মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২০৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রত্যেক মাসের প্রথম দিকে তিন দিন রোযা রাখিতেন এবং জুমার দিনের রোযা খুব কমই ছাড়িতেন। —তিরমিযী ও নাসায়ী। আবু দাউদ ‘তিন দিন' শব্দ পর্যন্ত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৫৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক মাসের শনি, রবি ও সোমবার রোযা রাখিতেন আর অপর মাসের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬০

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬০। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দিয়াছিলেন প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখিতে যাহার প্রথম দিন সোমবার অথবা বৃহস্পতিবার হয়। – আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬১

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬১। হযরত মুসলিম কুরাইশী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম অথবা কাহারও কর্তৃক তিনি জিজ্ঞাসিত হইলেন (রাবীর সন্দেহ) সারা বছর রোযা রাখা সম্পর্কে। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ তোমার উপর তোমার পরিবারের হক রহিয়াছে। সুতরাং তুমি রোযা রাখিবে রমযান মাস এবং উহার সাথে যে মাস রহিয়াছে তাহাতে, এ ছাড়া প্রত্যেক বুধবার ও বৃহস্পতিবার। তখন তুমি সারা বছর রোযা রাখিলে।—আবু দাউদ ও তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬২

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে রোযা রাখিতে নিষেধ করিয়াছেন। —আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে বুসর তাঁহার ভগিনী সামমা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা শনিবারে রোযা রাখিবে না তোমাদের প্রতি কোন নির্ধারিত রোযা ব্যতীত। যদি তোমাদের কেহ আঙ্গুর লতার ছাল অথবা গাছের কাঠ ছাড়া অপর কিছু না পায়, তাহা হইলে যেন উহা চিবাইয়াই (ঐ তারিখে) রোযা ভঙ্গ করে। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬৪। হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন যে আল্লাহর রাস্তায় এক দিন রোযা রাখে, আল্লাহ্ তাহার মধ্যে ও দোযখের মধ্যে একটি পরিখা সৃষ্টি করেন, যাহার (এক পার হইতে অপর পারের) দূরত্ব আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্ব সমান হইবে। — তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬৫। হযরত আমের ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শীতকালের রোযা একটি বিনা কষ্টের নেয়ামত। – আহমদ ও তিরমিযী এবং তিরমিযী বলিয়াছেন যে, হাদীসটি মোরসাল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬৬। আর আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস (তিরমিযী’র) কুরবানীর অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমন কোন দিন নেই যা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২০৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (হিজরত করিয়া) মদীনায় আগমন করিলেন, ইহুদীগণকে দেখিলেন, তাহারা আশুরার তারিখে রোযা রাখে। হুযূর তাহাদের জিজ্ঞাসা করিলেনঃ এই যে দিন — যাহাতে তোমরা রোযা রাখ—ইহা কি? তাহারা বলিল, ইহা একটি মহান দিন। ইহাতেই আল্লাহ্ তা'আলা হযরত মুসা ও তাহার কওমকে মুক্তি দিয়াছেন এবং ফেরআউন ও তাহার কওমকে নিমজ্জিত করিয়াছেন । অতএব, হযরত মুসা ইহার শোকরিয়াস্বরূপ রোযা রাখিয়াছিলেন অতঃপর আমরাও রাখি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ আমরাই তোমাদের অপেক্ষা হযরত মুসার অধিকতর আপন ও অধিকতর হকদার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইহাতে (পূর্ববৎ) রোযা রাখিলেন এবং আমাদিগকেও রোযা রাখিতে নির্দেশ দিলেন। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান