মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২৩০২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার বলিবে, "আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বুদ নাই, তিনি একক, তাহার কোন শরীক নাই, তাহারই রাজত্ব, তাহারই প্রশংসা এবং তিনি হইতেছেন সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান" - তাহার দশটি গোলাম আযাদ করার পরিমাণ সওয়াব হইবে, তাহার জন্য একশত নেকী লেখা হইবে, তাহার একশতটি গোনাহ মাফ করা হইবে এবং উহা তাহার পক্ষে তাহার ঐ দিনের জন্য শয়তান হইতে রক্ষাকবচ হইবে, যাবৎ না সন্ধ্যা হয় এবং সে যাহা করিয়াছে তাহা অপেক্ষা উত্তম কেহ কিছু করিতে পারিবে না, ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে ইহা অপেক্ষা অধিক বলিবে। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৩। হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। লোকেরা তখন উচ্চঃস্বরে তকবীর বলিতে ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ ও মিঞারা! তোমরা নিজেদের প্রতি রহম কর, তোমরা বধিরকে ডাকিতেছ না, আর না অনুপস্থিতকে, তোমরা ডাকিতেছ শ্রোতা ও দর্শক—সামী' ও বাছীরকে, তিনি তোমাদের সাথে আছেন, আর যাঁহাকে তোমরা ডাকিতেছ, তিনি তোমাদের বাহনের ঘাড় অপেক্ষাও তোমাদের অধিক নিকটে আছেন। আবু মুসা বলেন, আমি তখন হুযুরের পিছনে চুপে চুপে বলিতেছিলাম, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্—অর্থাৎ, আমার কোন উপায় নাই, শক্তি নাই আল্লাহ্র সাহায্য ব্যতীত। তখন হুযূর বলিলেন, ও আব্দুল্লাহ্ ইবনে কায়স ! আমি কি তোমাকে বেহেশতের ভাণ্ডারসমূহের একটি ভাণ্ডারের সন্ধান দিব না? আমি বলিলাম, নিশ্চয়ই ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বলিলেন, তাহা হইল—লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্। (আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স আবু মুসার নাম।) — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৪। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি বলিবে, সুবহানাল্লাহিল আযীম, ওয়াবিহামদিহী—অর্থাৎ, “মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁহার প্রশংসার সহিত” – তাহার জন্য বেহেশতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হইবে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৫। হযরত যুবায়র (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এমন কোন ভোর নাই যাহাতে আল্লাহর বান্দারা উঠেন, আর একজন ঘোষণাকারী এইরূপ ঘোষণা না করেন, পবিত্র বাদশাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৬। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শ্রেষ্ঠ যিকর হইল, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”, আর শ্রেষ্ঠ দো'আ হইল, “আলহামদু লিল্লাহ্।” – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ প্রশংসা করা হইল সেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যে বান্দা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নাই, সে তাঁহার প্রশংসা করে নাই।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কেয়ামতের দিন প্রথমে যাহাদিগকে বেহেশতের দিকে ডাকা হইবে, তাহারা হইবেন যাহারা সুখে-দুঃখে সকল সময় আল্লাহর প্রশংসা করিয়া থাকেন। — উক্ত হাদীস দুইটি বায়হাকী শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৯। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ একদা মুসা (আঃ) বলিলেন, পরওয়ারদেগার! আমাকে এমন একটি বাক্য বালাইয়া দাও যদ্দ্বারা আমি তোমার যিকর করিতে পারি অথবা বলিয়াছেন, তোমার নিকট দো'আ করিতে পারি। আল্লাহ্ বলিলেন, তুমি বলিবে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।' তখন মুসা বলিলেন, পরওয়ারদেগার! তোমার সকল বান্দাই তো ইহা বলিয়া থাকে। আমি তো তোমার নিকট একটি বিশেষ বাক্য চাহিতেছি। তখন আল্লাহ্ বলিলেন, মুসা যদি সপ্ত আকাশ আর আমি ভিন্ন উহার সমস্ত অধিবাসী এবং সপ্ত পৃথিবী এক পাল্লায় রাখা হয়, আর 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবে নিশ্চয়ই, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্-এর পাল্লা ভারী হইবে। — শরহুস সুন্নাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩১০। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে বলে—'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর'—অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই এবং আল্লাহ্ অতি মহান—আল্লাহ্ তাহার সমর্থন করিয়া বলেন, হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোন মা'বুদ নাই এবং আমি অতি মহান। আর যখন সে বলে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু' – অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি এক, তাঁহার কোন শরীক নাই— আল্লাহ্ বলেন, হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, আমি একা, আমার কোন শরীক নাই। আর যখন সে বলে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু’ অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, তাঁহারই রাজ্য ও তাঁহারই প্রশংসা। আল্লাহ্ বলেন, হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, আমারই রাজ্য এবং আমারই প্রশংসা। আর যখন সে বলে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্’– অর্থাৎ, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কাহারও কোন উপায় ও শক্তি নাই—আল্লাহ্ বলেন, হ্যাঁ, আমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই এবং আমার সাহায্য ছাড়া কাহারও কোন উপায় ও শক্তি নাই। আর হুযূর ইহাও বলিতেন, ইহা যে আপন রোগে বলিবে, অতঃপর মরিয়া যাইবে, তাহাকে দোযখের আগুন খাইবে না। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩১১। হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াককাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি একদা নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে একটি স্ত্রীলোকের নিকট পৌঁছিলেন। তখন স্ত্রীলোকটির সম্মুখে কতক খেজুর বিচি অথবা বলিয়াছেন কাঁকর ছিল, যাহার দ্বারা সে তসবীহ গুণিতেছিল। হুযুর বলিলেন, আমি কি তোমাকে বাতলাইব না যাহা ইহা অপেক্ষা তোমার পক্ষে সহজ অথবা বলিয়াছেন উত্তম? তাহা হইতেছে এইরূপ বলা, 'সুবহানাল্লাহ্' অর্থাৎ, আল্লাহর পবিত্রতা—যে পরিমাণ তিনি আসমানে মখলুক সৃষ্টি করিয়াছেন, 'সুবহানাল্লাহ্'—যে পরিমাণ তিনি যমীনে মখলুক সৃষ্টি করিয়াছেন, 'সুবহানাল্লাহ্' – যে পরিমাণ উহাদের মধ্যখানে রহিয়াছে এবং 'সুবহানাল্লাহ্’–যে পরিমাণ তিনি ভবিষ্যতে সৃষ্টি করিবেন সে পরিমাণ। আল্লাহু আকবর' —উহার অনুরূপ, আলহামদু লিল্লাহ্’– উহার অনুরূপ, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’—উহার অনুরূপ এবং 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্'ও উহার অনুরূপ। —তিরমিযী ও আবু দাউদ। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান