশের নিকট যাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, এইরূপ ব্যক্তির জন্য তওবা আছে কিনা? তিনি বলিলেন, নাই। সে তাহাকেও হত্যা করিল এবং বরাবর লোকদিগকে জিজ্ঞাসা করিতে রহিল। এক ব্যক্তি বলিল, অমুক গ্রামে যাইয়া অমুককে জিজ্ঞাসা কর। এ সময় তাহার মউত আসিয়া গেল এবং মৃত্যুকালে সে আপন সিনাকে ঐ গ্রামের দিকে কিছু বাড়াইয়া দিল। অতঃপর রহমতের ফিরিশতা ও আযাবের ফিরিশতাদল পরস্পর ঝগড়া করিতে লাগিল, তাহারা তাহার রূহ লইয়া যাইবে। এ সময় আল্লাহ্ তা'আলা ঐ গ্রামকে বলিলেন, তুমি মৃতের নিকট আস আর তার নিজ গ্রামকে বলিলেন, তুমি দূরে সর। অতঃপর ফিরিশতাদের বলিলেন, তোমরা উভয় দিকের দূরত্ব মাপিয়া দেখ। মাপে তাহাকে এই গ্রামের দিকে এক বিঘত নিকটে পাওয়া গেল। সুতরাং তাহাকে মাফ করিয়া দেওয়া হইল। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান